পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bుృషి প্রশ্বাসী-আশ্বিন, ১৩২৯ [ २२° छांग, »म ५७ SMMMAMAMeAMAMeMAMAMAMAMAMAMAMAMAM MMMMMMMM MMMMMeAMMAMAAA AAAA AAAA MeMeAAA AAAASAAAA AAAA AAAASAAAAMMA AMAMA AA MMAMAAA AAAAA 钴 রমল। ( ما لا ) কলেজে লেকচার দিবার সময় তুলসী-বাবুর অমনোযোগিতা দেখিয়া ছাত্রেরা সেদিন সত্যই অবাক হইয়া গেল। সেদিন শেষের দুই ঘণ্টা ছুটি দিয়া তিনি সকাল সকাল বাড়ী ফিরিলেন। বাড়ী ঢুকিয়াই দেখিয়েন, হাসি, জলঝরা ও বাটার শব্দে সমস্ত বাড়ী মুখরিত, সিমেন্টের মেজে যেন এস্রাজের মত বাজিতেছে, গোপাল চৌবাচ্চ হইতে জল তুলিয়া দিতেছে, রজত ঢালিতেছে জার রমলা ' বাট ঘসিতেছে । সিঁড়ি ধোয় শেধ করিয়া তাহারা উঠান লইয়া পড়িয়াছিল, এমন সময় সম্মুখের বারানায় তুলসীবাবুকে আসিতে দেখিয়া রজত ও গোপাল প্রমাদ গণিল । বীজাণু ঘাটিয়া তুলসীবাবুর যেমন বীজাণু বিভীষিকা ছিল, সব ধূলাতেই তিনি যক্ষ্মা বা কলের বা কোন ভয়ানক , রোগের বীজাণু দেখিতে পাইতেন, তেমনি বীজাণুদের সঙ্গে বহুদিন বাস করিয়া তাহার শক্রদের প্রতিও তাহার বিশেষ অম্বুরাগ ছিল না। রেশী রোদে থাক, বেশী হওয়া খাওয়া, বেশী জল ঘাট তিনি মোটেই পছন্দ করিতেন না, তার ঘরের দরজা-জান্‌লাগুলি যেমন প্রায়ই বন্ধ থাকিত তেমনি নিজের দেহকেও সৰ্ব্বদা গলাবন্ধু র্যাপার মোজা ইত্যাদি দিয়া মুড়িয়া তিনি আপনাকে হাওয়া বা ঠাণ্ড হইতে সৰ্ব্বদা বাচাইয়া চলিতেন। হাতের মোটা একখানি বই নাড়িয়া রজতের দিকে চাহিয়া মামাবাবু গর্জন করিয়া বলিয়া উঠিলেন,—হতভাগার, কি হচ্ছে ? রমন্ত্র। নর্দমার মুখের আবর্জন কাটা দিয়া সরাইতে সরাইতে র্তাহীর মুখের দিকে ন চাহিয়া বলিল,— মামাবাবু, সিড়িটা এখনও শুকোয়নি, জুলে পায়ে দিয়ে যাবেন না । রমলার দিকে চাহিয়া মামাবাবুর আর কিছু বলা হইল না। তাহার খোলাচুল মাথার ওপর কুটির মত বাধা, জাচলটা কোমরে জড়ানে, সাদা শাড়ী ধূলায়, জলের ছিটায় গেরুয়া রংএর ব্লাউসের সঙ্গে এক রংএর হইয় গিয়াছে লাল পাড়টা ৰূলের উপর লুটাইতেছে হালিভর চোখে প্রবলবেগে ঝাটা নাড়িতে নাড়িতে সে চারিদিকে এরূপভাবে জল ছিটাইতেছিল যে তাহার দিকে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব। আজ সমস্ত দিন কি অপরিমিত ধূলা ও श्यहूद्र खल भशंनष्कब्र गश्ङि घाघै। इझेबाएँछ् उोशंद्र शैक्षु মূৰ্ত্তি দেখিলেই তাহা বোঝা যায়। তাহার কাজের কোন প্রতিবাদ করিবার বা বাধা দিবার মত শক্তি র্তাহার রহিল ન I - —সবই ত পরিষ্কার হয়ে গেছে মা, তুমি এবার উঠে এস, ওই জঞ্জাল ওই বাদরটাকে সরাতে দাও,—বলিয়া সত্যিসত্যিই জুতা খুলিয়া তিনি সিড়ি দিয়. উপরে উঠিয়৷ গেলেন । Es কিছুক্ষণ পরে উপরের ঘর হইতে মামাবাবুর ক্লানেল জড়ানো গলার শব্দ পাওয়া গেল,—ওরে গোপাল, খানিকট। গরম জল করে নিয়ে আসবি । এ জল তাহার খাবার জন্ত নয়, তার পা গরম করিবার জন্ত । পরদিন সকালে তুলসী-বাৰু কলেজে যাইবার জন্ত বাহির হইতেছেন, দেখিলেন একখানি গরুর-গাড়ী বাড়ীর সাম্নে আসিয়া দাড়াইল, খাট, বিছানা, আলমারী, ড্রেসিং টেবিল, রকিং চেয়ার ইত্যাদি বোঝাই করা। এগুলি রমলার দাদা তার বিবাহের ধৌতুকরূপে পাঠাইয়া দিয়াছেন। মামাবাবুর আর কলেজ যাওয়া হইল না। তিনি বুঝিলেন, এইগুলি লইয়। তাহার ভাগ্নে ও ভায়েবে। কালকের মতনই ধূলা ঘাটিবে, আর রজত তাহার ছোট ঘরেই এইগুলি কোনমতে ঢুকাইয়া লইবে । তিনি তাহার দোতলার বড় ঘরটা রজতকে দিয়া নীচে নামিয় আসিবেন, এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া গলির মোড় হইতে বারোজন কুলী ডাকিয় আবার বাড়ী ফিরিলেন । বিন অম্বখে এই তাহার প্রথম কলেজ কামাই হুইল । ংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহের জন্ত বাড়ীটির অনেকগুলি স্ববিধ ছিল। তাহার সম্মুখেই খাবারের দোকান, মুদির দোকান, ডাক্তারের বাড়ী, চায়ের দোকান, পানের দোকান প্রায় পাশাপাশি ছিল। গলিটি উত্তর ও দক্ষিণ দুই দিকেই বড় রাস্তায় গিয়া পণ্ডিয়াছে; উত্তরদিকে বড় রাস্তান ।