পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$৯৮ চিন্তা করিয়া কাজ করিতে সক্ষম কল— যে সময়ের যে কাজটি যেমন করিয়া করিলে ভালো হয় এরূপ চিন্ত৷ ও স্মৃতিশক্তি মানুষেই সস্তুবে । কিন্তু আমেরিকার একজন ইঞ্জিনিয়ার মি. এস বেট রাসেল একটি যন্ত্র আবিষ্কার করিয়াছেন যাহা মনুষ্যমস্তিষ্কের স্থায় স্মরণ ও চিন্তা করিয়া যথাসময়ে যথাযথ কাজটি সম্পন্ন করিয়া দিতে পরিবে। এই যন্ত্রটি যেন মস্তিষ্ক ; মস্তিষ্ক ইন্দ্রিয়ের দ্বার বাহিরের উত্তেজন পায় এবং সেই উত্তেজনা শরীরের স্নায়ু পেশী প্রভৃতিতে ফিরাইয় পাঠাইয়া ক্রিয় ও কার্য উৎপন্ন করে ; মস্তিষ্ক-যন্ত্রের সঙ্গে সংলগ্ন অপর একটি যন্ত্রে চক্ষু ও কর্ণ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়ের প্রতিনিধিস্বরূপ সেলেনিয়মের ঘট বা সেল ও বাদ্য-চিমটা (tuning fork)সংযুক্ত পাকে । সেই ঘটে বিদ্যুৎ চালিত করিয়া বা বাদ্য-চিমটা বাজাইয়া শব্দতরঙ্গ তুলিয়া মস্তিষ্কমন্ত্রে উত্তেজন পাঠাইলেই তাহ ক্রিয়ায় প্রবৃত্ত হয়। ইন্দ্রিয়-যন্ত্র যত ঘনঘন উত্তেজনা পাঠায় মস্তিষ্কৰ্যন্ত্রের কার্য্যক্ষমতা তত বাড়িতে থাকে। ইহা মানুষের প্রথম অনুভূতি লাভের পর ইচ্ছ-প্রণোদিত হইয়া কার্যের অনুরূপ। টেকনিক্যাল ওল্ড ম্যাগাজিন এই যন্ত্রের বর্ণনা করিয়া বলিয়াছেন যে, ইহার একটি ক্রট এই যে মনুষ্য-মস্তিষ্কে লক্ষ কোটি স্বায়ুকোষ {াকে, ইহার মাত্র একটি কোষ । সুতরাং এই যন্ত্র মাত্র একটি সরল কাজ করিতে পারে । মনুষ্য-চিস্তার মধ্যে যে জটিল চ্ছাকে প্রণোদিত করে সেরূপ কোনে কাৰ্য ইহার নিকট যায় না। কিন্তু হয়ত কালে মনোবিজ্ঞানবিদ শারীরiায়ুতত্ত্ববিদ প্রভৃতির সাহায্যে এই মস্তিষ্ক যন্ত্রে বিভিন্ন অংশ হইয়৷ ইহার ইচ্ছামত কাৰ্য্য ক্ষরিবার শক্তি জন্মিতে পরিবে। এখন ইহা স্বাধীনভাবে স্বয়ং কাৰ্য্য করিবার উপযোগীন হইলেও পরের কাজের গলদ ধরিয়া দিবার শক্তি ইহার হইয়াছে। কোনে ষ্টিমার কোনো পথে নিত্য যাতায়াত করে ; সেই ষ্টমারের উপর এই যন্ত্র থাকিলে গন্তব্য পথ অল্পদিনেই ইহার স্মৃতিতে মুদ্রিত হইয়। যাইবে । তখন কোনো দিন মাঝি ভুল পথে ষ্টিমার চালাইলেই যন্ত্র বাণী বাঙ্গাইয়৷ চীৎকার করিয়া প্রতিবাদ করিবে। ক্রমে তাহার হাতে সেই ষ্টিমার চালাইবার ভার দিয়া নিশ্চিন্তু থাকা যাইবে, যন্ত্র লোকের সাহায্য বিনাই নিত্য নিয়মিত পথে ষ্টিমার চালাইতে থাকিবে । স্বয়ংচল গাড়ীর