পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] উভয়েই একসঙ্গে পরিধান করে, এবং একই থালাতে ভোজন করে। সাকালাভ জাতির বিবাঞ্চভোঞ্জে বরের কোন বন্ধু একটা মুরগী মারে, এবং তাহার দুইটা পা বরকে দেয়। বং একটা পা কন্যাকে দেয় এবং একটা নিজে অfহার করে। • বাকি পক্ষীটাকে অন্যাথ অভ্যাগতত্ত্বন্দ আহার করে। অনেক জাতির বিবাহ-উৎসবে মহিষ বা ষাড় হত্যা করা হয় । এই ভোজের দ্বারা কেবল বর-কন্যার নয়, সঙ্গে সঙ্গে দুইটি পরিবারের মিলন ঘটে । 驗 মেয়েদের ১২।১৪ বৎসর বয়সে বিবাহ হধ । ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে খুব ছোট থাকিতেই তাহার পিতামাত। তাহাদের বিবাহ স্থির করিয়া রাখে । কিন্তু প্রণয়-বিবাহ এদেশে একেবারেই বিরল নয় । এই গল্পটিতে তাহার আভাস বেশ ভাল করিয়া পাওয়৷ যাইবে । পাহাড়ের ধারে এক গ্রামে এক যুবক বাস করিত । দেবতার মত তাহার রূপ, অস্বরের মত তাহার দেহের বল। পাশের গ্রামে এক যুবতী থাকিত—তাহার রূপে গ্রামের যুবকের পাগল হইয়াছিল । উভয়ে উভয়কে মূক । কেন প্রাণ পরশিলে গুগে বীণাপাণি বাণী যদি নাহি দিলে ? ধে স্বরব কানে আনে স্তমুতের বন্যা কেন তারে গানে আনিতে পারে না কণ্ঠ , পরাভব মানি মেীন বেদনার ভরে গুমরিয়া মরে ! এ যেন বোবার স্বপ্ন মূক রসনায়, এ ব্যথা যে প্রজাপতি গুটির ভিতরে লুকান রেখেছ তার গুটান পাথায় ! কত কথা জাগে মনে তোমার"পরশে ভাষা তার কোথা পাই ? না ফুটিলে ফুল কেমনে জানাবে শাখী কি অমৃত-রসে বসন্তের স্পর্শ তারে ভরেছে আমূল ? অবচনা এ রসন পারে না বলিতে কি বাণী তুলেছ মোর প্রাণের নিভৃতে। - শ্ৰী সুরেশ্বর শর্ণা অনেক সনেটের প্রতি ●"Q> ভালবাসিল—এবং একে অন্যকে ছাড়িয়া আর কাহাকেও বিবাহ করিবে না, প্রতিজ্ঞ কবিল | রিপাত বাদ সাধিল —দুই পরিবারে বহুকালের প্রাচীন লেন্ত ছিল। পিতায় পিতায় এবং মাতায় মাতায় মুখ দেখাদেখিও ছিল না। মরণের এপারে মিলন মাই দেখিয়া ভাস্কার দুইজনে নিবিড় আলিঙ্গনে বদ্ধ হইয়৷ পাহাড়ের উপর হইতে নীচের অতল নীল জ্বলে ঝাপ দিল । সেইদিন হইতে সেই কন্যার গ্রামে যদি কোন মেয়ে মারা সৃষ্টিত, তবে অৰ্দ্ধেক থালের জল লাল হইয় ঘাইত—এবং সেই যুবকের গ্রামের কোন যুবক মূব গেলে সমস্ত জল লাল হইয়া উঠিত—জল রক্তের মত দেখাইত। আক্সিয়ামামজয়নীমেরিন তখনটানার্নারিঙ্গের রাজা । তিনি এই ব্যাপার দেখিয়, তাহার রাজ্যে প্রচার করিলেন—-“এখন হইতে আমার রাজ্যে. কেহ প্রেমিক-প্রেমিকাকে মিলনে বাধা দিতে ' পরিবে না। যদি বাধা দেওয়া হয় তবে অকল্যাণ হইবে। যুবক যুবতী যাহার বাহাকে ইচ্ছা বিবাহ করিতে । পারিবে ।” o হেমন্ত চট্টোপাধ্যায় সনেটের প্রতি তুমি মোর বসন্তের শেষ পুষ্পকলি, ফুটিতে পারনি তব শাখ। বিদরিয়া, বিকাশের ব্যথাভরে শুধু মুহূরিয়া উঠিয়াছ শেষ পলে ! গেল যবে চলি ফুল ফুটিবার কাল, আসিলে তখন ঝরিতে মরিতে শুধু! ক্ষুদ্র স্কটিতে ঢাকা ছিল কি স্বরভি কিবা সে বরণ কে পূবে উদ্দেশ তার ? কে পারে জানিতে মৃকেব মরমবাণী ? মৌন ব্যাকুলত ভাষা পায় কানে যার হেন সমদুগী কেবা ভুের আছে হেথা ? চির অপূর্ণত বক্ষে ধরি রযেছিস্ তুই মৃত্যুমুখী অস্ফট কিশোরী মোর ! চতুর্দশদলে কি বারত রেখেছিস্ ঝাপিয়। সবলে ? ঐ সুরেশ্বর শর্থ