পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>:్చe ASAAAAS S SAAAAAA AA S SA SASS SSSS দেশের আদিম অধিবাসীদিগকে নিমূল বা প্রায়-নিমূল করিয়াছে, এবং অবশিষ্ট লোকদিগকে অধীনতা-পাশে বদ্ধ ও নিঃস্ব করিয়াছে। তাহার পর তাহার উপনিবেশগুলিকে হোয়াইট ম্যান্স ল্যাও বা শ্বেত মানুষের দেশ আখ্যা দিয়াছে । প্রাচীন কালে ভারতবর্ষের লোকেরা সবাই সাধু ছিল, কেং কখন স্বদেশে বা বিদেশে কোন অপকৰ্ম্ম করে নাই, ইহা বলা আমাদের অভিপ্রেত নহে ; সমষ্টিগত-ভাবে প্রাচীন ভারতবর্ষের লোকদের সম্বন্ধে মোটামুটি যাহা সত্য, তাহাই আমরা বলিতে চাই । ইংলও, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশ যেমন অন্য অনেক দেশকে নিজেদের অধীন করিয়া রাখিয়াছে, এবং এইসকল পরাধীন দেশের শাসননীতি যেমন লগুনে ও প্যারিসে নিৰ্দ্ধারিত হয় ও তদনুসারে কাজ হয়, ভারতবর্ষের কোন রাজা ব! সম্রাট সেভাবে কোন বিদেশকে জয় করিয়া ভারতবর্ষস্থিত কোন রাজধানী হইতে উহার শাসননীতি নিৰ্দ্ধারণ বা ব্লাষ্ট্রীয় কাৰ্য্য পরিচালন কখনও করিয়াছিলেন বলিয়। ইতিহালে কোন প্রমাণ নাই। ভারতবর্ষের মধ্যে এক-দেশের ও এক-জাতির সহিত অন্তদেশের ও অন্য জাতির যুদ্ধ এবং তাহাতে জয়পরাজয় প্রাচীন কালে অবশুই হইত। সে-সম্বন্ধে মানব অর্থাং মন্থ প্রণীত ধৰ্ম্মশাস্ত্রে এই বিধি দৃষ্ট হয়, যে, কোন রাষ্ট্র .বিজিত হইবার পর, উহার শাসনভার উহারই প্রাচীন রাজবংশীয় কোন ব্যক্তির উপর অর্পণ করিতে হইবে । এই বিধি কেবল কেতাবে আবদ্ধ ছিল না। ভারতবর্ষসম্বন্ধে প্রাচীনতম মুসলমান লেখক স্থলেমান নামক একজন সওদাগরের উক্তি শ্ৰীযুক্ত কাশীপ্রসাদ জায়স্বাল র্তাহার হিন্দুপলিটি বা হিন্দুশাসননীতি নামক গ্রন্থে উদ্ধত করিয়াছেন । তাহায় তাৎপধ্য এই, যে, ভারতীয় রাজার প্রতিবেশী রাজাদের রাজ্য অধিকার করিবার নিমিত্ত তাহাদের সহিত যুদ্ধ করে না ;•••কোন রাজা কোন রাজ্যে প্রভুত্ব স্থাপন করিবার পর উহার শাসনভার উষ্কার রাজপরিবারভুক্ত কোন ব্যক্তিরই উপর অর্পণ করে, জায়স্বাল ঠাখার পুস্তকে জারিয়ান কর্তৃক মেগাস্থেনীসের পুস্তক श्ऊ श्रृंशैउ निब्रगिशिङ भाईब्र क८ब्रकछि क्षा फेकूड ఉRP-Fi, లిలీషి { ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড করিয়াছেন –“কথিত আছে, হিন্দুরাজাদিগকে তাহাজের স্বায়বুদ্ধি ভারতবর্ষের সীমার বাহিরের কোন দেশ জয় করিবার চেষ্ট হইতে বিরত রাখিত।” জায়স্বাল বলেন, কেবল এইরূপ কোন কারণ দ্বারাই ইহা বুঝা যায়, যে, যদিও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্ঘ্য তৎকালীন সমুদয় রাজা অপেক্ষ শক্তিশালী ছিলেন ও র্তাহার পরবর্তী দুইজন মৌর্য্যবংশীয় রাজাদের আমলেও মৌর্ধ্যসাম্রাজ্য সৰ্ব্বপেক্ষ শক্তিশালী ছিল, এবং যদিও তাহাদের প্রতিবেশী সেলিউকস্ বংশীয়দের সাম্রাজ্য দুৰ্ব্বল ও ধ্বংসোন্মুখ ছিল, তথাপি তৎকালীন ভারতবর্ষের স্বাভাবিক সীমা হিন্দুকুশ অতিক্রম করিয়া অভিযান করিবার কোনও প্রবৃত্তি র্তাহার প্রদর্শন করেন নাই। ভারতবর্ষে বসিয়া বিদেশের উপর প্রভুত্ব করিবার এবং রাজকৰ্ম্মচারীর ও বণিকৃদিগের সহযোগিতা দ্বারা বিদেশের অর্থ শোষণ করিয়া ভারতবর্ষে আনিবার প্রবৃত্তি প্রাচীন ভারতবর্ষীয় কোন রাজার বা জাতির লক্ষিত হয় নাই । ভারতীয় প্রভাব ব্রহ্মদেশ, শ্যাম, আনাম, কোচিন, কাম্বোডিয়া প্রভৃতির উপর বিস্তৃত হইয়াছিল। যবদ্বীপ, বলীদ্বীপ, স্বমাত্র প্রভৃতির উপরও ঐ প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল। হয়ত ভারতীয় কোন-কোন রাজা বা রাজপুত্র বা অন্য-কোন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ঐসকল দেশে উপনিবেশ ও রাজত্ব স্থাপন করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহারা তাহার পর ঐ-ঐ দেশেরই লোক হইয়া গিয়াছিলেন, এবং ভারতীয় ও তত্তৎদেশের লোকের মিশ্রণে নূতন-নূতন জাতির উদ্ভব হইয়াছিল। তাহদের সভ্যতাও ঠিক ভারতীয সভ্যভা নহে। ভারতীয় সভ্যতার প্রবল প্রভাব তাহাতে লক্ষিত হয় ; কিন্তু তাহা ভারতীয় সভ্যতা হইতে ভিন্নও বটে। ঐসকল দেশের প্রাচীন স্থাপত্য ও ভাস্কর্য্যের যে-সব নিদর্শন এখনও দণ্ডায়মান আছে, তাহাতে ভারতীয় শিল্পের প্রভাব বিদ্যমান থাকিলেও, তাহার স্বতন্ত্র গৌরব আছে। সেই-সেই দেশের জাতীয় প্রতিভা ঐ গৌরবের কারণ। এই জাতীয়তার মধ্যে ভারতীয় উপাদানের প্রাধান্ধ এত বেশী, ষে, স্ববীপের অধিৰাগীরা মুসলমান ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়া থাকিলেও বৰ্ত্তমান সময়েও ভারতীয়ত্বের ছাপ তাঁহাদের উপর