পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०8 --SumitaBot (আলাপ) ০৮:০৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ৰলিয়াই চিন্তার কুপুষ্টিজনিত নানারকম রোগের স্বষ্টি হয়। বিচারবুদ্ধির পাদুকাস্পর্শে বাক্যমাত্রসার প্লীহাজীর্ণ -সংস্কারগুলার অপঘাত-মৃত্যুর আশঙ্কা করিয়া আমরা একএকটা শিখান বুলিকে অতিরিক্ত যত্বের সঙ্গে যুক্তিতর্কসন্দেহের কবল হইতে বাচাইয়া রাথি। "বিশ্বাসে পাইবে বস্তু তর্কে বহুদূর" বলিয়া প্রাণপণে তর্ক করি, এবং বিশ্বাস করিতে চেষ্টা করি যে “বস্ত্র"কে পাইতে আর অধিক । विलत्र माझे । ভাষা যে নিজের অর্থগৌরবেই সত্য, একথা ভুলিয়া সে যখন কেবলমাত্র শব্দগৌরবে বড় হইতে চায়, তখন তাহার অত্যাচার অনিবাৰ্য্য। চিন্তা কোন দিনই শব্দের দ্বারা নিঃসন্দেহরূপে ও সম্যক্রূপে ব্যক্ত হইতে পারে না। সেইজন্যই একএকটা সত্যকে পঞ্চাশবার পঞ্চাশরকম ভাষায় পঞ্চাশদিক হইতে দেখা আবশ্বক হয়। কিন্তু তবু দেখা যায় যে সত্যের মূলে প্রবেশ করিতে হইলে আর ভাষা পাওয়া যায় না, অথবা এমন ভাষা পাওয়া যায় না যাহা সতানভিজের কাছে তত্ত্বকে ব্যক্ত করিতে পারে। অদ্বৈততত্বের কথা নিৰ্ব্বিকল্প সমাধির কথা বলিয়াও এবং “যথা নদা শুদমান সমূত্রে অস্তং গচ্ছন্তি নামরূপং বিহায়" ইত্যাদি রূপকের ব্যবহার করিয়াও ঋষিরা বলিতেছেন এসকল তত্বকে প্রকাশ করা যায় না—ইহা ভাষায় জানাজানি হইবার বিষয়ই নহে। বুদ্ধদেব নিৰ্ব্বাণতত্বের কথা আজীবন বলিয়া গেলেন কিন্তু "নিৰ্ব্বাণ কি" এ প্রশ্নের সোজাসুজি কোন উত্তরই দিলেন না। আমরা কিন্তু এ-সকল কথাকে ভাষার মজলিসে টানিয়া অহরহই মারামারি করিয়া থাকি। ভাষার আশ্রয় লইয়৷ যে-কোন অপকৰ্ম্ম অমুষ্ঠিত হয় তাহাকেই যদি ভাষার অত্যাচার বলা যায়, তবে ভাষাঘটিত আরও অনেকপ্রকার অত্যাচারের উল্লেখ করা যাইতে পারে। আমার কার্ধ্যটা তোমার মনঃপূত না হইলে, তুমি যেসকল শব্দের ব্যবহার কর, সেও এক হিসাবে ভাষার অত্যাচার। • অনিচ্ছুক ছাত্রকে পণ্ডিত মহাশয় যখন শাসন অমুশাসনের দ্বারা সংস্কৃত পড়িতে বাধা করেন ছাত্র নিশ্চয়ই তাহাকে ভাষার অত্যাচার বলিবে । তোমার ক্ষুধার সময় বা ব্যস্ততার মুহূর্বে তোমার কাছে দর্শনের প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড --০৮:০৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:০৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:০৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) তত্ত্ব বা কবিত্বের কথা আওড়াইতে গেলে তুমিও বলিবে‘ভাষার অত্যাচার P ভাষা যখন বন্ধন ছিড়িয়া H-u-t বাট P-u-t 'পুট' ইত্যাদিবং বৈষম্যের স্বষ্টি করে অথবা সে যখন রুশিয়ার মানচিত্রে বসিয়া তোমার উচ্চারণশক্তির পরীক্ষা করিতে থাকে, সেও একরূপ ভাষার অত্যাচার বৈকি। আর সর্বশেষে, এই প্রন্ধটিকে আরও বিষ্কৃত করিয়া ফেনাইতে গেলে তাহাও