পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tఫెు soxfyîì—vi *へヘヘヘヘヘヘヘヘヘ -- धराग-डाज, ర్సి [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড িতখন নগেনকে লইয়া পুস্তকাগার দেখাইতে বা এই সময়ে সমে একটা ছক পড়িালে ছিলেন তাহার সহিত দেখা হইল না। (s) ইহার পর হইতে নগেন ঘন ঘন দিদির বাড়ী যাতায়াত করিতে স্বরু করিল। নিৰ্ম্মল গম্ভীর প্রকৃতির ርሻሂጃ ! দিদির অনুরোধে নগেনের সম্মুখে বাহির হইত বটে কিন্তু কথাবাৰ্ত্ত কহিত না। নিৰ্ম্মল উপস্থিত না থাকিলে দিদির সহিত নগেনের গল্পগুজব তেমন জমিত না। নিৰ্ম্মলের উপস্থিতিতে নগেন ভোলার কথা বড় একটা উত্থাপন করিত না। নগেনের হাসি তামাস ও গল্প শুনিতে তাহার যে কিছুমাত্রও আগ্রহ আছে, নিৰ্ম্মল তাহ কোন ক্রমেই প্রকাশ পাইতে দিত না। নগেন পরমোৎসাহে ৰকি যাইত এবং নিৰ্ম্মল একথান পুস্তক খুলিয়া তাহার অক্ষরগুলার প্রতি নতদৃষ্টি স্থাপন করিয়া বসিয়া থাকিত। তাহার এইরূপ মধুর ঔদাসীন্যে নগেন তাহার প্রতি অধিকতর আকৃষ্ট হইত। বুদ্ধিমতী দিদি যে একথা বুঝিতেন না তাহা নহে। তবুও তিনি মধ্যে মধ্যে নগেনকে আড়ালে জিজ্ঞাসা করিতেন-কেমন রে, আমার ননদকে তোর পছন্দ হয় ? নগেন হাসিয়া কহিত-পাগল । ভোল৷ কিন্তু সেই যে বিদায় লইয়াছিল তাহার পর আর আসে নাই। সেদিনেই সে আভাস পাইয়াছিল Co., এবাটীতে তাহার আগমন প্রার্থনীয় নছে। ভোলা আপনার সন্মান বাচাইয়া চলিতে জনিত । যে নিকটে থাকে সে প্রিয় হইতে পারে কিন্তু যে দূর সে সৰ্ব্বদাই সন্ত্রমের পাত্র। নৈকট্য ধীরে ধীরে অলক্ষিন্তে শ্রদ্ধা হ্রাস করে ; দূরত্ব ধীরে ধীরে শ্রদ্ধা সম্ম প্রতি এবং সৌন্দর্ঘ্য পরিবৰ্দ্ধিত করিয়া তুলে। মানুষ স্বভাবতঃ মিষ্ট্রী ( mystery) ভালবাসে । দূরত্বই সেই mystery: জন্মদাতা। শুধু পথের দূরত্ব নহে ; অত্যন্ত নিকটে থাকিয়াও একপ্রকারের দূরত্ব রক্ষা করিয়া চল বায়। সেইৰূপ দূরত্বই অধিকতর রহস্যময়। ভগবান আমাদের সৰ্ব্বাপেক্ষ নিকটে থাকিয়াও সৰ্ব্বাপেক্ষ দূর ; এইজন্যই বোধ হয় তাহাকে সকলে এত ভালবাসে । বর্ধমানে বন্য। ভোল মনে মনে বিতর্ক করিল—পরীক্ষা এখনও আসে নাই ; বন্যা কিন্তু আসিয়া পড়িয়াছে। হতরাং বন্যাটাই আগে দেখিয় আসা মাথ । ( & )

