পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ষ্ট সংখ্য" } বৃদ্ধার বৈধব্য : \93 ഫ്രാ চলা তোমার থাম্বে না ধে—সে কথা তো জান, একটি ছটি ছোটখাটাে প্রেমের অভিনয়, জনম-যৰনিকার তলে দাড়াও, শোনো মান । নিবিড় হয়ে,বিরাট হয়ে জাগ্‌ছে পরাণময় । - জাগছে মনে ঘুরকল্পার শতেক রকম ছবি ;– পড়ছে মনে কোন ফাল্গুনের কোন চাদিনী রাতে, বীণার বিয়ে হতে শচীর বিলেত যাওয়া, সৰি । আমার এ হাত মিলিয়েছিলাম তোমার কিশোর হাতে! গৃহ-রাজ্যে বানিয়েছিলে আমায় যেচে রাণী । বাসর-রাতেরঞ্জালোয় ঘেরা সেই ষে মিলন-মেলা— করার যা মোর হয়ত করা হয়নি অনেকখানি । , এখনো তার দীপ্তিটুকু মনেই করে খেলা । কিন্তু তোমার উৎসাহময়,সরব-নীরব ভাষা— কিশোর ওগো ! শঙ্কাঘেরা সেই নিমেষের দেখা, জানিয়ে দিত পেয়েছি রে করিনি ফ। আশা। নারী প্রাণের কোমল পাতায় আঁকল অমর রেখা। দীর্ঘ আমার অতীত জীবন কাটুল তারি ধ্যানে ; ভুলব না তো, ভুলতে পারি জীবন-অবসানে ?. পড়ছে মনে তোমায় আমার ঘর-বার দিনে, চলত নাতৈ একটি তিলও কারুর কাউকে বিনে । আকুল ফুটি তরুণ-প্রাপের মিলন-অভিলাষ, নিবিড় করেই বাধূত দুয়ে অটুট বারো মাস। আদর সোহাগ ছাপিয়ে উঠে ভাসিয়ে দিত দুয়ে ;– পার্ব দিতে মন থেকে তার স্বতিটুকুন ধুয়ে ? কথায় কথায় চলত দুয়ের অকারণের জাড়ি ; কথায় কথায় লোক-দেখানো ঘটত ছাড়াছাড়ি। একটুখানি অস্থখ হলে ভাসিয়ে দিতাম কেঁদে । আমার বেলায় রাত জেগে যে রাখতে বুকে বেঁধে । পড়ছে মনে শচীন তখন বছর তিনের ছেলে, যাচ্ছিলে সেই কোন বিদেশে আমায় এক ফেলে। কেঁদেই জাকুল, হলো না আর যাওয়া বিদেশমুখী, ক্ষেপিয়েছিলে,আমায় বলে, ‘নেহাৎ কচি খুকী।' - 毒 ,靜 崇 আজকে মনে অতীত দিনের অনেক কথাই উঠে । বলব কত ?-বলতে ভাষা কণ্ঠে কি জার ফুটে ? একটি পুলের লোহাগঢালা একটুখানি কথা, কোন ক্ষণিকের প্রণয়মাখা হাসিরু চপীতা । আমার অনুমতির আশায় জমৃত কাজের রাশি । 'কিই বা জানি’ বলতে তুমি একটু চপল হাসি । যাৰু সে কথা ভুলব না আর মনেই মরুক খুরে, কাজ কি তাহায় বাইরে এনে কালের পাহাড় খুড়ে ?

  • .. 藥 藥 বুড়ো হলাম, ভাবতাম দুয়ে কখন বা অজানা, কার কপালে জুটুবে এসে পারের পরোয়ান । কার আগে কে যমছুয়ারে করব করাঘাত, সেই ভাবনায় কাটত অনেক নীরব-নিঝুম রাত। হঠাৎ দেখি মুলে জাখি, ভাঙল চমক মোর ; বুঝলাম একাই করতে হবে জীবন আমার ভোর । পেরিয়ে এলাম দুজনাতে দীর্ঘ পথের রেখা ; জীবনের এই সন্ধ্যাকালে সঙ্গিনী হায় এক ! দীর্ঘ জীবন-সার্থী ওগো ! জীবনের শেষ তীরে— সঙ্গীহার চেয়ে দেখি মরণ আসে ঘিরে । মৃত্যু-সাগর-উৰ্ম্মি মাঝে ভুবতে এক ভয় । শ্ৰান্ত আমি কেই বা মোরে সঙ্গে করে লয় ? দীর্ঘ পথের সঙ্গী ওগো ! খেয়ায় ঘাটে সাঝে, . হঠাৎ মোদের ছাড়াছাড়ি বিদায়-বিলাপ মাঝে । পথ তো জামার সাঙ্গ হল, সন্ধ্যা নেমে আসে — মরণ-পারে চলব যবে, চলবে কি মোর পাশে ?

ঐগৈলেঞ্জনাথ ब्राह