পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 8०8 - - 一^^ヘ^***ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ ইহার আবাদ করা আবখক । ইহার আবাদে কোন ক? নাই। অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি বা হাজ শুকার ভয় নাই। কেবল মাত্র একপও ভূমিতে উহা রোপণ করা আবগুক। গ্রামের বিভিন্ন স্থান হইতে গাছ সংগ্রহ করা অপেক্ষ আপনার আয়ত্ত্বাধীন ভূমিখণ্ডে উহা চারাইলে ব্যবসায়ের সুবিধা হয়। এক বিঘা জমতে চারি হাত অন্তর ধুতুরার গাছ বসাইলে চারিশত গাছ হুইবে । এই চারিশত গাছ হইতে উপযুপিরি তিন বা চারি বৎসর প্রতি গাছে বংসরে একসের পাত পাওয়৷ যাইতে পারে। তাহ হইলে এক বিধায় এক বৎসরে দশ মণ পাঠ উৎপন্ন হইবে। ইহার দাম ৯ টাকা করি মণ ধরিলে ৯ টাকা পাওয়া যাইবে। আর গাছ ও শিকড়ে তিন বৎসরে প্রতি গাছে তিন সের পাওয়া যাইতে . তাহা হইলে তিন বৎসরের শেষে ৩০ মণ গাছ ও শিকড় উৎপন্ন বে । ইহার মূল্য ৬২ টাকা করিয়া মণ ধরিলে ১৮• < টাকা হয় অর্থাং বৎসরে ৬ টাকা করিয়া পাওয়া যায়। এতদ্বারা দেখা যাইতেছে এক বিঘা জমীতে ধুতুরা বসাইলে বৎসরে দেড় শত টাকা লাভ হইতে পুৰে। বিনা মূলধনে এরূপ আয় কি বাঞ্ছনীয় নহে? এদেশে এক্ষণে কতকগুলি রাসায়নিক কারধান সংস্থাপিত হইয়াছে। এইসকল কারখানা যদি এদেশজাত ধুতুর হইতে বেলেডোন প্রস্তুত করিয়া বিদেশে পাঠাইবার ব্যবস্থা করেন, তাছা হইলে এদেশের লোকের এই উপেক্ষিত উদ্ভিদের প্রতি দৃষ্ট আকৃষ্ট হইতে পারে, এবং তদ্বার ইহার ব্যবসায়েরও প্রসার হইতে পারে। (বিজ্ঞান, ফেব্রুয়ারী) " আলুকাতর। . . . . कोडू জিনিসটা দেখিতে অতি কদৰ্য্য। বিত্র চটচটে জিনিষ । -- কুংসিত দ্রব্যের মধ্যে যে কত প্রকার স্বন্দর সুন্দর রঙ, সুগন্ধ - o ঐতিনকড়ি মুখোপাধ্যায় । --- - পাথুরে কয়লা বায়ুর সংস্রব বন্ধ করিয়৷ উত্তপ্ত (Desctive distillation) করিলে, আলকাতার প্রস্তুত হয়। বিভিন্ন - কয়ল হইতে বিভিন্ন প্রকার আলকাতর পাওয়া যায়। ধ্ব পারে কয়লা হইতে যেরূপ ভাবে আলকাতর প্রস্তুত १३७, হাতে অনেক পরিমাণে আলকাতর নষ্ট হইয়া যাইত। আজকাল ল গ্যাসের প্রচলন প্রত্যেক সহরেই বর্তমান। এই কোল গ্যাস প্রস্তুত - করিতে পাৱে কয়লাকে বায়ুর দংশলতি করিয়া উত্তাপ দিতে হয়। কোল গ্যাসের সহিত এমনি গ্যাস, আলকাতর ইত্যাদি উৎপন্ন হয়। আলকাতরা চোলাই হইয় আসিয়া কতকগুলি ট্যাঙ্কে জমা হয়। যদি কেহ নারিকেলডাঙ্গায় কোল গ্যাস ওয়ার্কস দেখিতে যান, দেখিবেন কি প্রচুর পরিমাণে প্রতিদিন এদেশে আলকাতর প্রস্থত হইয় থাকে। বড় ৗবাচ্ছায় এই আলকাতর नििष्ठान श्य । এই আলকাতর। কখনও তরল রূপে প্রস্তুর ইষ্টক প্রভৃতি সামগ্রীর গাইতে বা ভুষ প্রস্তুত করিতে ব্যবহৃত হইত, কিন্তু আজকাল - তিরার অধিকাংশই বায়ুর