পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫২ সম্বন্ধে পাতঞ্জলস্বত্র আবার বলিতেছেন–বিরাম-প্রত্যয়া ভ্যাসপূৰ্ব্ব: সংস্কার-শেষোহনা-চিত্তবৃত্তির বিরাম বা অভাগ্রতায়ের পুনঃ পুনঃ অভ্যাসজনিত সংস্কারের শেযই অথবা চিত্তবৃত্তির নিরোধই অন্য, অর্থাং অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি। আলম্বন- বা বিষয়-রহিত হওয়াতে তখন মনে হয় যেন চিত্ত নাই। এইরূপ সৰ্ব্ববিষয়ের পরিত্যাগ-হেতু পুরুষ তথন আলম্বন-রহিত এবং স্বরূপ প্রতিষ্ঠিত হয়। পাতঞ্চলের ভোজবৃত্তিকার বলিতেছেন—যেমন স্ববর্ণসহযোগে সীসাকে স্ববর্ণের মলকেও দগ্ধ করে, সেইরূপ অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি স্বারাও সেই সৰ্ব্বনিরোধজনিত সংস্কার তাহার পূর্ববর্তী একাগ্ৰতাজনিত সংস্কারকে এবং সেইসঙ্গে আপনাকেও দগ্ধ করে (সমাধিপাদ, ১৯ )। ভোজবৃত্তিকার আরও বলিতেছেন-পুরুষঃ স্বরুপনিষ্ঠ শুদ্ধে ভবতি—অসম্প্রজ্ঞাত বা নির্বাজ সমাধি লাভ করিলে পুরুষ স্বরূপনিষ্ঠ এবং শুদ্ধ হয়। পাতালমতে সম্প্রজ্ঞাত বা সবঙ্গ সমাধি অসম্প্রজাত বা নির্জীব সমাধিরই বহির মাত্র (বিভূতি, ৮)। একটি কথা এস্থলে বিশেষ উল্লেখযোগ্য—“ঈশ্বরপ্রণিধানাং বা" ভক্তিপূৰ্ব্বক ঈশ্বরারাধনা করিলেও সমাধি, সম্প্রজ্ঞাত বা অসম্প্রজ্ঞাত লাভ হয়। ইহা দ্বারা আমরা দেখিতেছি পাতঞ্জলমতে ঈশ্বরারাধনাও সমাধিলাভের অন্যান্য উপায়ের মধ্যে একটি উপায় মাত্র। পাতঞ্জলের মতে ঈশ্বরবাদী এবং নিরীশ্বরবাদী উভয়েই সেই সমাধিলাভের সমান অধিকারী। সমাধিই পাতঞ্জলের লক্ষ্য বা উপেয়, ঈশ্বরারাধনা উপায় মাত্র। ইহাতে ঈশ্বরীরাধনার গৌরব কতদূর রক্ষা হয়, ভগবভক্ত পাঠক তাহার বিচার করিবেন। বরং পাতঞ্জলোক্ত সমাধিসাধনা যে নিরীশ্বরপ্রধান এবং নিরীশ্বর বৌদ্ধ এবং তৎপরবর্তী পৌরাণিক ও তান্ত্রিক সময়েই বিশেষ ভাবে প্রচলিত, ইহা দ্বারা তাহারই পরিচয় পাওয়া যায়। আবার এই নিরীশ্বরপ্রধান সাধনার দিকে লোকের চিত্ত আকৃষ্ট করিবার জন্য মিথ্যা প্রলোভনেরও প্রয়োজন। এজন্যই বোধ হয় যোগশাস্ত্রে বিভূতি এবং অষ্টসিদ্ধির এত প্রসার। শুধু “স্বরূপনিষ্ঠ" এবং "শুদ্ধ" হইবার আশায় জনসাধারণ সমাধিসাধনায় প্রবৃত্ত হইতে না পারে, এই আশঙ্কায় সেই নিরীশ্বরপ্রধান বৌদ্ধ এবং পৌরাণিক ও প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ - SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSJJJS S S J ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ メ”い ヘヘヘ。 | তাত্ত্বিকসময়ে অণিমাদি বিভূতি লাভের ভূয়সী প্রশংশ দৃষ্ট হয়। এই-সকল বিভূতি লাভের আশায় সেইকালে নিরীশ্বর প্রধান বৌদ্ধ এবং অন্যান্য যোগীগণ প্রাণপণে সমাধি-সাধনায় প্রবৃত্ত হইতেন, এবং অদ্যাপি অনেকে প্রবৃত্ত হইয়া থাকেন। কিন্তু তাহার কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইতেন তাহা । আমরা বলিতে অক্ষণ। পাতঞ্চলের মতে অসম্প্রজ্ঞাত । সমাধিদ্বারা যে-সকল বিভূতি লাভ হয় তাহা এই— (১) অতীত এবং অনাগত-জ্ঞান, (২) সকল প্রাণীর । শব্দার্থ-জ্ঞান, (৩) পূৰ্ব্বজন্মবিষয়ক জ্ঞান, ( 4 ) পরচিত্ত । জ্ঞান, ( a ) অন্তধান-শক্তি, (৬) হস্তীর ন্যায় বল লাভ, (৭) শ্বশ্ব এবং দূর বস্তুর জ্ঞান, (৮) ক্ষুংপিপাসা নিবৃত্তি | (৯) পরশরীরে প্রবেশ, এবং (১- ) অণিমাদি সিদ্ধি • (বিভূতিপাদ ১৬- ৭ )। শঙ্করাচার্য্য তাহার স্বরচিত বিবেকচুড়ামণি অথবা উপদেশসহশ্ৰী প্রভৃতিতে অথবা তাহার স্বত্রভাষ্যে যে । ব্রহ্মসাধনার ব্যবস্থা করিতেছেন, তাহাতে পাতঞ্জলোক্ত অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি এবং তাহার ফল আকাশ-গমনাদি বিভূতি লাভের কোন উল্লেখ নাই। এমন কি প্রাণায়াম প্রভৃতি যোগের বহিরঙ্গ বলিয়৷ যোগশাস্ত্রে যে-সকল সাধনার উল্লেখ দৃষ্ট হয়, শঙ্কর কার্য্য-কারণের অনন্তত্বের দৃষ্টান্তরূপেই মাত্র সে-সকলের উল্লেখ করিয়াছেন—যথা চ লোকে প্রাণাপানাদিষু প্রাণভেদেষু প্রাণায়ামেন নিরুদ্ধেযু কারণমাত্রেন রূপেণ বৰ্ত্তমানেষু জীবনযাত্ৰং - কার্যt নিবৰ্ত্তাতে নাকুঞ্চন-প্রসারণাদিকং কার্যান্তরং, ন চ প্রাণ এবং ( ২-১-২০ ) । সাধনার অঙ্গরূপে তিনি নিজে কোথাও প্রাণায়ামের উপদেশ করেন নাই। বিবেকচুড়ামণিতে তিনি চারিটি মাত্ৰ সাধনার উল্লেখ করেন—(১) নিত্যনিত্যবস্তুবিবেক, (২) ইহামূত্রফলভোগবিরাগ, (৩) শমাদিযটুক সম্পত্তি, এবং ( $ ) মুমুকুত্ব। বিবেকচুড়া (১) অণিমা বা পরমাণুরূপত, (২) মহিমা বা আকাশাদির স্থায় মহত্ব, (৩) লঘিমা বা তুলাপিণ্ডের স্থায় লঘুত্ব, (৪) গরিমা বা লেঙ্ক | পিণ্ডের স্বায় গুরুত্ব, (৫) প্রাপ্তি বা অঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বার চন্দ্রাম্পির্শনে- | ভেদানাং প্রাণদন্যত্বং কাৰ্য্যস্ত কারণাদনন্যত্বং | শক্তি, (৬) প্রাকামা বা ইচ্ছার অনভিঘাত, (৭) ঈশিত্ব ব স্বীয় শরীরাদির উপরে প্রভুত্ব, এবং (৮) বশিত্ব বা সৰ্ব্বভূতের উপরে প্রভূত্ব। ইহাই নাম অষ্ট সিদ্ধি। - ৪র্থ সংখ্য। ] ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ ....