পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નાર્દ প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২৯ t ত্রিমূৰ্ত্তি—হস্তীগুফ। ফুটয়ে তুলছে বলে’ তার সমগ্ররূপের মধ্যেই তার পূর্ণ পরিচয় পাওয়া যায়, বাহিরের যুক্তি বা চিন্তা, ব্যাখ্যা বা বিবৃতির কিছুমাত্র দরকার করে না । এলিফান্টার গুহা-মন্দিরের দেয়ালের মধ্য থেকে “ত্রিমূৰ্ত্তির” বিরাট প্রস্তর-ক্ষোদিত মূৰ্ত্তি তার সমস্ত বিশালতা এবং অপূৰ্ব্ব রেখাবিন্যাস নিয়ে যেন চতুষ্কোণ অন্ধকারের পুঞ্জে স্তম্ভিত হয়ে বেরিয়ে এসেছে। নিখুঁৎ গোঁসামগ্ৰস্ত এবং ক্ষোদিত আকৃতির ক্রমবিকাশমান রূপৃপর্যায়ের একটা তরঙ্গ এক মাথার পার্শ্বদেশ থেকে ধীরে ধীরে উখিত হয়ে, মধ্যস্থিত মাথার সম্মুখ দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে, তৃতীর মাথাটির ধারে ধীরে অল্পে অল্পে নিম্নদিকে হ্রাস হতে হতে মিলিয়ে গিয়ে যেন সমস্ত ত্ৰিমূৰ্ত্তিকে আলিঙ্গন করে রয়েছে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন দেহগুলি পাথরের ভিতর তলিয়ে গিয়ে আপন আপন স্বতন্ত্ৰ সভা এবং বিশেষত্ব হারিয়ে ফেকুল, যা থেকে গেল তা হচ্ছে একটা বিরাট প্রস্তরের স্তম্ভ, এবং সমস্তটাকে ব্যাপ্ত করে একটা অদৃপ্ত অপূৰ্ব্ব দেবত্বের ভাব । অতি কোমল কুম্পিত রেখা যেন কপোল্ল ও ক্রযুগলের উপর দিয়ে লীলা করতে করতে চলে গেছে। এই ছন্ধোময় [ ૨૨ન છાન, ૩૧ ૧૭ সমান্তরালগাম গতি মাথার উপরকার , ত্রিকোণাকৃতি কিরীট-সদৃশ আচ্ছাদনাদির উচু নীচু নির্বাণপ্রণালীর আরেকটা বিরুদ্ধগতির সঙ্গে যোগযুক্ত হয়ে একটা স্থিরতা, একটা সমতা, একটা অতি মনোরম এবং নয়নাভিরাম। স্বযম প্রাপ্ত হয়েছে। এখন এই যে শারীরিক আকৃতির নানা অংশের অতি স্বল্প স্বনিপুণ সমাবেশ ও রচনাপ্রণালী, উচু নীচু ও পাশাপাশি রেখার বিরুদ্ধগতিকে সংযত এবং সংহত করে’ এই যে একটা অটল অপরিবর্তনীয় ভারসাম্যে নিবন্ধীকরণ–এ-সমস্তের ভিতর দিয়ে শিল্পীর সেই মনোভাব ব্যক্ত হনেছে—সেই কল্পনাই A সাচি গুপের রেলিঙের গায়ে পদ্মলতা মূৰ্ত্ত হয়ে উঠেছে যেখানে তিনি ভগবানের পরম অদ্বৈত ধ্রুব স্বরূপকে জয়ীরূপে দেখেছেন। এবং শিল্পীর এই মনোভাবটি বুঝতে হলে সরল মন ও যথার্থ অস্থভাবিকতার সঙ্গে ঐ বিশেষ শিল্পরচনাটির দিকে , তাকালেই যথেষ্ট, কেননা তার অস্তরের বাণী জ্ঞাপনা হতেই ধ্বনিত