পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s Nరిe প্রবাসী— দেখ তে ঢুকেছেন।" - মন্দিরে ঢুকেছেন তো ? আচ্ছ, তবে কোন ভয় নেই, এখনি বেকলেই পাওয়া যাবে। তোমার নামটি কি ধুকি ?” "আমার নাম ছবি ।” সেই রবিকরোজ্জল মধুর প্রভাতে সেই স্নিগ্ধ লালিতাময় মুন্দর মুখখানির প্রতি চাহিয়া চাহিয়া মুখ-হৃদয় যুবা ভাবিল “ছবি বটে !" কোলাহল করিতে করিতে যাত্রীদল জলপ্রবাহ-বং যাওয়া-আসা করিতেছে। চলিতে চলিতে কেহ বা তাহাদের দিকে কৌতুকোজ্জল কটাক্ষ হানিয়া যাইতেছিল,—ছবি নত দৃষ্টিতে সমস্কোচে জড়সড় হইতেছিল। অদূরে আবির-লাঞ্ছিত অদ্ভুতদৃশ্ব কয়েকজন ছোকর। তাছাদের লক্ষ্য করিঘ, গোপন বিস্ত্রপে চোখ টেপাটেপি করিয়া বেজায় হাসিতেছিল। তাহাদের মধ্যে একজন দও দুয়েকের জন্য সরিয়া গিয়া মন্দিরদ্ধারে ভিড়ে মিশিল, তার পর সহসা অত্যন্ত বাস্তভাবে আসিয়া আচম্বিতে ছবির হাত ধরিয়৷ এক হ্যাচক মারিল । “আরে আমার যাত্রীর মেয়ে ভিড়ে হারিয়েছে, আয় !" সেই সৰ্ব্বদর্শী তরুণ যুব এই লোকটার আচরণ আগাগোড়া সব লক্ষ্য করিতেছিল ; বহুকষ্টে এতক্ষণ সংযত ছিল, আর পারিল না, সদ্যকৃত ষ্টতার প্রত্যুত্তরে অকস্মাং রুদ্রমূৰ্ত্তি ধরিয়া সেই অসভ্যটার গালে সশস্কে এক চড় বসাইয়া দিল, "বিশ্বস্তুর পাণ্ডার হাতে-গড় চেলা, ছড়িদারদের সর্দার সে,—রঞ্জনমিশ্র তার নাম তার কাছে বেয়াদবি ।” অপ্রত্যাশিত চপেটাঘাতে বিপৰ্য্যস্ত হইয় আলোড়িত মস্তিষ্কে বুদ্ধিমান লোকটা যন্ত্রণাকাতর মুখে গালে হাত বুলাইতে বুলাইতে তাড়াতাড়ি ভিড়ে ভিড়িয়া পড়িল, আর পাছু ফিরিয়া চাহিল না। ভয়াকুলা ছবিকে শাস্তস্বরে আশ্বস্ত করিয়া বঞ্চন তাহাকে আবার আগলাইয়। कैफाईल t “মেয়ে কই, মেয়ে কই"—কোলাহল করিতে করিতে একদল লোক মন্দির হইতে বাহির হইয়া বাগ বাস্ত না, মায়েরা কেবল সেই লোকটার সঙ্গেই ঠাকুর তায় চারিদিকে ছড়াইয়াপ জ্যৈষ্ঠ, రిష్న [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড -SumitaBot (আলাপ) ০৮:০৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)സ്റ്ഹ ড়িল –“ওগো এইদিকে একটি মেয়ে দেখেছ গা-এই এতটুকু মেয়ে—পাংলা চেহারাস্বন্দর মতন, কেউ দেখেছ গা~~" চারিদিকে প্রশ্নোত্তরের উচ্চ,খল কলরব পড়ি৷ গেল ! "आप्त्र 4हैं रक्रप्रl-uरें, qई मान्द्र ८गद्र, श्राद्र-५३ বোকা এ দিকে দেখ, এই, কি খুজছিল—” “আরে মেয়ে হারিয়েছে ; মেয়ে হারিয়েছে, আমার যাত্রীর ।” "দেখ দেখি এই কি সেই ?”