পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: - - - - ১২০ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ১ম সংখ্যা ] তাহার পর মিশ্রভাষা, ইহার কতক সংস্কৃত ও কতক আরএক রকম। একটি বাক্যে দু রকমই পাওয়া যায়। এ ভাষায় বইও আছে, শিলালেখও আছে। তাহার পর স্বঙ্গ ও খারবেলদিগের শিলালেখের ভাষা। তাহার পর সাতকর্শিদের শিলালেথের ভাষা। তাহার পর পালি ভাষা। তাহার পর নাটকের প্রাকৃত । সরল প্রাক্লতের সহিত আমাদের সম্পর্ক নাই। মাগধীর ও ও মাগধীর সহিত আমাদের কিছু সম্পর্ক আছে। তাহার পর অনেক দিন কোন খবর পাওয়া যায় না। তাহার পর অষ্টম শতকের বাঙ্গলা। তাহার পর চণ্ডীদাসের বাঙ্গলা । তাহার পর বৈষ্ণব কবিদের বাঙ্গলা। সব শেষে আমাদের বাঙ্গলা । সুতরাং সংস্কৃতের সঙ্গে বাঙ্গলার সম্পর্ক অনেক দূর । যাহারা বাঙ্গলাকে সংস্কৃতের পথে চালাইতে চান, তাহদের চেষ্টা সফল হইবার সম্ভাবনাও খুব কম। সংস্কৃতের গতি একরূপ ছিল, এতদিনে বাঙ্গলার গতি আর-একরূপ হইয়৷ গিয়াছে। এখন এই বাঙ্গলাকে সংস্কৃতের দিকে চালাইবার চেষ্ট, আর গঙ্গার স্রোতকে হিমালয়ের দিকে চালাইবার চেষ্ট, একই রকম। সাত শত বৎসর মুসলমানের সহিত একত্র বাস করিয়া বাঙ্গল মুসলমান হইতে অনেক জিনিস লইয়া ফেলিয়াছে। সেসব জিনিস বাঙ্গলার হাড়ে মাসে জড়িত হইয়াছে। এখন তাহাকে বাহির করিয়া দিবার চেষ্টা কিছুতেই সফল হইবে না। মুসলমানের বাঙ্গলা ভাষাকে যেমন বদলাইয়া দিয়াছে, ভারতবর্ষের আর কোন ভাষাকে সেরূপ পারে নাই। আমাদের বাঙ্গলার বিভক্তি 'র' ও 'দের মুসলমানদের কাছ ইষ্টতে লওয়া। সে বিভক্তি তুমি ভাষা হইতে তাড়াইবে কি করিয়া ? অথচ আমাদের পণ্ডিত লেখক মহাশয়ের প্রাণপণে চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন, তাহার। মুসলমানী শব্দ ব্যবহার করবেন না। যেসকল শব্দ একেবারে আপামর-সাধারণের ভিতর চলিয়৷ গিয়াছে, লিখিবার সময় সেগুলি তাহারা ব্যবহার কারবেন না। “কলম” মুসলমানী শব্দ, তাহার কলমের বদলে "লেখনী" শব্দ ব্যবহার করিবেন, অথচ "লেখনীর" অর্থ– উড়েদের তালপাতায় অ চড় কাটিবার লোহার খুন্তি, তাহাতে কালি লাগে না। “কলম” ও “লেখনী” দুটি একেবারে ভিন্ন জিনিষ। "দোয়াত মুসলমানী. কথা। দোয়াত লেখা হইবে না "মস্তাধার” লিখিতে হইবে। “আমি ল্যাণ্ডে গাড়ীতে ড্রাইভ করিতে করিতে হাওড় BBS BBBBB BBS BB BBBB BSS SBSBBB BBBB BBBB BB BB BBBBBS BBS বিধায়ক পত্র" লিখিবেন। “আদালত" লিখিবেন না, ক্লাসে লোয়ার বার্থ ভেকান্ট ছিল না, আপার বার্থে লিখিবেন—“বিচারালয়” । এইরূপে তাহারা বাঙ্গলাকে বেডিংটা শ্রেড, করিয়া একটু সর্ট ন্যাপ, দিবার চেষ্ট৷ শুদ্ধ বা মার্জিত করিয়া লইতে চান। তাহাদের সে চেষ্ট করিতেছি, এমন সময় হুইসিল দিয়া ট্রেন