পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; ৬ষ্ঠ সংখ্যা ] SAASAASAASAASAASAASAASAAMSeSeBSM AMSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS সঞ্জীবিত করবে ! সে চেষ্টা আজ কত দিকে চলেছে। নীটুসের জরথুস্ত্র বলেছেন :– “A thousand paths are there, which never have been trodden—a thousand salubrities and hidden islands of life. Still unexhausted and undiscovered is mankind and man's world.” _ যা-কিছু আমরা স্বন্দর দেখছি তার পিছনে ললিতকলার এ রকম আকর্ষণ আছে—তার শিহরিত মুচ্ছ নার সঙ্গে সঙ্গে চিত্ত রম্যতর লোকের অধিকারী হযে উঠেছে । কলা-জগতে কোন বস্তুবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইন্দ্ৰিয়-জগতের ভিতরও যে কি-রকম বিপৰ্য্যয় ঘটে—তা কোন লেখক কৌতুক করে উল্লেখ করেছেন : “The quivering sun-light that one sees now in France with its strange blotches of mauve and its restless violet shadow is lier (Art's ) latest fancy...... and nature reproduces it quite admirably. When she used to give us Corots and Daubignys, 'she gives now exquisite Monets and enhancing Pissaros. এর মানে হচ্ছে মোনে ও পিসারো যে ছায়াজগৎকে উদঘাটন করে সকলের চোখে ফেলেছেন তার মূলে ললিত-. কলার প্রবল প্রেরণা কাজ করেছে । এ দেশের অfচায্যের জ্ঞানাঞ্চন-শলাকা দিয়ে চক্ষুষ্মান করে সকলকে ব্রহ্মসাক্ষাংকারে সক্ষম কবৃতেন বলা হয়—তেমনি ভাবে কলা ও কবিতাও মানুষের পক্ষে সৌন্দর্য্যের সপ্তলোক-বিচরণের জন্য রম্য দেবযানের স্বষ্টি করেছে । কাজেই মামুষের ইন্দ্ৰিয়-জগং একটিমাত্র চওড় ও বাধান রাস্তায় চলে না—তা পলকে স্বষ্টির ভিতর এক রম্য ইন্দ্রজাল উপস্থিত করে রূপরস-জগতের অপূৰ্ব্ব ও বছুমূল্য স্বরূপকে উদঘাটন করে। একবার তাত্ত্বিকদের মতামত দেখা যাক। কাব্য ও কলা প্রসঙ্গে নীটুসেকে ভোল৷ অসম্ভব । ছোভির মতে উরোপের নব্য Renascence বা নব-অভু্যদয়ের ভিতর ਚਿੰੇ ভাবুক মাথা তুলে দাড়ান একজন হচ্ছেন, স্তাদাল রসস্থষ্টিতে ইন্দ্রিয়ের ইন্দ্ৰজাল AAAAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAAAA AAAA AAAA AMA SM MAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASASASS ASA SSASAS S S A S A S A S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS —যিনি বর্তমানকে অতি তুচ্ছ করে অগ্রসর হয়েছিলেন। দ্বিতীয় হচ্ছেন গ্যেটে, যিনি বাইবেলকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বই বলেছেন, এবং অ ধক বা majorityর মতামতকে বরাবরই ব্যঙ্গ করেছেন ; তৃতীয় হচ্ছেন, নীটসে—the greatest hero of the Renascence CytaifC*I$ বা নব-অভু্যদয়ের মাথার মণি। নীটসের আবির্ভাবের আগেকার উরোপীয় কাব্য ও কলার খবর র্যারা রাখেন তারা জানেন নীটসের দীক্ষামন্ত্র উরোপে কি অসাধ্য সাধন করেছে । • ইঞ্জিয়-পরিধি অতিক্রম করার আবেগ ও কল্পন, মানুষের সব জায়গায় আছে। এ দেশ সে পথে মানুষকে অতিমাগুম না করে', দেবভাকে মাহষ করেছে—তা’তে সকলের আত্মপ্রসাদ লাভ ঘটেছে। উরোপ দেবতা মানে না। কাজেই সেখানে মাহুষকে মনুষ্যত্ব অতিক্রম করার কল্পনা করলে কল্পনার দিক্‌ থেকে ভাল লাগে, কিন্তু ব্যবহারের দিক থেকে দুঃসহ হয় । মানুষকে ও-রকম দেবতাস্থানীয় করলে ওখানে তাকে স্বৰ্গচ্যুত কবৃতেই হয়। এজন্য অতিমানবত্বের অনেক ব্যঙ্গ পশ্চিমে হয়েছে। আজকাল নীটুসের will to power ও কল্পনাকেও রাষ্ট্রনীতি-ক্ষেত্রে লঘু ব্যঙ্গের বিষয় করা হচ্ছে, যদিও উরোপ তা এখন মাথা পেতে নিচ্ছে। অথচ জিগীষার এই প্রেরণা উরোপের বুক হতে রুগ্ন ও গলিত কত আবৰ্জ্জুন যে দূর করেছে তার সীমা নেই। অন্ততঃ সঙ্কীর্ণ বস্তুবাদের ধারা থেকে চিত্তকে মুক্ত করার কাজটিও যৎসামান্য নয় । এদেশের লোক ভাল ಡ জুনে না যে নীট্‌সে শোপেনহাউয়ারের শিষ্য। শোপেনহাউয়ারের Will-বাদই নীটুসের ভিতর প্রলয়ঙ্কর শক্তি পেয়েছে এবং তারই মূলে বেদান্তের ‘আত্মানং বিদ্ধি’ ‘নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ প্রভৃতি রয়েছে। কারণ শোপেনহাউয়ারের .সঠিত উপনিষদের সম্পর্কের কথা সকলেই জানে। মীর্টুসে স্পষ্টই বলেছেন, স্বষ্টির কাজ ত মানুষই করে আসছে। দুনিয়া যখন এক অজ্ঞাত ও অবিশিষ্ট বস্তুভাণ্ড ছিল তখন ইন্দ্রিয়জগতের সঙ্গে বোঝাপড়া করে’ মানুষই ত তার নাম ও দাম কষে’ নিয়েছে, সেটাই ত সৃষ্টি ।