পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৪ প্রতিজ্ঞ করিলেন। সম্রাট ধৰ্ম্মপাল সামগুরজাদিগকে সঙ্গে লইয়া কান্তকুঞ্জ রাজ্য জয় করিতে যাত্র করিলেন। এই যুদ্ধের মধ্যে গুর্জরের cभकिf झर्भ श्रागभ१ कब्रिप्ठ पाश्चात्र ऍन्ग॥५ कब्रि८७८झ ञानिग्न ধৰ্ম্মপাল উহার বাগদত্ত পত্নী কল্যাণীকে লইয়া প্রস্থান করিলেন ; পথে কল্যাণী অপহৃত ও ধৰ্ম্মপাল আহত হইয়া বন্দী হইয়াছিলেন। পরে ধৰ্ম্মপাল কল্যাণীকে লইয়া সেখান হইতে পলায়ন করিয়া নিজের সেনাलप्न मिजिठ श्रुँग्रो८श्य । ] তৃতীয় পরিচ্ছেদ । মিত্রতার মূল্য। গুর্জরসেন। যেমন বিদ্যুদ্বেগে আসিয়াছিল, তেমনই বিদ্যুদ্বেগে অন্তৰ্হিত হইল। নাগভট্ট আত্মরক্ষার জন্য সমস্ত গুর্জরসেন মরুভূমিতে ফিরাইয়া লইয়া গেলেন। বিমলনন্দী ও জয়বৰ্দ্ধন অবলীলাক্রমে বারাণসী ও প্রতিষ্ঠান পুনরধিকার করিলেন। ক্রমে চক্রায়ুধের সমগ্র অধিকার গৌড়ীয় সামন্তগণকর্তৃক বিজিত হইল। গৌড়েশ্বর সামন্তচক্র সমভিব্যাহারে গৌড়নগরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। গৌড়েশ্বরের বিবাহ। গৌড় নগর উংসব-সজ্জায় সজ্জিত হইয়াছে। সমগ্র সাম্রাজ্য-রাঢ় বঙ্গ মগধ ও গৌড়—উংস্থকচিত্তে নবীন সম্রাটের বিবাহ দিনের প্রতীক্ষা করিতেছে। সম্রাটের সহিত বৃদ্ধ উদ্ধৰ ঘোষ কল্যাণীকে লইয়া গৌড়ে আসিয়াছেন। প্রমথসিংহ, রণসিংহ, কমলসিংহ প্রমুখ রাঢ়ীয় সামন্তরাজগণ কল্যাণীর বিবাহের অপেক্ষায় গৌড়ে আছেন; বিবাহ সম্পন্ন হইলেই, তাহার। মহাকুমার বাক্পালের সহিত গুর্জররাজ্য আক্রমণ করিতে যাইবেন । প্রতিদিন রাজসভায় কলিঙ্গ, ওড়, কামরূপ ও চেদিরাজগণের দূতসমূহ উপহারসম্ভার লইয়া উপস্থিত হইতেছে। অদ্য রাজসভায় মহাসমারোহ, রাষ্ট্রকুটরাজ গোবিন্দের দূত যুদ্ধের সমাচার লইয়া দক্ষিণাপথ হইতে গৌড়ে আগমন করিয়াছেন। সম্রাট সভায় তাহার অভ্যর্থনা করিবেন সেই জন্য পাত্র মিত্ৰ কৰ্ম্মচারী সেনানী ও সৈনিকগণ প্রত্যুষে রাজসভায় উপস্থিত হইয়াছেন । নাগরিকগণ দলে দলে রাজপথে অসিয়া দাড়াইয়াছে, পুরমহিলাগণ শুভ্র লাজ ও শ্বেতপুপ বর্ষণ করিয়া ধূসরবর্ণ রাজপথ আচ্ছাদিত করিয়৷ निम्नां८छ्न। যখন তোরণে তোরণে দিবসের প্রথম প্রহরান্তে