পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বক্রান্ত । ৬ষ্ঠ সংখ্যা ] 전 1-EI १०१ S S S SMSMMSMMSMSMS বশিষ্ট-আশ্ৰম । কামাখ্যা-মন্দিরের পথটি অতি প্রাচীন। কথিত আছে এই পথের পাথরের সিড়িগুলি কুচবিহার-রাজ শুক্লধ্বজ মন্দির মেরামত করাইবার সময় তৈরি করাইয়াছিলেন । গয়ার রামশিল বা ব্রহ্মযোনি পাহাড়ের উপর যে পৈঠা, এ পৈঠাগুলি তেমন নয়। বিশৃঙ্খল ও অমসৃণ হইলেও পৈঠাগুলি মন্দিরে যাইবার সহায়তা করে। পাহাড়ের গায়ে ইদুরের উপর একটি গণেশমূৰ্ত্তি খোদিত । তা' ছাড়া বুদ্ধদেব ও অস্বরের ও দুইটি পোদিত মূৰ্ত্তি দেখিলাম। পথের ধারে গুহাভ্যন্তরে কয়েকজন সাধুও দেখিলাম। পথটি বন্ধুর। বৃদ্ধ স্ত্রীলোক ও শিশুদের পক্ষে মন্দিরে যাওয়া কষ্টকর ব্যাপার। তবে পাহাড়ের পূর্ধ্বদিকে আরএকটি পথ আছে, সেটি অপেক্ষাকৃত সহজ । এ পথটি ব্ৰহ্মপুত্রের গানের ঘাট ইন্তে আরম্ভ আছে। সাধারণত ঘাটুটি হরিশ্চন্দ্র-ঘাট নামে পরিচিত । এই পথ নিৰ্ম্মাণের সমস্ত ব্যয়ভার মৈমনসিংহের ভূতপূৰ্ব্ব রাজা হরিশ্চন্দ্র বহন করিয়াছিলেন। সেইজন্যই বোধ হয় এরূপ নামকরণ হইয়াছে। আমিনগাও হইতে নৌকায় বা পাণ্ডু রেল-ষ্টেসন হইতে সহজেই এই ঘাটে পৌছান যায়। কামাখ্যা-পাহাড়ের সৰ্ব্বোচ্চ শিখরে ভূবনেশ্বরী-মন্দির অবস্থিত। ভূকম্পের পর দ্বারবঙ্গের মহারাজা মন্দিরটি ভাল করিয়া মেরামত করাইয়া দিয়াছেন। মন্দিরের পাশ্ব ও পশ্চাত হইতে গৌহাটি নগর, ব্রহ্মপুত্র নদী এবং রেললাইনের চমৎকার দৃশ্ব দেখা যায়। কামাখ্যা-মন্দিরের কিছু নীচে পূৰ্ব্বদিকে একটি পাহাড়ের মাথায় অভয়ানন্দ তীর্থস্বামী বহু পরিশ্রমে একটি ধৰ্ম্মশালা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছেন । কামাখ্যাব পাণ্ডার। কাশী গয়া প্রভৃতি অন্যান্য তীর্থস্থানের পাণ্ডার মত নয়—তাহারা যথেষ্ট বিনয়ী ও অতিথিবংসল । ধনী দরিদ্র সকলকেই তারা সমান আদর যত্ন করে, ঘাই পায় তাহতেই যুসী । অনুসন্ধানে জানিলাম