পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯა&8

  • ーへヘヘヘヘヘヘヘ、ヘー、ヘ.ー。

সার্ভিয়ার আধুনিক স্ত্রীবেশ। - ক্রমশঃ কমিয়া আসিতেছে। এরূপ এক-একটি পরিবারে ৮• হইতে ১০০ জন লোক পৰ্য্যস্ত বাস করিত। এই বৃহৎ পরিবারের কৰ্ত্ত। কিন্তু একজন, তিনি যথেচ্ছাচারে সকলকে শাসন করিতেন। সেই সৰ্ব্বময় কৰ্ত্তার অনুমতি বিনা কেহ কেনাবেচা শস্তবপন বা কৰ্ত্তন ও বিবাহাদি করিতে পারিত না। সার্ভিয়ার একান্নবৰ্ত্তী পরিবারকে ‘জাডরুগা বলে—একান্নবৰ্ত্তী পরিবারের অস্থবিধা যেমন তেমনি সুবিধাও 'জাডরুগা'তে বিদ্যমান, যেমন বুদ্ধ অক্ষম ও অসহায়দের অন্নসংস্থান ও প্রতিপালন। মোটামুটি আরামে জীবনযাত্র নিপাহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসই সাভিয়াতে প্রচুর পরিমাণে মেলে, অভাব কেবল টাকার। তবে, তাহাতে বিশেষ আসে যায় না, কারণ প্রায় সব-কিছুই তারা নিজেরাই তৈরি করিয়া লয়। দেশে যখন রাস্ত তৈরি হয় তখন কৃষকদিগকে হয় কয়েক মুদ্র চাদ দিতে হয়, নয় বিনিময়ে দুই তিন দিন বেগার খাটিয়া দিতে হয়। সাধারণত: শেষোক্ত উপায়ই অবগম্বল করে। কৃষকেরা সাদা-সিধা ধরণের, কোনে আড়ম্বরের ধার ধারে না। ধনী কৃষকেরাও সাধারণ কৃষকের আয় প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩২২ ^ヘへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ সার্ভিয়ার আধুনিক পুরুষবেশ । [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ঘরে তৈরি মামুলি পোশাক পরে, আহারও করে তাদেরই মত । পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে সাভিয়ার লোকেরা খুব অতিথি-বৎসল। সকলেই বিদেশীকে সাদর অভ্যর্থনা করে। তাহাদিগকে ভালো খাবার থাইতে দ্যায়। অভ্যাগত আসিলে বিশেষ রকম ভোজের আয়োজন হয় এবং অভ্যাগতের কল্যাণে বাড়ীর লোকেরও সুখাদা জোটে বলিয়া সাভিয়ের বলে — অভ্যাগতকে আদর করিয়া অভ্যর্থন করা উচিত। ভোজের বিবিধ আহার্য্যের মধ্যে আগুনে-ঝলসানো মেযশাবক বা শূকরশাবকই প্রধান। সাভিয়ায় নানারকম পোশাকের প্রচলন আছে। সাভিয়ের নৃত্যগীতের বড় পক্ষপাতী। কখনো কখনো সারা সন্ধ্যাবেলাটা গান গাহিয়৷ কাটাইয়া দ্যায়। গানের সার্ভিয়ার নববিবাহিত দম্পতি । | ৫ম সংখ্যা] ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘベ・ヘ/い স্বর সাধারণতঃ বড়ই করুণ ও অলস–যেন ঘুমে ভরা। গানগুলি প্রায়শঃই প্রাচীন কালের ঘটনাবিশেষ অবুলম্বনে রচিত। সাভিয়ের নিকট ইতিহাস বড় প্রিয়, তাই তার রাষ্ট্রনীতির আলোচনা অপেক্ষ ইতিহাসের আলোচনাই বেশী করে । সার্ভিয়ায় নানান অদ্ভুত রকমের কুসংস্কারের প্রচলন দেখা যায়। নূতন বাড়ীর ভিত গাথিবীর সময় মাহুষের ছায়। ঐ ভিতের মধ্যে চাপা দেওয়া প্রয়োজন, এরূপ একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে। রাজ-মিস্ত্রীরা নানা ছলে কোনো লোককে ভূলাইয়া রোদের সময় সেই ভিতের পাশে লইয়া যায় এবং যেই ভিতের মধ্যে তার ছায়া পড়ে আমনি ছায়ার উপর ভিত গাথিয ফ্যালে। সাভিয়ের একটি ছায়-ধরা ব্যাপারের উল্লেখ করে—যে-ব্যক্তির ছায় ধরা পড়িয়াছিল সে রোদে চলিলেও তার আর ছায়া পড়িত না ! লোকটি অবিলম্বে মারা পড়িল এবং তারপর অবশ্য ভূত হইয়া সেইখানে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল । ভ্যাম্পায়ার বা কাল্পনিক রক্তপায়ী জীবের অস্তিত্বে বিশ্বাস প্রায় সকলেই করে । এই জীব মাহুষের