পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-------------- বুদ্ধগণ ও বোধিসত্ত্বগণ । বাড়িল। এই সময় সকল ইষ্টাচারের অধিনায়ক মার’ প্রলোভন ও ভীতি দ্বারা সিদ্ধার্থকে সংসারধৰ্ম্মে ফিরাইবার (53) করিল। বোধিবৃক্ষের মূলে সিদ্ধাথ প্যানে নিমগ্ন হইয়া বসিয়া আছেন, এমন সময় পাপমতি মার সেপানে উপস্থিত হইল। তাহার আদেশে কাম ক্রোধ লোভ মোহ মদ মাৎসৰ্য্য রিপুগণ সুন্দর মোহন ব৷ বীভৎস রূপ ধারণ করিয়া সিদ্ধার্থের ধান ভঙ্গ করিবার ८5४ করিতে লাগিল। কিন্তু মহাতাপস সিদ্ধার্থ তখন বাহ্যজ্ঞানশূন্য। রিপুগণের চেষ্টা ব্যর্থ হইলে মার ভীষণ বাত্য ও অবিশ্রান্ত বৃষ্টির দ্বারা গৌতমের অনিষ্ট করিতে Ç5%| প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২১


[ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড


SumitaBot (আলাপ)... ------------

করিল। বায়ুর বেগ এমন প্রবল হইল যে বৃহৎ প্রস্তরখণ্ড পঞ্চত চু্যত হইয়া চারিদিকে বিনি হইতে লাগিল, কিন্তু গৌতমে নিকটে আসিতেই চূর্ণ दिप्ल इङ्ग्रे। সৌরভময় পুপরেণুতে পরিবর্তি হইল। অবিশ্রান্ত জলের ধারা মহাবনা উপস্থিত হইল কিন্তু গে মায়া-জল গৌতমের অঙ্গ স্পশ করিতে পারিল না। নিজের সকল ইষ্ট শক্তি দিয়া মার গৌতমের কোন অনিষ্ট করিতে পারিল না। পরাজিত মার ক্ষুঃমনে বিদায় হইল। মহাতাপস বুদ্ধের জয় হইল। জ্ঞানালোকের অপূৰ্ব্ব জ্যোতি তাহার মনে প্রকাশ হইল। যখন তিনি সেই বোধিবৃক্ষের মূল হইতে আসন ত্যাগ করিয়া উঠিলেন তখন তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ ভগবান বুদ্ধদেব। ইহার পর তিনি তাহার নূতন ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে আরম্ভ করিলেন। তাহার আশ্বাসপ্রদ মুক্তিময়ী বাণীর আহানে রাজা প্রজ, ধনী নিধন দেশদেশাস্তর হইতে আসিয়া তাহার ठाiejग्न लगे ल । অজস্ত। চিত্রাবলীর মুখ্য উদেশ্ব ছিল বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার কর। প্রাণে যাহার আহভূতি সহজে হয় না চিত্রে তাহার রূপ দেখিলে ভাবাৰ্থ বুঝিতে অনেক সময়ে সুবিধা হয়। অশিক্ষিতের পক্ষে নিগৃঢ় ধৰ্ম্মতত্ত্ব আলোচনা করিতে ও বুঝিতে পারা সহজ নয়। ধৰ্ম্মের সার উদেশ্ব জ্ঞানালোকের উপলব্ধি । জ্ঞানের লক্ষ্য সত্য। এই সত্যের উপলব্ধি করাইবার জন্য নানা ধৰ্ম্মের নানা রূপ। অজন্তার এই অপূৰ্ব্ব ধৰ্ম্মচিত্রাবলী বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য নিরস্তর সচেষ্ট ছিল। এসকল চিত্র ধৰ্ম্মের কূট তত্ত্বকথা বাদ দিয়া সরলভাবে সত্যের আনন্দপ্রদ আদর্শ বর্ণনা করিয়াছে। "


