পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৮২ AJJJMMMMMJMS S S S S S S S S S S S S - - - - ধন-বিজ্ঞানের অধ্যাপক টাওসিগ । এমনকি নিগ্রোসুলভ কোকড়াচুলও ইহার নাই । ইনি চলিয়া গেলে ইয়াঙ্কি রমণীরা আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—“এই ব্যক্তি যে নিগে। তাহা বুঝিতে পারিয়াছিলেন কি ?" এইরূপ দোর্তাস্লা নিগ্রোর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লক্ষ অর্থাৎ সমগ্র নিগ্রোসংখ্যার দশমাংশ । ইয়াঙ্কি রমণীগণ পাড়ার দরিদ্র বালকবালিকাদিগকে ठ्प्र ! বিনামূল্যে শিক্ষাদান করিয়া থাকেন। বিদ্যালয়ের কার্য্য রাত্রিতে চালান হয়। রন্ধন হইতে ব্যায়াম ও নৃত্যকলা পৰ্য্যন্ত সকল বিদ্যা শিথাইবার ব্যবস্থা আছে। নিগ্রোইয়াঙ্কি সকলবর্ণের লোকই এই সেবা-কেন্দ্রের উপকার লাভ করে। ইয়াঙ্কিরমণীগণ ভারতবর্ষের নাম শুনিয়াছেন ; ইহঁদের কোন কোন আত্মীয় দক্ষিণভারত, পঞ্চনদ এবং অন্যান্য স্থানে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচারকগণের সঙ্গে কৰ্ম্ম করিতেছেন। হার্ভাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণের একটা আডড আছে। তাহার নাম (Colonial Club) কলোনিআল ক্লাব। ইহাদের নিমন্ত্রণে বাহিরের লোকের এই ক্লাবের মেম্বার হইতে পারেন । এ দেশের অন্যান্য সাধারণ ক্লাবের মত ইহ একটা হোটেলবিশেষ। পাঠাগারে নানাপ্রকার সংবাদপত্র প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম སe রক্ষিত হয়। ক্ষুদ্র লাইব্রেরীও আছে। ছাত্রদের আড্ডার ala (Harvard Union) orétofaga 1 fonto অক্সফোর্ড ও কেন্থি জে এইপ্রকার ইউনিয়ন আছে। এই ইউনিয়নের সভ্যেরা খেলাধূলা, নাচগান ইত্যাদি সকলপ্রকার ব্যবস্থা করিয়া থাকে। অধ্যাপক টাওসিগ (Taussig ) হার্ভাডে ধনবিজ্ঞান বিভাগের কৰ্ত্তা। ইনি ভারতবর্ষে বোধহয় স্বপরিচিত নন। ইষ্ঠার প্রণীত গ্রন্থ কয়েকবৎসর মাত্র প্রকাশিত হইয়াছে। আমাদের দেশে এতকাল মিলের যুগ চলিতেছিল—সম্প্রতি অধ্যাপক মার্শালের যুগ চলিতেছে। টাওসিগের গ্রন্থে কথঞ্চিং নৃতন আকারের কতকগুলি সমস্তার আলোচনা করা হইয়াছে । টাওসিগ বলিলেন “মহাশয়, আপনারা যদি ভারতবর্ষে ধনবিজ্ঞান চর্চার যথার্থ ব্যবস্থা করিতে চাহেন তাহা হইলে বিগত এক হাজার বৎসরের আর্থিক ও বৈষয়িক ইতিহাস বুঝিতে চেষ্টা করুন। কয়েকজন উচ্চশিক্ষিত ছাত্রকে Economic History stoffs tráf-strax essef আলোচনা করিতে নিযুক্ত করুন। তাহার জন্য ইহাদিগকে জাৰ্ম্মানি, ইংলণ্ড ও আমেরিকায় আসিতে হইবে। আমার মতে ইহঁাদের কোন একদেশে থাকিবার প্রয়োজন নাই। প্রত্যেক ছাত্রকে তিনদেশেই একএক বৎসর করিয়া থাকিতে হইবে। আমেরিকায়ও