পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o এখন পৰ্য্যন্ত ফলবতী হয় নাই। ७१० নাম মাত্র ১.৭ । এই ১.৭ বৃদ্ধিও বাস্তবিক বৃদ্ধি নয় ; কারণ ১৯১১ সালের আদম-সুমারি অনুসারে যে লোকসংখ্যা জানা গিয়াছিল, তাহারই অনুপাতে এই বৃদ্ধি। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা ক্রমে বৰ্দ্ধমান—এই তিন-চার বৎসরে যত লোক বাড়িয়াছে তাহ ধরিয়া হিসাব করিলে ঐ ১.৭ বৃদ্ধিও পাওয়া যাইবে না। ইহা দেশনায়কের প্রশংসার কারণ নহে। একসময়ে লর্ড কারমাইকেল বাহাদুরের প্রথম শাসনকালে আমাদের আশ হইয়াছিল যে দেশে পানীয় জলের সুব্যবস্থা হইবে ; এখন পর্য্যন্ত সে আশা নিষ্ফল হইয়াই আছে। তবে ডিষ্ট্রাক্ট বোডের হাতে রোডসেসের সমস্ত টাক। যাওয়াতে ঐ আশ। সফল হইবার সম্ভাবনা লর্ড কারমাইকেলের দ্বারাই হইয়াছে ইহা স্বীকার করিতে হইবে তৎপরে দেশকে নিরুৎসাহ পদু দুৰ্ব্বল করিয়া ফেলিবার প্রধানতম যে কারণ ম্যালেরিয় তাহা বিদূরিত করিবার একাগ্র বিশাল প্রবল চেষ্টার আশাও দেশের প্রাচীন শিল্প পুনরুজ্জীবিত, এবং নূতন শিল্প প্রবর্তিত করিবার কোন সমুচিত আয়োজন এখনও হয় নাই। অনেকগুলি জেলাকে খণ্ড-বিখণ্ড করিবার প্রস্তাব হইয়াছে, এবং কার্য্যেও তাহ সম্পন্ন হইবে ; কিন্তু ইহা প্রজাদের ইচ্ছার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধেই করা হইতেছে । ইহা প্রজারঞ্জন নহে। কলিকাতা মিউনিসিপালিটিতে মুসলমানদিগকে স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন করিবার অধিকার দিবার যে প্রস্তাব হইয়াছে, তাহ উদারনীতিসম্মত নহে। এইরূপ সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধি নির্বাচন পঞ্চাবে সুফল প্রদ হয় নাই, তাহ গমণমেণ্টের পক্ষ হইতে স্বীকৃত হইয়াছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাল কাজ লর্ড কারমাইকেলের আমলে কিছুই হয় নাই, এরূপ অপ্রকৃত কথা আমরা বলিতেছি না। কিন্তু শাসননীতির পরিবর্তন, উদারনীতির প্রবর্তন হয় নাই বলিলে তাহার প্রতি অবিচার করা হয় না। আমাদের বিশ্বাস তাহার নিজের ইচ্ছামত কাজ করিবার স্বযোগ ও সুবিধা থাকিলে তাহার আমলে অনেক কাজ হইতে পারিত, কারণ আমরা জানি যে তিনি “সৌজন্তরঞ্জন" বটে। 、ヘヘヘヘヘヘヘヘヘノ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড সাহিত্যসম্মিলন ও বর্দ্ধমানরাজ । আগামী সাহিত্যাম্মিলনের সভাপতির পদে বৰ্দ্ধমানের মহারাজাধিরাজ বাহাদুর বৃত হইয়াছিলেন। কিন্তু তিনি । দেশের লোককে শিক্ষা দিয়া যে যুক্তি দেখাইয়৷ সেই গৌরবের পদ প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন তাহাতে তিনি আপন বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়া লোকের প্রীতি-ও-কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন । তাহার প্রত্যাখ্যানের তিনটি কারণ এই দেখাইয়াছেন যে—( ১ ) সাহিত সম্মিলনে উপস্থিত থাকিয় তাহার অভিজ্ঞত হইয়াছে, যিনি