পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চশস্য সহিত যুদ্ধের সম্বঙ্গ— র ফলে যুরোপীয় সাহিত্যের অবস্থা কিরূপ দাড়াইবে, হইবে, না অবনতি হইবে এবং সাহিত্যের সহিত যুদ্ধের সম্বন্ধ কি—এই বিষয় লইয়। যুরোপ ও আমেরিকার সাহিত্যমহলে তুমুল আন্দোলন আলোচনা চলিতেছে। এ সম্বন্ধে নানা মুনির নানা মত। ५३ কথা লইয়। ইংরেজ সাহিত্যিক এডমণ্ড গস যাহ। বলিয়ছেন কয়েক মাস পূৰ্ব্বে "পঞ্চশস্তে" তাহ সংকলিত হইয়াছিল। এবার একজন প্রসিদ্ধ মার্কিন সাহিত্যিকের অভিমত ও তাহার প্রতিবাদ কলিত হইল। प्ले ডীন হাওয়েলস্ অনেকের মতে আমেরিকার জীবিত সাহিত্যিকদের মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ। ইঙ্গর লেখনী সাহিত্যের নান কে অলঙ্কত করিয়াছে। ইনি একাধারে সম্পাদক, কপি, কি, জীবনী-রচয়িতা ও সাহিতা-সমালোচক। হাওয়েলস লাণ্টিক মস্থলী" ও "হার্পাস ম্যাগাজিন” প্রভৃতি নামজাদ কার সম্পাদন করিয়াছেন। তাহার রচিত প্রেসিডেন্ট নর জীবনচরিত একখানি অতি উপাদেয় গ্রন্থ। মার্কিন ইনি প্রায় কুড়িখানি উপন্যাস, অনেকগুলি কাবা, ভ্রমণ ও সমালোচনাপুস্তক উপহার দিয়াছেন । ঔপন্যাসিক হিসাবে মরিকায় ইহার যেমন খ্যাতি সাহিতাসমজদার ও সমালোচক tাবে ইহার মতামতের তেমনি মুল্য। এখন ইহার বয়স প্রায় মাশী বংসর–কিন্তু তবুও ইহার রচনার বিরাম নাই। সেদিনও lর একখানি নূতন পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছে। সাহিত্যের সহিত যুদ্ধের সম্পর্ক এবং তাহার উপর বর্তমান যুদ্ধের প্রভাব সম্বন্ধে হাওয়েলসএর মতামত জানিবার জন্ত "নিউইয়র্ক টাইমসএর জনৈক প্রতিনিধি সম্প্রতি তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। ক্ষাৎকারের বিবরণ “লিটারের ডাইজেষ্ট" পত্রিকায় -- তোর - - - འ་འུ་ཨཱ་ཀཱ་ হাওয়েলস বলেন, যুদ্ধব্যাপার কোন মতেই মানুষের শ্রেষ্ঠ স্বজনী শক্তিকে জাগাইতে পারে না। আকস্মিক ঘটনার উত্তেজনায় যেসমস্ত রচনার স্বষ্টি, সাহিত্য হিসাবে তাহার কোন মূল্য নাই এবং তাহ সাহিত্যে কখনই স্থায়ী আসন পায় না। স্তাহার মতে বর্তমান যুদ্ধ কবি ঔপন্যাসিক বা নাট্যকারকে হিত্যহুষ্টির কোনই উপাদান যোগাইতে পারে না। তিনি বলেন, নী যে এই যুদ্ধে আশ্চৰ্য্য সাহস দেখাইয়াছে এ কথা সকলেই - স্বীকার করবে। কিন্তু তাই বলিয়া আমৱা কেং কবিতা রচনা করিয়া এই সাহসের কাহিনী গাহিবার চিন্ত মনেও স্থান দিই না। এমন একটা ব্যাপার প্রাচীন-যুগের লেখকদের চিত্তে যে ভাবে সাড় পাইত আমাদের চিত্তে আর সে ভাবে পায় না। ইহার কারণ এই cष यूक्र ठांब्र श्राभाएमग्न श्रामर्थ नग्न । नाश्रिठाद्र *प्य 4 दाi१ाब्र কখনই একটা বড় আদর্শ ছিল না এবং কখনো হইতেও পারে না। অসির ঝঞ্চন, গোলার গর্জন, কামানের ধুম, আহতের আর্তনাদ-- - এখন সাহিত্য হইতে চলিয়া গিয়াছে। এখনকার দিনে ইহার পুনরাবির্ভাব প্রাচীনকে নবীন বলিয়৷ চালাইবার চেষ্ট৷ "এই ধরুন ১৮৬১ খৃঃান্ধে আমেরিকার সিভিলওয়ার" বা ঘরোয় যুদ্ধের কথা। তখন ঐ যুদ্ধের কথা লইয়া যেসমস্ত উপন্যাস, গল্প বা কবিতা রচিত হইয়াছিল তাহার কথা এখন কয়জনের মনে - প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২

  • ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ、ヘヘヘヘヘヘヘヘヘ。

१७ আছে ? অথচ সে সময়ে সেগুলির মধ্যে অনেক পুস্তকই পাঠকমহলে বেশ সমাদর লাভ করিয়াছিল। সেসমস্ত পুস্তকের যে কোন গুঞ্জ । [ ১৫শ ভাগ, אל. ° ^ ^ヘーヘベ・ベーヘヘヘーヘヘヘヘヘー・ヘヘヘヘ。 -- -- - ---------- い_ダい。ヘベ・ヘ・ヘヘヘー・ダゞ --- মোটামুটি এই তো গেল হাওয়েলসএর মত। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারী মাসর মার্কিনমাসিক “বুকম্যান” কাগজে জেমস লেন অ্যালেন এই ছিল ন৷ এমন নয়। কয়েকটি গল্প ও উপন্যাস বাস্তবিকই বেশ স্বলিধিত । তের তীব্র প্রতিবাদ করিয়াছেন। জেমস অ্যালেন আমেরিকার ছিল এবং যুদ্ধের চিত্র হিসাবে সেগুলি খুব আগ্রহের সহিত পড়ি । শ্ৰেষ্ঠ ছোটগল্প-লেখকদের মধ্যে একজন । ছিলাম। কিন্তু এখন আর সে সব কেহই পড়ে না । কেনন। नाश्ठि । তিনি বলেন—“মানবজাতির শ্রেষ্ঠ কাবা হোমারের ইলিয়াদ । হিসাবে তাহার কেনই মূল্য নাই । যে ব্যাপারের উত্তেজনায় ক্ষে । সমস্ত পুস্তক রচিত হইয়াছিল, ঐতিহাসিক হিসাব ছাড়া আর কোন ৷ হিসাবে আজ আর তাহ গণ্য নহে। আমেরিকার "थप्द्रग्र:-यूक्रत्न” ফলে যে অসংখ্য কবিত, গান ও উপস্কাস রচিত হইয়াছিল তাহার মধ্যে, আমার মতে, লাওয়েলের রচিত এক "কমেমোরেশন ওড" ছাড় আর কোনটিকেই সাহিত্য বলা চলে না। তথনকার শত শত রচনার মধ্যে ঐ একটি কবিত। খাটি সাহিত্যরসে ভরপুর। সেই কবিতাটিই কেবল টিকিয় আছে ও পাকিবে । o "যুদ্ধব্যাপার যে সাহিত্য শিল্প কল এ সমস্তকেই নষ্ট ক বিষয়ে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই । যুদ্ধের ফলে সাহিত্য হইতে পারে ন, কেনন। যুদ্ধে সভ্যত বিধ্বস্ত হয় ও মানুষ আদিম । বৰ্ব্বরতায় ফিরিয়া যায়। এমন কি যুদ্ধের আদর্শ এবং ভাণী यू६१ o জষ্ঠ সাজসজ্জা ও আয়োজন পৰ্য্যন্ত সঠিত-স্মৃষ্টির পক্ষে অন্তরায় হইয় । }াড়ায় । ঠিক এরূপ ব্যাপার জাৰ্ম্মানীতে ঘটিয়াrছ। "ফ্রাঙ্কো-প্রসীয় যুদ্ধের বহু পরে ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দে আমি যখন ফ্লোরেন্ধে । ছিলাম তখন সেখানে কোন বিখ্যাত জাৰ্ম্মান সাপ্তাহিক পত্রের । সম্পাদকের সহিত আমার আলাপ হয় ও বিশেষ দেীeার্দ জন্মে। " কপায় কথায় আমি একদিন তাহাকে আধুনিক জাৰ্ম্মান উপন্যাস ও । ঔপন্যাসিকদের কথা জিজ্ঞাসা করিলাম। তিনি বলিলেন-জাৰ্ম্মানীতে । ঔপন্যাসিক বলিতে আজকাল আর কে