পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । বামুন-বাগদী పిఫిసే তারিণী ভ্র কুঞ্চিত করিয়া কহিল, একট—টী—ক ? চৌধটি পয়সা ? তারিণীচরণকে গ্রগুমুখ ধু পেলি নাকি ? এ বাবা তর্কসিদ্ধান্তের ছেলে,ছে দিয়ে চুনো পুটিটে নেবে, তারিণী তেমন জলের মাছ নয়।” - কানাই কহিল, “আজ মশাই, আপনার রাধা-গোবিন্দ নাম ভুলে গেলেন যে ?” তারিণী জলন্ত চক্ষু-ছুটি তাহার দিকে ফিরাইয় কহিল, “আম্পৰ্দ্ধার আর কমৃতি নেই। বামুনের স্বন্ধে ভর করে বড় বাড় বেড়ে উঠেছিস যে ?” মহেশ্বরী কানাইলালকে বুকের মধ্যে টানিয়া লইলেন । ভারিণীচরণের এই অভদ্র বাক্য সহিষ্ণুতার সহিত শ্রবণ করিয়া তিনি অতিকষ্টে আপনাকে দমন করিয়া রাখিলেন। তারিণী কহিল, “ছগণ্ডী পয়সা—বুঝলি রে! আটুট। পয়সা পাবি, নে, তুলে নে ৷” তারিণীচরণের উদারতার পরিচয় পাইয়া কুলীয়া একে একে সকলেই প্রস্থান করিল। তারিণী গজগঞ্জ করিতে-করিতে কহিল, “ভাগ্যে বিধি মাপাননি, তুমি-আমি চেষ্টা করলে কি পেতে পারে মা ! যাগে বেটার, নে ত বাবা কানাই ! এই বাক্সট মাথায় তুলে ! তুমি ভেবে না মা ! আমি ওকে দিয়ে একে একে সবই রেখে আসছি।” তারিণীর এই স্নেহ-বাক্যের মূলে স্বার্থসাধনের এমন জঘন্য দ্যোলুপত দেখিয়া মহেশ্বরী বিস্মিত হইলেন। বলিলেন, "এই মোটুগাট—ও কচি ছেলে নিতে পারে ? ডাক না কুলীদের ? যা চায় নেবে।” তারিণী গদগদকণ্ঠে কহিল, "একবারে না পীরে পাঁচবারে পারবে না ? বলে কি, মা ! যে রক্তটায় ওর ঘাড় শক্ত করে পাঠিয়েছে, তোমার দুধ ঘিয়ে কি তা, কোমল ই’তে পারে ? কি বলিস কানাই—পাবুবিনে ?” • তারিণীচরণের নিষ্ঠুর আঘাতে মহেশ্বরীর অশ্র-উৎস চক্ষু পৰ্ব্যস্ত আসিল, কিন্তু কে যেন পাথরচাপ দিয়া রাখিল । তিনি স্তন্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন। কানাইলাল দুই হস্তে বাক্সটির ওজন পরীক্ষা করিয়া fকছিল, “কেন মা ! তুমি অমন করছ? এত বেশী গরি নয়, বেশ নিয়ে যেতে পারা যাবে। আজ মশাই እፄ ত ঠিক বলেছেন ; বেটার ধাঁ হেঁকে বস্বে তাই দিতে হবে ?” - o তারিণী কানাইলালের পৃষ্ঠে সশন্ধে এক চপেটাঘাত করিয়া কহিল, “এবেই বলে ত বাপের বেটা। নীচকুলে জন্মালে কি হয়—স্বজন্ম হ’তে ত বাধা নেই। জয় রা– ' রাধে ।” মহেশ্বরী কহিলেন, “আমি পয়সা বাচানোর জন্তে কচিছেলে নিয়ে তীর্থ করতে আসিনি। আর ওরাও ত মজুরি খেটে খায়-দু’পয়সা পাবে ব’লেই আশা করে প” তারিণী কহিল, “দু’পয়সা কি মা ! - ষোলো আন— একটা ধলে৷ চাকি চায় যে !” - মহেশ্বরী আঁচলের খুট হইতে একটা টাকা বলাইয়ের হাতে দিয়া কহিলেন, “ডেকে আন ত, দাদা ! সব লোকজন চ’লে গেল, শেষে কুলী মিলবে না।” তারিণী বলাইয়ের হাত হইতে ছে৷ মারিয়া টাকাটা তুলিয়া লইল । এবং কুলীদের নিকট যাইয়া আট আনা সাব্যস্ত করিয়া বক্রী আট আনা নিজের পকেটজাত করিল। তাহার। সকলেই দ্বিতীয় শ্রেণীর একটি কাম্রায় উঠিলেন। গাড়ী ফুলতলা ষ্টেশন অতিক্রম করিলে তারিণী কহিল, “মা ! খাবারের হাড়িটা কি সরা-চাপ দেওয়াই থাকৃবে ?” & মহেশ্বরী বলিলেন, “বকীবকিতে সে-কথা ভু’লেই গেছি। দাও ন মামা ! ছেলেদের কিছু দাও, নিজেও কিছু থাও।” - তারিণী রসগোল্লার হাড়িটি কাছে টানিয়া আনিয়া তিনখানি খাল বাহির করিল। একটি রসগোল্লা তুলিয়া ধরিতে আয়তনের প্রাচুর্ধ্য দেখিয়া তাহার চক্ষু-ছুটি উল্লাসে জল্‌জল করিয়া উঠিল । রসনায় যে-লালারস প্রচুর-পরিমাণে আসিয়া জমিতে লাগিল, আপনার লোভহীনতা প্রতিপন্ন করিবার জন্ত সে তাহার কতক-কতক কণ্ঠনালীপথে বিদায় করিতে লাগিল । তারিণী বলাইয়ের খালায় আটটি, কানাইয়ের থালায় চারিটি এবং নিজে গণ্ড সাতেক লইল। মহেশ্বরী অদূরে বসিয়া এই স্বল্প বণ্টন ক্রিয়া দেখিতেছিলেন। ভারিণীর ৰে फेशब्र ७ोशएउ cन भ७-जोरङक छ जहे८यहे । किस्त्र