পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূঞ্জলোকের কাজ বন্ধি লেৰ ‘চত্র লোকের ধারণ তাদের বিজ্ঞার্থী’ হইবার অধিকার ছিল न :-*काङ्क्षिं सूंषिङ्.यति:,ंौेः:ङ्गद्विारॆ .७ङ्कटेश् প্রবেশ করিতে হইত। কেৱল গুরুর নয়, শিষ্যভ্রাতৃমণ্ডলীর সৰ্ব্বপ্রকার শারীরিক লেবার ভার, বহনে প্রস্তুত থাকিতে হইত। তাহাতে ধনী দরিদ্র ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ের বিচার ছিল ন। ইংলণ্ডের রাজপুত্রকে যদি ইটন-স্কুলে ভক্তি হইতে হয় তবে সহাধ্যায়ীর জুতা পরিষ্কারটা অসম্মানের কাজ বলিয়া ধারণা করিয়া রাখিলে চলে না । সেকালের বিস্তার্থীকে কেবল গৃহনিৰ্ম্মাণে নয়, গৃহ সম্মার্জনেও রাজী হইতে হইত এবং গুরু কুলের অল্পসংস্থানের জন্য রাজপুত্রের ভিক্ষায় বহির্গত হওয়| অসম্মানের কাজ ছিল না । আমরা ডিাক্র্যাসী ডিমক্র্যাসী বুলিয়া চীংকারই কেবল করিতেছি, হাতে-কলমে তার শিক্ষার ব্যবস্থা কি করিয়াছি ? পরিবারে সামাজিক জীবনে শিক্ষা-ক্ষেত্রে তো তার বিপরীত আচরণই লক্ষিত হইতেছে । যখন দেখি ছাত্রাবাসে বিভিন্নবর্ণের ছাত্রগণ আপনাদের বর্ণমর্যাদা রক্ষা করিতে নিতান্ত ঘৃণ্য বিবাদে প্রবৃত্ত, তখন ডিমক্র্যাসীর সকল আশায় জলাঞ্জলিই দিতে হয়। জাতিভেদের প্রকোপকালেও তো ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়-বৈশ্য গুরুকুলে ভ্রাতৃভাবে একত্র বাস করিয়াছে । আমরা যে প্রাচীনকালে ফিরিয়া যাইতে চাই, কোথায় যাইব তাহ ঠিক করিয়াছি কি ? যাহা হউক, প্রাচীন কালের শিক্ষার আদর্শ দুইভাগে বিভক্ত ছিল—ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত। ব্যক্তিগত দিকের শিক্ষা আত্মবিদ্যু-মাস্থ্য ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিয়া দিন দিন মোক্ষপথে অগ্রসর হইবে । মানুষ জন্মমাত্র যেসকল ঋ৭ে. আবদ্ধ হয় ঋষি-ঋণ তার অন্যতম। জাতীয় জ্ঞানভাণ্ডাৰুে পূৰ্ব্বপুরুবদিগের সঞ্চিত যেসকল কলা ও বিদ্যা রহিয়াছে পুরুষপরম্পরস্থি যে-সকল শিক্ষা ও সাধনা চলিয়া আসিতেছে, তাহা অায়ুক্ত করিয়া ভবিষ্যদবংশীয়দিগের জন্য সংরক্ষণ ঐ,ঋষি-ঋণ শোধের পন্থা । ইহাই শিক্ষার সমষ্টগত বি. সমষ্টিগত জীবনে ব্যক্তির যে স্থান, শিক্ষাটা তাহার অবিচ্ছিন্ন অঙ্গরূপে নির্দিষ্ট ইয়াছিল। রাঙ্কণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্যের অবশ্যগ্রহণীয় ఆల్గి উচ্চশিক্ষার ওপীলগ্ৰসমূহের একরূপ সৰ্ব্বজনীনগ্রাথমিক শিক্ষার বাবুস্থ ছিল। এই প্রাথমিক শিক্ষার আদর্শ কেজি হইতে কলিকাতায় আসে নাই, মাআজি হইতেই ম্যাঞ্চেইরে গিছিল। শিক্ষায় সৰ্ব্বসাধারণের, সমান অধিকার ছিল। শিক্ষা পুথিগত ছিল না, বিদ্যা ও কলার সাহায্যে কাৰ্য্যকরী করা হইয়াছিল। আধুনিক টোল ও চতুষ্পাঠীতে ইহার ব্যভিচার ঘটিয়াছিল বলিয়াই রাজা রামমোহন রায় ইহাদের উপর খড়গহস্ত হইয় উঠেন। তিনি যখন দেখিলেন, টােল-চতুষ্পাঠীর শিক্ষাপ্রণালী হইতে কলা ও বিদ্যা তিরোহিত হইয়াছে, আছে কেবল পরম্পরাগত, অর্থশূন্য কতকগুলি বাধি গতের চৰ্ব্বিত-চৰ্ব্বণ, তখন তিনি ,একদিকে নূতন *foll Art & Scienceo offsäi e oasio বেদান্তবিদ্যালয় স্থাপন করিয়া আত্মবিদ্যার অনুশীলন— জাতীয় শিক্ষাধারার এই দুই বিচ্ছিন্ন ও বিনষ্টপ্রায় দিক পুনরুজ্জীবিত করিয়া ইহার • সংরক্ষণ ও ইহার সঙ্গে নবীনের যোগ স্থাপনে বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন । এই দুই দিকের পূর্ণ সম্মিলন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া Cool vocational training, অর্থকরী বিদ্যা বা কাৰ্য্যকরী শিক্ষার পশ্চাতে ছুটিলে যাহা বাস্তবিক স্বদেশী বস্তু, আমাদের জাতীয় শিক্ষ, তাহা লাভ হইবে না। আমাদের এই ষে জাতীয় শিক্ষা-যন্ত্র ইহার কাছে বর্তমানকালের শিক্ষামন্দির-সকলের শিখিবার অনেক রহিয়াছে। আমাদের শিক্ষাসৌধ এই জাতীয় ভিত্তির উপরই গড়িতে হইবে। বৰ্ত্তমানযুগের পরিবর্তিত অবস্থার প্রয়োজন বুঝিয়, বর্তমান জটিল সাৰ্ব্বভৌমিক শিক্ষার ও সাধনার দাবী স্বীকার করিয়া সে ভিত্তিকে গভীরতর ও বিস্তৃততর করা যাইতে পারে। কিন্তু নিৰ্মাণকাৰ্য্য এই ভিত্তির উপরেই করিতে হইবে। তবে, আজ ধে এক জাতীয় শিক্ষার কথা শুনিতেছি তাহা খোল-নলচে বাদ একটি ছকে । তাহ না শিক্ষা, না জাতীয়। পাছু বৈদেশিক হাওয়া ঘরে প্রবেশ কুরে এই ভয়ে ঘর ভদিয়া ফেলা। ইহা ভারতুের আত্মধর্শ্বের বিরোধী। ভারত কখনও কাহিরকে প্রত্যাখ্যান করেন নাই—বাহ সত্যু, যাহা শিব, যাঁহ