অত্যাচার বলিয়া গণ্য হইতে পারে। ঐস্বকুমার রায়। পরশুরাম-ক্ষেত্র বৰ্ত্তমান ভারতীয় ভূগোলে পরশুরাম-ক্ষেত্র নামে কোন ভূ-খণ্ডের নির্দেশ পাওয়া না যাইলেও প্রাচীন হিন্দুভারতে ইহার আসন নিতান্ত অগৌরবের ছিল না। কিম্বদন্তি এইপ্রকার যে পুরাণবিখ্যাত বীরকুলচূড়ামণি পরশুরাম ভারতকে নিঃক্ষত্রিয় করিবার পর সমুদ্রতীরে আসিয়৷ জলগৰ্ভ হইতে এই ভূভাগকে উদ্ধার করিয়৷ তথায় আপনার রাজ্য সংস্থাপন করেন। আজ ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম-প্রান্তে ইহা একটি ক্ষুদ্র প্রদেশ মাত্র। সীমায়ু ক্ষুদ্র হইলেও শোভায় ও সৌন্দর্ঘ্যে, জাতীয় চরিত্রের মধুরতায় ও বাণিজ্যসম্ভারের প্রাচুধ্যে পুণ্যভূমি ভারতে ইহার স্থান আজ নিতান্ত হেয় নহে । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে এই প্রদেশে ভ্রমণ করিতে আসিয়৷ তদানীন্তনকালের ভারতীয় রাজ-প্রতিনিধি ইহাকে সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্যে এক সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ স্থান বলিয়া প্রশংসা করিয়াছিলেন। বাস্তবিক এই প্রদেশে ভ্রমণ করিতে আসিয়া মনে হয় প্রকৃতিরাণী এই ভূভাগকে যেন আপনার স্বকোমল অক্ষে অতি সস্তপণে সবিশেষ যত্নে রক্ষা করিতেছেন। ইহার পূৰ্ব্বে ও উত্তরে দক্ষিণ-ভারতের পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম ঘাট-পৰ্ব্বতমালা আকাশ-চুম্বী মস্তক উত্তোলন করিয়া সস্নেহে ইহাকে আবেষ্টন করিয়া রহিয়াছে। ইহার দক্ষিণে ও পশ্চিমে নৃত্য-চঞ্চল আরব-সমুদ্র আপন অঙ্গের সরব আলোড়ন বিলোড়নে এবং সহাস্য কৌতুকে প্রিমসম্বার ২য় সংখ্যা ] -സഹസം - ন্যায় ইহার সহিত ক্রীড়া কৌতুক করিতেছে। ইহার উত্তর-পশ্চিম-প্রাস্তে গোকর্ণপুর এবং দক্ষিণ-পূৰ্ব্বে . কন্যা কুমারিক বা কেপ কমোরিন অবস্থিত। বর্তমানে এই ভূখণ্ড বছভাগে বিভক্ত। ত্রিবাস্থর ও কোচিন রাজ্য ইহার অন্তভূক্ত ; ব্রীটিশ মালাবার এবং উত্তর ও দক্ষিণ কর্ণাট। ইহার অংশ । ফরাসী-অধিকৃত মাহি সহক ও ইহার মধ্যে বিরাজ করিতেছে । কন্যা-কুমারী দেবীর মন্দির এবং উড় পীয় শ্ৰীকৃষ্ণের মন্দির তীর্থহিসাবে এই ভূভাগকে ভারতের হিন্দুর নিকট পুণ্য-স্মৃতিতে জড়িত করিয়া রাখিয়াছে। এতদ্ভিন্ন বহু নদনদী, হ্রদ ও নীর্ঘিকা, পৰ্ব্বত ও টিল, নানাবিধ স্বৰ্দ্দশ্য ফলফুলের বৃক্ষরাজি ও বিহঙ্গমের মধুর কল-কৃজন ইহার সৌন্দর্ঘ্য শতগুণ বর্ধিত করিয়া দিয়াছে। দুই বৎসর পূৰ্ব্বে যেদিন রেলপথে টিনেভেলি হইতে আসিয়া এই ক্ষেত্রে প্রথম প্রবেশ করিলাম, সে দিনের মধুর প্রাকৃতিক দৃশ্য আজিও বিশ্বত হইতে পারি নাই। তখন সন্ধ্য আগত-প্রায়, সুনীল গগন ঘন-কৃষ্ণ জলদ-জালে আচ্ছাদিত। দিনমণি তখনই সেই কনক-কিরণ-মণ্ডিত মেঘমালার অন্তরাল হইতে অবতরণ করিয়া গিরিশিখরে আপনার প্রোঙ্গল কীরিট-ভূষণ স্থাপন করিয়া মলয়-পৰ্ব্বতের বন্ধুর গাত্রে ইন্দ্র-দেবতার