পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩8 SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS সৌন্দর্ঘ্য ভারতের যে-কোন মূৰ্ত্তির है शैन डन है বরং বেশী স্বন্দর। দুঃখের বিষয় এই ভাস্কর্য্যের চর্চা বাঙলায় নেই। অবশ্ব কৃষ্ণনগরের কাছে ঘূর্ণীতে মাটির মূৰ্ত্তি এবং প্রতিকৃতি গঠনের চেষ্টা কুমোর-পরিবারের মধ্যে আজও প্রচলিত অাছে, কিন্তু তারা তাদের প্রাচীনত একেবারে হারিয়ে ফেলেচে এবং আজকাল বিলিতির অনুকরণে প্রকৃতির হুবহু নকল করার প্রাণপণ চেষ্টায় আছে। দুঃখের বিষয় তারাও ঠিক আমাদেরই মত দেশী শিল্পের খোজ না রেখে shade and light, anatomy, perspective of exosato Asia আবৃত্তি করে। অবশ্য এজন্য আমরাই দায়ী। কেননা শিক্ষাভিমানী আমরাই নিরক্ষর শিল্পীদের এইসমস্ত কথা শিখিয়েচি। দুঃখের বিষয় আমরাই এদের শিল্পবোধের বিকাশ হতে দিইনি। এখন তাদের বিলিতি হিসাবে মূৰ্ত্তিগড়ারও প্রশংসা করা যায় ন, অথচ দেশীয় রীতিও সেখানে এখন অপ্রচলিত। . চালচিত্র অ্যাকার প্রথাটি কোনো কোনো যায়গায় এখনও খুব প্রচলন আছে এবং তাতে শিল্পীদের কোনো কোনো যায়গায় খুবই দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। কোনো কোনো শিক্ষিত লোকের মুখে দুর্গোৎসব প্রভৃতির প্রতিমাগুলির সংস্কারসাধন করার প্রয়োজন আছে এমন কথাও শুনেচি। তারা সেগুলিকে গ্ৰীকমুষ্ঠির মত অতিমানবীয় করে তুলতে চান। কিন্তু আমাদের মতে এরূপ সংস্কার না হওয়াই অামাদের পক্ষে মঙ্গল। আমাদের বলতে লজ্জ বোধ হয় যে আমাদের দেশের যারা স্বদেশ-সেবক তঁদের কাছে এই স্বদেশী সভ্যতার শ্ৰেষ্ঠসম্পদ ভারত-শিল্পের কোনই মূল্য নেই। শিশুরা যেমন ভালমন্দ বিচারশক্তি না থাকায় নয়নপথে কোন-একটি অভিনব ও রঙিন বস্তু দেখলেই সেইটেকে ধরবার জন্যে হাত বাড়ায়, আমরাও তেমনি অবুঝ শিশুর মতই অজ্ঞানভাবে বিদেশী শিল্পের চাকচিক্যতে মুগ্ধ হয়ে সেটাকে গ্রহণ করবার জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠি। আমাদের দেশের আধুনিক শিল্পীদের গোড়া থেকেই ধ্যানধারণ হয় র্যাফেল বা মাইকেল এঞ্জেলোর মত শিল্পী হয়ে ওঠবার ; তাদের পোটে বল্পে তার ক্ষুণ্ণ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড SMMAJJJMJMJJJJMMJMMJJMMMBS হন—আটঃ বলে তাদের অভিহিত করতে হয়। এটা ংে ভারতশিল্পীদের কতদূর অগৌরব ও মানহানিকর বিষয় উ বোঝবার শক্তি আমরা হারিয়েচি। অবশ্য আমরা আমাদের দেশের প্রাচীন কালটাকে জাকড়ে ধরে চিরকাল । কুপমণ্ডুকবং একভাবে বসে থাকৃতে বলচি না। আমাদের দেশের বিশেষ রীতিটাকে অবলম্বন করে অবাধে অগ্নগর হতে হবে । কেননা, আমরা যদি আমাদের রীতিপদ্ধতির প্রতি শ্রদ্ধ৷ হারাই তবে আমাদের উভয়কূলই নষ্ট হবে। আমরা আগে আমাদের ঘরে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে নিয়ে তবে অন্যত্র থেকে যদি অভিজ্ঞতা আহরণ করি তবেই - সৰ্ব্বাঙ্গীন সুন্দর করে গড়ে উঠতে পারব, এই আমাদের । বিশ্বাস । আপনাদের দেশীয় শিল্প-ভাবটির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিদেশী শিক্ষার অভিজ্ঞতার স্বারা দেশকে বড় করে তুলতে পেবেচে আমাদেরও ঠিক সেক্টরূপ করতে হবে। বাঙলার শিল্পীর প্রথমে ভারত-শিল্পের অন্যদিকে ন। চেয়ে আপনার বঙ্গপল্লীর শুধু ভিতরকার সকল শ্ৰেী সম্পদের আবিষ্কার করে পরে ভারতের এবং ক্রমে সমগ্র জগতের শিল্পের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের দ্বারা যদি দেশীয় শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেন তবেই দেশের । শিল্পের মঙ্গল। গুজরাট পাঞ্জাব প্রভৃতি ভারতবর্ষের } অপরাপর স্থানের শিল্পীরাও ঠিক এই প্রকার স্বতন্ত্ৰতা । রক্ষা করে অথচ মূলগত ঐক্য বজায় রেখে যেদিন স্বস্ব। শিল্পের বিকাশের পথে অগ্রসর হবেন—সেইদিনই ভারতে শিল্পলক্ষ্মী পূর্ণশীতে আৰিভূত হবেন। • সকল আকাশ ভাঙি যে বরষা এল নামি দুরন্ত দুৰ্ব্বার, স্মরণে জাগাতে তারে নাই কোথা একেবারে কোন চিহ্ন তার ! কেবল কমল-দলে দুই চারি বিন্দু জলে কঁাপিছে করুণ স্মৃতি মুকুতা-আকার! • ঐপ্রিয়ম্বদা দেবী। -