মঙ্গলবাদ্য বাজিয়া উঠিল, তখন নগর-প্রান্তের শিবির হইতে প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড সপ্তদশজন অশ্বারোহী নগর-তোরণে প্রবেশ করিল। সৰ্ব্বপ্রথমে গৌড়ের মহাপ্ৰতীহার পদব্রজে চলিয়াছেন, তাহার পরে দ্বাদশজন দণ্ডধর স্ববর্ণদণ্ড হস্তে চলিয়াছে। তাহাদিগের পরে শ্বেতবর্ণ বনাযুজ অশ্বগৃষ্ঠে শুভ্রবর্শ্ববৃত রাষ্ট্ৰকুটরাজদূত, তাহার পশ্চাতে শ্বেতবর্ণ অশ্বপৃষ্ঠে শুভ্রবর্শ্ববৃত যোড়শজন রাষ্ট্রকূট অশ্বারোহী এবং সকলের শেষে দলে দলে গৌড়ীয় অশ্বারোহী। মহাপ্ৰতীহার নগরে প্রবেশ করিবামাত্র সহস্ৰ সংক্স মঙ্গল-শঙ্খ বাজিয়া উঠিল, সহস্ৰ সহস্ৰ তুরী ও ভেরীর শব্দে নাগরিকগণের কর্ণ বধির হইল। বাতায়ন ও গবাক্ষ হইতে শ্রাবণের বারিধারার ন্যায় রাশি রাশি শ্বেতপুপ ধৰ্ষিত হইতে লাগিল । শোভাযাত্র যখন প্রাসাদের তোরণে পৌছিল, তখন অশ্বারোহীগণ অশ্ব পরিত্যাগ করিলেন। প্রাসাদ-তোরণে মহানায়ক প্রমথসিংহ ও মহামন্ত্রী গর্গদেব তাহাদিগকে অভ্যর্থনা করিলেন। শ্বেতপুষ্প ও মুক্তার সুদীর্ঘ চন্দ্ৰাতপতল দিয়া মহাপ্ৰতীহার ও রাজদূত রক্ষীগণে পরিবৃত হইয়া সভামণ্ডপের দ্বারে আসিলেন। মণ্ডপের তোরণে কাকুঞ্জরাজ মহারাজাধিরাজ চক্রায়ুদ্ধদেব ও মহাকুমার পরম ভট্টারক মহারাজ শ্ৰীবাকৃপালদেব তাহাদিগের জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন । চক্রায়ুধ ও বাকৃপাল দূতকে মধ্যে লইয়া সভামণ্ডপে প্রবেশ করিলেন । তাহ দেখিয়া পরমেশ্বর পরম ভট্টারক পরম সৌগত মহারাজাধিরাজ ধৰ্ম্মপালদেব সিংহাসন ত্যাগ করিয়া দাড়াইলেন । সঙ্গে সঙ্গে সভামণ্ডপে সমবেত . জনসঙ্ঘ আসন ত্যাগ করিয়া দাড়াইল, সেনানী ও সৈনিকগণ আসি কোষমুক্ত করিয়া অভিবাদন করিল, সহস্ৰ সহস্ৰ শঙ্খ ঘণ্টা ও তুরী বাজিয়া উঠিল । রাজদূত সিংহাসনের বেদীর সম্মুখে উপস্থিত হইয়৷ তরবারি কোষমুক্ত করিয়া সম্রাটের চরণতলে স্থাপন করিলেন। বাকৃপাল ও চক্রায়ুধ স্ব স্ব অসি কোষমুক্ত করিয়া ললাটে স্পর্শ করাইলেন। সম্রাট রাজদূতের অসি নিজ মস্তকে স্পর্শ করাইয় তাহাকে প্রত্যপণ করিলেন এবং নিজ খড়গ কোয হইতে বাহির করিয়া তিন জনকেই অভিবাদন করিলেন। গৌড়েশ্বরের পিতৃদত্ত সি গুর্জর যুদ্ধে