সংস্পৰ্শ-রহিত করিয়া চোলাই করা চোলাই হইয়া নানা প্রকার সামগ্ৰী আলকাতর হইতে বাহির আসে। বিভিন্ন তাপমাত্রায় বিভিন্ন পাত্রে ইহ সংগ্রহ করা হয়। লাইট অয়েল, কাবলিক অয়েল, creasote) ক্রিয়োজোট অয়েল, আনথাপিল অয়েল প্রভৃতি ইহাদের বিভিন্ন নাম দেওয়া হইয়াছে। o সমস্ত দ্রব্য চোলাই হইয়া যাইবার পর যে সমগ্ৰী পড়িয়া থাকে সে প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২২


[ ১৫শ ভাগ, ১ম দ্রব্য হইল পিচ, । আজকাল চৌরাঙ্গীতে যে চকচকে পরিষ্কার রান্ত । দেখিতে পান তাহ আস্ফাণ্ট নামক দ্রব্যের প্রস্থত। এই আসফান্টের প্রধান উপকরণ পিচ। ইউরোপে বড় বড় ৰাজধানীতে সমস্ত রাস্তাই এই আসফণ্ট হইতে প্রস্থত। ইলেকট-ক তার রাস্তার মধ্য দিশ লইয়া যাইতে পিচের কিরূপ ব্যবহার তাহ কলিকাতাবাসী সকলেই জানেন। ক্রিয়োজোট অয়েল কাঠের কড়িতে লগাইবার জন্য এবং পিচ নৱম করিবার জন্য প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। কাবলিক অয়েল হইতে কাবলিক এসিড প্রস্তুত হয়। কাঞ্চলিক এসিড শুধু যে ডাক্তারীতে ব্যবহৃত হয় এমন নহে। যে এনিলিন রঙ্গের ব্যবসার জন্য জাৰ্ম্মানি প্রসিদ্ধ এবং যাহ উৎপাদনের জন্ত ইংলও আঞ্জ ব্যস্ত, সেই এনিলিন রং কার্বলিক এসিড প্রভৃতি ঐ আলকাতর হইতে চোলাই-করা দ্রব্য হইতে প্রস্তুত। মরিতে ও মারিতে কার্বদিক এসিডের বড় কম প্রচলন নয়। কাবলিক এসিড থাইয়া আত্মহত্য প্রায়ই ঘটিয়া পাকে । বৰ্ত্তমান ইউরোপীয় মহাসমরের অধিকাংশ শেল যে পিকরিক এসিডে প্রস্তুত সেই পিকরিক এসিড এই কাৰ্বলিক এসিড । হইতে প্রস্তুত। টি, এন, টি নামক যে ভয়ানক বিস্ফোরক পদার্থ শের *४ठ कब्रि:ठ ११शठ श्ग्र, ७|श টেলুইন নাম একটি তৈল হইতে প্রস্তুত । এই তৈলও আলকাতর চোলাইএর লাইট অয়েলে থাকে। আমরা বস্ত্রের বা পুস্তকের দেরাজে স্থাপথেলিনের গুলি রাথিয় পাকি। ইহাও আলকাতরা চোলাই করিয়া যে ক্রিয়োজোট অয়েল পাওয়া যায়, তাহার মধ্যে পকে । কার্বলিক এসিড বাহির করিয়৷ লইবার পর ত্রিয়োজোট ঠাও যায়গায় রাখিয় দিলে স্থাপথেলিন দান৷ বধিয়া যায়। রং প্রস্তুত করিবার জন্ত স্থাপথেলিনও প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। মঞ্চে%ার ইয়েলে এবং মুন্দর সুন্দর লাল রং স্থাপপেলিন (Napthoi) श्८ठ &1४७ श्य़ । এই আলকাতর-চোলাই-করা দ্রব্যের ব্যবসা জাৰ্ম্মানিতে যত অধিক তত আর জগতে কোথাও আছে কি ন সন্দেহ। সেই জাৰ্ম্মানি এখন শত্রু হওয়াতে তাহার সহিত ব্যবসা বন্ধ হইয়াছে। দেশে কাৰ্ব্বলিক এসিড প্রভৃতি অত্যাবগুক প্রব্যের অভাব পড়িতেছে। যে দেশে প্রাতঃস্মরণীয় মহামতি তাত লৌহের কারখানা স্থাপন করিয়া দেশের মহং কল্যাণ সাধন করিয়াছেন, যে দেশে মাননীয় অধ্যাপক চন্দ্রভূষণ ভাদুড়ী বেঙ্গল কেমিক্যালে সালফিউল্লীক