পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b">8

  • مہمصیحصے۔

বলিল,-আজ যেমন করে হোক রাখা যাক, পরে সাজিয়ে নেওয়া যাবে। রমলা কিন্তু থাকিবার ঘরকে শুদামঘর বা আসবাবের দোকান করিয়া রাখিতে সন্মত হইল না। আর-একদিন যে তাহারা ধূলা ঘাটিবে তাহাষ্ঠে তুলসীবাবু আপত্তি জানাইলেন। রমলা ঘর সাজাইবার ভার লইল। রাস্তার দিকে পূর্ব-মুখে ঘরটির চারিটি জানল, সিড়ির সাম্নে একটি দরজা আর বারান্দার দিকে দুইটি জানুলার মধ্যে একটি দরজা। নতুন খাটটা উত্তর দিকের দেওয়াল ঘেঁসিয়া রহিল। খাটের পাশে রাস্তার দিকের জানলার কাছে ড্রেসিং টেবিল আর তাহার উন্টাদিকে কাচওয়ালা কাপড়ের আলমারী রহিল। সে অালমারীর পরেই বারান্সার দিকের দরজা, সেই দরজা ও জার্মুলার ফাকে রঙ্গতের ছবির বই ও নভেলে ভরা ছোট আলমারী রহিল। দক্ষিণ দিকের দেওয়াল ঘেঁসিয়া আলন, পূৰ্ব্ব কোণে লিখিবার টেবিল চেয়ার ও তাহার পাশে সোফা রাখা হইল। মাঝে খানিকটা জায়গা ফাক রাখা হইল, মাদুর পাতিয়া বেশ বলা যাইবে। বাকী জায়গাটুকু একটা গোল সাদা মাৰ্ব্বেল টেবিল ঘিরিয়া রকিং চেয়ার, ইজিচেয়ার ও কোচে ভরিয়া গেল। চেয়ারে বসিয়া ছুলিতে রমলা খুব ভালবাসে বলিয়া তাহার দাদা রকিং চেয়ারখানি বিশেষ করিয়া পাঠাইয়া দিয়াছেন। ইজিচেয়ারটি রঙ্গড়ের অতি পুরাতন বন্ধুর মত, এখন ছারপোকাসমাকুল হইয়া কতদূর আরামের তাহা বলা ' শক্ত । so. আসবাবপত্র গুছাইয়া রমলা ঘরের দেওয়াল হইতে নালী ভঙ্গিল্প মেমদের চিত্র সম্বলিত ইংরেজ ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপন ও ক্যালেণ্ডারগুলি টান মারিয়া ফেলিয়া দিতে লাগিল । রমলা বলিল,—আচ্ছা, আর্টিষ্টের ঘরে এসব ছবি রাখতে লজ্জা হয় না ! উচ্চ হাসিয়া রজত বলিল,—জাহ, jealous হও কেন, এখন আর কোন ছবির দরকার হবে না। यांe,-वणिग्ना भूथ ब्रां७ कब्रिग्न ब्रभन्न घब्र इ३८ङ বারান্দায় বাহির হইয়া গেল । জিনিষপত্র गाछाहेख প্রায় সন্ধ্যা ইইয়া গেল। ঘর প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড গোছান শেষ 驚 মামা-বাৰু রমলার সৃজিাইবার শক্তির উচ্চপ্রশংসা করিয়া কুলীদের জন্য খাবার জানিতে দশ টাকার * নোট ফেলিয়া দিলেন। বিবাহের ভোজটা কুলীরাই খাইয়া লইল। সম্মুখের খাবারের দোকানদার তাহার এরূপ খাবার বিক্রিতে নববধূকে আশীৰ্ব্বাদ করিতে লাগিল । o মেঘছায়াখন ক্ষান্তবর্ষণ স্তন্ধদিন সন্ধ্যার তীর পার হইয়া রাত্রির অন্ধকার পাত্রে অঝোরে ঝরিয়া পড়িতে লাগিল । বারিধারা-মুখর তারাহীন রাত্রি, পথে পথে ঝোড়ো হাওয়া দুরন্ত শিশুর মত হাকিয়া বেড়াইতেছে, ছাদের উপর নর্দমা দিয়া ঝিলিমিলি বহিয়া গলি উচ্ছ্বসিয়া জল খলখল হাস্তে বহিয়া যাইতেছে, বন্ধ দরজা জানুল মাঝে মাঝে সজল বাতাসে কোন প্ৰমত্ত পথিকের করাঘাতের মত কঁাপিয়া উঠিতেছে, ঘরের কোণে একটি বাতির মান শিখা কঁাপিয়া কঁাপিয়া উঠিতেছে। রমলা দোলানো-চেয়ারে চুপ করিয়া বসিয়াছিল, তাহার পাশেই ইজিচেয়ারে একটি পাৎলা লেপ পাতিয়া রজত হেলান দিয়া শুইয়া পা নাড়িতেছিল। দুইটি চেয়ার ধেসাধেদি বগান, দুইজনের পা এক নীল শালে জড়ান। রমলার একখানি হাত রজতের মাথার " উপর চেয়ারে আর-একথানি হাত ইজিচেয়ারের হাতে । দুইজনেই স্তব্ধ, শুধু মাঝে মাঝে রজত রমলার আঙ্গুলগুলি লইয়া খেলা করিতেছিল আর তার চেয়ারটিতে মৃদু দোলা দিতেছিল। বাহিরের ঝোড়ে হাওয়ায় সমস্ত ঘরটিকে যেন মৃদু দোলা দিতেছিল। সমস্ত দিন ধরিয়া সাজানো এই আলোছায়াময় ঘরখানি যেন কি অপূর্ব রহস্য, কি মাধুৰ্যময় স্বপ্নে ভরা। দুইজনে হাতে হাত জড়াইয়া ধীরে ছলিতে দুলিতে কোন অজান স্বপ্নের জাল বুনিতেছিল। রজত মৃদুকণ্ঠে ডাকিল—এই— রমলা অতি মিষ্টি করিয়া বলিল—কি ! আবার দুইজনে চুপচাপ, রজত রমলার মুক্তকবরীর অলকগুলি চেয়ারের মাথা হইতে সরাইয়া ধীরে সাজাইতে লাগিল। " go R & ঝড়ের রাতে বৃক্ষের নীড়ে দুই কপোত-কপোতীর