  • অষ্টম বঙ্গীয় সাহিতা-সম্মিলনে পঠিত ।

ক্ষুদ্র জাপান যেমন অশনে বসনে সব বিষয়ে । ২য় সংখ্যা ാSumitaBot (আলাপ) ০৮:০৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ)് * . কপুরের মাল৷ ( প্রবাসীর দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প ) গোলমালে ভিড়ের ভিতর মাসীমার হাত ছাড়াই। ছবি যে কখন পিছাই। পড়িয়ছিল তাহ সে কিছুই টের পায় নাই, হঠাৎ অপরিচিত লোকের ঠেলাঠেলি ছড়াছড়ির মাঝে আপনাকে নিঃসহায় বেপঞ্চমান দেখিয়া ভয়ে সে কাদিয়া ফেলিল । দোলযাত্রা উপলক্ষে সেদিন জগন্নাথ-দেবের শ্ৰীমন্দিরে লোকে লোকারণ্য। সকলেই কুমুইয়ের ধাক্কায় লোক ছটাইয়া অগ্রসর হইতে উদগ্রীব। যাত্র-পরিচালক পাও ও ছড়িদারদের হাকডাকে কানে তালা ধরিয়া যাইতেছে। ত্রয়োদশবর্ষীয় পাংল। ডিগণ্ডিগে মেয়ে ছবি—লোকের ছড়াছড়ির ঠেলায় পিছু হটতে হটিতে একেবারে মন্দিরের দরজার গোড়ায় আসিয়া পৌছিল। ছবি আকুলক্ৰন্দনে অধীর হইয়া উঠিল। কে কাহাকে দেখে, কে কাহার কথা শোনে ? তাহার পানে কেহ ফিরিয়া তাকাইলও না –আজ দেবতা দর্শনে তাহারা আসিয়াছে—দেবতা দেখিবে, দুঃস্থকে দেখিবার অবকাশ নাই ; দেবতার দর্শনে স্বৰ্গলাভ হয়,— দে স্বৰ্গ যদি বাহুবলের প্রভাবে, ও তাগুতির দ্বারা দুৰ্ব্বল দলনে পাওয়া যায়, তবে কোন বুদ্ধিমান তাহাতে ইতস্তত করে? কে এমন স্বাৰ্থত্যাগী নিৰ্ব্বোধ আছে, নিলজি আছে, যে পরের খোজ লইতে গিয়া নিজের অনায়াসলভ্য স্বৰ্গ হারাইতে আপত্তি করে না ? কেহই ন!—আতঙ্ক-পীড়িত বালিকার ক্ষীণরোদন প্রচও কোলাহলের মাঝে ডুবিয়া তলাইয়া গেল। "ক হয়েছে কি কি হয়েছে তোমার-কেন কাছে গা?” হ্যামবর্ণ, একহারা, কপালে চন্দনের ফোট৷ গলায় মালা, কোমরে গামছা জড়ান, ঈষদীর্ঘাকৃতি একটি তরুণ কোমলমূর্তি, ছবির মুখের উপর ঝুঁকিয়া পড়িয়৷ স্নেহময় স্বরে জিজ্ঞাসা করিল “কেন কাদছ খুকি ?—” চারিদিকে অদ্ভুত বৈচিত্র্যময়ী কটুকীভাযার কিড়িমিড়ির মাঝে, হঠাৎ পরিষ্কার বাংলা প্রশ্ন শুনিয়া ছবির কান্না বন্ধ হইল ; ছবি জলভরা বড় বড় চোক দুটি কপুরের-মালা


