পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o (৪) কচুরী পানার মরণ-আক্ষেপ শতাংণুিক,৬• অংশ তাপে উদ্ধগামী বিচ্ছিন্ন বিন্দুশ্রেণীতে পরিলক্ষিত ধান পাট বা অপর গাছের যে ক্ষতি করিবে না, ইহা বলা যায় না। একটা উদাহরণ দিই। সাপ মারিবার জন্য ওয়েষ্ট ইণ্ডিস্ অঞ্চলে ভারতবর্ষ হইতে বেজির আমদানি করা হইয়াছিলু ইহাতে সাপের উপদ্রব কমে নাই, কিন্তু বেজিদের উৎপাতে লোকের ঠাস বা অপর পার্থী পোষা দায় হইয়াছে। কাজেই সেখানে এক উপদ্রবের শান্তি করিতে গিয়া আর-এক ধূতন উপদ্রবকে ডাকিয়৷ আনা হইয়াছে। পান মারিবার, জন্য ছত্রকের আমদানি করিলে এই প্রকার বিপদের সম্ভাবনা আছে। . আমেরিক বিজ্ঞানে খুবই উন্নতি দেখাইয়াছে । আমেরিকার ফ্রাঙ্ক লিন বৈদ্যুতিক আবিষ্কারের জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন। তাছাড়া ল্যাঙলে আকাশযান উদ্ভাবন করিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছেন । কিন্তু অন্যান্য দেশের ন্যায় আমেরিকাতে ঝুটা বিজ্ঞানের আড়ম্বরে আসল বিজ্ঞান চাপ পড়িতে বসিয়াছে। ইউনাইটেড ষ্টেটুসে কচুরী পান নষ্ট করিবার জন্য জলীয় বাষ্প প্রস্তুত করিয়া তাহা নলের সাহায্যে গরম গরম পানীর শ্বায়ে লাগানে হইয়াছে। পান নষ্ট করার এই পদ্ধতির প্রশংসা খবরের ৰাগজে অনেক পড়া গিয়াছে । বহু ব্যয়ে বৰ্ম্মাতেও এই পদ্ধতি অবলম্বনু করা হইয়াছিল। কিন্তু কোন স্থানেই স্বফল f প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩২৯ , یحیی معییت حیاتی g , [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড ച്.ബി.ബു.ബാബ് ബ്. বাহির হইয়া কেবল পাতাগুলাকে ছিড়িয়া এবং বিব করিয়া নষ্ট করিয়াছিল মাত্র, গাছকে মারিতে পারে নাই । আশা ছিল, এই বিফলতা কর্তৃপক্ষকে ভগ্নোৎসাহ করিবে, র্তাহার। আর জলীয় বাষ্প দিয়া পান নষ্ট করিবার পক্ষপাতী হইবেন না। কিন্তু তাহাদের উৎসাহ অদম্য ; সাধারণ উপায়ে গরম জলীয় বাষ্প দ্বারা পান মরিল না দেখিয়া তাহারা কলকারখানা বসাইয়া যতদূর সম্ভব চাপ حتیهایی

প্রয়োগে অত্যুষ্ণ জলীয় বাষ্প পান গাছের উপরে প্রয়োগ করিতে লাগিলেন। ইহারও ফল পূৰ্ব্ববং হইল, “পানী মরিল না। আমাদের দেশেও পান মারার এই অভিনয় অনুরুপ্ত হইয়াছে। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই প্রকার একটা বৃহৎ আয়োজনে হাত দিবার পূৰ্ব্বে কত উষ্ণতায় পানা পুড়িয়া মরে তাহার কেহই অমুসন্ধান করিলেন না । জখম হইলে গাছের পাতা ও ডাল প্রভৃতির অবস্থাস্তর ঘটে। দেখিলেই মনে হয় বুঝি গাছটি মরিয়া গিয়াছে। কিন্তু এগুলি সতাই মৃত্যুর লক্ষণ নয়। গাছের প্রকৃত মৃত্যুর লক্ষণ লইয়া বস্থ বিজ্ঞান মন্দিরে গবেষণা হইয়া গিয়াছে। কোন গাছ জীবিত অবস্থা ছাড়িয়া ঠিক কোন সময়ে মৃত্যুর কোঠায় পা দিল, তাহাও বৈদ্যুতিক উপায়ে সেখানে নিরূপিত হইয়াছে। কচুরী পান। মৃত্যুলেখ যন্ত্রের ( Death Recorder ) আধারস্থ জলে ডুবাইয় রাখিয়া জলের উষ্ণতা ধীরে ধীরে বৰ্দ্ধিত করা হইয়াছিল। যখন জলের উষ্ণতা সেন্টিগ্রেডেব ৬০ অংশ ( অর্থাংফাহরনহিটের ১৪• অংশ ) হইয়া দাড়াইয়াছিল, তখন যন্ত্রে পানার মৃত্যুরেখা অঙ্কিত হইয়া পড়িয়াছিল। কচুরী পান৷ ১৪০ অংশ উত্তাপ দ্বারাই মরিয়া থাকে, তাহ পান নাশকারী সরকারী কৰ্ম্মচারীর জানিতেন না। র্তাহার যে জলীয় বাষ্প দিয়া পান৷ নাশ করিতে গিয়া অজস্র অর্থ নাশ করিয়াছেন তাহ উষ্ণতার অ sাবে হয় নাই। তাহার কারণ বাস্প , দ্বারা জলের নীচের শিকড় বিনষ্ট হয় নাই । কাজেই উপরকার পাতাগুলি ঝলসাইয়া গেলেও পান মরে নাই। মৃত্যু কালে যেমন প্রাণীদের সর্বাঙ্গে আক্ষেপ দেখা যায়, উদ্ভিদের মৃত্যু-সময়েও ঠিক সেই প্রকার আক্ষেপের লক্ষণ প্রকাশ পায়। মৃত্যুকালে কচুরী পান কি প্রকারে আঁক্ষেপ