পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শক্তির সাধনায় ত্যাগ ও গ্রহণ • আমরা সকলেই শক্তি চাই ; দৈহিক, মানসিক, হাদিক, আধ্যাম্বিক, সৰ্ব্ববিধ শক্তিই মানুষের আকাঙ্গার বস্তু ; যদিও ইহাও সত্য যে, সকল মাহুষ সকল রকম - শক্তি চায় না। " দৈহিক শক্তির'প্রয়োজন সৰ্ব্বাপেক্ষা স্বম্পষ্ট। ইহা ব্যতিরেকে কোন কাজই স্বসুম্পন্ন হয় না। ভীমের মত শারীরিক বল না থাকিলেও পাৰ্থিৰ নানা কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতে পারে বটে, কিন্তু সাধারণ রকমের কিছু দৈহিক শক্তি না থাকিলে কোন কাজ স্বসম্পন্ন হয় না। যাহার বসিয়া থাকিবার ক্ষমতা নাই, দুৰ্ব্বলত বশত যাহাকে শুইয়া থাকিতে হয়, তাহার দ্বারা মৌখিক উপদেশ দেওয়ার কাজও কতক্ষণ বা কতটুকু হইতে পারে ? , কিন্তু গায়ে খুব জোর থাকিলেও, মনের হৃদয়ের আত্মার বল না থাকিলে, দেহের সে বলও পুৱা কাজে । লাগে না। একটা কৃশকায় ইংরেজ বালক তাহার দ্বিগুণ লম্বাচোঁড়, স্বস্থসবল, পরাধীন জাতির একটা মানুষকে আঘাত করিলেও সব স্থলে তৎক্ষণাৎ সমুচিত দণ্ড পায় না কেন ? কারণ ঐ পরাধীন লোকটার মনের বল নাই, সাহস নাই। গায়ের জোর থাকিলেই সাহস জন্মে না। সার্কাসে যে-সব লোক ইঙ্গিত মাত্রে সিংহ বাঘ হাতীকে নানা রকমের খেলা দেখাইতে বাধ্য করে, সেই-সব মানুষের দৈহিক বল ঐ পণ্ডগুলির চেয়ে বেশী নহে। তাহার উহাদের উপর মানসিক প্রভুত্ব স্থাপন করিতে পারিয়াছে ' বলিয়া, তাহাদের দ্বারা ইচ্ছামত কাজ করাইয়া লয়। অতএব মানসিক আত্মকর্তৃত্ব, আত্মিক বল, কিসে জন্মে, তাহা স্থির করিয়া তাহার জন্যও সাধন ਵਿਚ হইবে । ছাড়িয়া দিয়া, এক-একটি জাতির বিষয় বিবেচনা করাহ ভাল। অল্পসংখ্যক ক্ষীণদেহ দুৰ্বল মানুষের নাম করা যাইতে পারে, বাহার খুব সাহসী বা খুব কর্মিষ্ঠ , ফিন্তু ক্ষীণকায়, অস্বস্থ ছৰ্ব্বল একটি জাতিরও নাম কেহ করিতে পারিবিন না, যাহার সাহসী ও কম্মিষ্ঠ বলিয়া প্রসিদ্ধ। অনেকে’ মনে করেন, কোন জাতির দৈহিক স্বাস্থ্য এবং বল ন থাকিলেও তাহার মানসিক, হার্দিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি থাকিতে পারে। কিন্তু তাহ ভূল। দৃষ্টান্ত স্বরূপ আমাদের এই বাঙালী জাতিকেই ধরুন না। কোন বাঙালীর গায়ের জোর, মনের জোর, সাহস, কশ্মিষ্ঠত, হৃদয়ের বঙ্গ, আধ্যাত্মিক ঐশ্বৰ্য্য নাই, ইহ সত্য নহে ; কিন্তু ইহাও, আমরা জানি, যে, আমরা জাতি হিসাবে, বলবান, সাহসী, হৃদয়বান ও কম্মিষ্ঠ জাতিদের মধ্যে পরিগণিত হই না। অামাদের হৃদয়ব ভার অভাব সম্বন্ধে কেহ কেহ সন্দেহ করিতে পারেন। কিন্তু তাহার একটু অনুসন্ধান ও চিন্তা করিঙ্গে ই সত্য উপলব্ধি করিতে পারিবেন। বঙ্গে অজ্ঞতা, দুঃখদারিদ্র্য, প্লণ্ড শিশু দুৰ্ব্বগ মানুষ ও নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা ও অত্যাচার, পানদোষ ও নানাবিধ পাপাচার—এ-সকলের অভাব নাই ; এ-সব খুব আছে। কিন্তু এই সকলের প্রতিকার, নিবারণ বা উচ্ছেদসাধনের উদ্দেশ্যে আমাদের দেশে আমাদের অর্থাৎ বাঙালীর দ্বারা বাঙালীর টাকায় ও চেষ্টায় বাঙালীর দ্বারা আরব্ধ কত কাজ হইয়াছে বা হইতেছে ? বঙ্গের লোকসংখ্যা মোটামুটি ইংলণ্ড, স্কটুলগু ও আয়লণ্ডের সমান। কিন্তু বিলাতে লোকহিতকর যত প্রচেষ্ট্র, ও প্রতিষ্ঠান আছে, আমাদের তাহার শতাংশের এক ংশও নাই । অনেকে , বলিতে পারেন, জামায়ের मांब्रिया द्देशव्र कांब्रन । “ किस्, धामब्रां ऊँदर्सब्र ७