পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড । SAASAASAASAAeSAMSAeSAeSAAAA মালদ্বীপের প্রধান মসজিদ হুকুর মিস্কিট (মসৃজিদ) অভিমুখে স্বস্তানের সমারোহ-যাত্র। যে, দ্বীপগুলি পাশাপাশি থাকলেও তাদের মধ্যে মধ্যে একটু কোরে জলভাগ তাদের পৃথক কোরে রেখেছে ; এদের মধ্যে একটি দ্বীপ এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে একটু বেশী দূরে অবস্থিত; এই দ্বীপটি আলাদাভাবে শাসিত হয় অর্থাৎ মূল দ্বীপপুঞ্জের গবর্ণমেণ্টের সঙ্গে এই দ্বীপের গবর্ণমেণ্টের সাক্ষাংভাবে কোনো সম্পর্ক থাকে না। এই দ্বীপটিকে নিয়ে মালদ্বীপপুঞ্জে সৰ্ব্বসমেত চৌদ্দটি দ্বীপ আছে। Tএখানে নীে ও ডাঙার সৈন্ত ও সেনানী নিয়ে সৰ্ব্বসমেত আট শো থেকে এক হাজার মাত্র লোক মোতায়েন থাকে। একজন স্বাধীন স্বলতান এই দ্বীপে রাজত্ব করেন, কেবলমাত্র বৎসরে একবার এখান থেকে একজন প্রতিনিধি সিংহল গবৰ্ণমেণ্টকে কর দিয়ে আসে। এই কর দেওয়া ছাড়া শাসনসংক্রান্ত ব্যাপারে স্থলতান সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করেন। মালদ্বীপপুঞ্জের ইতিহাস খুবই কৌতুহলোদ্দীপক। শোনা যায় যে, টলেমি একস্থানে এই দ্বীপের উল্লেখ করেছেন। সিংহলদ্বীপের “ নিকটবর্তী কোনো দ্বীপের অধিবাসীদের প্রতিনিধি রোমক সম্রাট জুলিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এমন কথাও শুনতে পাওয়া যায়। মালদ্বীপের স্বলতানের নিকট আরবী ভাষায় লিখিত ধে ইতিহাস ( তণ্ডারিখ ) আছে, তার মধ্যে খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে বর্তমান সময়ের পৰ্য্যস্ত ইতিহাস পাওয়া যায় । দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝ|মাঝি দ্বীপবাসীয় মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করে । মিঃ বেল এই ইতিহাস থেকে বিরাশীজন স্বলতানের নাম, উপাধি এবং অন্যান্ত তথ্য সংগ্ৰহ করেছেন । এই বিরাশীজন স্বলতান ১১৪১ অব্দ থেকে ১৯১৩ অব্দ পৰ্য্যন্ত সেথানে রাজত্ব করেছিলেন । ইতিহাসখানি আরম্ভ করা হয়েছে সেখানকার প্রথম স্বলতান মহম্মদ-উল-আর্দিলের রাজত্বকাল থেকে। এর আমলেই দ্বীপবাসীরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয় ( ১১৫৩–৫৪ খৃষ্টাব্দে ) । তাব্রিজবাসী শেখ ইয়ুস্কষ্ণ শামসউদ্দীন নামক, এক ব্যক্তি এদের মুসলমান ধর্থে দীক্ষিত করেন । এই ইতিহাসখনিতে মালদ্বীপপুঞ্জ । এবং সেখানের অধিবাসীদের সম্বন্ধে এমন অনেক কথা