পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭০২ ০৮:৫৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) ০৮:৫৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ৮ । -অঞ্জস্থার আলঙ্কারিক চিত্র । বৈচিত্র্যে কতটা মৌলিকতার প্রয়োজন তাহ চেষ্ট। করিয়া বুঝিতে হয় না। উদ্ধে, নিয়ে, প্রাচীরে ছাদে, সৰ্ব্বত্রই শতদলের বিচিত্র পরিকল্পনা দেখিতে পাওয়া যায়। এই চিত্রাবলী দেখিলে মনে হয় যেন শতদলের অপূৰ্ব্ব গঠনসৌন্দর্য্য শিল্পীদিগের নিকট শতধ হইয় প্রকাশিত হইয়াছিল এবং শিল্পীগণ মাতোয়ার ইয়। সেই রূপ-মাধুৰ্য্য তাহাদের শিল্পে ফুটাইয়। তুলিয়াছিল। অজস্তার আলঙ্কারিক শিল্প কি পরিণতি লাভ করিয়াছিল তাহা ১ম হইতে ৭ম চিত্ৰ দেখিলে কতকট বোঝা যায় । এবং ইহাও বোঝা যায় শিল্পীগণ নানাবিধ পুপ ও ফলের সহিত কিরূপ পরিচিত ছিল এবং তাহার। কি দক্ষতার সহিত সেইসকল বস্তুর আকার তাহদের শিল্পে ব্যবহার করিত । অজন্তার অলঙ্কারিক চিত্রাবলীতে একবার ব্যবহৃত নক্সার নকল বা পুনঃকরণ অতি বিরল। এই বিশেষত্বে শিল্পীদিগের প্রতিভ, রচনায় মৌলিকতা ও নূতনত্বের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২২ SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS ~~. [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড অজস্তার আলঙ্কারিক শিল্প সাদাসিধা ও অতিরঞ্জিত এই দুই প্রকারই আছে । অলঙ্কার-হিসাবে উভয়ই সুন্দর। ৮ম ও ৯ম চিত্রের পরিকল্পনা অত্যন্ত সাদাধরণের। ১০ম, ১১শ ও ১২শ চিত্রে বিভিন্ন প্রকার কারুকার্য্যের প্রতিলিপি দেখান হইয়াছে। এতগুলি নক্সায় কোথাও কোন গঠনের পুনঃকৃতি নাই। সকলগুলির গঠনে স্বাতন্ত্র্য আছে । ১ শে ও ১৪শ চিত্র দুইটি প্রকোষ্ঠের ছাদের উপর চিত্রিত কারুকার্য্যের প্রতিলিপি । এই বিচিত্র চন্দ্ৰাতপগুলি যে কি সুদৃশ্ব তাহ আসল ন৷ দেখিলে বোঝা যায় না। প্রতিলিপিতে যদিও গঠনের একটা আন্দাজ পাওয়া যায় কিন্তু তাহাতে মূল চিত্রের আকারগঠনসৌষ্ঠব ও বর্ণ বৈচিত্র্যের অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্য ফুটিয়া উঠিতে পারে না । সাধারণত: চিত্রশিল্পের দুই রূপ ; আধ্যাত্মিক ও আলঙ্কারিক । আধ্যাত্মিক শিল্পের সম্বন্ধ অন্তরাত্মার সহিত । আলঙ্কারিক শিল্পের সম্বন্ধ বহির্জগতের সহিত । আধ্যাত্মিক শিল্প হৃদয় স্পশ করে, অন্তরের উৎকর্ষ জন্মাইয় দেয় । এ শিল্পে প্রেমের বাস্তবতার সহিত পরিচয় হয় । আলঙ্কারিক চিত্র নয়নতৃপ্তিকর, গঠনসৌন্দর্ঘ্যের জন্য ইহার অম্বষ্ঠান । এ শিল্পের সম্বন্ধ কেবল বাহিরের সহিত । বাহিরের সৌন্দর্য্যের কতকট। প্রয়োজন আছে, তাহার সাফল্যও আছে। ভাব ব্যতিরেকে শিল্পের কারুকায্যেরও আদর আছে। এই কারুকার্য্য শিল্পের সাজসজ্জ। শিল্পের সাজসজ্জার পরিকল্পনার মূলে সাধারণতঃ সৌন্দর্ঘ্যের বিকাশই লক্ষিত হয়, কিন্তু সময় সময় এ সাধারণ ও সঙ্গত নিয়মের T ৬ষ্ঠ সংখ্যা ] S SJSMMMS SSSSSS অজন্তাগুহার চিত্রাবলী SJSM MSMSM SMSMSMSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS --SumitaBot (আলাপ) ০৮:৫৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) १०७ ९ -य६५|x श्र|लक्ष|ब्लिक सिि । ব্যতিক্রমও দেখা যায়। নমুনতৃপ্তিকর সুন্দর পরিকল্পনার মত আলঙ্কারিক শিল্পে ভীতিপ্রদ ও বীভৎস রূপেরও অবতারণ হয়। ভাব ও আনন্দের হিসাবে যদিও শিল্পের এই অংশ শিল্পের মুখ্য উদ্বেশ্বের বিপরীত, কিন্তু শিল্পের আদর্শ হইতে ইহা ত্যাজ্য নহে। কারণ সুন্দর ও ভাবপূর্ণ পরিকল্পনায় যেরূপ মনের পরিণতি প্রয়োজন, অভিনব বীভৎস রূপের সৃষ্টির জন্যও সেইরূপ কল্পনাশক্তি দক্ষতা ও এমন কি প্রতিভারও প্রয়োজন হয় । ধৰ্ম্মে অনেক সময়ে বীভৎস ও ভীতিপ্রদ রূপের অনুষ্ঠান দেখা যায়। প্রকৃত ভক্তি-প্রেমে ; কিন্তু সময় সময় সন্ত্রম ও ভক্তি আনিবার জন্য ভীতির আশ্রয় লইতে হয় । অতি প্রাচীনকাল হইতে শিল্পেও অস্বাভাবিক কিম্ভূতকিমাকার .পরিকল্পনার প্রয়োগ দেখা যায়। কিন্তু শিল্প শ্রদ্ধেয় করিবার জন্য যে বীভৎস রূপের অনুষ্ঠান প্রয়োজন তাহ মনে হয় না। ইহ আলঙ্কারিক শিল্পের আহসঙ্গিক রচনাবৈচিত্র্য বলিয়া মনে হয় । যদি কোন শিল্পে বিকটাকার ও ভীতিপ্রদ রূপের ব্যবহার দেখা যায় তাহা হইলে তাহাকে বৰ্ব্বর বা রুচিবিরুদ্ধ অসংস্কৃত শিল্প বলিতে হইবে এমন নহে। জগতে যে-সকল শিল্প খুব পরিণতি লাভ করিয়াছিল তাহদের সকলকার মধ্যেই এরূপ কদাকার অনুষ্ঠান দেখা যায়। অজন্তার অলৌকিক ভাব ও সৌন্দৰ্য্যভাণ্ডারের মধ্যেও বীভৎস ও কুৎসিত পরিকল্পনার অভাব ছিল না। যদিও এই সকল চিত্রাবলী চিত্ত বা নয়নতৃপ্তিকর নহে তথাপি শিল্পের আদর্শে ইহাদিগের মর্য্যাদা কম নহে। দেখিতে কদৰ্য্য হইলেও এগুলির রচনায় যথেষ্ট কৌশল দেখিতে পাওয়া যায় । প্রকৃতির একটা বাধাবাধি নিয়ম আছে। যেখানে সে