ভগ্ন হইয়াছিল, কিন্তু ধৰ্ম্মপাল তাহ পরিত্যাগ করেন নাই। ভগ্নশীৰ্ষ অসি দেখিয়া গৌড়ীয় সেনাগণ তুমুল ৫ম সংখT ] জীৱন করিয়া উঠিল। সামরিক রীতির অভিবাদনে সহস্ৰ সহস্ৰ আসি কোষমুক্ত হই। স্বৰ্য্যকিরণে জলিয়া উঠিল। তাহ দেখিয় সপ্তদশ রাষ্ট্রকুটীরের অসিও অভিবাদনের জন্য কোষমুক্ত হইল, দৈনিক ও নাগরিকগণ পুনঃ পুন: জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল। তদনন্তর সম্রাটের আদেশে সকলে আসন গ্রহণ করিলেন। রাষ্ট্রকুট রাজদূত বেদীর সম্মুখে দাড়াইয়া কহিলেন, "গৌড়েশ্বর, ধ্রুবের পুত্র গোবিন্দ, গোবিন্দের কৃপায় দক্ষিণাপথের যিনি একমাত্র অধীশ্বর, নারায়ণের রূপায় যিনি গুর্জর সমুদ্র মন্থন করিয়াছেন, কেশিমথনের দাসাচুদাস গোবিন্দ আপনাকে কিঞ্চিং উপহার প্রেরণ করিয়াছেন।" দূতের ইঙ্গিতে গৌড়ীয় মহাপ্রতীহার সভামণ্ডপের বাহির হইতে চারিজন উপহারবাহী রাষ্ট্রকুট পরিচারককে ডাকিস্থা আনিলেন। তাহার। বেদীর সম্মুখে চারিটি গুরুভার আধার স্থাপন করিল। রাষ্ট্রকূটদুত স্বহস্তে আধারের আবুরণ মোচন করিলেন, গৌড়েশ্বর ও সমবেত সভাসদগণ বিস্মিত হইয়া দেখিলেন যে আধার চতুষ্ট শত শত ভগ্ন অসি ও শিরস্ত্রাণে পরিপূর্ণ। এই সময়ে বৃদ্ধ ভীমদেব আসন ত্যাগ করিয়া বেদীর সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন এবং দূতকে অভিবাদন করিয়া কহিলেন, "দুতপ্রবর, আজ গৌড়েশ্বর সম্মানিত, ইহাই বীরের উপযুক্ত উপহার। মহারাজাধিরাজ রাষ্ট্রকূটরাজ গুর্জর যুদ্ধে লব্ধ ধনরত্ব মিত্রকে উপহার দিয়াছেন।" গৌড়েশ্বর আসন ত্যাগ করিয়া অভিবাদন করিলেন, সমবেত জনসঙ্ঘ উঠিয়া রাষ্ট্রকূটরাজের অপূৰ্ব্ব উপহারকে অভিবাদন করিল। গৌড়েশ্বর উপবেশন করিলে, রাষ্ট্রকূটরাজদূত পুনরায় কহিলেন, "মহারাজাধিরাজ, ধ্রুবের পুত্র গোবিন্দ, দাসামুদাসের মুখে সংবাদ প্রেরণ করিয়াছেন যে, নাগভট্টের রাজ্য প্রায় অধিকৃত হইয়াছে, মরুবেষ্টিত ভিল্লমালনগরী তাহার করতলগত হইলে দ্বিতীয় দূত আসিবে।" ধৰ্ম্মপাল কহিলেন, "উত্তম । রাষ্ট্রকূটরাজের নিকটে আমি দুশেছদ্য ঋণপাশে আবদ্ধ আছে।” দূত।-মহারাজাধিরাজ গৌড়েশ্বরের সেনানায়ক বিমলনন্দী ও জলাবৰ্দ্ধন যমুন ও চৰ্ম্মশ্বতীর মধ্যে বার বার গুর্জর*:fअब्राविड করিয়াছেন, তাহাদিগের বাহুবলে পঞ্চনদের গুর্জর নায়কগণ নাগভট্টের সঙ্গ ত্যাগ করিতে বাধ্য ধৰ্ম্মপাল


