পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আইরিশ বিপ্লবে আইরিশ রমণী আয়ার্লাণ্ডের দীর্ঘকালব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা আজ আর কারও অজানা নেই। এই স্বদীর্ঘ যুদ্ধে বহু আইরিশ রমণী যে আশ্চৰ্য্য সাহসিক ও বহু দুঃrাহসিক কাজ করেছেন, আয়ার্নাণ্ডের ইতিহাসে ত চিরকাল জলন্ত অক্ষরে লেখা থাকৃবে। এই অসাধারণ স্ত্রীলোকদের মধ্যে প্রধান ( সৰ্ব্বপ্রধান বললেও অত্যুক্তি হয় না) কাউন্টেস্ মাকিয়েfš& ( Counfess Markievicz ) I \q&$ qf•gá] ঘটনা এই যে এর মা আইরিশ রমণী হলেও অত্যন্ত আইরিশ-বিদ্বেষী ও ইংরেজ-ভক্ত ছিলেন। প্রবাদ আছে যে তিনি জিদ করে নিজের বাড়ীর সমস্ত ঘড়ীর আইরিশ সমৰ্থ বদলে, ইংলিশ সময় রাখৃতেন । যা-কিছু ইংলিশ সবই ভাল, আর যা-কিছু আইরিশ সবই মন । বালিক। কন্‌ষ্ট্যানস (Constance, Cotos Countess Markiewicz );এইরূপ ইংরেজ-ভক্ত মায়ের সন্তান হয়েও নিজের সমস্ত জীবন আযালাণ্ডের কাজে উৎসর্গ •কবেন । মাতৃভূমি আয়ার্লাগুকে স্বাধীন . কবৃতে তার সমস্ত দিয়েছেন। ইনি প্যারিসে চিত্রবিদ্যা শিখতে যান ৭ সেখান থেকে - কাউণ্ট, মার্কিষ্ট্রেভিকসকে ( Čount Markiewicz ) f«t×] করে আয়ার্লাণ্ডে ফিরে আসেন। টাকাকড়ি দিয়ে দেশের কাজে সাহায্য করা মহত্ত্ব বটে, কিন্তু সন্ধান্ত বংশের কন্যা ৪ গ্রী হয়ে চিরস্থথে লালিতা পালিত হয়ে, নিজের অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্য নিয়ে দেশের কাজে যথাসৰ্ব্বস্ব উৎসর্গ, করা কত বেশী মহত্তর। শুধু উংসর্গ নয়, অতি ধীর রাজনৈদিকের মত কাজ করা । "১৯০৯ সালে সৰ্ব্বপ্রথম আইরিশ বয় স্কাউট (Boy Scout ) গঠন আরম্ভ করেন কাটন্টেস্ মার্কিয়েভিকৃস্ । আয়ার্লণ্ডের ভবিষ্যৎ আশা তরুণ বালকের কাউন্টেসকে দেবীর মত ভক্তি শ্রদ্ধা করত । কত দীর্ঘ দিন, কত দীর্ঘ রাত্রি তিনি দেশের বালকদলকে নিৰে স্বাধীনতার গল্প বলেছেন, কত পুরাণ আইরিশ বীরত্বের ইতিহাস বলে তাদের প্রাণে উদ্দীপনা দিয়েছেন। নিজেই তাদের ড্রিল শিখিয়েছেন, কেমন করে সবুজ সাদা ও কমল৷ রংএর জাতীয় পতাকাকে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করতে হয় তা শিখিয়েছেন। তার আদর্শ ছিল—“কোনও প্রকৃত বীরপুরুষ শক্রকে পশ্চাৎ দেখায় ন বা মিথ্য বলে না।". তাই শেষে স্বাধীনভ-যুদ্ধের সময় রীর আইরিশ যুবক এত শৌর্য্য বীর্ঘ্য দেখিয়েছে ও এখনো, প্রত্যহ দেখাচ্ছে। কাউন্টেসের কাজ .এই একরকমের নয়। সকল শ্রেণীর . লোথর মধ্যে উৎসাহ দিতে এই স্বন্দরী মাতৃমূৰি আবির্ভাব দেখা গিযেছে। যেখানে কাউন্টেস্ সেখানে e যেন নুতন প্রাণ, নূতন উৎসাহ দেখা দিয়েছে, তার কথায যেন বালক বুদ্ধ যুব সকলে গসিমুখে কৰ্ত্তব্য পালন করতে পারে। . ১৯১৩ সালে ডবৃলিনের বড় ধৰ্ম্মঘটের ( strike) সময় এই অদ্ভুত রমণী অতি প্রত্যুষে বাইসিকেল চড়ে গিয়ে নিজের হাতে খাবার তৈরী করে ধৰ্ম্মঘটকারীদেৰু মায়ের মত স্নেহে পাইয়েছেন । যাতে তার মানুষের মত ব্যবঙ্গর পায—৭ বিলাতি ছেড়ে আইরিশ ফ্যাক্টরীতে কাজ করে তাব জন্য ধৰ্ম্মঘট বজায রাপার চেষ্টা করেছেন । • , কাউন্টেসের তীক্ষ্ণবুদ্ধি অনেক সময় অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। বিপ্লবের শ্ৰোত যখন খুব প্রবল, ইংরেজের অত্যাচার যখন বড় প্রখর, এমন এক আগষ্ট মাসের শুক্রবারে তিনি প্রচার করলেন যে জীম্‌ লাকিন (Jim »Larkins, Labour Leader ) stą eft+ CREi, ostqq রবিবারে বিকালে সাধারণ সভায় বক্তৃতা দিবেন। লার্কিন অতি স্পষ্টবাদী, স্বাধীনতাপ্রিয় ও তেজস্বী বক্স, র্তার বক্তৃতায় লোকে মুগ্ধ ও উত্তেজিত হয়, বহু দূর থেকে হাজার হাজার লোক লার্কিনের বক্তৃতা শুনতে আসে।