পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৮২ প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২২ বড়োদায় শিক্ষাবিস্তার। ১৯১৩-১৪ সালের শিক্ষাবিবরণী হইতে আমরা জানিতে পারি যে বড়োদ রাজ্যের মোট ২০,২৯,৩২০ জন লোকের মধ্যে ১৮,৬১,১৬৮ জন লোকের শিক্ষার ব্যবস্থ করা হইয়াছে। সহর ও গ্রামের সংখ্যার অনুপাতে কলেজ স্কুল পাঠশালা প্রভৃতির সংখ্যা শতকরা ৯৯৭। ইংরেজ-শাসিত ভারতবর্ষে ১৯১১-১২ সালে ঐ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩• ইহা হইতে দেথা যাইতেছে যে বড়োদায় প্রায় প্রত্যেক গ্রামে পৰ্য্যন্ত একটি করিয়া বিদ্যালয় আছে, কিন্তু ব্রিটিশ-ভারতে শতকরা ৭০টি জায়গায় কিছুই নাই। বড়োদায় বালক-বালিকারা লেখাপড়া শিখিতে আইন অনুসারে বাধ্য-বালককে ১৪ বৎসর পর্য্যন্ত ও বালিকাকে ১২ বৎসর পর্যন্ত পঞ্চম মান অবধি লেখাপড়া শিথিতেই হইবে। ভারতবর্ষের অপরাপর করদ রাজ্যেও এইরূপ ব্যবস্থা হওয়া উচিত। কোথাও কোথাও হইতেছে। এবং আমরাও বহুকাল হইতে ভারতগভমেণ্টের নিকট এইরূপ প্রার্থনাই করিয়া আসিতেছি। শিক্ষা সকল দুঃখ দুৰ্গতির মূল নষ্ট করে ; সেই শিক্ষা আমাদের চাইই-চাই । সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ । ভারতবর্ষে শিক্ষার উন্নতি যতই মন্থর গতিতে হোক একটা জিনিস খুব দ্রুত চলিতেছে—সরকারী আদেশে সংবাদপত্রের মুখ বন্ধ করা হইতেছে। এপক্ষে পেনাল কোড যথেষ্ট না মনে করিয়া সিডিশান বা রাজদ্রোহ আইন পাশ করা হয়, তাহাতেও তৃপ্তি না হওয়াতে সংবাদপত্রের জন্য বিশেষ আইন করা হয়— প্রত্যেক কাগজওয়ালীকে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে একরারনাম দিতে হইবে এবং ম্যাজিষ্ট্রেট ইচ্ছা করিলে তাহার নিকট হইতে নগদ জামিন আদায় করিয়া ছাড়িতে পারেন, এবং পুলিশের আবেদন অনুসারে সেই জামিনের পরিমাণ বৃদ্ধি বা জামিন বাজেয়াপ্ত করা যাইতে পারে। তাহার উপর আবার দেশরক্ষ-বিষয়ক নূতন আইন পাশ হইয়াছে। এক্ষণে প্রায়ই শুন যাইতেছে কোনো কাগজের জামিন বৃদ্ধি করা হইতেছে, কোনোটাকে বন্ধ করিয়া দেওয় হইতেছে ; এবং জামিন চাওয়ার জন্যও কোনো কোনো কাগজ আপনিই বন্ধ হইয়া যাইতেছে। হাইকোর্টের বিচারপতি সার লরেন্স জেঙ্কিন্স মহোদয় "কমরেড’ কাগজের মামলা উপলক্ষ্যে বলিয়াছিলেন যে ঐসব আইন অত্যন্ত অস্পষ্ট, সুতরাং ইচ্ছা করিলে অনেক রকম মানে করা যাইতে পারে এবং খুব উংকৃষ্ট লেখকের উংকৃষ্ট গ্রন্থ সম্বন্ধে এই আইন খাটনি যাইতে পারে। স্বতরাং রাজকৰ্ম্মচারীদের খেয়াল খুলীর উপর সংবাদপত্রের টিকিয়৷ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড থাকা না-থাক নির্ভর করিতেছে। ভারতবর্ষের রাজকৰ্ম্মচারীর প্রায়ই অকারণে আতঙ্কে শিহরিয়া উঠিয়া রাজদ্রোহের সম্ভাবনা দেখিতেছেন ও সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করিবার ব্যবস্থা করিতেছেন। ব্রিটিশ রাজত্ব কি এমনই ঠুনকে যে দু-একটা সংবাদপত্রের ফাক কথার ধাক্কাতেই ভাঙিয়া যাইবে ? সংবাদপত্রের সম্পাদকের কি এমনই স্বার্থাদ্ধ ও নিবেধি যে তাহারা থামথ রাজদ্রোহের ঘোষণা করিতে থাকিবে ? দেশের অভাব অভিযোগ রাজকৰ্ম্মচারীদের কর্ণগোচর করা বা দেশের লোকের দেশশাসন করিতে ভাগ চাওয়ার দাবী রাজদ্রোহ নহে। ভারতবাসী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে ব্রিটিশ প্রজার পূর্ণ অধিকার চায় এবং সেই অধিকার চাওয়৷ কিছু রাজদ্রোহ নহে। মাহুষের জন্মগত অধিকার যাহা সেই স্বায়ত্ত-শাসন ভারতবর্ষ বহুকাল হইতে দাবী করিয়া আসিতেছে ; ভারতবাসী যে সে কার্য্যের সম্পূর্ণ উপযুক্ত তাহ আর প্রমাণ-সাপেক্ষ নহে, প্রমাণিত হইয়া চুকিয়াছে ; বর্তমান যুদ্ধে বিশেষ করিয়া প্রমাণিত হইয়াছে যে ভারতবাসীর ধনপ্রাণ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কল্যাণের জন্য অকাতরে ব্যয়িত হইতে প্রস্বত হইয়াই আছে। এথনো ভারতবাসীকে মানুষের অধিকারে বঞ্চিত রাপিয়া তাহাদের মনের ভাবকে নানান আইনের জগদল পাথর দিয়া চাপিয়া রাখা গভমেণ্টের উচিত হইতেছে না। ভারতবাসী বিশ্বাস ও সমান অধিকার পাইলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য চতুগুণ বলশালী হইয়া উঠিবে। সাহিত্য সম্মিলনের সভাপতি নিয়োগ } আমরা শুনিয়া আনন্দিত হইলাম যে ঐযুক্ত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় সাহিত্যসম্মিলনের সভাপতি নিৰ্বাচিত হইয়াছেন। নিৰ্ব্বাচন উপযুক্ত ও উত্তম হইয়াছে। আমরা শাস্ত্রী মহাশয়ের নাম আমাদের প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখ করিতে পারি নাই, তাহার কারণ তিনি বহুকাল হইতে অত্যন্ত অসুস্থ আছেন; তিনি সভাপতির গুরু কাৰ্য্য করিতে পারিবেন কি না আমাদের আশঙ্কা ছিল ; তিনিও ঐ পদ গ্রহণ করিবার সময় নিমন্ত্রণকৰ্ত্তাদের ঐ কথাই বলিয়াছেন শুনিলাম, যে, “আমার শরীর কথন কেমন থাকে ঠিক নাই, তথাপি আমি এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিলাম।” আমরা আশা করি তিনি সুস্থ থাকিয়া সম্মিলনের কার্য্য পরিচালনা করিতে পারিবেন। - গোলাপচন্দ্র শাস্ত্রী। গোলাপচন্দ্র সরকার, শাস্ত্রী, এম-এ, বি-এল, মহাশয়ের মৃত্যুতে বঙ্গদেশ একজন উচুদরের পণ্ডিত, বিজ্ঞ উকিল, হিন্দু-আইনের বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষক হারাইল। তাহার বিয়োগে বহু দিকে ক্ষতি হইল । | ৬ষ্ঠ সংখ্যা ] میمیای مرمری-می-مم দেওয়া নেওয়া তুমি দেবে, তুমি মোরে দেবে, গেল দিন এই কথা নিত্য ভেবে ভেবে। সুখে দুঃখে উঠে নেবে বাড়ায়েছি হাত দিন রাত ; কেবল ভেবেছি, দেবে, দেবে, আরো কিছু দেবে। দিলে, তুমি দিলে, শুধু দিলে ; কন্তু পলে পলে তিলে তিলে, কন্তু অকস্মাং বিপুল প্লাবনে দানের শ্রাবণে । নিয়েছি, ফেলেছি কত, দিয়েছি ছড়ায়ে, হাতে পায়ে রেখেছি জড়ায়ে জালের মতন ; দানের রতন লাগিয়েছি ধূলার খেলায় অধত্বে হেলায়, আলস্যের ভরে ফেলে গেছি ভাঙা খেলাঘরে । তবু তুমি দিলে, শুধু দিলে, শুধু দিলে, তোমার দানের পাত্র নিত্য ভরে উঠিছে নিখিলে। অজস্র তোমার সে নিত্য দানের ভার আজি আর পারিনা বহিতে । পারিনা সহিতে এ ভিক্ষুক হৃদয়ের অক্ষয় প্রত্যাশা, স্বারে তব নিত্য যাওয়া-আসা । যত পাই তত পেয়ে পেয়ে তত চেয়ে চেয়ে পাওয়া মোর চাওয়া মোর শুধু বেড়ে যায় ; ס\ দেওয়া নেওয়া wore . ASA SSASAS MSMSM MS MS MMSMS SMSMSSSSSSS S S S S S S অনন্ত সে দায় সহিতে না পারি হায় জীবনে প্রভাত সন্ধ্য ভরিতে ভিক্ষায়। লবে তুমি, মোরে তুমি লবে, তুমি লবে, এ প্রার্থন পুরাইবে কবে ? শূন্য পিপাসায় গড়। এ পোলাখানি ধূলায় ফেলিয়া টানি,— সারা রাত্রি পথ,চাওয়া কম্পিত আলোর প্রতীক্ষার দীপ মোর নিমেষে নিবারে নিশীথের বায়ে, আমার কণ্ঠের মালা তোমার গলায় পরে’ লবে মোরে লবে মোরে তোমার দানের স্তুপ হতে তব রিক্ত আকাশের অন্তহীন নিৰ্ম্মল আলোতে । ই পৌষ, ১৩হ পোষ } ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শান্তিনিকেতন । বঙ্গে জ্যোতিষ-মানমন্দির বঙ্গে জ্যোতিষ-মানমন্দির-প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব হইয়াছে। এখানে উহার প্রয়োজন স্পষ্ট করা যাইতেছে। পাজি লইয়া প্রয়োজন বোঝা যাউক । পাজি দ্বার। তিন প্রয়োজন সিদ্ধ হয় । ( ১ ) লোকব্যবহারে কালগণনা, (২) স্ব স্ব বিশ্বাসে শুভাশুভ-কালনির্ণয়, (৩) প্রয়োগে জ্যোতিষসিদ্ধান্ত-শিক্ষা। হিন্দুর বারমাসে তের পার্বণ। ঘে-সে দিনে পার্বণ হয় না। পাজিতে পার্বণের দিন লেখা থাকে। অনেকে শুভাশুভকাল মানেন। বারবেলা, কালবেল, অষ্টমী একাদশ অমাবস্ত পূর্ণিমা প্রভৃতি তিথি, মঘ। অশ্লেষ, দিকশূল যোগিনী প্রভৃতি নানা ইষ্টানিষ্টকারক দিনক্ষণ মানিতে গেলেই পাজি চাই। যাহার এসব মানেন না, তাছাদেরও পাজি চাই। কি হিন্দু কি মুসলমান কি খ্রিষ্টান, সকলকেই সন তারিখ বার জানিতে হয়। সন তারিখ বার, কালগণনা মাত্র। পাজিতে সর্বসাধারণুের ব্যবহারোপযোগী কালগণনা পাই তোমার ভাষা আমার