— “স্থা হা, এই এই –ভয় নেই বাৰু, পাওয়া গেছে, এই দিকে এই দিকে আশ্বন আম্বন —এই যে গে৷ હાફે !” ভয়ঙ্কর ঠেলাঠেলি ছড়াছড়ির ভাবি ধুম পড়িয়া গেল, কে কাহার ঘাড়ে পড়ে,—ঠিক নাই। অনেক লোক ছুটিয়া আসিয়। রঞ্জন ও ছবিকে ঘিরিয়া ফেলিল, রোরুদ্যমান আকুল। বিধবা জননী ছবিকে কোলের কাছে টানিয়া লইয়া ঘন ঘন নি:শ্বাস ফেলিতে লাগিলেন। সদ্য-আশঙ্ক-মুক্ত আশ্বস্ত অস্তরে জগবন্ধুর উদ্দেশে তাহার চক্ষু হইতে পূর্ণ আবেগে অশ্রু উছলিয়া পড়িতে লাগিল – ( & ) তাহার পর দিন কয়েকের মধ্যেই সেই পরিবারের সহিত অপরিচিত যুবার ঘনিষ্ঠতা খুব পাকাপাকি হইয়৷ দাড়াইল। কিন্তু সেটা সকলের প্রীতিকর হইল না। সংসারে এক শ্রেণীর কতকগুলি জীব আছে, যাহার নিজেরাও হাসিতে পারে না, আর পরের গসিও সন্থ করিতে পারে না । গোপন অন্ধকারে, ব্যর্থ ঈর্ষাকে ক্রমাগত কঠিন বিদ্বেষে শানাইয়া বড়ই তীখু উজ্জ্বল করা যায় ; কিন্তু সেটা যে কেবল পরের চৰ্ম্মই ভেদ করিবে,—এমন কথা নিঃসংশয়ে কেহ বলিতে পারে না, বরং সেটা বিপরীত মুথে প্রক্ষিপ্ত হইয়। অনেক সময় একে আর হইয়া দাড়ায়, এবং যন্ত্রণার ঝালট বাড়িতে থাকে সেই লক্ষ্যচ্যত পরের উপর – দুষ্ট গ্রহের অম্বকম্পায় রঞ্জনের সেইৰূপ কতকগুলি ২য় সংখ্যা ] করে আগ । DDB BBBS BBB BBBBBB BBBBBB BBBB BBBB BB BBBS BBBB BBBBBB BBB চটিয়া গেল । বাস্তবিক এত উচ্ছম্বলতা কি সস্থা করিতে পারা যায়? কোথাকার কে,—সম্পূর্ণ অপরিচিত, অনাছত, অন্য পাওার এক লক্ষ্মীছাড়া ছড়িদার—সে লোকটা সহসা অতর্কিতে উড়িয়া আসিয়া জুড়িয়া বসিয়া তাহদের একান্ত ইজার-করা যাত্ৰী-পরিবারকে ছে৷ মারিয়া ধে অসঙ্কোচে নিজের খাস দখলের অন্তর্ভূত করিয়া লইবে,—ইহা কখনই কোন সহিষ্ণু ব্যক্তি ক্ষমা করিতে পারে না! আর রঞ্জনের উপরই বা ইহাদের এত টান কেন রে বাপু ! ছোড়া যাদু জানে না কি ?— বাস্তবিকই, সরল হাস্যমণ্ডিত মুখে এই প্রিয়দর্শন যুবাটি যাহার কাছে গিয় দাড়াইত आशश्रे প্ৰাণে একটা স্নিগ্ধ মাধুরী ফুটাইয়৷ তুলিত ; রমণীর ছলছল নয়নে তাহার মুখপানে চাহিয়া ভাবিতেন, আহ। ছেলেটি কি মায়াবী পুরুষেরা ভাবিত আরামের সঙ্গী বটে। দরিদ্রের প্রতি চিরতাচ্ছিল্যশালী ক্রর দাস্তিক অন্তঃকরণও এই আত্মসন্ত্রমে উদাসী স্বকোমলকাস্তি যুবাটির নম্র সরলতায় অকপট স্নিগ্ধতায় চমৎকুত হইত। সঞ্চন কাহারো পাতির রাপিত না, নিজেও খাতিরের জন্য লালায়িত ছিল না, কিন্তু সকলের উপরই তাহার অগাধ অপরিসীম ভালবাসা ! রঞ্জনের একটা মহৎ গুণ ছিল, সে সকলের সঙ্গেই অবাধে মানাইয়া চলিত, কখনো কোথাও দ্বিধাপীড়িত হইয়া কেহ তাহাকে ইতস্তুত