আছে? জাৰ্ম্মানীর নূতন । আদর্শ “মিলিটারীজম" আমাদের অন্ত সমস্ত আদর্শ ও কল্পনাকে চাপিয়৷ মারিয়াছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে কাজে কাজেই জাৰ্ম্মান উৎ মারিয়াছে।” হাওয়েলসএর এই কথা শুনিয়া "নিউইয়র্ক টাইমস"এর প্রতিনিধি । দ্বিজ্ঞাসা করি যুদ্ধ বিগ্রহ এই মহাকাবাকে স্বষ্টি করিয়াছে না বিনাশ করিয়াছে ? যুদ্ধ-ব্যাপার অবলম্বনে রচিত কাব্য যদি ন-ই টিকে তবে দিয়া টকিল কি করি ? জগতের আর কোন কাবা এতদিন টকিয়া আছে? জগতের আর কোন কাব্য সাহিত্যে এমন স্থায়ী আসন পাইয়াছে? যদি যুদ্ধ সমস্ত শিল্প সাহিত্য কলাকে নষ্টই করে তবে গ্রীক শিল্প রক্ষা পাইল কেমন করিয়া ? ফিদিরাসের অতুলনীয় ভাস্করক, র্ধের্ণন প্রাসাদের অপূৰ্ব্ব তক্ষণকারুকশ্ন কি গ্রীসে জন্মগ্রহণ করে নাই ? গ্রীস তে চিরকালই যুদ্ধবিগ্রহের লীলানিকেতন । ইতিহাসে ধি, আমরা এখন যাহাকে মিলিটারীজ বলি সেই মিলিটারীজ{ দ্ধের আদর্শ, শ্রীকদের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ ছিল। প্রাচীন গ্রীসে দ্বার সন্মানের আর অপ্ত ছিল না। যোদ্ধাই দেশ শাসন করিত, বোম্বাই দেশ রক্ষা করিত । সমগ্র দেশে যোদ্ধাই ছিল সৰ্ব্বেসৰ্ব্বী। সমস্ত গ্ৰীক ইতিহাসটাকে একটা বিরাট যুদ্ধের ইতিহাস বলিলেও বোধ অত্যুক্তি হয় না। যদি যুদ্ধের আদর্শ সাহিত গড়িবার পক্ষে অন্তরীয় হয়, যদি যুদ্ধব্যাপার জাতিকে বর্বরতার দিকে টানিয়া লইয়৷ তবে জগতের শ্রেষ্ঠ সম্পদ গ্ৰীক সাহিত্য শিল্প ও সভ্যতা আসিল হইতে ? তারপর রোমের কথা ধরা যাক। ল্যাটিনসভ্যতার মূলে যুদ্ধ ভিন্ন আর কোনু জিনিস দেখিতে পাই ? অত বড় রোম সাম্রাজ্য, অত শক্তি, মত সম্পদ–কিসের হুষ্টি? যুদ্ধ বিগ্রহ যদি রোমকে বৰ্ব্বর ੇ দিত তবে জগতে আজ রোম-সভ্যতার এত খ্যাতি এত সন্মান - করিত ? যুদ্ধ বিগ্রহ বাস্তবিকই যদি সাহিত্য সৃষ্টির উৎস রুদ্ধ করিয়া তবে রোমান-সাহিত্য কাব্যে মহাকাবো নাটকে ইতিহাসে নানা বে আপনাকে প্রকাশ করিল কেমন করিয়া ? রোমের মন্দির, রোমের সাদ, রোমের রাজপথ, রোমের সেতু, রোমের বিজয়তোরণ শাস্তির নিৰ্ম্মিত হয় নাই। রোম জগতকে সাম্রাজ্যশাসন ও আইন নর যে আদর্শ দান করিয়া গিয়াছে তাহার মূলে শাস্তি নয় —যুদ্ধ জয় পরাজয় । রোমের পতনের কারণ অনুসন্ধান করিলে পাই যে মিলিটারীজ এর আদর্শ গ্রহণ করিয়া তাহার পতন ই, কিন্তু রোম বিলাসলালসায় অস্থির হইয়া ভোগবাসনায় যখন য্যের আদর্শ বিস্তুত হইল তখনি তাহার পতন হর হইল । * * পৃথিবীর প্রাচীনতম সাহিত্যের অন্ততম, সানডিনেভিয় a সাহিত্য শান্তির গাথা নয়, যুদ্ধের গাধ। অতি পুরাতন যুগের সাহিত্যের সন্ধান লইতে গেলে দেখিতে পাওয়া যায় যুদ্ধের কথাতেই তাহার আরম্ভ । পৃথিবীর প্রাচীনতম শিল্পসাধনার পরিচয় লইতে