পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ २२ বৃক্ষের তলে বসিয়া সম্বুদ্ধ হইবার পূৰ্ব্বে এইরূপ অনুভব করিয়াছিলেন— [: হইতে সংস্কার-সকল (কৰ্ম্ম) উৎপন্ন হয়। পূৰ্ব্বজন্ম{সংস্কারসকল হইতে বিজ্ঞান (আত্মবোধ ) উৎপন্ন | ट्ध्न | বিজ্ঞান হইতে নামরূপ ( মন ও দেহ ) উৎপন্ন | श्य । নামৰূপ হইতে বাড়তেন (পাচ ইঞ্জিরে এবং মনের কার্য্যক্ষেত্র ) উৎপন্ন হয় । বৰ্ত্তমান যড়ায়তন হইতে স্পর্শ উৎপন্ন হয়। জীবন স্পর্শ হইতে বেদন (বাহ পদার্থের উপলব্ধি) উৎপন্ন হয়। বেদনা হইতে তৃষ্ণ উৎপন্ন হয়। তৃষ্ণা হইতে উপাদান ( আসক্তি ) উৎপন্ন হয়। (উপাদান হইতে ভব ( হওয়া ) উৎপন্ন হয়। ভব (হওয়) হইতে জাতি (জন্ম) উৎপন্ন হয়। জাতি হইতে জরা, মরণ, শোক, পরিদেব ছ:থ, বিষাদ, এবং নৈরাশ্য উৎপন্ন হয় । এইরূপে মহান দুঃথস্কন্ধ বা দু:খসকল উৎপন্ন হয় " * এই কাৰ্য্য-কারণ-স্ব ত্রবদ্ধ স্বাদশটি তথ্য "প্রতীত্যসমুংপাদ" বা নিদান ( মহানিদান ) নামে পরিচিত। চন্দ্ৰকীৰ্ত্তি নাগাৰ্জুনের "মূলমধ্যমক কারিকার" "প্রসন্নপদ।” নামক বৃত্তির স্বচনায় লিথিয়াছেন— "প্রতীত্য শব্বোহক্র ল্যবন্ত: প্রাপ্তাবপেক্ষায়াং বৰ্ত্ততে। সমুংপূর্ব পদি প্রাদুর্ভাবাৰ্থ ইতি সমুংপাদ শব্দ, প্রাদুর্ভাবে বৰ্ত্ততে। ততশ্চ হেতু প্রত্যয়াপেক্ষে ভাবানামুংপাদ: প্রতীত্যসমুংপাদার্থ ।" "প্রতীত্য" শব্দ এখানে লাপ প্রত্যয়ান্ত এবং প্রাপ্তি বা অপেক্ষ অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। সমুংপূর্বক পদ ধাতুর অর্থ প্রাদুর্ভাব বা উৎপত্তি। এখানে "সমুংপাদ” শব্দ উৎপত্তি অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। অতএব প্রতীত্য-সমুংপাদ শব্দের অর্থ কারণাধীনে ভাবনিচয়ের উৎপত্তি ( dependent origination ) দ্বাদশ নিদানের নানাপ্রকার ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে। * রাজেন্দ্রলাল মিত্রসম্পাদিত "ললিতবিম্বার" নয়=#ৰ পৃ: Senart সম্পাদিত "মহাবস্তু অবদানম, "Vol. III, p. 448, পরজন্ম প্রবাসী—শ্রাবণ, *७२२ SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS---------SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSJSSSJSJSS [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড いヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ。 তন্মধ্যে পালিপিটকের ব্যাখ্যাই প্রাচীনতর। বুদ্ধঘোষের মতে দ্বাদশনিদানের প্রথম দুইটি অবিদ্যা ও সংস্কার, পূৰ্ব্বজন্ম সম্বন্ধে কথিত হইয়াছে।" পূৰ্ব্বজন্মের অবিদ্যার বা অজ্ঞানের ফলে সংস্কার ব৷ কৰ্ম্ম সঞ্চিত হয়। সেই কৰ্ম্মের ফলে বিজ্ঞান উৎপন্ন হইয়৷ মাতৃগর্ভে প্রবেশ করে। } মাতৃগর্ভে বিজ্ঞান নাম ও রূপ অর্থাং মন ও শরীর উৎপাদন করে। এই বিজ্ঞান উপনিষদ্ভুক্ত আত্মার স্থলবর্তী নিত্য বস্তু নহে, অনিত্য ক্ষণভঙ্গুর বস্তু , সংস্কার হইতে ইহার উৎপত্তি এবং নামরূপের উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গে ইহার বিলয় দ্বাদশনিদানে নিবদ্ধ কারণবাদের বিশেষত্ব এই— ইহাতে মূলকারণস্বরূপ কোন পদার্থের ( পরমাত্মা, ঈশ্বর) অস্তিত্ব স্বীকৃত হয় নাই, পরবর্তী ঘটনার কারণ পূৰ্ব্ববর্তী ঘটনা এইমাত্র বলা হইয়াছে। পূৰ্ব্ববর্তী ঘটনা বা অবস্থা হইতে কেন পরবর্তী ঘটনা বা অবস্থা উৎপন্ন হয়, এই "কেনর" উত্তরে বৌদ্ধগণ বলেন “হয় বলিয়াই হয়, এইরূপ হওয়াই বিশ্বের নিয়ম।” প্রতীত্যসমূংপাদকে দুই হিসাবে দেখা যাইতে পারে। এক হিসাবে এই নীতির দ্বারা জীবনরহস্য এবং জগৎরহস্য উদঘাটিত হইয়াছে। মনুষ্যজীবন বা জন্মজন্মান্তর দ্বাদশ নিদানে নিয়মিত। বাহা জগতের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই, তাহ এই নিদানেরই অন্তভূত। বিজ্ঞান হইতে নামরূপের উৎপত্তি ; নামরূপ হইতে চক্ষু কৰ্ণ নাসিকা জিহব ত্বক ও মন এই ষড়, ইন্দ্রিয়ের আয়তনের বা বিষয়ের উৎপত্তি। জড়জগৎ পঞ্চম ইন্দ্রিয়ের আয়তন এবং ভাবজগং মনের আয়তন ; উভয়ই নামরূপ হইতে উৎপন্ন এবং বিজ্ঞানমূলক। আর এক হিসাবে দ্বাদশ নিদানে জীবনের সকল দুঃখের রহস্য উদঘাটিত হইয়াছে। পালিপিটকে এবং সংস্কৃতপিটকে প্রতীতা সমূৎপাদ উল্লেখ করিয়াই এইরূপ উপসংহার-বাক্য প্রদত্ত । হইয়াছে—“এবমস্ত মহতো দুঃখ স্কংধন্ত সমুদয়ে৷ ভবতি।" "এইরূপে মহান দুঃখসকল উৎপন্ন হইয়াছে।” গৌতম বোধিদ্রুমের তলায় বসিয়া যেমন দুঃখের কারণ অমৃভব

  • Rhys Davids “Dialogues of the Buddha,' part II.

London, 1910, p. 26, note 1. SS BBB BB BBBBB BBBB BBB BBB SDDSDDDSS *S*" on 1 Dialogues, II, pp. 42-61. gर्ष नरवTा ] ാSumitaBot (আলাপ) ০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ক্ষরিয়াছিলেন তেমন দুঃখ নিরোধের অনুভব করিয়াছিলেন। যথা— "অবিদ্যার নিরোধ হইতে সংস্কারের নিরোধ হয়। সংস্কারের নিরোধ হইতে বিজ্ঞানের নিরোধ হয়। বিজ্ঞানের নিরোধ হইতে নামরূপের নিরোধ হয়। নামরূপের নিরোধ হইতে ষড়ায়তনের নিরোধ হয়। ঘড়ায়তনের নিরোধ হইতে স্পর্শের নিরোধ হয়। ম্পর্শের নিরোধ হইতে বেদনার নিরোধ হয়। | বেদনার নিরোধ হইতে তৃষ্ণার নিরোধ হয়। কৃষ্ণার নিরোধ হইতে উপাদানের নিরোধ হয়। উপাদানের নিরোধ হইতে ভবের নিরোধ হয়। ভবের নিরোধ হইতে জাতির নিরোধ হয়। জাতির নিরোধ হইতে জরামরণের নিরোধ হয়। জরামরণের নিরোধ হইলে শোক, সন্তাপ, দুঃখ, বিষাদ - এবং নৈরাশ্বের নিরোধ হয়। এইরূপে কেবল মহান দুঃখনিচয়ের নিরোধ হয়।" প্রতীত্যসমূংপাদে দুঃখের উৎপত্তি এবং নিরোধ কথিত হইয়াছে। গৌতমৰুদ্ধের কথিত চারিপ্রকার আর্য্যসত্যের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সত্যের সহিত প্রতীত্যসমুংগাঙ্গের সম্বন্ধ রহিয়াছে। গৌতমৰুদ্ধ ধৰ্ম্মচক্রপ্রবর্তন-হুত্রে এই জাৰ্যসত্য-চতুষ্টয় ব্যাখ্যা করিয়া গিয়াছেন। উরুবেলায় অশ্বখ গাছের তলায় বুদ্ধত্ব লাভ করিয়া বুদ্ধ স্বারাণসীতে মৃগদাবে যাইয়া আজ্ঞাত