--- o - ৩য় সংখ্যা ] . -, -, --സ സംസ് - - - - - ভাষায় যাহা গভীর, শিল্পে তাঙ্গরই প্রাঞ্চল ব্যাথা ঠষ্টয়াছে। চিত্রগুলির পূৰ্ব্বগৌরবের আর কিছু অবশিষ্ট নাই । কিন্তু এখনও এই পরিত্যক্ত গুহাগুলিতে এই লুপ্তপ্রায় চিত্রাবলী দেখিলে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বীজমস নিমেষের মধ্যেই হৃদয়ঙ্গম হয়। বোধিসত্বের অপূৰ্ব্ব আত্মত্যাগের মাহাত্মা ; গৌতমের জন্ম , তাহার বাল্যক্রীড়া ; যশোধরার সহিত ঠাঙ্গর পরিণয় ; সংসারধৰ্ম্মে তাহার বৈরাগা : সংসার ত্যাগ , ধৰ্ম্ম প্রচার ও অবশেষে মহাপরিনিৰ্ব্বাণ–এইসকল অপূৰ্ব্ব লীল একের পর অন্যটি ধীরে ধীরে চক্ষের সম্মুখে ফুটিয়া উঠে এবং এককালে বৌদ্ধধৰ্ম্ম কি এক মহান শান্তিময় রূপ ধারণ করিরাছিল তাঙ্গ আপনি হৃদয়ঙ্গম হইয়া যায় । শ্ৰীসমরেন্দ্রনাথ গুপ্ত । হারামণি এই বিভাগে আমরা অঙ্গীত অথাত প্রাচীন কবির বা নিরক্ষর স্বল্পক্ষয় গুমা কবির উৎকৃষ্ট কবিতা ও গান ইত্যাদি সংগ্ৰহ করিয়া প্রকাশ করিধ। প্রবাসীর পাঠকপাঠক এই কার্য্যে আমাদের সহায় হইবেন আশা করি । অনেক গ্রামেই এমন নিরক্ষর লা পরীক্ষর কবি মাঝে মাঝে দেখা যায় যাহারা লেখাপড়া অধিক না জানা সত্ত্বেও স্বভাবতঃ উৎকৃষ্ট ভাবেৰ কবিত্বরসমধুর রচনা করিয়া থাকেন । কবিওয়াল, তর্জাওয়াল জারিওয়াল, বাউল, দরবেশ, ফকির প্রভৃতি অনেকে এই দলের । প্রবাসীর পাঠক-পাঠকরা ইহঁদের যথার্থ কবিত্বপূর্ণ বা রসভবপূর্ণ রচনা সংগ্ৰহ করিয়া পাঠাইলে আমরা সাদরে প্রকাশ কবি । ] - বাউলের গান যেদিন জনম সেদিন আমি দীক্ষা পেয়েছি, এক অক্ষরের মন্ত্র মায়ের ভিক্ষা পেয়েছি । দীক্ষা বিন চলে না যে একটি প্রাণের শ্বাস, এই কথাতে গভীর আমার রয়েছে বিশ্বাস । অামি নীর পেয়েছি, ক্ষীর পেয়েছি, পবাণ পেয়েছি, তারি সাথে সাথে মায়ের শিক্ষা পেয়েছি । কেন্বিলে জয়দেবের মেলায় মেদিনীপুরের বাউলের কাছে শোন । ब्रम्लगिन्छ। न भभग्न भय८५ किष्ट्रङ्गे खान नाडे । ] শ্ৰীক্ষিতিমোহন সেন । গান তুমি আমায় নেওন টেনে, আমায়, এদেশে বান্দিয়া রাখছে, কামিনী কাঞ্চনে। হারামণি --- -------------- - - లిసెన এক মোরে এ বিদেশে, পাঠাইরা কোন সাহসে, আছ তুমি ঘরে বসে, হৃদয় বেন্দে পাষাণে। অনেক দিন হয় সঙ্গ ছাড়া, হয়েছি জীবনে মরা, তোমার কাছে যেতে, রে প্রাণ, প্রাণ আমার সদ। টানে । অনেক দিন হয় এসেছি হেথা, পাইন কোনো খবর বাৰ্ত্ত, ঠিকানা ভুলিয়া, রে প্রাণ, কান্দি কেবল রাত্র দিনে । । একবার মোরে করে স্মরণ, প্রাণের জালা কর বারণ, তুমি যে নাথ, কাৰ্য্য কারণ, । মনোমোহন তা খুব জানে - মনোমোহনের গান প্রায় প্রতি সন্ধার নিস্তদ্ধত ভঙ্গ করিয়া পল্লীভূমির পথে প্রান্তরে গীত হয়। কিন্তু পল্লীবাসী গায়কগণের নিকট হইতে, মনোমোহনের বাসস্থান কোথায়, তিনি জীবিত আছেন কি না, প্তাহার গানগুলি কোন কালের লেখ, এই সব তত্ব সংগ্ৰহ করিতে পারি নাই । - জাপায়িকতার দিক দিয়া দেখিতে গেলে-ষ্টাহীর গানগুলি নেহীং অকিঞ্চিৎকর মনে হয় না। একটি মহামিলনের আকাঙ্ক্ষীর তাড়নায় গ্রাম কবি মনোমোহন, গ্রামা ভাষার ভিতর দিয়া, গাহিয়াছেন, “তুমি আমায় নেও না টেনে” ইত্যাদি । মনোমোহন, গামা কবি—তাহতে সন্দেহ নাই , কিন্তু তিনি নিতান্ত BBBBS BB BBBB BBBS BB SBBBSS SBBSS BBDD BBB BB BBB S BBBBB BBBB SBBBBS SBBBS BBBS স্বরূপে গ্ৰহণ করিয়া তিনি বলিয়াছেন,— "তুমি যে, নাগ, কার্যা কারণ মনোমোহন ত" খুব জানে।” *াহার গানগুলি যে কোনো পল্লীবিশেষেই আবদ্ধ—এমন মনে হয় ন। ষ্টাহার রচিত, এই প্রকার, বহু গান যে আছে, তাহারও প্রমাণ পাইয়াছি । "প্রবাসীর" পাঠকবর্গের মধ্যে কেহ মনোমোহনের সবিশেষ তত্ত্ব ও হার গানগুলি ক্ষমশ: সংগ্ৰহ করিয়া প্রকাশ করিতে পারিলে प्टोप्ला रुग्न । তোমার শ্রীপ্রফুল্লকুমার চৌধুরী।