মোটর অন্মলিত-গতি কি না পরীক্ষা করিতে হইলে ষ্টেথোস্কোপ দিয়া উহার চলন-শব্দ লক্ষা করিতে হয় ; কিছুদিন মহ৭-গতি কয়েকটা মোটরের চলনশদ স্মরণক্ষম যন্ত্রটিকে শুনাইয়। রাখিলে কখনো খলিত-গতি মোটরের সাক্ষাং পাইলেই সে চীৎকার করিয়া জানাইবে যে এ মোটরটি যেমন হওয়া উচিত তেমন নহে । এই যন্ত্রকে প্রথম কোনো একটা কাজে নিযুক্ত করিলে অশিক্ষিত আনাড়ি লোকের মতন প্রথমটা একটু প্ৰতমত থাইতে থাকে বল খেলার সময় বা লাঠিখেলার সময় প্রথমটা থেলোয়াড়ের মন ণতমত খায়, ক্রমে অভ্যাস হইয় গেলেই সে বেশ বুঝিতে পারে কোনদিকে কতখানি ঝু কিলে আঘাত বাচাইতে বা আঘাত করিতে পারা যাইবে । তথন সেই বাক ঘোর নত হওয়৷ মচেতন অবস্থাতেই আপনা-আপনি হইতে থাকে। চিন্তাশীল কলটিরও ঠিক এইরকম ব্যাপার। অজ্ঞান শিশু প্রথম যেদিন আগুনে হাত দ্যায় বা ভনভন করিতে দেখিয়া স্বন্দর বোলতাকে মুঠ করিয়া ধরে সেদিন আগুনের বা হলের জাল শিশুর মস্তিষ্কের মধ্যে একটা বেশ গভীর ছাপ রাখিয়া যায়, তারপর আর যখনই সে আগুনের মতন বা ভনভনে কোনো পদার্থ দেখে তখনি সেই রূপ বা শব্দ তাহার মুস্তিষ্কের পুরাতন ছাপের সঙ্গে এমন খাটতি মিলিয়া যায় যে শিশু অমনি নভাবিয়াই হাত পিনিয়া লয়। রাসেলের মস্তিষ্ক-যন্ত্রও প্রবালাঁ—আশ্বিন, ১৩২২ SAJSMSMSMSMSMSMSJSJJJAJSJAMMMMMAJMMJJMMMMSS SSMM [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । ASA SSASAS SSAS SSAS SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSAAASAAA S তেমনি একবার একটা কোনো কর্যের ছাপ পাইলে চিরদিনই তাহ মনে করিয়া রাখে এবং আপনাআপনি যথাকওঁবা সম্পাদন করে। কিন্তু মাঝে মাঝে ইহাকে স্মরণ করাইয়া নূতন অভিজ্ঞতা ন দিলে হুসো ছেলেদের মতে এ গত ঘটনা অল্পে অল্পে ভুলিতে থাকে। অনেকে আশা করিতেছেন যে মস্তিষ্ক যখন পাওয়া গিয়াছে তথন তাহাকে পূর্ণাঙ্গ করিয়া তুলিতে পারিলে এই যন্ত্রকে দিয়া অক্লেশে বড় বড় কারখানার তদারক করাইয়া লইতে পারা যাইবে । এ ছ'সিয়ার ম্যানেজারের মতো সকল দিকে সজাগ দৃষ্টি রাথিয় ক্রটি সংশোধনও করিবে এবং স্বয়ং কাচা মাল ওজন ঝাড়াই বাছাই করিয়া তাহ হইতে যে বস্তু প্রস্তুত হইবার প্রস্তুত করিয়া প্যাক ও গুদাম-জাত পৰ্য্যন্ত করিতে পরিবে । - * মিশর-রহস্য বিশ্ববিশ্রুত পিরামিড, কোন অজানা উদ্দেশ্বের সুবিপুল শীংকসমূৰ্ত্তি ও অসংখ্য সৌধস্তম্ভমালার ময়দানবীয় কীৰ্ত্তিকলাপের ধ্বংসাবশেষ লইয়। প্রাচীন সভ্যতার শিলাময় শ্মশান মিশরভূমি যুগযুগান্ত কাল হইতে এক অপার রহস্যনিকেতনের মত এতদিন আধুনিক জগতের অস্তরে একটা গভীর বিস্ময়-ভরা সন্ত্রম জাগাইয়া তুলিতেছিল। তাহার সমুন্নত পিরামিডের দুর্ভেদ্য শৈলাবরণ, তাহার শক্তি মেমনের বিচিত্র স্বর-ভঙ্গিম, পৃথিবীর চিরজাগন্ত বিজন প্রহরীর মত স্ফীঙ্কস-মূৰ্ত্তির অন্তহীন জাগরণ, কাৰ্ণাকের সুবিস্তৃত স্তম্ভবীথি, তাহার বিচিত্র চিত্রময়ী ভাষা ও নিগূঢ় রহস্যপূর্ণ তন্ত্রমন্ত্র ও পূজাপদ্ধতি তাহার সেই দুরতিক্রম্য মরুপ্রান্তরের মতই মিশর-রহস্যের মরুযাত্রী পণ্ডিতদিগের চেষ্টাকে অতি নিষ্ঠুর ভাবে বার বার ব্যর্থ করিয়া দিয়াছে । কিন্তু মানুষের অদম্য অধ্যবসায় ও চেষ্টা আজ প্রকৃতির উপরে জয়ী হইয়াছে। পঞ্চাশ বৎসরের সাধনা ও একাগ্রতার বলে কৌশলী মানব মৃক প্রকৃতির মুখ খুলিয়া আজ তাহাকে কথা কহাইয়াছে। মিশর-রহস্যের হারানো চাবির আজ সন্ধান মিলিয়াছে। - আজ তাই জানা গিয়াছে যে বিশ্বের বিস্ময় পিরামিডগুলি এক-একটি প্রবলপ্রতাপান্বিত নৃপতির স্বরচিত সমাধিস্তুপ বই আর কিছুই নয়। যে কৌশলবলে মিশরের মেমনমূৰ্ত্তি উষার প্রথম-কিরণ-পাতে ও আসন্ন-আঁধার গোধূলি সন্ধ্যায় বিচিত্র স্বরলহরে তাহার বিচিত্র ভৈরবী ও । পূরবীতে তান ধরিয়া নানাদেশের কৌতুহলী শ্রোতাদের t .৬ষ্ঠ সংখ্যা । , SumitaBot (আলাপ) ০৯:০২, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)സSumitaBot (আলাপ)സSumitaBot (আলাপ)റ്റു

  • 。 মিশরের বৃহত্তম পিরামিড ও স্ফীঙ্কস, গিজের প্রান্তরে খেয়প বা চেয়পের পুত্র থেক্রেন বা চেফ্রেন কর্তৃক তাহারই মুখামুরূপ করিয়া নিৰ্ম্মিত ।

একদিন সে অপার বিস্ময়ে অভিভূত করিত, দুরন্ত বিজ্ঞান আজ তাহাও ফাস করিয়া দিয়াছে—তাহা যে উষ্ণতার তারতম্যে প্রস্তরগাত্রের বিস্ফারিত বা সস্কুচিত ছিদ্রে বাতাসের কুজন মাত্র তাহ ধরা পড়িয়ছে। কিন্তু গিজের ঐ মহাকায় স্ফীংকস-মূৰ্ত্তি—কোন কাল-কালান্ত হইতে মিশরের, ধুধু মরু-প্রাস্তরের অবিশ্রাম ঝঞ্জাবৰ্ত্তের মাঝখানে অবিকল উন্নতশিরে তুফানময় নীলনদের পরপারে উদাচলের পানে পলকহীন চাহনি মেলিয়া কিসের আশায় আজও সে বসিয়া আছে! দিনের পর দিন, বৎসরের পর বৎসর, শতাব্দীর পর শতাব্দী মিশরের সেই অন্ধহীন অতীত যুগের প্রেতাত্মার মত মিশরের গৌরব-রবির পুনরভু্যদয়ের প্রতীক্ষায় পূৰ্ব্বাশার দ্বারে নিমেষহীন নয়নে চাহিয়া মিশরের ভাঙা-হাটে বসিয়া আজও সে প্রহর দিতেছে—কবে কাহার সঞ্জীবন করম্পর্শে প্রস্তরীভূত মিশরের ঘুমন্ত পুরীতে তাহার শৈশব কালের সমবয়সী প্ৰগলভ জীবন জাগিয় উঠবে ! সত্যই কি যে মি রি-রহস্য -


