পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংবাদিকের ডায়ারি ঐ হেমন্ত চট্টোপাধ্যায় যখন ফোর্থ-এ ক্লাশে পড়ি, তখন একদিন অমৃতবাজার পত্রিকা নামক প্রসিদ্ধ দৈনিক কাগজে পড়িলাম, যে, ভারতবর্ষে গবর্ণমেণ্ট বলিয়া ষে-প্রতিষ্ঠান আমাদের শাসনকর্তা এবং মা-বাপ, তাহার অন্ত নাম ডাকাইত। কথাটা পড়িয়া ভালো লাগিয়াছিল—ঙারি ভালো লাগিয়াছিল । দেশের লোকদের যাহা বলিবার ভাহা সংবাদপত্রেই বলিয়া থাকে-অতএব যাহারা সংবাদপত্রসেবী তাহারাই দেশের মূৰ্ত্তিমান জন-মত। সেই কাচ বয়স হইতেই আমার জীবনের সৰ্ব্বোচ্চ বাসন ছিল—আমি বড় হইয়া কোনো খবরের কাগজে কাজ করিব, অর্থাৎ কিনা সংবাদপত্রের মধ্য দিয়া জনমত গঠন করিব। এই কথাটা কল্পনা করিতেও আমার সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রাণমন কেমন যেন একটা কথায়-বলা-যায়-না উল্লাসে নাচিয়া উঠিত । মনে পড়ে, আমাদের গায়ের ঐনকুড়চন্দ্র দাসের কথা । তিনি ভারতবিখ্যাত চুয়াগঙ্গা টাইম এর সহকারী সম্পাদক ছিলেন। এই স্বপ্রসিদ্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকাটিতে নীলামী ইস্তাহার, কৰ্শ্বখালি প্রভৃতি অত্যন্ত দরকারী সংবাদে সদা পরিপূর্ণ থাকিত। যুদ্ধের সময় নকুড়-বাবু যখন গায়ে জাসিতেন, তখন গায়ের আবালবৃদ্ধবনিতা ( বনিতা বাদ দিয়া ) সকলে যুদ্ধের খাটি খবর শুনিবাব জন্য ছুটিয়া আসিত ৷ নকুড়-বাবু পরমবিজ্ঞের মতন শিরঃসঞ্চালন করিয়া বলিতেন "জারে সত্যি খবর বলবার কি জো আছে ? তা হ’লে ষে জেল হ’য়ে যাবে—আমাদের যে সংবাদদাতা এখন যুদ্ধের জায়গায় আছে সে সব খবর পাঠায়। কিন্তু তা আমাদের অন্ত কারুকে বলবার জো নেই। এই cनांtना न, कांदेखांब्र cगनिन थाइ-नां शं%, ७कथा বলবার নয়।” चांभब्रां चबांकू श्ब्र शाहेडांभ । नकूफ़-बांबू अङ কথা, এত ভয়ানক-ভয়ানক সংবাদ কেমন করিয়া গোপন রাখেন । আমরা প্রায়ই শুনিতাম যে লাট সাহেব নকুড়বাবুকে ডাকিয়া নানা গভীর বিষয়ের সংবাদাদি দেন ; কিন্তু তাহা প্রকাশ না করিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন ৷ নকুড়-বাবুও তাহার কথা ঠেলিতে পারেন না । নকুড়-বাবুর কথা এখনও বেশ মনে আছে ৷ নকুড়বাবুর সঙ্গে আর-একজন লোকের কথা মনে পড়ে। তাহার নাম মনে নাই। সে খবরের কাগজের আপিসে সকলের লেখার স্কুল সংশোধন করিত। মনে ভাৰিতাম, সে কত বড় না জানি একটা পণ্ডিত ! তা’র বিদ্যার পরিমাণ না জানি কত ভয়ানক । তাহার খেতাব ছিল হেড প্রক্ষ-রিভাবু। - ক্রমাগত চারবার বি-এ ফেল করিবার পর আর বি-এ পাসের চেষ্টা না করিয়া, অনেকের স্বপারিশ জোগাড় করিয়া একটি দৈনিক কাগজের আপিলে নি বেতনের কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত হইলাম। কথা হুইল যে কাজকৰ্ম্ম শিক্ষা করার পর কর্তারা আমার উপযুক্ত দক্ষিণার বন্দোবস্তু করিতে বিন্ধুমাত্র কার্পণ্য করিবেন না, তবে ধৈৰ্য্য ধরিয়া কাজকর্শ্ব শিখিতে একটু সময় লাগিবে, এই যা ! আমার ভবিষ্যৎ যে অতি উজ্জল সে-বিষয়ে সেই কাগজের কৰ্ত্তাদের কোনোই সন্দেহ ছিল না। মনের আনন্দে কাজে ভৰ্ত্তি হইলাম। তখন মনে ভাবিলাম ষে ক্ৰমে-ক্রমে দেশের লোকদের মতকে এমনভাবে গঠন করিব যে দেশ একদিন হঠাৎ অত্যাচারী পাশ্চাত্য শক্তি-পুঞ্জের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিবে । সেই অদূর ভবিষ্যতে আমি দেশের লোককে যে-পথে ইচ্ছা চালাইব । আমার কাগজে তখন কি-কি লিখিব, তাহারই কিছু-কিছু মনে উদয় হইতে লাগিল। কোনো দিন হয়ত লিখিব, দেশ জাগে, ঐ দেখ তোমার মা ভাই অনাহারে মরিতেছে, ঐ দেখ, চোখ মেলিয়া দেখ, তোমার পরনে কাপড় নাই। ভাবে, ভাবে, uकयांग्न cगझे अऊँौ७ &वनिक कांहणम्न क्षं छांtब, मृथन