অপরাষ্ট্র। কলিকাতার একটা অপেক্ষাকৃত একটু বড় - গলির ধারে দোতলা একগান বাড়ী। উপরের ঘরের একটা জানালার ধারে বসিয়া কলnল কাপেটের উপর নাড়ুগোপাল তুলিতেছিল। ঘরের এককোণে চেয়ার হেলান দিয়া কল্যাণীর স্বামী রমেশ একখানা ইংরেজী নভেল পড়িতেছিল। সহসা উঠিয়া কল্যাণী রমেশের পিঠে হাত দিয়া কহিল –তোমার পড়া কি ছাই আজ আর শেষ হবে না? নভেলের নায়ক তখন একটা জটিল ফঁাদে পড়িয়া ঘোল থাইতেছিল। রমেশ বইখানা মুড়িয়া কল্যাণীর মুখের দিকে চাহিয়া কহিল—কি বলছিলে ? কল্যাণী –বলছিলুম তুমি আমাকে কতখানি । ভালবাস ? রমেশ একগাল হাসিয়া চেয়ার ছাড়িয়া উঠিয়া একটা স্ববৃহৎ প্রব্যের আয়তন দেখাইবার ভঙ্গীতে হাত দুইখান প্রসারিত করিয়া কহিল- এই এতখানি। কল্যাণী সহাস্তে কহিল—আচ্ছ, আমি না। বলব তাই করতে পার ? রমেশ একেবারে বার দুই তিন মাথা নাড়িয়া কহিল— নিশ্চয় । কল্যাণী রমেশকে জানালার দিকে টানিয়া লইয় গিয়া *९ि*-उद मै ८१ उअप्लाक नौत्र রঙের জাম গায়ে দিয়ে চলেছে, ওর সঙ্গে আলাপ করে। এস দেখি । রমেশ —যে ছকুম! কিন্তু খামক লোকটিকে হুজুর হাজির করতে মন সরছে না। কল্যাণী এক ঠেলা দিয়া কহিল—যাও, আমি বুঝি ডেকে আনতে বলছি ? R- ༤། রমেশ ফস করিয়া চাদরখানা গায়ে দিয়া, চটিজোড় পরিয়া বাহির হইয় গেল। রাস্তায় রিয়া বিনদা! ৫ম সংখ্যা ] - SMJMMMMM MMMMSJMAJJMAMMAMS বিন্দ ! বলিয়৷ হাকিতে ইকিতে লোকটির ছুটিতে লাগিল। খুব কাছাকাছি গিয়া আরও চীৎকার করিয়। স্থাকিল-আরে ও বিন্দী! শুনতেই পাওনা যে श३ ! ' লোকটি পিছন ফিরিয়া হতভম্ব হইয় দাড়াইল । রমেশ তাড়াতাড়ি বিনীতভাবে নমস্কার করিয়া কহিল— মাপ করবেন মশায়, ভূল হয়ে গেছে । পিছন থেকে আপনাকে দেখতে ঠিক আমার বিন্দার মত। ভদ্রলোকটি প্রতিনমস্কার করিল। - রমেশ কহিল—অপরাধ যদি না নেন ত মশায়ের নামটি জিগ্যেস করি। ভদ্রলোক – বিলক্ষণ ! আমার নাম শ্ৰীভোলানাথ রায় । রমেশ —এখানে থাকা হয় কোথায় ? ভোলা।—৭৩ নং নক্ষর নিয়োগীর লেন । মশায়ের নামটি ? - রমেশ । —আজ্ঞে, আমার নাম শ্রীরমেশচন্দ্র দে। যা’ হোক মশায়ের সঙ্গে আলাপ হ’ল, আপনাদের বাড়ীতে একদিন যাচ্ছি। নমস্কার ! ভোলা।—যাবেন বই কি ! নমস্কার ! ( & ) সেদিন ইউনিভার্সিটি হইতে ভোলা খবর পাইল যে, এবারেও সে ফেল, করিয়াছে। ফেলের সংবাদ স্বকৰ্ণে শুনিয়৷ চক্ষে অন্ধকার দেখে না এমন ছাত্র খুব কমই দেখা যায়। ভোল ভিড় হইতে কোন প্রকারে বাহির হইয়া আসিয়া গোলদীঘির একখানা বেঞ্চে বসিয়া দূর দিগন্তের দিকে শূন্তদৃষ্টিতে চাহিয়৷ রহিল। অনেকক্ষণ বসিয়া