পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২২ তারা মূৰ্ত্তিটি জটিয়া দিয়াছেন। তারামূর্তিটির নীচে এক লাইন লিপি ছিল তাহা অনেকট ভাঙ্গিয়৷ গিয়াছে—যাহা আছে তাহা এরূপ পাঠ করিয়াছি— কায়স্থ শ্ৰীসঙ্ঘেশগু স্থা..... নিকটেই একটি দেউল হইতে ষোড়শ মহাস্থবিরের এক মহাস্থবির বজায়নিপুত্রের মূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে। সকলেই জানেন মহাস্থবিরমূৰ্ত্তি ভারতবর্ষের অন্য কোথাও আর আবিষ্কৃত হয় নাই। অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে তিব্বত-অভিযানে আনীত এবং মহামহোপাধ্যায় বিদ্যাভূষণ মহাশয় কর্তৃক এসিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় বর্ণিত মহাস্থবির মূৰ্ত্তির সহিত মাপে ও আরুতিতে 4ई भूडिंछिद्र ८कन ४८डन नाझे । বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের বর্ণিত মূৰ্ত্তিসকল ৪। ইঞ্চি উচ্চ—এই মূৰ্ত্তিটিও ঠিক ৪ ইঞ্চি উচ্চ। দীপঙ্কর প্রজ্ঞানের ইতিহাসজ ব্যক্তি মাত্রেই জানেন যে তিনি বরদাতারা ও ষোড়শ মহাস্থবিরের বিশেষ ভক্ত ছিলেন এবং তিব্বতে তাহাদের পূজা প্রবর্তিত করিয়াছিলেন। উহার জন্ম-গ্রামের যেস্থানে তারা ও মহাস্থবিরের মূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে সেই স্থানের কাছেই তাহার বসতবাটা ছিল এমন সিদ্ধান্ত করা বোধ হয় অসঙ্গত নহে। নিকটবৰ্ত্ত নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা নামে খ্যাত প্রাচীন বসতবাট সেই हान श्८ऊ পারে । সেনবংশের রাজধানীর অবস্থান লইয়া কোন গোলमलई नाई। थक७ *ब्रिथा.८नश्लेिउ বল্লালবাড়ী নামে পরিচিত স্বরক্ষিতস্থান এখনও সৰ্ব্বজনবিদিত। সেন. বংশীয়গণ শৈব ও সৌর মতের উপাসক ছিলেন। কেবল লক্ষ্মণসেন প্রথমে শৈব, পরে নরসিংহ এবং পরে "|দরের বৈষ্ণব হইয়াছিলেন। বল্লালবাড়ীর চৌগাড়ার দক্ষিণ পাড়ে এক পুকুর হইতে প্রকাও এক নটেশ শিবের মূৰ্ত্তি বাহির হইয়াছে। তাহ এখন ঢাকা মিউজিয়মে আছে । এইখান ইতেই সম্ভবত ঢাকার লিপিযুক্ত-চণ্ডীমূৰ্ত্তিটি श७ग्न श्ब्राझिल । সেনবংশের সময় শ্রীবিক্রমপুর নগরের সকলের চেয়ে বেশ বিস্তুতি হইয়াছিল—তাহ দৈর্বে পg মাইল ও প্রস্থে [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড পাঁচ মাইল এই বিপুল আয়তন ধারণ কৰিছিল। રા প্রমাণ দৃষ্টি প্রতীতি হয় যে পশ্চিম বিক্রমপুরের জলভূমিকে সেনরাজগণ আবাসযোগ করিয়৷ তুলিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন । মিরকাদিমের খালের পূৰ্ব্বপাড়ে নাটেশ্বর নামে এক গ্রামে এক প্রকাণ্ড দেউল আছে। তাহ হইতে কেবল বিষ্ণুমূৰ্ত্তিই চারি পাচ থানা বাহির হইয়াছে। দেউলটির নাম হইতে বোধ হয় গে নটেশমূৰ্ত্তিও একদিন বাহির হওয়া সম্ভব। বোধ হয় দেউলটি বৈষ্ণব বৰ্ম্মরাজগণ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেনরাজগণ কর্তৃক শৈব দেউলে পরিণত হয় । এই দেউলের অদূরবর্তী সোনারসের দেউল হইতে প্রকাও একটি স্বৰ্য্যমূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে। দেউলটি