এসিড প্রস্তুত করিতে বৃহৎ কারখানার সৃষ্টি করিয়াছেন, সে দেশে এমন একজন কি উঠিনেন না যিনি আলকাতর চোলাইয়ের ব্যবসা করিয়া নিজের ও দেশের মহৎ কল্যাণ সাধন করেন। আরও একটি কথা। গবর্ণমেণ্টের সাহায্য নী পাইলে ব্যবসা বাণিজ্য সমীকরূপে উন্নতি লাভ করিতে পারে না। বাণিজ্য-জগতে আমরা এখন নাবালক। এসময়ে আমাদের সাধারণ লোকে প্রচুর অর্প দিয়া ব্যবসা আরম্ভ করিতে ভরসা করেন না। জাপান প্রভৃতি দেশের গবর্ণমেণ্টের মতন আমাদের বৃটিশ গবৰ্ণমেন্ট যদি অর্থ সাহায্য করিয়া দেশের ব্যবস বাণিজ্য প্রচলন করেন, যদি শুধু প্রদর্শনীর (Exhibition) ব্যবস্থা না করিয়া তৎসঙ্গে প্রজার অর্থ প্রজার হিন্তকল্পে লাগাইয় গবর্ণমেণ্টের বা গবৰ্ণমেন্ট-সাহায্যকৃত বড় বড় কারখানার প্রতিষ্ঠা করেন, তবেই আমাদের গাণিজ্য-জগতে উন্নতির আশা। তাহান হইলে আমরা "যে তিমিরে, সে তিমিরে” । ( বিজ্ঞান, ফেব্রুয়ারী ) - - - সংবাদ-পত্রের প্রভাব । সংবাদপত্র, সভা, সমিতি, সন্মিলনী প্রভৃতি অনুষ্ঠান ও নানাবিধ প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় প্রজাশক্তি নিজ প্রভাব সংরক্ষিত ও দ্বিত । •. - S S S S S S S S S S S S SMSM SMSMSMSMS MMMMS ঐসতীশচন্দ্র দে, বি এস সি। । ৩য় সংখ্য। ] :ഹ করেন। ইহাদিগের মধ্যে সংবাদপত্র প্রজাসাধারণের একটি প্রধান শক্তি । ১• বৎসর পূৰ্ব্বের বিবরণী অনুসারে ইংলণ্ডের যুক্তরাজ্যে সংবাদপত্রের সংখ৷ লণ্ডন নগরে ৪৫৪, ইংলণ্ডের অন্যায় প্রদেশে ১৪৪৩, স্টল্যাণ্ডে ২৩৩, আয়লণ্ডে ১৭৫, ওয়েলসে ১.৭ থান অর্থাং এক যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্রের মোট সংখা ২৪১২। এতদ্ব্যতীত ১৯•৩ সনে মাসিক প্রভৃতির সংখ্যা ২৫৩১ পানি ছিল। অথচ সমগ্র যুক্তরাজ্য আয়তন ও জনসংখ্যায় বর্তমান বাঙ্গাল। প্রদেশের প্রায় সমান। আমেরিকার ইউনাইটেড ষ্টেটস সংবাদপত্রের দেশ বলিয়া থাত । ঐ দেশে ১৯. সালে সংবাদপত্রের সংখ্যা ২,•• • অপেক্ষ বেশী ছিল। ইহাদিগের মধ্যে ২২২৬ পানি দৈনিক ও ১৩. সাপ্তাহিক ও ১৯১৮ থানি মাসিকপত্র। এাহক-সংখ্যাও এইরূপ বিস্ময়কর। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস নগরের লাঙ্গেতি জাৰ্ণাল (?) নামক সান্ধা পত্রিক দৈনিক সাড়েনয়লক্ষ বিক্রয় হয়। পৃথিবীর মধ্যে ইহাই সৰ্ব্বোচ্চ সংখ্যা। ঐ নগরে "ফিগারো" নামক পত্রিকার বিলির সংখ্য একলক্ষ । অথচ এক প্যারিস নগরে ৪৪ খানি দৈনিক পত্রিক বাহির হয় । লওনের দৈনিক "ডেলি টেলিগ্রাফ" "াওle" প্রতাহ আড়াই লক্ষ, "একে” ”ইভনিং নিউজ এণ্ড পোষ্ট" প্রত্যহ দুই লক্ষ বিলি হয়। লণ্ডনের সাপ্তাহিক "লয়েডস নিউস পেপার” দশ লক্ষ বিলি হয়। ১৯•• সালের মার্কিন যুক্তরাজ্যের বিবরণীতে দেখা যায় ৪৬ খানি সংবাদপত্রের প্রত্যেকের প্রচার দেড় লক্ষের