পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بطیہ“ ছবেলা যাওয়া যায়, সেখান ছেড়ে আসতে বিশেষ দুঃখ হবার কথা নয়, তবু মনে হল যেন অনেক দূরে চলে’ এলাম। . o পরের কয়েকটা বছরের কথা মনে করুবার চেষ্টা করলে কেবল এই মনে হয়—একটার পর একটা পরীক্ষার পড়া কেবলি বুকের উপর পাষাণ ভারের মতন চেপে থাকছে, আর প্রাণপণে খেটে রাত জেগে কোনোরকমে তাকে ঝেড়ে ফেলছি। কিন্তু সিন্ধুবাদ নাবিকের গল্পের দ্বীপবাসী বুড়োর মত কখন সেটা আবার অতর্কিতে এসে ঘাড়ে চেপে বস্ছে, আর আবার তাকে নামাতে প্রাণপাত করতে ु । e - ૨ জুমার জীবনের অন্য সব বছরগুলোর চেয়ে যে বছরে আমার বয়স পচিশ ছিল সেটাকে আমি সৰ্ব্বদা প্রাধান্য निरब থাকি। তার কারণ, মানুষের ভাগ্যে দুঃখবিধান ধিনি করেন সেই দেবতা আমার উপর সে বছরে অনিমেষ দৃষ্টপাত করে রেখেছিলেন। প্রথম সেই বছর আমার বাবা মারা গেলেন ; এবং তার শ্রাদ্ধ সমাপন করে, যখন শেষ অতিথিটিকে বিদায় দিতে দরজার গোড়ায় পঁড়িয়ে আছি, তখন টেলিগ্রামে খবর পেলাম অমৃতসরে যে ব্যাঙ্কে “বাবা তার সমস্ত সঞ্চয় গচ্ছিত রেখেছিলেন, সেই ব্যান্ধটি ফেল করেছে। মাকে খবর দিতে গেলাম, তিনি একটা কাথাও বললেন না। - * শৈশবে যে বাড়ীতে দিন কেটেছিল, সেটাকে অনেক দিন হল ছেড়ে এসেছিলাম। আমার বোন কুস্কমের বিয়ে হয়ে যাবার কিছু পরেই সেই বাড়ীতে আমার ছোট ভাই ধীরেন মারা যায়। মা আর সে বাড়ীতে থাকৃতে চাইলেন না। দিন কতৃক অস্থায়ীভাৰে মামার বাড়ী বাস করে মহানগরীর একপ্রান্তে ছোট একখানি বাড়ীতে এসে মামা, আবার নতুন করে ঘর বাবার চেষ্টা করতে লাগলাম। . . - - - - এবারকার প্রতিবেশী যারা তার আমাদের অপরিচিতই থেকে গেল। কারণ, পরিচয় স্থাপনে সব আগে প। বাড়ায় বার, সেই বালিকাজাতীয় জীব একটিও আমাদের ংসারে তখন ছিল না। মা রান্নাঘর আর ভাড়ারঘর ছেড়ে এাদবৈশাখ, ১৩২৯ কোথাও বেরতেনন,কঙ্গেই তার ভিতর দিয়েও অচেনাকে ২২শ ভাখ, ১ম খণ্ড SABAeSAAAAASA SAAAAS AAAAA AAAA AAAA SAAAAS চিনবার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। সিড়ি দিয়ে ওঠানামার পথে, ছাতে বেড়াতে গিয়ে অনেক সময় এধারণওধারের অনেক বাড়ীর মানুষগুলির মুখ দেখতে পেতাম, তাদের কণ্ঠস্বর সারা দিনরাত শুনতাম ; কিন্তু অপরিচয়ের যবনিক যেমন দুর্ভেদ্য গোড়ায় ছিল, শেষ অবধি প্রায় তাই থেকে গেল। সন্ধ্যার সময় বেরবার উপক্রম করছি এমন সময় মা বললেন, "বীরেন, একটু সকাল-সকাল ফিরিস। রাস্তার উপরের দরজাটা দশট রাত অবধি স্থা করে খোলা থাকে, এ ত ঠিক না।” আমি বললাম, “এ বেঠিক কাজটা ত আজন্ম চলে আসছে।” - - মা বললেন, “না না, পাড়ায় ক'দিন থেকে ভয়ানক চুরি হতে আরম্ভ হয়েছে, বিট বলছিল। সাবধান হওয়৷ ভাল।” মায়ের অনুরোধ রক্ষা করেছিলাম কি না মনে নেই। কিন্তু মাঝরাত্রে ভীষণ চীৎকার আর বিকট কোলাহলে ঘুম যখন চমকে ছুটে গেল, তখন মায়ের ঝির উপর রাগ হল তার সত্যবাদিতার জন্যে। উঠে বেরিয়ে এসে চারিদিকে তুকিয়ে বুঝলাম চোর আসেনি, অন্ততঃ আমাদের বাড়ী আসেনি। অল্প একটু দূরে,সঙ্গ একটা গলির ভিতর অনেকগুলোখোলারঘর তীরে অধিবাসীদের কুত্ৰ দারিদ্র্য সৰ্ব্বাঙ্গে প্রকাশ করে আমাদের চোখকে পীড়া দিত। আজ সেই মলিন ছবিখানার উপর কোন অদৃপ্ত চিত্রকর আগুনের দীপ্তিময় প্রলেপ দিয়ে তাকে ভীষণরকম রমণীয় করে তুলেছেন। পাড়ার যত লোক, এবং পাড়ার বাইরেরও অনেক লোক এই প্রলয়নাট্যে দর্শক এবং অভিনেতারূপে এসে জুটেছে, প্রত্যেক বাড়ীর ছাদ বারাও জানলা সব মানুষে পরিপূর্ণ। গলির ভিতর ভীড় তখন এত বেশী ষে চট্ট করে ঠিক করতে পার্লাম ন যে নেমে গিয়ে ওর ফধ্যে ঢুকতে পারব কি না, এবং যদি পারিও তা হলেও কোনো কাজ করতে পার্ব কি না। এমন সময় কে যেন বলে উঠল, "ওরা ফায়ার-ব্রিগেড়ে খবর দিচ্ছে না কেন ?" গলার স্বরটি স্ত্রীলোকের।