খুব বিপুলায়তন। তাহার অব্যবহিত পূৰ্ব্বপ্রাস্তস্থিত স্থানকে এখনও লোকে সিংহদরজা বলে। সিংহদরজার সম্মুখে মেদিনীমণ্ডলের দীঘি নামক প্রকাণ্ড এক দীঘি আছে। এই দীঘি ও সিংহদরজার মধ্যবর্তী স্থানটুকুকে লোকে এখনও লুড়াইতগি বলে। রাস্ত দিয়৷ যাইবার সময় প্রত্যেক পথিক খড়কুটা দিয়া একটা লুড়া বানাইয়া সময় সময় অগ্নি দিয়া এবং অনেকসময় তাহ অগ্নিসংযুক্ত না করিয়াই দেউলের উদ্দেশে এক অশ্বথবৃক্ষের তলে নিক্ষেপ করিয়া যায়। এই প্রথাটি এখনও বর্তমান আছে । ইহা স্বৰ্য্যপূজার স্মৃতি বলিয়া মনে হয়। সোনারঙ্গ হইতে একটু অগ্রসর হইয়া টঙ্গিবাড়ী নামক গ্রাম পাওয়া যায়। এক বৃদ্ধ মুসলমানের নিকট অবগত হইলাম যে টঙ্গিবাড়ীর দীঘির মধ্যে লক্ষ্মণসেনের জলটঙ ছিল। বল্লালসেনের নামই জনসাধারণে জানে, এ অবস্থায় বুদ্ধের মুখে লক্ষ্মণসেনের নাম শুনিয়া কিছু বিস্মিত হইয়া ছিলাম। টঙ্গিবাড়ীর দীঘিটির মধ্য দিয়া বাধ দিয়া দীঘিকে হতঐ করিয়া ফেলা হইয়াছে। দীঘি হইতে একটি নৃসিংহমূৰ্ত্তি উঠায় মনে হইতেছে যে বুদ্ধের কথা সত্য হইলেও হইতে পারে-পরমনারসিংহ লক্ষ্মণসেনের হয়ত এক গ্রীষ্মাবাস এই দীঘির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ছিল। আরিয়ল ও তৎসন্নিহিত বলই ও পুরাপাড়া গ্রামে সেনরাজগণের কীৰ্ত্তিচিহ্ন ছিল বলিয়া মনে হয়। বলই গ্রামে এক দেউল আছে এবং তৎসন্নিহিত স্থানকে রাণী হাটি বলে। বলই দেউল হইতে অনেক মূৰ্ত্তি বাহির ৩য় সংখ্য। ] হইয়াছে—তাহার অনেকগুলি আউটসাহি গ্রামে সুরক্ষিত আছে । পুরাপাড়া দেউল হইতে একটি অপূৰ্ব্বসুন্দর অৰ্দ্ধনারীশ্বর মূৰ্ত্তি বাহির হইয়াছিল—তাহ৷ শ্ৰীযুক্ত যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত কর্তৃক সংগৃহীত হইয়া এখন রাজসাহীর চিত্রশালায় আছে। আরিফুল গ্রামের দেউল হইতে প্রকাও স্বৰ্য্যমূৰ্ত্তি বাহির হইয়াছিল, তাহ শ্ৰীযুক্ত উপেন্দ্রচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় কর্তৃক সংগৃহীত হইয়। ঢাকা সাহিত্যপরিষদে অাছে। অারিয়ল গ্রামের যে অংশে দেউল অবস্থিত তাহাকে সানবান্ধা গ্রাম বলে। তাহার চারিদিকে दिन । उाश नृtछे भ:न श्ञ ८य दिन श्ऊ भा;ि ॐाश्छ। তাহা শানবান্ধা করিয়া অর্থাং ইষ্টক দিয়া বাপাইয় তাহার উপর দেউল প্রতিষ্ঠিত হয় । । হিউনসঙের সমতট বর্ণনা হইতে অবগত হই যে সমতটে অনেক নিগ্রন্থ জৈন অর্থাৎ উলঙ্গ জৈন ছিল । তাহার। কোথায় গেল ইহা এক বিস্ময়ের বিষয়। আমরা বিক্রমপুরের দুইখানা গ্রামের নামে মাত্র জৈনস্মৃতি দেখিতে পাই। এক জৈনদার ; সেখানে এক অতি প্রাচীন ধৰ্ম্মস্থলী আছে, সেখানে এখনও প্রতি বৎসর মেল বসে। আর এক বজ্রযোগিনী গ্রামের দক্ষিণস্থ ডেকরাপাড়। যাহারা অনেক বয়সেও উলঙ্গ হইতে সঙ্কোচ বোধ করে না তাহাদিগকে ডেকর বলিয়৷ গালি দেওয়া হয়। তাই ডেকরাপাড়া নামে বোধ হয় যে গ্রামটিতে উলঙ্গ জৈনদিগের নিবাস ছিল । শ্ৰীনলিনীকান্ত ভট্টশালী । ~ কৰ্ম্মভূমি ( १|ीन ) শান্তি-হাওয়ায় ঘুম