উপর। ২৩ খানির এক লক্ষ হইতে দেড় লক্ষের মধ্যে। ৫৩ খানির পঞ্চাশ হাজার হইতে এক লক্ষের মধ্যে। ইউরোপ ও আমেরিকার প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্রের প্রচার সাধারণতঃ এক লক্ষের উপর । ইউরোপে ও আমেরিকাতে সংবাদপত্রের সংথ্য ও প্রচার যেরূপ বিষ্ময়কর, ইহাদিগের ক্ষমতাও সেইরূপ অদ্ভূত। লণ্ডনের স্ববিখ্যাত “টাইমস" পত্রিকার অনুকূল মতের জন্য জাৰ্ম্মানী ও রুসিয়ার সম্রাট হইতে ইংলণ্ডের রাজা মন্ত্রী সকলেই বাগ্র । যুদ্ধ বিগ্রহ সন্ধি প্রভৃতি রাজনৈতিক ব্যাপার সংবাদপত্রের মতামতের উপর নির্ভর করে। দেশের আইন কামুন শাসনপ্রণালী প্রভূতি তাহাদিগের প্রভাবে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দান, শ্রমজীবীসম্মিলনী প্রভৃতি যাবতীয় সভা সমিতি সন্মিলনী সংবাদপত্রের সাহাযো পরিপুষ্ট বৰ্দ্ধিত ও প্রভাবশালী হইয়৷ থাকে। ব্যবসায় বাণিজ্য শিল্প বিজ্ঞান সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ক দেশের যাবতীয় সমবেত চেষ্টা ইত্যাদি সংবাদপত্রের সাহায্যে সফল হয় । ব্যক্তিগত স্বত্ব স্বাধীনতা অধিকার প্রভৃতিও সংবাদপত্রের সাহায্যে রক্ষিত श्य । বস্তুত: এই সকল দেশে সংবাদপত্র লোকশিক্ষার ও জনসাধারণের মত সংগঠিত করিবার প্রধানতম উপায় । দেশের লোকের চিন্তা যে-কোন বিষয়ে আকৃষ্ট করা প্রয়োজন, তাহা সংবাদপত্রই করিয়া থাকে। জাতীয় জীবনের সর্বপ্রকার জ্ঞানের ক্ষেত্র, সৰ্ব্বপ্রকার কৰ্ম্মের ক্ষেত্র, সৰ্ব্বপ্রকার আশা আকাঙ্গ উদ্যম চেষ্ট, সৰ্ব্বপ্রকার বেদন ও চেতন।--দেশের সংবাদপত্রের বিষয়ীভূত। সাধারণের মধ্যে সেই সকল বিষয়ের সংবাদ প্রচার ও আলোচনার দ্বার, দৃষ্টান্ত ও উপায় নির্দেশদ্বার স্বদেশের সেইসকল বিষয়ের অভাব দূর করিবার জন্য সাধারণকে উৎসাহিত ও সাহায্য করা সংবাদপত্রের কার্য। ইউরোপ ও আমেরিকায় সংবাদপত্র এত উচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছে যে, একমাত্র সংবাদপত্র পাঠ করিয়াই লোকে প্রকৃত শিক্ষিত হইতে পারে ইহাই অনেকের ধারণ ; আর সংবাদপত্র পড়ে ন বর্ণজ্ঞানবিশিষ্ট এরূপ ব্যক্তিও দেশের সর্বশ্রেণীর লোকের মধ্যে दिद्रल । ব্যাকরণ-বিভীষিক৷ SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS 8 og হইয়া পাকে । আমাদের দেশে জাতীয় জীবনের সম্যক উন্মেষ হয় নাই, তাহা দেশের সংবাদপত্রের অবস্থা দেখিলেই বুঝা যাইতে পারে। ১৯১১ সনে হিসাব করা হইয়াছিল যে, পৃথিবীর যাবতীয় দেশে প্রচারিত সংবাদপত্রের সংখ্যা মোট ৪১,••• হাজার, তন্মধ্যে ইউরোপে ২৪••• ও আমেরিকাতে প্রায় ১৬••• এবং অবশিষ্ট ১••• অঙ্কাঙ্ক মহাদেশে প্রকাশিত হয়। মাসিক ত্রৈমাসিক পত্রাদি এই হিসাবে ধরা হয় নাই। ইউরোপের কয়েকটি দেশের সংবাদপত্রের সংখ্যা ১৮৯১ সনে এইরূপ ছিল—জাৰ্ম্মানী ৫,৫• • । ফ্রান্স ৪,১• • • যুক্তরাজ্য ৪,• • • • BBS BBB BBS BBB DAS BB S BBB S BBBBBB 00S BBBBB S BBB AS gg DDD আমেরিকার যুক্তপ্রদেশে সংবাদপত্রের সংখ্যা ১২,*•• ও ক্যানেডার | ৭• • ছিল । ভারতবর্ষে ১৯১১–১২ সনে মোট ৬২৮ খানি সংবাদপত্র প্রকাশিত হইয়াছিল, তন্মধ্যে যুক্তপ্রদেশে ১৪১, বোম্বাই প্রদেশে ১৩৯, বাঙ্গালায় ১১৭. মাল্লাজে ৮৭, পাঞ্জাবে ৭৬, ব্রহ্মদেশে •, বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশে ২• থানি । পূৰ্ব্বে উল্লেখ করা হইয়াছে যে ২০ বৎসর পূর্বে একমাত্র লণ্ডন সহরেই ৪৪ খানি সংবাদপত্র প্রচারিত হইত। মাসিক প্রভৃতির সংখ্যা কয়েকটি দেশের সহিত তুলনা করিয়া নিয়ে | দেখান হইল। যুক্তরাজ্যে ১৯•৩ সনে ২৪৩১, আমেরিকার যুক্তপ্রদেশে ১৯•• সনে প্রায় ৩e--, সমগ্র ভারতবর্ষের ১৯১১–১২ সনে মোট সংখ্যা ২,১৬৭ খানি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সংখ্যা এইরূপ-মাত্রাজ প্রদেশে ১৪৯৯, বোম্বাই প্রদেশে ৩-৩, বাঙ্গালায় ১৬৩, যুক্তপ্রদেশে ১-৩ ব্রহ্মদেশে ৫৭, বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশে ২• খানি । - অতএব দেখা যাইতেছে যে সংবাদপত্রের সংখ্য হিসাবে ইউরোপ আমেরিকার প্রধান দেশের সহিত ভারতবর্ষের তুলনাই চলিতে পারে ন। অথচ ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা এই-সকল দেশ অপেক্ষা তিনগুণ হইতে প্রায় দশগুণ পর্যন্ত বেশী হইবে। ভারতবর্ষের মধ্যে অস্কান্ত প্রদেশের সংবাদপত্র ও মাসিকপত্রের সংখ্যার তুলনায় বাঙ্গালার মাত্র তৃতীয় স্থান . অথচ লোকসংখ্যার হিসাবে বাঙ্গালার স্থান দ্বিতীয়। অনেকে মনে শরেন, বাঙ্গাল দেশে সংবাদপত্র মাসিকপত্র প্রভৃতির সংখ্যা অত্যন্ত বাড়িয়া গিয়াছে। উপরোক্ত বিবরণ পাঠ করিয়া তাহারা নিজেদের এ ভ্রম বুঝিতে পারিবেন আশা করি। বৰ্ত্তমান যুগে সংবাদপত্র প্রভৃতি সাময়িক পত্রের সংখ্যা প্রচার ও প্রভাব প্রভৃতি জাতীয় উন্নতির পরিচায়ক । উপরোক্ত বিবরণপাঠে আমাদিগের দেশ সম্বন্ধেও এ বিষয়ের সত্যত উপলব্ধি করিতে পারা যায়। - ( মালঞ্চ, বৈশাখ) শ্ৰীপ্ৰকাশচন্দ্র মজুমদার। - - - - - ব্যাকরণ-বিভীষিকা । ( এইবার আমরা ললিতবাৰুর আর-আর কথাগুলি আরো সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করিতে চেষ্টা করিব। অ ৰ্থ ঘোর শ দ প্রকরণের কয়েকটা শব্দ সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য এইরূপ- , . অ ৰ্থ বর্ণ। যাঙ্ক এই শব্দের বুৎপত্তি দেখাইয়াছেন (নিরুক্ত । ১১.১৯ ) —"পৰ্ব্বতিশ্চরতিকৰ্ম্ম, তৎপ্রতিষেধ: " অর্থাং ধৰ্ব্ব ধাতুর অর্থ গতি, তাহারই নিষেধ, অর্থাৎ গতিহীন । ইহা হইতে বাঙলার প্রসিদ্ধ অর্থ পাওয়া যায়। অ পরূপ । ললিতবাৰু লিখিয়াছেন, কৃষ্ণকমল-বাৰুর মতে ইহা -