গেলেপ্রস্তরখণ্ডে, ধাতুফলকে, বৃক্ষগাত্রে কিম্ব গুহকেন্দরে যুদ্ধের চিত্র বা যোদ্ধার মূৰ্ত্তি অঙ্কিত দেখিতে পাওয়া যায়। "এ তে গেল প্রাচীন দেশের কথা। এখন আধুনিক দেশগুলি ও তাহার সাহিত্যের কথা দেখা যাক। প্রথমেই ইংল্যাণ্ডের কথা শতাব্দীতে কেমন করিয়া রাষিয়াতে এত ভাল ভাল উপন্যাসের গু}ি হইল ? রাষিয়াও তো ঐ মিলিটারীজ এর আদর্শ গ্রহণ করিয়াছে।" . এই প্রশ্নের উত্তরে হাওয়েলস্ বলেন—"রাধিয়ার মিলিটারী ও জাৰ্ম্মানীর মিলিটারীজ এর মধ্যে প্রভেদ বিস্তর। রাশিয়া মিলিটারীজ তাহার শাসকসম্প্রদায়ের মধ্যেই আবদ্ধ, আপামর সাধারণের মধ্যে সে আদর্শ আদরও পায় নাই, বিস্তারও লাভ করে। নাই। রাবিয়ার জনসাধারণ শান্তিপ্রিয় ও ধৰ্ম্মভীরু । মিলিটারীজ{ অাদর্শে তাহারা তাহদের জাতীয় প্রকৃতিগত কল্পনাপ্রিয়তা এখ৭ে ৷ হারাইয় ফেলে নাই । তাই তাহদের সেই কল্পনাসম্পদ। ဖွံ့ টলষ্টয়, ডষ্ট্রেয়ভস্কি ও গোগোলের উপন্যাস ও নাটকের মধ্য দিয়া । প্রকাশ পাইয়াছে ও এখনও গোর্কি ও চেকহফের রচনার মধ্য দিয়া । প্রকাশ পাইতেছে। . “কিন্তু জাৰ্ম্মানীর মিলিটারীজ এর আদর্শ সমস্ত দেশটার হাড়ে । হাড়ে মজ্জায় মজ্জায় প্রবেশ করিয়াছে। গত পঞ্চাশ বৎসর বাণিা | যুদ্ধ বিগ্রহ, রাজ্যবিস্তার ও অধিকারের প্রবল আকাঙ্ক্ষা প্রত্যেক বলি। এই যে ইংরেজের জগতজোড় সাম্রাজ্য—এ কি শাস্তির স্বষ্টি জাৰ্ম্মানের মনে শয়নে স্বপনে জাগিয়া রহিয়াছে। অার কোন আদর্শ বা আর কোন চিন্তার স্থান তাহার মনে নাই। তাই সেখানে কনরা | ন। যুদ্ধের সৃষ্টি যুদ্ধবিগ্ৰহ কি ইংরেজকে অবনতির পথে লইয়া গিয়াছে ? - ○ যে শত শত বৎসর ধরিয়৷ ইংল্যাও অবিরাম যুদ্ধ বিগ্রহের মধ্য দিয় লীলা ফুৰ্বি পায় না এক মিলিটারীজ এর আদর্শ সমস্ত কল্পনাকে , জগতে এক অদ্বিতীয় শক্তি হইয়া দাড়াইয়াছে সেই শত শত বৎসরে BBBB BBBBS BBBB BBBBBBB BD DD iS SJS DDttt DDDS DDDtBB BB BBB BB BBBS ভুবনমোহন ফুল ফোটে না, ফোটে কেবল ফাট।।" . . . পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের মধ্যে আপনার স্থান করিয়া লইয়াছে ? -- ----- s o পঞ্চশস্য-সাহিত্যের সহিত যুদ্ধের সম্বন্ধ বিবিধ অস্ত্রের ঝঙ্কারগুনা, বিজয়ী সেনার জয়োল্লাসধ্বনি শোনা যায় न ! এলিজাবেথীয় যুগে জলে স্থলে ইংরেজের জয়ের বাৰ্ত্ত সে সমস্ত সাহিত্যিকগণের উপর যে কি প্রভাব বিস্তর করিয়া সে বাৰ্ত্ত তাহদের সমস্ত রচনার মধ্য দিয়া বারথার আপনাকে নান। আকারে প্রকাশ করিয়াছে তাহ সাহিত্যপাঠকের নাই। ইংরেজী সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ মহাকাবা মিলটনের “প্যারডাইজ । লষ্ট" মর্ত্যের নী হউক স্বর্গের যুদ্ধকথা লইয়াই রচিত। তাহার মধ্যে - কি সাহিত্যরস নাই, ন তাহ সাহিত্যে স্থায়ী হয় নাই ? অ त्रि প্তাহার