পাড়িয়ে রেখোন মা, দিনের বেলায়। বিশ্বভর লোকের সাথে মাতব আমি ধূলা-খেলায়। তোমারি যে হাতের গড়া, খাটি তাই ও মাটির ধর । আমাদের ও স্নেহপ্রীতি রচেছ ত মাটির ডেলায় । সারাটা দিন ধরে থাটাও, ঘেথা হোক ছুটিয়ে পাঠাও, ক্লাস্তি এলেও আমায় হাটা ও বিশ্ববাসের লোকের মেলায়। স্বর্গটি ত স্বার্থে রচা ; সে কূপে যে গন্ধ পচা ! নর-সেবার কৰ্ম্ম-ভূমি কেমন করে ঠেলব হেলায় ? শাস্তি আনে মুখের সাজ৷; শক্তি দানে, কর তাজ ! ঝড় তুফানে দিব পাড়ি আকুল সাগর ক্ষুদ্র ভেলায়। শ্ৰীবিজয়চন্দ্র মজুমদার। অজন্ত গুহার চিত্রাবলী ാ অজন্ত৷ গুহার চিত্রাবলী । পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে এক সময়ে অজস্তায় একটি বৃহং বৌদ্ধমঠ ছিল এবং গিরিগুহাগুলি হয় উপাসন-মন্দির অথবা সাধকদিগের আবাসস্থান ছিল । সকল গুহাই চিত্রিত হইত। চিত্রের যাহা কিছু ভগ্নাবশেষ আজও বৰ্ত্তমান এাছে তাহ দেখিলে বোঝা যায় যে চৈত্য অথবা উপাসনামন্দিরে কেবল প্রভূ বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তি অঙ্কিত হইত এবং বিহার অর্থাৎ বৌদ্ধ ভিক্ষ দগের বাসভবনে নানাবিধ চিত্র অঙ্কিত হইত। প্রায় সকল চিত্ৰই ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয়, ধৰ্ম্মমঠের উপযুক্ত উপাদান। কেবল শোভার জন্য এসকল চিত্রের রচনা হয় নাই, পবিত্র ধৰ্ম্মমন্দির আরও পুণ্যময় ও প্রযত করিবার জন্য ইহাদের প্রতিষ্ঠা। অজন্তায় যে কেবল ধৰ্ম্মসম্বন্ধীর চিত্রই আছে এমন নয় ; ঐহিক চিত্রও অনেক দেখা যায়। রাজসভা, মহাসমারোহ, বিলাস ও দাম্পত্য প্রেমের চিত্র ও হাস্যোদীপক ব্যঙ্গচিত্র ইত্যাদি অনেক আছে। ঐতিহাসিক চিত্রও স্থানে স্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। এরূপ চিত্রের সংখ্যা অতি অল্প। পূৰ্ব্বে হয়ত এরূপ চিত্র ইহা অপেক্ষ অনেক অধিক ছিল। ঘে কয়েকটি ঐতিহাসিক চিত্র এখনও বর্তমান আছে তাহাতে ইহা বেশ প্রমাণ হয় যে প্রাচীনকালে প্রধান প্রধান ঐতিহাসিক ঘটনার প্রতি অবজ্ঞা করা হইত না, বরং তাহাদিগকে ধৰ্ম্মের সহিত একই স্বত্রে একই স্থানে গাথিয়৷ চিরস্মরণীয় করিয়া রাখা হইত। অজস্তার আলঙ্কারিক চিত্রাবলীও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কেবল স্তম্ভ ও ছাদের উপর এই সকল চিত্রাবলী আছে । তাহাদের শোভা বৰ্দ্ধন করিবার নিমিত্তই এগুলি অঙ্কিত হইয়াছিল। এসকল চিত্রের গঠন-মাধুৰ্য্য অতি মনোহর ও অবর্ণনীয়। আলঙ্কারিক চিত্রকলার এমন রচনা-বৈচিত্র্য, এমন মুক্ত সৌন্দর্ঘ্যের ছন্দোন্মেষ আর কোথাও দেখা যায় না। অজস্তার ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় চিত্রাবলীর বিষয় অধিকাংশই বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম গ্রন্থ জাতক হইতে গৃহীত । ভগবান বুদ্ধদেব শাক্যবংশীয় রাজকুমার সিদ্ধার্থরূপে জন্ম গ্রহণ কারবার পূৰ্ব্বে দেবতা মানব ও বিভিন্ন জীবের রূপ ধারণ করিয়াছিলেন। জাতক গ্রন্থে এই সকল উপাধ্যান বিবৃত হইয়াছে। এই ধৰ্ম্মগ্রন্থের