ধনবিজ্ঞান-চর্চা এই উপায়েই স্থিরপ্রতিষ্ঠ হইয়াছে। কলাম্বিয়ার সেলিগ মান, উইস্কন্সিনের ইনাই ইত্যাদি আজকালকার প্রসিদ্ধ ইয়াঙ্কি অধাপকগণ এইরূপে ভিন্ন ভিন্ন দেশ হইতে জ্ঞান আহরণ করিয়াছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা অনুসারে অধীতবিদ্যার প্রয়োগ করিতেছেন। আজকাল আমরা ইয়াঙ্কিস্থানে নূতন মতের ধনবিজ্ঞান প্রচার করিতেছি। প্রথম যুগে আমরা ইংরেজ পণ্ডিতগণের বুলি আওড়াইতাম মাত্র। ১৮৭০ সালের পর বিশবৎসর কাল আমরা জাৰ্ম্মান মত অবলম্বন করিয়া ছিলাম। এক্ষণে আমাদের স্বতন্ত্ৰ ইয়াঙ্কি মতবাদ চলিতেছে বলিতে পারি।” কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের ইতিহাস সম্বন্ধে খানিকক্ষণ straitsal on toto Industrial Revolution শিল্পবিপ্লব বলা হয়-উনবিংশ শতাব্দীর সেই বাঙ্গ | o استیسی ৪র্থ সংখ্যা ] --০৮:৩২, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~ চালিত-শিল্পের বিকাশ বাজারের আয়তন বৃদ্ধির উপর নির্ভর করিয়াছে। বিলাতের মালগুলি যদি একমাত্র বিলাতী লোকের অভাবনিবারণের জন্য প্রস্তুত হইত তাহা হইলে বিরাট কারখানা যন্ত্রনিয়ন্ত্রিত কারবার শ্রমবিভাগ-নীতির প্রবর্তন ইত্যাদি বেশী হইতে পারিত কি ? কিন্তু সমগ্র ভারতবর্ষের বাজার বিলাতের হস্তগত ছিল। এজন। বহু নরনারীর বহুবিধ প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রস্তুত করিবার প্রয়োজন উপস্থিত হয়। তাহার ফলেই বড় বড় ফ্যাক্টরী, স্ববৃহৎ অনুষ্ঠান ইত্যাদির প্রচলন হইতে পারিয়াছে। কিন্তু ভারতবর্ষ বিলাতের রাজার না থাকিলে বড় বড় কারখানা খুলিয়া ইংরেজের কোন লাভ হইত না। অতএব দেখা যাইতেছে যে ইংরেজের নিষ্কণ্টক সাম্রাজ্যের একচেটিয়া বাজার না পাইলে বৈজ্ঞানিক কলকারখানার ব্যবহার, সময়লাঘবকারী যন্ত্রাদির প্রয়োগ, নব নব আবিষ্কার-এক কথায় শিল্প-বিপ্লব-দেখা দিত না । টাওসিগের মতে নিষ্কণ্টক সাম্রাজ্যভোগ অথবা একচেটিয়া বাজারের অধিকার না থাকিলেও Large Scale Production স্ববৃহৎ শিল্পকারখানা এবং বড় বড় ফ্যাক্টরী ইত্যাদি চলিতে পারিবে। “আজকাল নানাকারণে প্রত্যেকদেশই একহিসাবে অন্যান্য সকল দেশের বাজারস্বরূপ দাড়াইয়া গিয়াছে। ভিন্ন ভিন্ন স্বাধীন দেশসমূহের লোকেরা পরম্পর দ্রব্যবিনিময় না করিয়া পরিবে না। ভবিষ্যতে বাজারের আয়তন কোন মতেই কমিবার সম্ভাবনা নাই। World market বা বিশ্ববাজার জগতে থাকিয় গেল। কাজেই কোন দেশে বিরাট কারখানা খুলিয়া একসঙ্গে বহুপরিমাণ দ্রব্য উৎপাদন করিলে কারবারওয়ালাদিগকে খরিদদার খুজিবার জন্য বসিয়া থাকিতে হইবে না—অথবা একমাত্র স্বদেশীয় ক্ৰেতাদিগের উপর নির্ভর করিতে হইবে