সভাপতি হইবেন তাহার বিশেষ পাণ্ডিত্য ও গবেষণা থাকা দরকার ;–ইহ এবং জীবিত প্রধান সাহিত্যসেবীদের মধ্যে অন্যতম, এ পদে অধিকার তঁহারই –তিনি এ পদ দাবী করিবার অনুপযুক্ত। (৩) গত সন্মিলন বৰ্দ্ধমানে হইয়াছিল, তাহার পরই তাহার নির্বাচন অশোভন ; অর্থাং গত বৎসর বৰ্দ্ধমানসম্মিলনে সমবেত সাহিত্যিকমণ্ডলী তাহার আতিথ্যে । সৌজঙ্গে যেরূপ প্রীত ও বাধ্য হইয়। ফিরিয়াছিলেন তাহারই । ফলে তাহার সৌজন্যের নিষ্ক্রয়ুস্বরূপ এই সম্মান, এষ্ট রূপ অনুমান অনেকে করিতে পারে ; অতএব ইহা তাহার অগ্রাহ। এই তিনটি যুক্তির মধ্যে মহারাজাধিরাজের অকপট সরলতা, স্পষ্টবাদিত, বিচক্ষণ প্রাজ্ঞতা প্রকাশ । তাহার নাই। (২) যিনি আজীবন একনিষ্ঠ সাহিত্যসেবক | পাইয়াছে। যাহারা অর্থকেই সকল গুণের আকর মনে । করিয়৷ অৰ্থশালিতার সমাদর করিতেই ব্যগ্র, মহারাজাধিরাজ । তাহাদিগকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়া জ্ঞানচক্ষু উন্মোচন করিয়া দিয়াছেন। আশা করি আমাদের এই শিক্ষা চিরকাল । স্মরণ থাকিবে এবং সেজন্য আমরা মহারাজের নিকট কৃতজ্ঞ থাকিব । সাহিত্য সম্মিলনের সভাপতি । মহারাজাধিরাজ পদত্যাগ করাতে নূতন সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করা আবশ্বক হইয়াছে। সাহিতাসম্মিলনের সভাপতি যে কেবলমাত্র সাহিত্যব্যবসায়ীরাই হইবার উপযুক্ত বা হইয়া থাকেন এমন নজির নাই। যাহার কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখাইয়া দেশের জ্ঞান ও T ৬ষ্ঠ সংখ্য। ] | বিবিধ প্রসঙ্গ—অসম্পূর্ণ একপেশে শিক্ষা ჯ?X SJSJSMMSMSJJMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSASAS SSAS SSAS SumitaBot (আলাপ)് ി.സി.സി.സഹപബ് বিদ্যার বৃদ্ধি করিয়াছেন, বিদেশের নিকট স্বদেশকে সম্মনিত ও পরিচিত করিয়াছেন তাহারা ও সভাপতি হইবার অধিকারী—যেমন ইহার আগে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও জগদীশচন্দ্র বসু মহাশয়ের নির্বাচিত হইয়া সাহিত্যসন্মিলনকে অলঙ্কত করিয়াছিলেন । সেই নজির অনুসারে আমর প্রস্তাব করি যে যি ন দেশে জাতীয়-ধারায় চিত্রবিদ্যাকে পুনরুজ্জীবিত করি নূতন পথে চালনা করিয়াছেন, শিল্পক্ষেত্রে বিদেশের কাছে যিনি আমাদের দেশের প্রতিনিধি, যিনি শিষ্যগণসহ জগংসভায় আমাদের চিত্রসম্বন্ধে বৰ্ত্তমান দীনত কিঞ্চিং পরিমাণে ও ঢাকিতে সমর্থ হইয়াছেন, সাহিত্য-ক্ষেত্রে ৪ ঘাইরে লেখনী চিত্রময়ী ভাষার ইন্দ্র জাল রচনা করিতে সিদ্ধ, সেই শিল্পগুরু শ্ৰীযুক্ত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় এবারকার সাহতাসম্মিলনের সভাপতি নির্বাচিত হউন । যদি কেহ অবনীন্দ্রনাথের বয়োবৃদ্ধতার অভাব লইয়া আপত্তি তুলেন তবে আমাদের দ্বিতীয় প্রস্তাব এই যে বয়োবৃদ্ধ ও জ্ঞানে গরীয়ান সাহিত্যের সাধক শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি অথবা শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রে মহাশয় সভাপতি