অনুচরগণের শৌৰ্য্যকাহিনী নানা ছন্দে, নানা আকাে ভাষায় রচিত ও রটিত হইয়। যুরোপীয় সাহিত্যে অমর হইয়া রহি “আবার বর্তমানকালের সাহিত্য ও শিল্পের ইতিহাস । করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যুদ্ধের আদর্শ, যুদ্ধের কথা সে সাহিত্য । শিল্পকে কতদূর উদ্বুদ্ধ করিয়াছে। ১৮৭ খৃষ্টান্সে ফ্রাঙ্কে-প্রসীয় ঘুরে পর ফরাসী সাহিত্য ও চিত্রকলা এক নুতন আকার লাভ আলফস দোদে, মোপাস, জোল ঐ যুদ্ধ-কথা অবলম্বনে ও উপস্কাস রচনা করিয়াছেন তাহ শুধু ফরাসীসাহিত্য ীে সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রত্ন । ফরাসী চিত্রশিল্পী দেতাই ও যুদ্ধেরই চিত্র অকিয় ফরাসীসৈন্তের শৌৰ্য্য ও স্বদেশপ্রেম ও সেই সঙ্গে সঙ্গে ফরাসীচিত্রকলাকে অমর করিয়াছেন। • * , "সকল দেশের কথা বলা হইল, এবার আমেরিকার কথা যাক । সকলেই জানেন দুইটি বিশেষ ঘটনার উপর মার্কিন সভ্যতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। এই দুইটি বিশেষ ঘটনার মধ্যে প্রথমটি ১৭৭৬ খৃষ্টাব্দে স্বাধীনতালাভের জন্ত যুদ্ধ এবং দ্বিতীয়টি ১৮৬১ খৃষ্টাৰে । নিগ্রোক্রীতদাসগণকে স্বাধীনতাদানের জন্ত উত্তর ষ্টেটগুলির -- দক্ষিণ ষ্টেটগুলির ঘরোয় যুদ্ধ। এই দুইটি যুদ্ধের আদর্শ মার্কিন- বাসীর হৃদয়ে চিরদিন জাগিয়া আছে। যে স্বাধীনতার জন্ত, cप । আদর্শ রক্ষার জন্য অদ্যকার মার্কিনবাসীর পিতৃপিতামহ রণক্ষেত্রে । প্রাণপণ ও প্রাণপাত করিয়াছিলেন, সেই মহান আদর্শ এবং সেই প্রাণ - পাতের স্মৃতি র্তাহাদের সমস্ত সাহিত্য শিল্প বিজ্ঞানের সাধনায় আপনাকে । অহরহ প্রকাশ করিতেছে। আমেরিকার ভাস্কর্য, আমেরিকার কাব্য, - আমেরিকার চিত্র সমস্তই রণবীৰ্য্যের আদর্শে গঠিত, রচিত ও অঙ্কিত। . প্তাহদের চিত্রশালায় যাও দেখিবে স্বাধীনতাসংগ্রামের ঘোস্থগণের । চিত্র ও মূৰ্ত্তি, উহাদের কাব্য পাঠ কর দেখিবে প্রত্যেক ছত্রে इज ঐ যুদ্ধেরই কথ, ঐ স্বাধীনতার হর। যদি আমেরিকার সঙ্গীতের - পরিচয় লইতে যাও তবে দেখিবে যেটুকু সঙ্গীত তাহার আছে তাহার সমস্ত হয় রণসঙ্গীত কিম্ব "স্বাধীনতার গান”— - "স্বদেশ অামার মাতৃভূমি স্বাধীনতার ধাত্রী তুমি সকল বনই জাগাক ধ্বনি স্বাধীনতার গান !** "হাওয়েলস্ বলিয়াছেন "সিভিল ওয়ার” বা ঘরোয় যুদ্ধের উত্তেজনায় । স্বঃ রচনার মধ্যে লাওয়েলের "কমেমোরেশন ওড" ছাড়া আর কিছুই । স্থায়ী হয় নাই। আমরা ঠাহার এ মতে সায় দিতে পারিলাম না। শত কবিতা ও অন্তান্ত রচনার মধ্যে বাস্তবিকই কি তিনি ঐ একটি । কবিতা ছাড়া আর কিছুই খুজিয়া পাইলেন না যাহ মার্কিনসাহিত্যে ---> স্মরণীয় হইয় আছে ? হাওয়েলসের মতে,আকস্মিক ঘটনার উত্তেজনায় • মার্কিন জাতীয় সংগীত - তীর্থসলিল, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। -