ষ্টাট করিল।” কখনই সফল হইবার নয়। ইহাকে কি আপনার বাঙ্গালী বলিবেন ? আবার এক দল আছেন, তাহার। চলিত কথা দেখিলেই দেশের লোকে যেসকল শব্দ বুঝে, অথচ সত্য সত্য নাক সিটকাইয় উঠেন ; বলেন—“ওটা ইতুরে কথা।" ইতুরে কথা নয়, যেসব কথা ভদ্র লোকের কাছে কহিতে উহার বদলে তাহারা সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করিতে চান। আমরা লজ্জিত হই না, সেইসকল কথায় মনের ভাব ব্যক্ত আমরা বলি, “সময় আর কাটে না", তাহারা বলেন, করিলে লোকে সহজে বুঝিতে পারিবে, ভাষাও ভাল SBBBBSS BSBBB BBSS S BBBBS BBB BB DD S DBBSBBBBS BBB BBB B SBBB BBB না।” আমরা কথা বলি "বাড়িয়ে গুছিয়ে লওঁ।" - অর্থবোধ হয় "স্বকপোলকল্পিত" বলিলে কি সে অর্থ বোধ তাহারা বলেন, “ছি ! ও ইতুরে কথা। পরিবর্তিত ও হয়, না সকলে সহজে বুঝিতে পারে ? স্বতরাং এইসকল পরিবৰ্দ্ধিত করিয়৷ লও।” আমরা বলি, “দল বাধিয়া s সোজা কথা ছাড়িয়া দিয় তাহার জায়গায় অপ্রচলিত, কাজ করিতে হয়", তাহার বলেন, “দলবদ্ধ হইয়া কাজ কঠিন—অনেক সময় অশুদ্ধ সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করার করিতে হয়।” আমরা কথায় বলি, “এটা গালগল্প" কি দরকার? একবার রবিবাবু বলিয়াছিলেন, “লেখ না তাহার বলেন, “স্বকপোলকল্পিত।” আমরা বলি, “ভাবা | সংস্কৃত বাজারে তোমার বই কাটিবে না। তাহাতে BB BBB BBS BBB BBS SBBBBBB S BBB B BB BBBS BBB D BBBBS হইল।” এইরূপে তাহার। কেতাবের ভাষাকে কথা বাস্তবিকই বেশী সংস্কৃতওয়াল বাঙ্গালী বই পোকাতেই কওয়ার ভাষা হইতে অনেক দূরে আনিয়া ফেলিয়াছেন। - কাটে ! এখন ইংরেজী ও সংস্কৃত পড়িতে যত কষ্ট হয়, তাহদের * এখন বাজলাকে এই সংস্কৃত ও ইংরেজীর হাত য়েন্ত সাধু ভাষা পড়িতেও তত কষ্ট হয়। - মুক্ত করিয়া সহজ করা, মিষ্ট করা ও সরল করা আবশ্বক আর একদল আছেন, তাহারা পড়েন ইংরেজী, হইয়াছে। এতদিন পণ্ডিত মহাশয়ের ইচ্ছা-মত পারসী BBBBBS BBB BB BBBBSB BBBBB BBB SBBB BBDD BB BBBBBS BBB BBBB - বাঙ্গলাভাষা ও সাহিত্যের গতি - - - ---------০৭:৫৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) SMMMMSMMSMMSMMSMSMSJJJMSMMSMMSMSMSMSSJSSSJSJSS MS MS MS MSMSMMMMS বাঙ্গল হইয় পড়ে । o মোট কথা দাড়াইতেছে এই যে, বাঙ্গল যখন একটা ভাল ভাষার মধ্যেই দাড়াইতেছে, তখন উহা কিছু পরিমাণে শিক্ষা করা আবশ্ব)ক । উহার একটা স্বতন্ত্র ব্যাকরণ আছে, স্বতন্ত্র পদ-যোজনার প্রণালী আছে, পদ বাছি৷ লইবার প্রণালী আছে। সেগুলি নিপুণ হইয়া দেখার দরকার, তবে ত বাঙ্গল লেখক হইবে ? নহিলে বাঙ্গল আমার মাতৃভাষা, আমি যাহাই লিখিব তাহাই বাঙ্গলা—এই | বলিয়। রাশি রাশি ইংরেজী ও সংস্কৃত শব্দ বাঙ্গল অক্ষরে । লিথিয়া দিলে, তাহাকেও কি বাঙ্গল বলিব ? তাহ ত এটি খাসা বাঙ্গলা— মুসলমানেরা বাঙ্গলা-সাহিত্যে লিখিতে আরম্ভ করেন নাই। এখন তাহার বলিতেছেন, "চলিত মুসলমানী শস্ত্ৰ তোমরা তাড়াইবে কেন ? তাড়াইবার তোমাদের কি অধিকার আছে ? যেসকল শব্দ তিন, চার, পাচ শত বৎসর হইতে চলিয়া আসিতেছে, তাহাদের ত ভাষায় থাকিবার কায়েমী স্বত্ব জন্মিয়া গিয়াছে। তোমরা সে স্বত্ব ইতে তাড়াইবার কে?" শুধু যে এই কথা বলিয়া নিশ্চিন্তু আছেন তাহ নয়, তাহারা আরও বলিতেছেন, “তোমরা ীি মুসলমানী শব্দ তাড়াইয় বড় বড় সংস্কৃত শব ব্যবহার কর, আর যদি বুঝিতে আমাদের বেশী কষ্ট হয়, তবে আমরা বড় বড় পারসী শব্দ, আরবী শব্দ ব্যবহার >N* করিব ; আমাদেব ভাষা স্বতন্ত্র করিয়া লইব—তোমাদের মুখাপেক্ষা করিব না।" সুতরাং ভাষার সমস্যাটি এখন - বড় কঠিন হইয়া দাড়াইয়াছে। এ বিষয়ে নবাব আলি . চৌধুরী মহাশয় “বাঙ্গলা ভাষার গতি" নামে ঢাকায় যে প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন, সেটি সকলেরই মন দিয়া দেখা উচিত। বাঙ্গলায় যখন অৰ্দ্ধেক মুসলমান, তখন তাহার যায় না। এখন উভয়ে মিলিয়া বাঙ্গল কি হইবে স্থির করিয়া লওয়া উচিত। উহার একটা ব্যাকরণ ও অভিধান স্থির করিয়া লওয়া উচিত। লেখকদিগের স্বেচ্ছাচারিতার | উপর ভাষার উন্নতি আর নির্ভর করিতে পারে না। যত দিন যাইতেছে কথাটা ক্রমেই শক্ত হইয়া দাড়াইতেছে। আমি বলি, যাহা চলতি, যাহা সকলে বুঝে—তাহাই চালাও । বাহা চলতি নয়, তাহাকে আনিও না। যাহা চলতি, তাহা ইংরেজীই হউক, পারসীই হউক, সংস্কৃতই হউক— চলুক। তাহাকে বদলাইয়া শুদ্ধ সংস্কৃত করিবার দরকার নাই। “রেলওয়েকে” “লৌহবত্ত্ব করিয়া লইবার প্রয়োজন নাই। একজন শ্বশুর শব্দটাকে ইতুরে মনে করিয়া তাহার বদলে "শ্বশ্ৰ মহাশয়" লিথিয় বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন। এরূপ করা বড়ই অন্যায়। ভাষাকে সোজা পথে চালান উচিত, এই ত গেল এক কথা। তাহার পরে আর-একটা কথা আছে—এই আমার শেষ কথা, সেটা নূতন কথা গড়া। বাঙ্গলার সমাজ এখন আর নিশ্চল নয়। যে ভাবে বহু শত বৎসর কাটিয়া গিয়াছে, সে ভাবে এখন আর কাটিতেছে না। নানা দেশ হইতে নানা ভাব আসিয়া বাঙ্গলায় জুটিতেছে। যেসকল ভাব প্রকাশ করিবার কথা বাঙ্গলায় নাই, তাহার জন্য কথা গড়িতে হইতেছে। যাহাদের চলিত ভাষার কথা লইয়াই গোলযোগ, নূতন ভাবে নূতন কথা গড়িতে তাহাদের আরও কষ্ট পাইতে হইবে, আরও বেগ পাইতে হইবে—সে বিষয়ে আর সন্দেহ কি। পূৰ্ব্বে দেশে “মিউজিয়ম” ছিল না, এখন হইয়াছে। মিউজিয়মকে কি বলিৰ ? সংস্কৃত পণ্ডিত বলিলেন, "চিত্রশালিকা"। কথাটা ৰেহ বুঝিলও না, মিউজিয়মের ভাবও উহাতে প্রকাশ হইল না। চিত্রশালিকা বলিলে ছবির ঘর বুঝায়, সুতরাং > * > যে হিন্দুরা যাহা বলিবে তাহাই করিবে—এরূপ আশা করা ।