পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミいや S SAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS .-....-.سمسمسين..م... ----- পুরোহিত-ঠাকুর বললে—বৈশাখ মাস পুণ্য মাস, মহাবিষুব সংক্রাত্তির দিন দান সংক্রাত্তির ব্রত নিলেই হবে ; এই ব্ৰত প্রতিমাসের সংক্রাস্তিতে ব্ৰাহ্মণকে বিবিধ জধ্য দান করে’ সম্বৎসরে উদযাপন করতে হয়...... ধনিষ্ঠ ব্যস্ত হ’য়ে বলে উঠ ল—বৈশাখ মাসের ত এখন ৪ দেড়মাস দেরী ! এখনই কিছু আয়ন্ত করা যায় না ? o পুরোহিত ভেবে-চিন্তে বললে-ফাল্গুন চৈত্র মাসে কোনো ব্ৰতারম্ভের কথা ত মনে পড়ছে না। পাজি-পুথি দেখে’ আপনাকে জানাবো । ধনিষ্ঠ। বল লে—কথায় বলে হিন্দুর বারো মাসে তেরো পাৰ্ব্বণ আমাকে যা হয় একটা কিছু খুজে দিতেই হবে । যজমানের আগ্রহে যজ্ঞ - হোক, নিজের প্রাপ্তির সম্ভাবনার তাগাদায় পুরোহিত পাজি-পুথি হাটুকে এসে ধনিষ্ঠাকে খবর দিলে—চৈত্রমাল মধুমাস, মাধব-প্রিয়মাস ; এই মাসে নারায়ণাত্মক নক্ষত্রপুরুষ নামে এক ব্রত করা যায়, মৎস্ত পুরাণে এর ব্যবস্থা আছে ; বিধবা নারীরঙ করণীয় এই ব্ৰত ; বিষ্ণুপূজা করে লক্ষ্মীকান্ত বিষ্ণুর উদ্দেশে নিবেদিত মনোজ্ঞ শয্যা বস্ত্র গাভী এবং বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর স্বর্ণপ্রতিমা পূর্ণে ত্রতে সৰ্ব্বগুণান্বিতায় বাগরূপশীলায় চ সামগায়’ সৰ্ব্বগুণান্বিত রূপবান ব্রাহ্মণকে দান করতে হয়। তাতে জন্ম-জন্মান্তরেও কখনো বিধবা ত’তে হু না—এই ত্রতের প্রার্থনাষ্ট হচ্ছে— যথা ন লক্ষ্ম্যাঃশয়নং স্তব শূন্তং জনাৰ্দ্দন । শয্যা মমাপ্যশূন্যাস্তু কৃষ্ণ জন্মনি জন্মনি ॥— হে জনাৰ্দ্দন, তোমার শখ্য যেমন কখনও লক্ষ্মী-শূন্য হয় না, আমার শয্যাণ্ড যেন জন্মে-জন্মে তেমনি অশূন্ত ट्ध्र । и в в а в я * * * প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩২ [ २५* छौंशं, »म थ७ SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS পুরোহিতের কথা সমাপ্ত হ’তে-না হ’তেই ধনিষ্ঠ পরম উৎসাহিতা হয়ে বলে উঠল—আমি এই ব্ৰতই করব । যথাকালে যথানিয়মে ঐ ব্ৰত অকুষ্ঠিত হ’ল, এবং ব্রত উংস্কষ্ট বহুমূল্য দ্রব্যসম্ভার রূপগুণান্বিত সত্ৰাহ্মণ বলে’ অনলকে দান করা হ’ল । এর পরে প্রত্যেকমাসের সংক্রান্তিতে বা কোনো বিশেষ তিথিতে যে-কোনো ব্ৰত সন্ধান কলে’ পাওয়৷ ধেতে লাগল, ধনিষ্ঠ তারই অকুষ্ঠানে ব্ৰতী হ’তে লাগ ল এবং পাদুকা ছত্ৰ শয্যা ভৈজসপত্র বস্ত্র উত্তরীয় প্রভৃতি বিবিধ উপহারে অনলের গৃহ পরিপূর্ণ হ’য়ে উঠতে লাগল। সঙ্গেসঙ্গে অনলের বেশ-ভূষারও ধিলক্ষণ পরিবর্তন সকলেই লক্ষ্য কবৃছিল । একজন একদিন হাসি চেপে অনলকে জিজ্ঞাস করলে —আপনার বৈরাগীর ভেকু যে বদলে গেল ! অনল হেসে উত্তর দিলে—জুটুত না বলে দায়ে পড়ে' বৈরাগী সাজ তে হয়েছিল ; এখন কত্রী ঠাকুরাণীর পুণ্যে যে সব জিনিস জুটে যাচ্ছে সে-সব ব্যবহার না করে’ বাজারে নিয়ে গিয়ে ত আর বেচ তে পারি না। আমি বৈরাগী সেজেছিলাম ভাইয়ের অভাব-মোচনের জন্তে । তুরি অভাবও যিনি মিটিয়েছেন, আমার অভাবও তারই দৌলতে মিটছে—শুধু আমার নয়, গ্রামের কোন ব্রাহ্মণের অভাব না মিটেছে ? সেই লোকটি আবার হাসি চেপে মনে-মনে বললে— তোমার একটু বিশেষ । এই কথাটা অনলের মনের মধ্যেও অস্পষ্টভাবে উদয় হয়েছিল, তাই সে অভখানি কৈফিয়ৎ দিয়ে নিজের অকারণ সঙ্কোচ চাপা দিতে চেষ্টা করলে। ビび*iび望 ( ক্রমশ: )