আকার ধারণ করে, দেখিতে অতি সুন্দর। কি করিয়া শীকারের রক্ত পান করিবে এই সুযোগই সে সৰ্ব্বদা খুজিয়া ফেরে। গ্রামের মধ্যে এক সুদর্শন যুবক আসিয়া এক রূপসী যুবতীকে বিবাহ করিল এবং তারপর একদিন স্থবিধামত তাহার রক্ত পান করিয়া ভবলীলা সাঙ্গ করিয়া দিল, এমন গল্প প্রায়ই শোনা যায়। রস্থনের তাগা পরিয়া থাকিলে নাকি ভ্যাম্পায়ারের আক্রমণ হইতে রক্ষা পাওয়া যায় । সাভিয়ের ধৰ্ম্মভাব গভীর নয় ; গির্জায় যখন উপাসনা হয় তখন বাহিরে গির্জার উদ্যানে দাড়াইয়া থাকিলেই কৰ্ত্তব্য শেষ হইল বলিয় তাহারা মনে করে। তাহারা খুব নিয়মিত উপবাস করে, কিন্তু তাহাও সম্ভবত কুসংস্কার ও ভয়ের বশবৰ্ত্তী হইয়া, পাছে শাস্ত্র-নিয়ম লঙ্ঘন করিলে কোন দৈব বিপদ ঘটে । ধনীর অর্থ কাড়িয়া লইয়া দরিদ্রের দুঃখমোচন করে, রবিন হুডের মত এমন অনেক দস্থার কাহিনী শোনা যায়। সাভিয়ের যে-ভাবে দস্থ সম্বন্ধে আলোচনা করে ও মতামত পঞ্চশস্ত—হিন্দুর নীল নদীর উৎপত্তি আবিষ্কার 、ベ、ヘーヘーヘヘヘヘヘヘヘヘーヘヘヘヘ一ペーヘーへヘヘヘヘヘヘーへヘヘヘヘーへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ ૭&a প্রকাশ করে তাহা শুনিয়া মনে হয় আইন-কানুন ও শাস্তি - রক্ষার জন্য তাহাদের বিশেষ মাথাব্যথা নাই। - সার্ভিয়ার কর্তৃপক্ষেরা দস্থাদিগকে কঠোরভাবে দমন করে। তাহাদিগকে শীকারের মত তাড়া করিয়া ফেরে। ধরিতে পারলে বড়ই উল্লসিত হয়। ভারি ভারি লোহার শিকল পরাইয় তাহাদিগকে ভূগর্ভস্থ কুঠরিতে বন্ধ করিয়া রাখে । দোষ স্বীকার করাইবার জন্য কখনো কখনো বাসীবৃন্দ ও সৈন্যদল ক্রমশ: রাজা পিট উঠিয়াছে। - পঞ্চশস্ত । প্রাচীন হিন্দুদিগের নীলনদীর উৎপত্তিস্থান । - - - আজ-কাল নানাভাবে হিন্দুজাতির অতীত গৌরবকাহিনীর আলোচনা হইয়া থাকে। দেশী ও বিদেশী বহুসংখ্যক পণ্ডিত নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য অনুসারে হিন্দুদিগের সাহিত্য, দর্শন, অঙ্কশাস্ত্র, শিল্পকল, সমাজতত্ব প্রভৃতি বিষয়ে নানারূপ গবেষণা করিয়া থাকেন। কিন্তু হিন্দুর পুরাতন ভূগোলশাস্ত্র সম্বন্ধে এখন পৰ্য্যস্ত কেহ বড় একটা কোনও আলোচনা করিয়াছেন শুনা যায় না। এই বিষয়টির আলোচনার নিমিত্ত একশত বংসরেরও অধিক পূৰ্ব্বে একবার মাত্র চেষ্ট হইয়াছিল। সেই চেষ্টার প্রবর্তৃক কে এবং তাহা কিরূপ ফল প্রসব করিয়াছিল সেই সম্বন্ধে ব্যারিষ্টার প্রযুক্ত কাশীপ্রসাদ জয়সওলি এ এ মহাশয় মডার্ণ রিভিয়ু পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছেন । আমরা নিম্নে তাহারই সারসংগ্ৰহ করিয়া দিলাম । - অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ফ্রান্সিস উইলফোড় নামক ভারতীয় সৈনিক বিভাগের একজন ইংরেজ কৰ্ম্মচারী হিন্মুদিগের পুরাণগুলি যত্নসহকারে পাঠ করিয়া সেই সম্বন্ধে কতকগুলি উৎকৃষ্ট প্রবদ্ধ প্রকাশ করেন। তন্মধ্যে একটি প্রবন্ধে "হিন্দুর প্রাচীন গ্ৰন্থরাজি হইতে তথা সংগ্ৰহ করিয়া ইথিওপিয়ার কালী বা নীলনদীর সন্নিকটস্থ ইজিপ্ট ও অল্পান্ত স্থানের বিবরণ" লিখিয়াছিলেন। প্রবন্ধগুলি ১৭৯১ »: “afts- forts“ (Asiatic Researches) e«R fors F পরে ১৭৯৯ খঃ লওনে উহার পুস্তকাকারে পুনমুদ্রণ হয়। উইলফোর্ড যখন এদেশে ছিলেন হিন্দুদিগের মধ্যে পুরাতন ভূগোল সম্বন্ধে নানাঙ্কণ প্রচলিত ছিল। সেইসকল কথ ও অন্যায় স্থানে যাইয়া সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন এবং এইরূপ কথা সংগ্রহের - -