স-ঘন বজ্ৰ-নিক্ষেপের চেষ্ট৷ সভয়চকিতনেত্রে অবলোকন করিতেছিলেন । পৰ্ব্বতের পাদপ্রাস্তে খাম-শোভাময়ী ধরণী আপনার নববর্ষণস্বাত অঙ্গে আনন্দ-উল্লাস অনুভব করিতেছিলেন। মধ্যভাগে জলদজালের আবরণ উন্মোচন করিয়া বিজলির চমকের ক্ষণিক আলোকে খেচর দেবতাগণ বুঝিব। পত্র-পল্পবাচ্ছাদিত গুহামধ্যস্থ গোপন কুঞ্জে অপমরীগণের আনন্দ-নৃত্য দেখিতেছিলেন। প্রকৃতির এই মাধুরী দেখিয়া আমার মনে কুমারসম্ভবের অমর কবির অমিয়মাথা হিমালয়-ছবি অঙ্কিত হইয়া উঠিল। কবি গাহিয়া 0श्न, "আমেখলং সঞ্চৱতাং বনানাম ছায়ামধ: সাযুগত নিষেবা। उंcबबिठा पृहेिलिग्नाथग्नtरु শৃঙ্গানি বস্তাতপবস্তি সিদ্ধ । l এই প্রথম দর্শনের পর যতই এই দেশের সহিত পরশুরাম-ক্ষেত্র । - ഹ് २०¢ ঘনিষ্ঠত স্থাপন করিতে লাগিলাম ততই মনে হইতে । লাগিল যে পরশুরাম-ক্ষেত্র যেন সুজলা স্বফল মলয়জশীতল মাতা বঙ্গভূমিরই এক প্রান্তসীমা। ওষধিতরু-লতা-বেষ্টিত স্নিগ্ধ কোমল আনন্দমূৰ্ত্তি, কুলপ্লাবিনী স্রোতস্বিনীকুলের চঞ্চল নৃত্যোচ্ছ,সি, বিবিধ বর্ণাচ্ছাদন-ভূষিত সঙ্গীত-মুখর বিহঙ্গমকুলের প্রণয়কাকলি এবং আরও কতশত ভাব সৰ্ব্বদাই সুদূর বঙ্গভূমির স্নেহস্মৃতি আমার মনে জাগাইয়া তুলিত। কেবল বাহ-সৌন্দর্য্যেই যে ইহার সহিত বাঙ্গলার সাদৃশ্ব অনুভব করিতাম তাহা নহে। উভয়দেশের অধিবাসীবুন্দের শারীরিক গঠনে এবং অন্তঃকরণের বাহ পরিচয়েও সাদৃশ্য নিতান্ত অল্প অনুভব করি নাই। তমিড়ের মসিকষ্ণ-গাত্রবর্ণ এদেশে নিতান্তই বিরল। নদূত্র ব্রাহ্মণ-সমাজের রমণীদিগের অবরোধপ্রথা বাঙ্গলার প্রথা অপেক্ষা তীব্রতর হইলেও তাহা আমাদের দেশের কথাই স্মরণ করাইয়া দেয়। তমিড় এবং মহারাষ্ট্রের ন্যায় এতদেশীয় মহিলাগণ বিচিত্রবর্ণের রঞ্জিত বস্ত্র পরিধান করেন না। এইরূপে দেখা যায় বঙ্গদেশের ও পরশুরাম-ক্ষেত্রের সাদৃশ্ব বহুবিধ, নিকট ও ঘনিষ্ঠ । এই প্রদেশের প্রাচীন ইতিহাস নানাভাবে আজি পৰ্য্যস্ত সভ্যজগতে ভারতের মুখ উজ্জল করিয়া রাখিয়াছে। এ প্রদেশ একদিন স্ববিখ্যাত অদ্বৈতবাদ-প্রচারক পুণ্যশ্লোক শঙ্করাচার্য্যের জন্মভূমি বলিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছিল। এবং আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে এই প্রদেশই পুনরায় দ্বৈতবাদ-প্রচারক অক্ষয়-কীৰ্ত্তি পূজ্যপাদ ভ্রমন মধ্বচায্যের জন্মস্থান হইয়া পরম গৌরব-পদ লাভ করিয়াছে। যে ক্ষেত্রে অদ্বৈতবাদের জন্ম, সেই ক্ষেত্রেই দ্বৈতবাদের উৎপত্তি । বহু শতাব্দী অস্তে আজ জনসাধারণ এই উভয় আচাৰ্য্য-পাদের কলহকথা ভুলিয়া উভয়কেই গুরুজানে সম্মান ও পূজা করিতেছে। - প্রাচীন হিন্দু-ভারত নানাস্থানে উপনিবেশ স্থাপন করিয়া যে জাতীয় জীবনের প্রসারতা বৃদ্ধি করিয়াছিলেন পরশুরাম-ক্ষেত্রে তাহার উজ্জল দৃষ্টান্ত দেখা যায়। যবদ্বীপ ও সিংহলদ্বীপের ন্যায় পরশুরাম-ক্ষেত্রও বৰদেশের এক প্রধান উপনিবেশ। সিংহল বিজয়ের পর বছ