-..م.م.م. মণিতে তিনি শমাদিযটুক নামে শম দম উপরতি তিতিক্ষ শ্রদ্ধা এবং শুদ্ধবুদ্ধ নিৰ্ম্মলস্বরূপ ব্রহ্মে চিত্তের সমাধানকে লক্ষ্য করিতেছেন। স্বত্রভায্যের "অথাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা সূত্রের ‘অথ' শব্দের ‘অনন্তর' অর্থ ব্যাখ্যা করিতে গিয়া শঙ্কর বলিতেছেন—“বলা আবশ্বক কিসের ‘অনন্তর’ -- - ব্রহ্মজিজ্ঞাসার উপদেশ। তাহ বলা যাইতেছে। নিত্যানিত্য শমদমাদি সাধন বস্তুবিবেক, ইহামুত্রার্থভোগবিরাগ, সম্পং, এবং মুমুক্ষত্র। এসকল থাকিলে, ( যজ্ঞাদি) ধৰ্ম্ম জিজ্ঞাসার পূৰ্ব্বেও যেমন পরেও তেমন, ব্রহ্মজিজ্ঞাসা এবং ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভের অধিকার থাকে। এ-সকল না থাকিলে সে অধিকার কখনও থাকে না।” ( ১-১-১ ) শঙ্করভাষ্যের ‘রত্নপ্রভা ব্যাখ্যা "সমাধান” শব্দের এইরূপ অর্থ করিতেছেন—“নিদ্রা আলস্য এবং প্রমাদ পরিত্যাগ করিয়া মনের অবস্থানের নাম সমাধান।" আনন্দগিরি সমাধানের ব্যাখ্যা করিতেছেন—“বিধিংসিত শ্রবণাদির বিরোধী নিদ্রাদির নিরোধপূর্বক চিত্তের অবস্থানের নাম সমাধান।” ভামতী ব্রহ্মসাধনাবিষয়ক শ্রীতিবচনেরও উল্লেখ করিতেছেন—“তস্মাচ্ছাস্তে দাস্ত উপরত স্তিতিক্ষুঃ শ্রদ্ধাবিত্তো ভূত্বাত্মনোবাস্থান পশ্বেং, সৰ্ব্বমাত্মনি পশ্বেং " ‘রত্নপ্রভা' শ্রদ্ধার অর্থ করিতেছেন, “সৰ্ব্বত্ৰাস্তিকতা" • বিভূতি সম্বন্ধে দেখা যায় স্বত্রভায্যে শঙ্কর র্তাহার সমসাময়িকদিগের ধারণাহুসারে শুকদেবের আকাশ-গমনের উল্লেখ করিয়াছেন মাত্র। যোগীদিগের অলৌকিক বিভূতি লাভ সম্বন্ধে যে সকল উপকথা + আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে, তাহা সত্যই হউক অথবা অর্থবাদমাত্রই হউক, শঙ্করের --- সমাধিসাধনা ও বিভূতিলাভ • কিমপি বক্তবাং যদনস্তরং ব্রহ্মজিজ্ঞাসোপদিপ্ততে উচ্যতে নিত্যনিত্যবস্তুবিবেকঃ ইহামুত্রার্থভোগবিরাগ: শমদমাদিসাধনসম্পং মুমুকুত্বং চ। তেযু হি সংস্থ প্রাগপি ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসায় উদ্ধ চ শকাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাতুি জাতৃ চ ন বিপর্যারে। তন্মাদপশদেন যপোক্ত সাধনসম্পত্তানন্তৰ্য্য উপদিপ্ততে। ব্ৰহ্মপুত্র ১-১-১। রত্নপ্রভার ব্যাথা—লৌকিকব্যাপারাৎ মনস উপরম: শম: বাহকরণানামুপরমোদম । জ্ঞানাৰ্থং বিহিতমিত্যাদিBBBBH BBBBS BBBB BBBDD BBBS BBBBS BBDBDt DDSBBS BBBBS BBBBBBS tt TDDS টুক প্রাপ্তি: শৰ্মাদি সম্পং। । রণজিংসিংহের যোগীর সমাধির বিবরণ এল ভূকৈলাসের BBB BBB BBDD Dtt BBDDDD DB BBS BBBB BBBBBB তাহার বিবরণ দ্রষ্টব্য। ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়, দ্বিতীয়ভাগ, পূ: ১২-১২৩ ৷ SumitaBot (আলাপ) ০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) স্বরচিত গ্রন্থ পাঠে এরূপ মনে করিবার কোন কারণ পাওয়া যায় না যে সত্যসত্যই তিনি নিজে কোন অ। শক্তি লাভ করিয়াছিলেন। আধুনিক শিক্ষিতদিগের মধ্যে । যাহার এই সকল বিভূতি লাভ করিয়াছিলেন বলিয়া শুনা যায় তাহারা অনেকেই ঔষধরূপে হইলেও অতিমাত্রায় আফিম-সেবী , তাহদের কথার উপরে কোন সিদ্ধান্ত করা সঙ্গত হইবে না। অপরদিকে একথা অতি नडा যে অলৌকিক শক্তির পশ্চাৎ ধাবিত হইয়া আমাদের দেশ এবং সমাজ লৌকিক শক্তি লাভ হইতে বঞ্চিত হইয়া, পৃথিবীর অপরাপর জাতির তুলনায় অনেক পশ্চাতে পড়িয়া রহিয়াছে। প্রমাণরূপে গ্রহণযোগ্য উপনিষদ সকলের মধ্যে যে যোগ অথবা ধ্যান এবং সমাধিসাধনা উপদিষ্ট হইয়াছে তাহা অত্যন্ত বিশুদ্ধ এবং স্বাভাবিক। মুণ্ডকের (২-২-৩, ৪ ) “ধন্থগৃহিত্বেীপনিষদং মহাস্থং শরং ছাপাসানিশিতং সংধীত” “শরবৎ ইত্যাদি তাহারই নিদর্শন। আধুনিক উপনিষদ, অন্যান্য উপনিষদের সহিত ইহার ভাষার তুলনা দ্বারাই তাহ প্রতিপন্ন হয়। শ্বেতাশ্বতরে ( ২-৮ হইতে ১৪ ) যোগের যে বর্ণনা আছে, তাহাতেই দেখা যায় যে সেই পুরাতন বিশুদ্ধ মূল হইতে এই উপনিষদ্ভুক্ত যোগ যেন কতক পরিমাণে ভ্ৰষ্ট হইয়াছে। এই উপনিষদেই দেখা যায় যে যোগের অঙ্গরূপে মুণ্ডকের উপাস । নিশিতংএর (সম্ভতাভিধানেন তনূরুতং সংস্কৃতমিতে্যুতং —শঙ্কর ) পরিবর্তে প্রাণায়াম-সাধনা স্বচিত হইতেছে— প্রাণান প্রপীডোহ স যুক্তচেষ্ট: ক্ষীণে প্রাণে নাসি কয়োচ্ছ,সীত" (প্রাণায়ামক্ষপিত মনোমলস্য চিত্তং ব্রহ্মণি স্থিতং ভবতি-শঙ্কর ) । সেইসঙ্গেই আবার উপনিষদে যোগসাধনাম্বার। কোন কোন প্রকার অলৌকিক শক্তিলাভেরও উল্লেখ দৃষ্ট হয়—ন তন্ত রোগে ন জর ন মৃত্যু: প্রাপ্তস্ত যোগাগ্নিময়ং শরীরং। লঘুত্ব স্বারোগ্যম্ অলোলুপত্বং বর্ণপ্রসাদ স্বরসৌষ্ঠবঞ্চ । গন্ধ: শুভো মুত্রপুরথম অল্প যোগপ্রবৃত্তিং প্রথমাং বদন্তি। ইহা দ্বারা দেখা যায় উপনিষদসিদ্ধ বিশুদ্ধ যোগ উপনিষদেরই শেষ সময়ে কতদূর বিকার প্রাপ্ত হইয়াছিল। বুদ্ধদেব আবার مم۔م۔مبر ،برہم.م.م.م. - - - - -