করিতে দেখে নাই। সকল হৃদয়ের সঙ্গেই সে সমানভাবেই হৃদয় মিশাইতে অভ্যস্ত ছিল, কিন্তু কোথাও এতটুকু অসংযম বৰ্ব্বরতার চিহ্ন ছিল না। নিজেদের ক্রটি যাহারা সংশোধন করিতে জানে না, এবং পরের নৈপুণ্য সহ্য করাও যাহাদেব ক্ষমতার অতীত, তাহাদের মত লোকের চক্ষুশূল ছিল রঞ্জন! কিন্তু উন্মুক্ত-উদার-প্রাণ রঞ্জনের তাহাতে কিছু আসিয়া আইত না, সে প্রতিদ্বন্দ্বীর আক্রোশের আক্রমণ কৌতুকের হাসিতে নিষ্ফল করিয়া শক্রকে অমায়িক ব্যবহারে অভিভূত করিয়া ফেলিত। তাহাকে যে অপদস্থ করিতে জাসিত,-সেই অপ্রস্থত হইয়। ফিরিত । অবসরে অনবসরে রঞ্জন মেসো-মহাশষের অস্তরঙ্গ তাহাদের নিজ পাওার ছড়িদার থাকা সৰেও তিনি রঞ্জনকে টানিয়া আনিতেন। সমুদ্রের ধারে বেড়াইতে হইবে, তাও রঞ্জন সঙ্গী। রাত্রে বাসায় বসিয়া গল্প গুজব করিবেন, তাহাতেও প্রায় রঞ্জনই রঙ্গদার থাকিবে। দূরে দেবদর্শনে যাইতে হইবে, সেও রন্ধন সঙ্গে থাকি লেই ভাল হয় । না হইলে মেসো-মশায়ের একান্ত অস্বস্তি বোধ হয় । সকল বিষয়েই বুগুন হইয়াছিল তাহার প্রধান নির্ভর ! নিজের প্রস্থর কাজ বাজাইয়া এতটুকু অবসর পাই লেই রঞ্জন আসিয়া ঠাহার কাছে জুটিত । তাহাঙ্গের সহিত খুরিয়া ফিরিয়া তাহাদের সব দেখাইয়া শুনাইয়া, কে জানে কেন,—রঞ্জন এক অনিৰ্ব্বচনীয় পরিতৃপ্তি পাইত । বিশেষ ছবি —আহ। ছবিটি বেশ মেয়ে, * ছবির কমনীয় ছবিখানি দেখিবার জন্য তাহার প্রাণে সযত্নে লুপ্তায়িত একটা অপরিসীম আগ্রহ সঞ্চিত ছিল । তাহার প্রাবল্যে রঞ্জন একটু বেশ রীতিমতই বিত্রত হইয়াছিল । ছবির নিকট হইতে সে ইদানি সতর্কতার সহিত তফাতে থাকিতে চাহিত। প্রাণপণে আত্মদমন করিয়া সকলের নিকট চিরপরিচিত আত্মীয়ের মত স্বভাবসিদ্ধ সহজস্বরে দিবা কথাবাৰ্ত্ত কহিত, কিন্তু এতটুকু ছোট মেয়ে,—সে সকলের নিতান্ত অগ্রাঙ্কের বন্ধ —তাহার কাছে রঞ্জনের ধৈর্ধ্যের স্বাধ ভাঙ্গিয় হঠাৎ সব গোলমাল হইয়া যাইত। হাসিভর মুখের স্বধাভর বাক্যগুলা অকস্মাং নিৰ্ম্মম সঙ্কোচে পরম্পর আত্মঘাতী হইয়া মরিস্ত। সকলের মুখপানে সে অসঙ্কোচে চাহিত, কিন্তু যদি দৈবাং অতর্কিতে ছবির সহিত চোখোচোৰী হইত তবে সে আকুল উৎকণ্ঠায়, ত্রস্তে চোখ নামাইম, কোনমতে সেখান হইতে সরিয়া যাইতে পারিলে তবে ষ্টাফ ছাড়িয়া शर श्उ , किरू ८क छादन कि ७कफै। जैौउ आकर्ष4 তাহাকে ক্রমাগতই সেই দিকে টানিত । পনের বছর বয়স হইতে সে যায়ী চরাইতেছে, কিন্তু কই তাহার তো কাহারও কাছে এক মুহূর্তের জঙ্ক সঙ্কোচ হয় নাই। এখন তবে একি হইতেছে ? এতটুকু একজনের কাছে এত কিসের. ।