ぷペン。 হইয়াছেন। রাষ্ট্রকূটরাজের সমস্ত সেন নাগভট্টের রাজ্য আক্রমণ করিয়াছে। ধ্রুবের পুত্ৰ গোবিন্দ সবিনয়ে গৌড়েশ্বরকে পঞ্চনদে নুতন সেনা প্রেরণ করিতে অনুরোধ করিয়াছেন, গান্ধার হইতে কীর পর্য্যস্ত বিজিত হইলে গুর্জররাজচক্র অতি শীঘ্র দন্তে তৃণ ধারণ করবে।

ধৰ্ম্ম।— দৃতপ্রবর, বাকৃপাল অতি শীঘ্ৰ লক্ষাধিক সেন লইয়া পঞ্চনদ আক্রমণ করিবে । দূত —মহারাজাধিরাজের জয় হউক। ধ্রুবের পুত্র গোবিন্দ মিঞ্জরাজ গৌড়েশ্বরের নিকট একটি প্রার্থন জানাইয়াছেন, গৌড়েশ্বর-সমীপে তাহার একটি ভিক্ষ আছে । ধৰ্ম্ম —দুতপ্রবর, রাষ্ট্রকুটরাজ বোধ হয় আমাকে উপহাস করিয়াছেন, তাহার অনুগ্রহে আজি আমি উত্তরাপথের অধীশ্বর, তাহার অনুগ্রহে আজি ভণ্ডীর বংশধর কাম্বকুজসিংহাসনে উপবিষ্ট, তাহারই জন্য স্বন্দর গৌড়ীয় সাম্রাজ্য শ্মশানভূমিতে পরিণত হইতে পারে নাই, তিনি আমার নিকট কি প্রার্থনা করিবেন ? দূত —মহারাজাধিরাজ, দ্বাস দূত মাত্র, রাজ্যেশ্বর যদি রাজ্যেশ্বরকে উপহাস করিয়া থাকেন তাহ বুঝিবার ক্ষমতা আমার নাই। গৌড়েশ্বর, ধ্রুবের পুত্র গোবিন্দ সত্য সত্যই গৌড়েশ্বরের সমীপে কিঞ্চিৎ যাঞ্জা করিয়াছেন। ধৰ্ম্মপাল সিংহাসন ত্যাগ করিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন, এবং কোষ হইতে অসি ও মস্তক হইতে মুকুট গ্রহণ করিয়৷ রাষ্ট্রকূটরাজদূতের হন্তে প্রদান করিয়া কহিলেন, “দূত, মুকুটাপেক্ষা অধিক মূল্যবান দ্রব্য রাজার আর কিছুই নাই, খড়গ অপেক্ষ অধিকতর মূল্যবান ক্ষত্রিয়ের আর কিছুই নাই ; যদি গোবিন্দের আবশ্বক হয় তাহা হইলে পিতৃদত্ত মুকুট এবং বহু গুর্জরযুদ্ধে ভগ্ন অসি রাষ্ট্ৰকুট-সিংহাসনের সম্মুখে স্থাপিত হইবে। সভাসদগণ বিস্থিত হইয়া ধৰ্ম্মপালের কার্ধ্যকলাপ লক্ষ্য করিতেছিলেন, তাহার উক্তি শেষ হইলে সকলে সমস্বরে জয়ধ্বনি করিয়া উঠিলেন । রাষ্ট্রকূটদুত মুকুট ও খড়গ গৌড়েশ্বরের হস্তে ফিরাইয়া দিয়া অভিবাদন করিলেন এবং অতি বিনীত ভাবে কহিলেন, “মহারাজাধিরাজ, ধ্রুবের পুত্র - গোবিন্দের প্রার্থনা অতি সামান্য—“