কৌশুিণ্যাদি পঞ্চভস্রবগাঁয়ের নিকট যে প্রথম উপদেশবাক্য বলেন তাৰা ধৰ্ম্মচক্রপ্রবর্তনস্থত্র নামে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে । সঙ্কল সম্প্রদায়ের বেীদ্ধের মতে ইহাই বুদ্ধের প্রথম বক্তৃত। পালিভাষায় -এই বক্তৃত বা স্বত্র তিনস্থানে লিপিবদ্ধ ইয়ছে। মহাবস্তু অবদানে এবং ললিতবিস্তরে এই ইত্রের সংস্কৃত অনুবাদ প্রদত্ত হইয়াছে। ধৰ্ম্মচক্রপ্রবর্তনস্থজের সারকথা এই— "হারা প্রত্ৰজ্য গ্রহণ করেন তাহারা দুই সীমা আশ্রয় বরিয়া চলিতে পারেন। সেই দুই সীমা কি ? এক সীমা ৰামাৰন্থর উপভোগ, ইহা নিরর্থক। আর এক সীমা গিৰীক্ষার; ইহাও নিরর্থক। তথাগত এই দুই সীমান্ত 1" করিয়া নিৰ্ব্বাণের মধ্যম প্রতিপদ বা মধ্যপথ » R গৌতম বুদ্ধের ধর্থ - ০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) ০৮:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) বা নিবারণের কারণও আবিষ্কার করিয়াছেন। সেই মধ্যমা প্রতিপদ কি ? এই ৫২৩ অষ্টাঙ্গিক মার্গ সেই মধ্যম প্রতিপন্ধা। যথা সম্যকৃষ্টি, সম্যক সঙ্কল্প, সম্যক ব্যায়াম, সম্যক্ কৰ্ম্ম, সম্যক্ আজীব বা সদ্বপায় অবলম্বন করিয়া জীবিকানিৰ্ব্বাহ করা, সম্যক বাক্য, সম্যক্ স্মৃতি এবং সম্যক্ৰ সমাধি। "চারি প্রকার আর্যসত্য। চারি প্রকার আর্যসত্য কি ? দুঃখ, দুঃখ-সমুদয়, দুঃখের নিরোধ এবং দুঃখনিরোধগামিনী প্রতিপদ বা পন্থা। দুঃখ কি ? জন্ম দুঃখকর, জর দুঃখকর, ব্যাধি দুঃখকর, অপ্রিয় বস্তুর সহিত যোগ দুঃখকর, অভিলষিত বস্তু না পাওয়া দুঃখকর ইত্যাদি। ॐशश् छ्:श्र-श्रीगामऊा ।। ८य क्लक्ष छद्मारुद्र धüब्र, ८स्रांश्नমুগে রত করে তাহাই দুঃখের উৎপত্তির কারণ ; তাহাই দুঃখসমুদয়-আৰ্যসত্য। যে বৈরাগ্য এই তৃষ্ণাকে দমন করে, তাহাই দুঃখের নিরোধ করে, তাহাই দুঃখনিরোধআৰ্যসত্য। সম্যকৃষ্টি প্রভৃতি এই যে অষ্টাঙ্গিক মাৰ্গ, ইহাই দুঃখনিরোধের - পথ, ইহাই দুঃখনিরোধ-গামিনীপ্রতিপদা-আর্য্যসত্য। এই চারিপ্রকার আর্য্যসত্যের কথা কেহ কথনও শোনে নাই। ইহা প্রথমতঃ তথাগতের মনে উদয় হয়। এই চারিপ্রকার আর্য্যসত্যের জ্ঞানের বলে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন।” - স্বাদশ নিদান এবং আৰ্যসত্য-চতুষ্টয় বুদ্ধের প্রচারিত ধৰ্ম্মের সার কথা। এই সার কথার আবার যাহা সার তাহা এই প্রসিদ্ধ শ্লোকে নিবদ্ধ হইয়াছে— "যে ধৰ্ম্ম হেতুপ্রভবা হেতুন্তেষাং তথাগতো। হবদত্তেষাং চ যে নিরোধে এবং বাদী মহাশ্রমণ: " "যে-সকল বস্থ (ধৰ্ম্ম) কারণ হইতে উৎপন্ন (হেতুপ্রভব ) তথাগত তাহদের কারণ এবং যে প্রকারে তাহাদের নিরোধ হয় তাহ বলিয়াছেন। মহাশ্রমণ এই প্রকারই বলিয়াছেন।" এখন আলোচ্য, এই মতের মূল কোথায়, এই মত কোথা হইতে আসিল ? ৩। বুদ্ধের ধৰ্ম্ম ও উপনিষদ। বুদ্ধের এই ধৰ্ম্মমতের উৎপত্তি সম্বন্ধে দুই প্রকার মতবাদ চলিয়া আসিতেছে। একমত, ইহা উপনিষদ্ধ হইতে সাক্ষাৎসম্বন্ধে উৎপন্ন—উপনিষদ হইতে কিছু কিছু উপাদান আহরণ :