পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । রমণী যে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন তা যে-কোনও জাতির পক্ষে গৌরবের বিষয়। বহুবার নিজের জীবন,বিপন্ন করে', গোলা বর্ষণকে গ্রাহ না করে এই বীর রমণী জাতীয় ‘কৰ্ত্তব্যে অগ্রসর হয়েছেন । এইরূপ কাৰ্য্যতৎপরতা ও বীরত্বের জন্ত—ৱিল্পব সময়ে অন্য বীর পুরুষ নেতাদের মত একেও সহরের এক অংশ বৃক্ষার সম্পূর্ণ ভার দেওয়া হয়েছিল। একে একে যখন স্বমস্ত নেতারা বন্দী হন, কাউন্টেল তখনও যুদ্ধ চালাতে থাকেন। একদিন পরে প্রায় ১•• রমণী সহযোগীর সঙ্গে ইনি বন্দী হন। এই বিপ্লবের বিচারে এর (অন্ত অনেকের সঙ্গে ) জীবন-দণ্ড হয়। কিন্তু কৌশলে অনেকেই জেল থেকে পলায়ন করেন। এই সময়ে এদের প্রধান মেত ডি ভ্যালের (De Valera) পালিয়ে আমেরিকায় আসেন। আমেরিকায় তার স্বদেশবাসী প্রায় ৪০ লক্ষ লোকের বাস। তাদের আর্থিক ও নৈতিক সাহায্য নিয়ে ডি ভেলের পুনরায় দেশে ফিরলে ইংরেজের সঙ্গে সন্ধি স্থাপিত হয়। যদিও ইতিমধ্যে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে তৰু বাহুল্য-বোধে আর বেশী লিখলাম না। আইরিশদের স্বদেশপ্রীতিতে দুঃসাধ্য ব্যাপারও সম্ভব হয়েছে, তাই মুজ আয়ালাও স্বাধীন হতে যাচ্ছে। জগতের অন্যান্ত স্বাধীন জাতির সঙ্গে সমান গৰ্ব্বে মাথ৷ উচু করে দাড়াতে যাচ্ছে। কোথায় ভারত ? নিউ ইয়র্ক • . শ্ৰী কমলা মুখাঞ্জি কুমারী লেন ভারতের বাহিরে দিন দিন নারীশক্তি যেমন করিয়া সৰ্ব্বতোমুখী হইয় বিকাশ লাভ করিতেছে তাহা ভাবিতে গেলে স্বদেশের দুর্দশায় লজ্জায় মাথা নতু হইয়া আসে। কুমারী লেনা অষ্ট্রেলিয়ার একটি পল্লীগ্রামে সামান্ত একজন স্বত্রধরের গৃহে জন্মগ্রহণ করেন । পিতার অবস্থা এমন নহে যে য়ুথোপযুক্তরূপে একমাত্র কন্যার শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারেন। কন্যার সাহায্য লইয়া কোনও ক্রমে কায়ক্লেশে নিপাত হইতেছিলগ তথাপি সারাদিন পরিশ্রমের পরও তিনি অবসরমত কস্তাকে সংবাদপত্রারি সারাংশ পাঠ কীি শুনাইতেন এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশের মহিলা-মজলিস–কুমারী লেন o SAMMMAAA AAAA AAAA AAAA AAMMMAMMMMM MMMMMMMMAMMMAMMMAAMMMMMMMMAAAMMAMM bᏉᏋ☾ مہ صمامی শিল্প বিজ্ঞান ও সামাজিক রীতিনীতির কথা, উখান পতন ও ক্রমবিস্তৃতির কথা বলিয়া ভঙ্গার সহিত গল্প · করিতেন।. বালিকার তরুণ চিত্তপটে তাহা এমনই গভীর , ভাবে অঙ্কিত হইয়া যাইত ধুে কেবলমাত্র পিতার মুখে শুনিয়া তিনি তৃপ্ত হইতে পারিতেন না। লেনা নিজেই স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া অতি অল্পকালের মধ্যে লিখিতে ও পড়িতে শিথিয়া ফেলিলেন । বয়স যখন সবেমাত্র নয় কি দশ তখন হইতেই আশ্চৰ্য্য শিক্ষা-গুণে অবসর-বিনোদনের জন্য পিতাকে • বহু দেশ-দেশাস্তরের বিচিত্র ঘটনাবলী পড়িয়া শুনাই অত্যন্ত মানদ লাভ করিতেন। এই সময় হইতেই ইতিহাস পাঠে তাহার অদ্ভুত উৎসাহ দেখা যাইতে লাগিল। বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাহা ক্রমশঃই বৃদ্ধি পাইল এবং জ্ঞানলাভের আকাঙ্ক্ষাও অত্যন্ত বাড়িয়া চলিল , কুমারী লেনা এখন মাত্র সাতাইশ বৎসরের, একটি তরুণী । কিন্তু এই বয়সেই তাহার সর্বগ্রাসী প্রতিভার কথা দেশে দেশে ছড়াইয়া পড়িয়াছে। ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করিয়াই তিনি ক্লান্ত হইয়া পড়িগেন না । অর্জিতজ্ঞান ಇದ್ದು পরিণত করিবার জন্য তিনি প্রথমেই সমাজসংস্কারে মনোনিবেশ করিলেন। ইতিমধ্যেই নূ্যনাধিক তেরটি ভাষা আয়ত্ত করিয়া লইয়াছেন ; প্রায় প্রত্যেকটিতেই মাতৃভাষার ন্যায় অনায়াসে মনোভাব প্রকাশ করিতে পারেন। সঙ্গীত ও নৃত্যকলায়ও আজকাল র্তাহার যশ নগণ্য নহে। সমাজ-সংস্কারে আত্মনিয়োগ করিয়া একনিষ্ঠ ভাবে দেশ-সেবা করিতে পরিবেন, এই মনে করিয়া লেনা এখন পর্য্যন্ত বিবাহ করিতে স্বীকৃত হন নাই। পিতা জীবিত আছেন বটে, কিন্তু বিন্দুমাত্রও কন্যার মুখাপেক্ষী নহেন। অল্পদিনের মধ্যে এই দেশহিতপ্রাণ কুমারী ১৮টি শিক্ষালয় স্থাপন করিয়াছেন । এবং স্বয়ং তাহার একটিতে প্রধান শিক্ষয়িত্রীরূপে নিযুক্ত আছেন। বল বাহুল্য, সকল কয়টি বিদ্যালয়ই স্ত্রীশিক্ষা-কল্পে প্রতিষ্ঠিত। যাহাতে সারাজীবন অপরের মুথেই দিকে তাকাইয়া, অপরের অর্জিত অন্নে দিনপাত কবিতে না হয়, আত্মমধ্যাদা রক্ষণ করিয়৷ ভদ্রভাবে অভাব-অভিgোগের হান্ত হইতে মুক্ত হইতে পার স্বাক্ষ- শিক্ষায়তন