পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ს-8ჯა° g 嗣 প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২৯ [ २२* छांशृं, s* थे6 發 AMMMMMMeMMMAAA SAAAAAS AAASASAAA AAAAMAAA AAAA AAA AAAAMAMAMAMAMMAMMMAMAMMS MMMMMMMMAMeeAMeMAMMAMAMAMAMA MAMS SSSSSS গুলির মূল স্বত্রই এই। একদিকে যেমন পারিবারিক স্বথ-স্বাচ্ছন্দ্য-বিধান্ডুের উদ্দেশ্যে স্বগৃহিণী মাতার' ও স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য শিক্ষা দেওয়া হয়, অন্যদিকেও, তেমনই সমাজের প্রতি দেশের প্রতি কৰ্ত্তব্যবোধ প্রত্যেক বালিকার চিত্তে উদ্বুদ্ধ করিয়া দেওয়া হয়। নিজে নিতান্ত আড়ম্বরবিহীন জীবন যাপন করিয়া তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থিনীকে উচ্চতম আদশের দিকে লইয়া যাইতেছেন । এই বিদুষী কুমারী বলেন যে, দেশের সর্বপ্রধান ও সৰ্ব্বপ্রথম কৰ্ত্তব্য হইতেছে উপযুক্ত মাত গঠন করা । এবং দেশহিতৈষণাৰু সৰ্ব্বনিম্ন সোপান হইবে বালিকাশিক্ষা । বালিকার কেবল মানসিক ও নৈতিক Gइडि বিধান করিতে পারিলেই তাহার শিক্ষা পয্যাপ্ত হইল না। স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ণ রাখিতে না পারিলে ইনি শিক্ষাকে ব্যৰ্থ বলিয়া মনে করেন। এইরূপ সুংিশিক শিক্ষা দ্বারা ইনি নিজেও পরিতৃপ্ত হন নাই এবং অপরকেও সেরূপ শিক্ষা দিত ইচ্ছা করেন না। শরীর ও মন যাহাতে পূর্ণরূপে বিকাশ লাভ করিতে পারে, সমভাবে উভয়েরই উৎকর্ষ সাধন হয়, তাহার শিক্ষণকেন্দ্রগুলিতে তদনুযায়ী বন্দোবস্ত রহিয়াছে। কিছুদিন হইল ইনি বিজ্ঞানচর্চায় মনোনিবেশ করিয়াছেন, এবং আপনাকে অধিকতররূপে ফুৰ্য্যোপযোগী করিয়া লইবার ইচ্ছায় কয়েক বৎসর বিদেশ ভ্রমণ করিবার সঙ্কল্প করিয়াছেন। শ্ৰী অনন্তকুমার সাহাল কুমারী মৃণালিনী চট্টোপাধ্যায় বাংলা মায়ের যে-সমস্ত শক্তিমতী মেয়েরা দেশের বাইরে গিয়ে আপনাদের শক্তির পরিচয় দিচ্ছেন এবং দেশকে গৌরবান্বিতা করছেন, কুমারী মৃণালিনী চট্টোপাধ্যায় তাদের একজন স্বপ্রসিদ্ধ ৬ অঘোরনাথ চট্রোপাধ্যায় এর পিতা এবং ভারতনারী-গৌরবু শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডু এর বড় দিদি । , to মৃণালিনীর শিক্ষা পিতার নিকটেই প্রথমে হয়। র্তার কাছ থেকেই ইনি গণিত রসায়ন ইত্যাদি বিজ্ঞান এবং উর্দু, ইংরেজী ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় ব্যুৎপুত্তি লাভ করেন। ইনি অাই-এসসি,শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য রসায়ন ও পদার্থ-বিজ্ঞানের প্রাথমিক জ্ঞানলাভের • উপযুক্ত দুখান৷ চটী বই, ১৯৯৮ খ্ৰীঃ অব্দে প্রকাশিত করেন । ১৯১১ খ্ৰীঃ অন্ধে কলিকাতা মহিলা-সমিতির প্রদত্ত বৃত্তি নিয়ে ইনি শিক্ষাদানের কাজে বিচক্ষণতা লান্ডের জন্ত ইংলণ্ডে যান। এর ইচ্ছা ছিল যে নিজের জীবনের কিয়দংশ নিজের দেশের নারীদিগের কল্যাণের জন্য নিয়োগ করেন। ইংলণ্ডে ট্রেনিং পাশ করার পর কেজি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ব ও নীতিশাস্ত্রের ট্রাইপস পরীক্ষা দিবার জন্য প্রস্তুত হয় এবং সম্মানের সঙ্গেই উত্তীর্ণ হন। কিন্তু সেখানে থাকৃতে ইনি একথান। চট বই লেখেন যাতে করে’ নিজেকে অরাজক-পন্থীদলের অন্তৰ্ভুক্ত করে ফেলেন । ভারত সরকার এর মনের এই ভাবটিকে মোটেই পছন্দ করেন নি এবং সেই কারণে সরকারী বা সরকারী-সাহায্যপ্রাপ্ত কোনও বিদ্যালয়ে এর কাজ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে । বিলাত থেকে ফিরে এসে ইনি মাস্ত্রীজে যান এবং সেখানে মিসেস বেশাস্ত এবং শ্রদ্ধাস্পদ মুব্রহ্মণ্য আয়ারের সঙ্গে মিলিত হয়ে নানা সংকার্য্যে যোগ দেন । গত এক বৎসর থেকে ইনি "শামী-আ" নামে এক স্বদর্শন ও স্বখপাঠ্য ত্রৈমাসিক পত্র অতি দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদন করে আসছেন। প্রতীচ্যের বলদপের বিরুদ্ধে , প্রাচ্য জাতির মানব-সেবাধৰ্ম্মকে " খাড়া করে দেবার জন্ত স্বব্রহ্মণ্য আয়ার যে সমিতি গঠন করে তুল্বার জন্য চেষ্টিত, মৃণালিনী তার সম্পাদিক নিযুক্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও কলের কুলী-মজুরদিগের স্বখ মুবিধা দেখবার জন্য যে সমিতি প্রতিষ্ঠিত আছে মৃণালিনী তাতেও ঘনিষ্ঠ রকমে সংশ্লিষ্ট । আমাদের দেশের এই বুদ্ধিমতী শক্তিশালিনী মেয়েটি অতি নীরবে এবং শান্তভাবে দেশের কল্যাণের জন্য অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। খুব সবল দেহ এর নয়, জীবনের উপর ঝঞ্জাবাতও অনেক গিয়েছে, গুরুভার দায়িত্বও ইনি মাথায় তুলে নিয়েছেন, কিন্তু সবই প্রসঙ্গ হাসির সঙ্গে, এবং অত্যন্ত তৃপ্ত মনে * শ্ৰী জ্যোতিৰ্ম্ময়ী গঙ্গোপাধ্যায়