.....ഹാ. ഹാ


* --- --

રૂ.૭૮ তুলিয়া সবিস্ময়ে প্রশ্নকৰ্ত্তার মুখপানে চাহিল, আহা ક્રિ স্থদের মমতাময় সরল মুখপানি ! সদ্য শক্ষিত ছবি অনেকটা আশ্বস্ত হইল । আবার স্নেহময় স্বরে সেই ব্যগ্রপ্রশ্নসহসা পিছনের সজোর ধাক্কায়, সোলার পুতুলের মত ক্ষীণকায়া ছবি, ছিটুকাইয়া সেই লোকটির উপর গিয়া পড়িল,—ক্ষিপ্তহস্তে পতনোন্মুখ ছবিকে ধরিয়া ফেলিয়া সেই লোকটি অতি যত্নে তাহাকে বাম হাতের বেষ্টনে আগলাইয়া লইয়া, বিপুল বিক্রমে দক্ষিণ হস্তের অমিত প্রতাপে লোক ঠেলির মন্দিরপ্রাঙ্গণে একটু তফাতে আসিয়া দাড়াইল । ছবি এতক্ষণ প্রাণপণে অন্তিম অবলম্বনের মত সেই অপরিচিত লোকটির হাত চাপিয়া ধরিয়া ছিল। এখন ফাকা জায়গায় আসিয়া সঘন উচ্ছসিত নিঃশ্বাস কেলিয়া, লোকটির হস্তবদ্ধ নিজের ঘৰ্ম্মাক্ত হাতখানি খুলিয়া লইয়া সলঙ্গ সঙ্কোচে একটু সুরিয়া দাড়াইল। লাবণ্যময়ী কিশোরীর মুখপানে প্রীতি-পূর্ণ দৃষ্টিতে চাহিয়, তরুণ যুবাটি করুণাকোমল কণ্ঠে স্বধাইল, “কার সঙ্গে মন্দিরে এসেছিলে খুকি ?” থামিয়া থামিয়া শুষ্ক কণ্ঠে ছবি বলিল, “আমার মা, মালীম, মেশোমশাই, ঝি—সবাই এসেছে। আমি মাসীমার হাত ধরে ছিলুম, তার পর মন্দিরে ঢুকে—” ছবি আবার কাদিয়া ফেলিল । "চুপ কর, চুপ কর, এখনি তাদের পাবে, কান্না কি ? তোমাদের ছড়িদার কেউ নেই ?” "স্থ্য আছে, কপালে ফোট পরে একজন—” "তার নাম কি বল দেখি ?” “ত জানিনে, তার মাথায়,—ঐ তোমার মত চুল স্থাটা নেই ত,—বড় বড় চুলে চুড়ে বাধা আছে। সরলা বালিকার এই অভ্রান্ত যুক্তিপূর্ণ অভিজ্ঞান নির্দেশে লোকটির মুখ হাসিতে ভৱিষ উঠিল । চারিদিকেই তো শত শত চুড়া-বাধা মাথা, তাহার মধ্য হইতে একটি ডেচিহ্নিত পরিচিত মাথা খুজিয়া বাহির করা নিতান্তই সহজ ! "মাড়া পাণ্ডার নাম কি জান ?”