না। পৃথিবীর নানাস্থান হইতেই অর্ডার যথাস্থানে আসিতে থাকিবে ।" টাওসিগ যুক্তরাষ্ট্রের কথা পাড়িলেন। ইনি বলেন যে, ইয়োরোপ অথবা এশিয়ার সকলদেশের সঙ্গে ইয়াঙ্কিদের • ব্যবসায় ও বাণিজ্য যদি নিতান্তই স্থগিত হইয়া যায় তথাপি আমেরিকায় বড় বড় ফ্যাক্টরীর কাজ চলিতে পরিবে । যুক্তরাষ্ট্রের পয়তাল্লিশ প্রদেশের অভাবমোচন করিবার জন্য o পাতালের অক্সফোড" 8b"○ স্ববৃহং কারখানাসমূহের স্থযোগগুলি ব্যবহার করা অত্যাবশ্বক থাকিবে। কুটির-শিল্প, এবং ক্ষুদ্র কারবার কোন কোন ক্ষেত্রে হয়ত চিরকালই থাকিবে। কিন্তু মোটের উপর বিংশশতাব্দীতে উনবিংশশতাব্দীর Industrial Organisation Ai f:{Rote &at 4ff: ভারতবর্ষের অনেকেই সংস্কৃতাধ্যাপক ল্যানম্যানের নাম sfaatzz: āfa Harvard Oriental Series zi হার্ভাড প্রাচ্য গ্রন্থপৰ্য্যায়ের সম্পাদক। এই গ্রন্থমালায় সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত বেলভেলকার এমএ, পিএইচ.ডির (হার্ভার্ড) উত্তরচরিত' গ্রন্থের সটীক সামুবাদ সংস্করণ বাহির হইতেছে। ল্যানম্যানের গৃহে সংস্কৃত এবং পালির ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক ইংরেজী ফরাসী ও জাৰ্ম্মান গ্রন্থ ও পত্রিকার সংগ্ৰহ দেখিলাম। ভারতবর্ষে এরূপ একটা লাইব্রেরী পাইলে আমাদের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকগণ যথার্থ উচ্চ শ্রেণীর কাৰ্য্য করিতে সমর্থ হন । এইরূপ গ্রন্থালয়ের অভাবে আমাদের অধিকাংশ কাৰ্য্যই মধ্যম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর পদার্থ থাকিয়া যাইতেছে। ইহাই ভারতীয় গ্রন্থকারের প্রণীত এবং ভারতে প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর যথোচিত সমাদর না হইবার অন্যতম কারণ। ভারতবর্ষের উত্তর দক্ষিণ পূৰ্ব্ব পশ্চিম অঞ্চলের নানা কেন্দ্র হইতে আজকাল সংস্কৃত প্রাকৃত বা পালিসাহিত্যের প্রচার হইয়া থাকে। ল্যানম্যান প্রত্যেক কেন্দ্রের নামই জানেন। ইহার গৃহে সকলস্থানের প্রকাশিত গ্রন্থাবলী দেপিতে পাইলাম। আমরা ভারতবর্ষে থাকিয়াও সকল গ্রন্থাবলী একসঙ্গে চোখে দেখিয়াছি কি ? ল্যানম্যান ভারতীয় প্রকাশক ও সম্পাদকগণকে তিরস্কার করিয়া বলিলেন—“মহাশয়, এইসকল গ্রন্থমালা সম্পাদনে যথেষ্ট পাণ্ডিত্য প্রযুক্ত হইতেছে সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতে বাধ্য। কিন্তু এরূপ বিক্রভাবে গ্রন্থ প্রকাশ করিবার রীতি বোধ হয় জগতে আর কোথাও নাই। আজকাল জ্ঞানের রাজ্য প্রতিদিন বাড়িয়া যাইতেছে—কম সময়ে প্রত্যেককে বেশী কাজ করিতে হইবে। কোন একটা খুঁটিনাটি লইয়া সময় খরচ করা অসম্ভব। .কিন্তু ভারতে প্রকাশিত কোন গ্রন্থের মলাটে