থাকিয়৷ সন্ধ্যার শীতল বাতাসে ধীরে ধীরে বাসায় ফিরিয়া আসিল । কাহারও সহিত দেখা করিল না। রাত্রি আটটার মধ্যে আলো নিবাইয়া শুইয়া পড়িল । সকালে নগেনের চিঠি পাইল। সে ভবানীপুর হইতে লিথিয়াছে—“দিদির বড় অসুখ বলিয়। এখন কিছুদিনের জন্য বাসায়همچنیزপারিতেছি না। কিছু মনে করিও না। ইতি শাঙ্গন " | 8 ভোলা অনেকক্ষণ ধরিয়া ভাবিয়া স্থির করিল, দিদিকে . - স্নেহহারা MMAMAMSMSMSMAMAMS -o ৫৯৭ একবার দেখিতে ধাওয়া উচিত। দিবা দ্বিপ্রহরের সময় সে বাস হইতে বাহির হইয়া পড়িল। ট্রামে গেলে পরিচিত লোকের সহিত সাক্ষাং হইবার সম্ভাবনা। সে বড় রাস্ত। ছাড়িয় গলির পথ ধরিয়া চলিতে আরম্ভ করিল। ফেলকরা ছাত্রদিগের প্রতি চতুৰ্দ্দিক হইতে যে অযাচিত সহানুভূতি বর্ধিত হয়, সেইটাই তাহদের পক্ষে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক অসহ্য হইয় উঠে। ভোলা মধ্যাহ্নের রৌদ্রে তিন ক্রোশ পথ ঠাটিয়া দিদির বাড়ী গিয়া উপস্থিত হইল। দিদি তখন স্বহস্তে হারমোনিয়ম বাজাইতেছিলেন। নগেন গান গাহিতেছিল। আশে পাশে দিদির কতকগুলি সহচরী মজলিস জমাইয়া বসিয়া ছিলেন। একটু দূরে নিৰ্ম্মল চেয়ারে বসিয়া একখানা বইএর পাতা উলটাইতেছিল । নগেনের সুর সপ্তমে চড়িবার উপক্রম করিয়াছে এমন সময় ঘৰ্ম্মাক্ত ভোলানাথ গৃহের দরজা গিয়া নিৰ্ব্বাক বিস্ময়ে श्द्रि इश्या ब्राज्राश्न्न ।. গীতবাদ্য তৎক্ষণাৎ বন্ধ হইয়া গেল। বেরসিক ভোলার মুখভঙ্গী দেখিয়া দিদি আর হাসি চাপিয়া রাখিতে পারিলেন না। সঙ্গে দিদির সর্থীরাও হাসিয়া উঠিলেন। কেবল নিৰ্ম্মলের স্বভাবগভীর মুখমণ্ডল আরও একটু গম্ভীর श्ग्रां ऊँठेिल । মগেন কাষ্ঠহাসি হাসিয়া কহিল—কি হে উপকারী, দিদির অসুখ শুনে কিছু উপকার করবার মতলবে নাকি ? ভোলা জোর করিয়া মুখে একটু হাসি আনিয়াছিল কিন্তু কথাটা শুনিয়া সেটুকুও লুপ্ত হইয়া গেল। তাড়াতাড়ি কহিল—ন, এইদিকেই একটা কাজে যাচ্ছিলুম ; মনে হল পাশের খবরটা তোমাকে দিয়ে যাই,—তুমি সেকেও ক্লাস অনার পেয়েছ । এই বলিয়াই ভোলা চলিয়া যাইতে উদ্যত হইল। নগেন প্রফুল্পভাবটা লুকাইবার চেষ্টা করিয়া কহিল—কি করে খবর পেলে ? তোমার খবর কি ? বসই নাহে একটু! ভোলা জলভরা মেঘখণ্ডের মত চলিয়া যাইতে যাইতে ' কহিল—ন, আমার একটু কাজ আছে। বহিৰ্ব্বাটীর প্রাঙ্গণে ছোট্ট একটা ফুলের বাগান ছিল। তাহারই বেড়ার ফঁাক দিয়া ছোট একখানি নিটোল কচিমুখ