তাহার নিগৃঢ় উদেখ, কোন সার্থকত সাধনে সে যে , .স্পন্দহীন প্রয়াসী, মানুষের অপরিসীম অধ্যবসায় এতদিন পর্য্যন্ত সে রহস্য উদঘাটিত করিতে পারে নাই! কিন্তু আজ --- ঐ সূৰ্য্যদগ্ধ নিষ্কম্প ললাটে শ্রান্তির স্বেদ জীবন ইতিহাসের লিখনচিহ্ন ধরা পড়ি জীবন-রহস্য আজ আর মাহুষের কা * י" ו"יו"ל কিন্তু আশ্চর্ঘ্য এই যে, যে জাতি মরুভূমির । একটা জীবন্ত পাহাড় কাটিয়া একদিন এই বিরাট ক্ষী মূৰ্ত্তি রচনা করিয়াছিল তাহারাও ইহার জন্ম-ইতিহাস একে o ............ے. বারে বিশ্বত হইয়া গিয়াছে। পরবর্তী সময়ে ধূৰ্ত্ত । পুরোহিতের দল ইহার একটা স্থবি এবং ইহাকে অবলম্বন করিয়া যৎকিঞ্চিৎ ব্যবস্থা করিয়াছিল। এমন কি নি:ে দের এই সাধু উ পরিপোষক একটি শিলালিপি পৰ্যন্ত তাহার প্রস্তুত । এই শিলালিপি আজও স্বলংক্সের সম্মুখে দেখিতে যায়। ইহাতে লেখা আছে যে চতুর্থ থথমিস বা ভিতর হইতে ইহাকে বাহির করিয়া তাহার পূজার প্র করেন। পরবর্তী কালের পুরোহিতগণ যখন যেমন স্থ সেই অনুসারে ইহার ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা করিয় পুরোহিতদিগের এই ভ্রমপ্রমাদপূর্ণ মিং Iा वा মিশরতত্ত্ববিদ পণ্ডিতদিগকে কম बहे शब्द |ाहे।, মিশরবাসীদের নিজেদের পিরামিড ও ক্ষীণ - ت- تتفتت তাহাদের কোনো জ্ঞানই নাই একথা তাহার ... . বৰ্ত্তমানে মিশর ইতিহাসের বহুতথ্য আবিষ্কৃত হওয়াতে । ফাংক্সের অন্তহীন সমস্তার আজ সমাধান হইয়াছে। । খৃ: পূ: ২৮. অন্ধে মিশরের মরুভূমির মাঝখানে । জীবন্ত পাহাড় কুদিয়া এই বিরাট স্ফংক্স-মূৰ্ত্তি প্রস্তুত হয়। পাথরের কাজ মিশরে ঐ সময়ের মাত্র আড়াই শত বৎসর । পূৰ্ব্বে আরম্ভ হইয়াছিল। মিশরের সৰ্ব্বপ্রথম পাথরের কাজ হইতেছে দ্বিতীয় রাজবংশের সম্ভবতঃ শেষ রাজা । খা-মেখেমুয়ের সমাধি। তাহার পূর্ধ্বতন গৃহাদি সবই মাটির ইটে প্রস্তুত । খা-মেখেমুয়ের পরবর্তী রাজা জোসার পিরামিড রচনায় । প্রথম হাত দেন। তাহার প্রায় পঞ্চাশ বৎসর পরে । খৃঃ পূঃ ২৯৫ অক্সে স্রেফ রুই বস্তুত প্রথম পিরামিড নিৰ্ম্মাণ । করেন। তাহার পরই খেয়প বা চিয়পের অত্যুদয় । চিয়প যখন গিজের প্রান্তরে প্রথম পিরামিডটি নিৰ্ম্মাণ । করেন তখন নিকটস্থ পাহাড় হইতে বাজে পাথরে তাহার ।