নির্বাচিত হউন। ইহার তিনজনেই সম্যক্রুপে উপযুক্ত ও যথার্থ অধিকারী । কিন্তু আমাদের মতে এ বংসর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়কেই নির্বাচন করা উচিত। সাহিত্যসম্মিলনের সভাপতি নিবর্ণচনের প্রণালী | সাহিত্যসম্মিলনের সভাপতিনির্বাচনের প্রণালী একটা বিধিসঙ্গত প্রকৃষ্ট ধার অনুসারে নিদিষ্ট হওয়া উচিত। ঐ ক্ষমতা কেবলমাত্র স্থানীয় অভ্যর্থনীসমিতি অথবা সাহিত্যপরিষদের কার্যনিৰ্বাহক সমিতির হাতে থাকা উচিত নয়। অভ্যর্থনা-সমিতি, সাহিত্যপরিষং, সাহিত্যসভা প্রভৃতির ন্যায় বিবিধ সাহিত্যামিতি দুই তিনজন করিয়া উপযুক্ত লোকের নাম প্রস্তাব করিয়া পাঠাইবেন । এই প্রস্তাবের মধ্যে যাহার নাম অধিক সমিতি হইতে আসিবে সম্মিলিত সাহিত্যিকদের মতে তিনিই সম্মিলনের সভাপতি নির্বাচিত হইবেন । এইরূপ প্রণালীতে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হইয় থাকেন। এই প্রণালী বা প্রশ্লষ্টতর অন্যকোনো প্রণালী ভাবিয়া স্থির করিয়া দেশের অধিকাংশের মত লইয়। এই কাৰ্য সম্পন্ন হওয়া উচিত, তাহাতে কাহারও কিছু বলিবার থাকে না, কাহাকেও বচনীয় হইতেও হয় না। অসম্পূর্ণ একপেশে শিক্ষা। পূৰ্ব্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা ছিল যে ছাত্রদিগকে কিছুদিন পর্য্যস্ত সকল বিষয়ে একটা মোটামুটি জ্ঞান অর্জন করিয়া লইয়া পরে নিজের রুচি ও শক্তির এহুকূল কোনে বিশেষ পন্থ অবলম্বন করিতে দেওয়া হইত। ইহাতে তাহারা জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সহিত কিঞ্চিৎ পরিচিত হইয়া জগৎব্যাপার সহজে আয়ত্ত করিতে ও বুঝিতে পারিত। কিন্তু নূতন নিয়মে ছাত্রদিগকে অল্প বয়সেই নিজের রুচি ও শক্তির পরিচয় পাইবার পূৰ্ব্বেই জ্ঞানের । একটা বিশেষ শার্থী অবলম্বন করিতে হয়। ইহাতে তাহারা অপরাপর বিষয়ে একেবারে অজ্ঞ অন্ধ হইয়া থাকে। এ ব্যবস্থা পরিবর্তন করা নিতান্ত আবশ্যক। বিশেষজ্ঞ হইতে হইলে যে অপর বিষয়ে অজ্ঞ থাকিতে হইবে এমন ত কথা নয়। কিন্তু যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ব্যবস্থার পরিবর্তন না হইতেছে ততদিন অন্য উপায়ে ঐ ক্রটির কথঞ্চিং প্রতিকার হইতে পারে। আজকাল সকল সভ্য দেশেই একের জ্ঞানকে দশের জ্ঞান করিয়া তোলা হইতেছে ; কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একজন অধ্যাপক থাকিলে অপর দশটা বিশ্ববিদ্যালয় তাহাকে আমন্ত্রণ করিয়া লইয়া গিয় তাহার জ্ঞানের অংশভাজন হয়। তেমনই আবার বিশেষজ্ঞেরা সৰ্ব্বসাধারণের জন্য বক্তৃতা দিয়৷ «tça: Estrą University Extension xifrবিদ্যালয়ের প্রসারবৃদ্ধি বলে। সেইরূপে College Extension অর্থাৎ কলেজের প্রসারবৃদ্ধি করা যাইতে পারে। কলেজের ছাত্রগণ দুই শাখায় বিভক্ত—আর্টস ও সায়ান্স। প্রত্যেক কলেজ ব্যবস্থা করিবেন কলেজের সময়ের পরে আর্টস ছাত্রদের বংসরে কয়েকদিন ধরুন ১২টা বকৃত দ্বার সহজ ভাবে মোটামুটি রকমে সায়ন্সের মূল