পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీలిణీ সৰ্ব্বপ্রথমে মাথা তুলিয়া দাড়াইল। সে ভাবিল, “বড়-ম কি একটা-গাড়ীও অপেক্ষা করিয়া যাইতে পারিলেন না ? ভাবিয়াও দেখিলেন না যে, এই নিৰ্ব্বান্ধব পুরীতে আমি কোথায় যাইয়া দাড়াইব ?” একবার তাহার মনে হইল,— হয়ত তারিণীচরণই কৌশল করিয়া এই বিচ্ছেদ ঘটাইয়াছে। কিন্তু তাহার বড়-মায়ের উপর যে কেহ শক্তি পরিচালনা করিতে পারে, এ-বিশ্বাস৪ তাহার মনে অধিকক্ষণ স্থায়ী হইল না। তখন মহেশ্বরীর উপর অভিমানটা আবার প্রবল হইয়া উঠিল। চিত্তের প্রকৃতি ও বিশেষত্ব শিক্ষার দ্বারা বিকশিত হয়। কিন্তু যতক্ষণ তাহাতে সংযম স্পর্শ না করে, ততক্ষণ তাহা পরিপূর্ণতা লাভ করে না। মহেশ্বরীর স্বশিক্ষায় কানাইলাল চলিবার একটা পদ্ধতি—একটা ইসার পাইয়াছিল মাত্র । কিন্তু নিজের কৰ্ম্মক্ষেত্রে ক্রমাগত চলিতে-চলিতে যতক্ষণ সে সংযম না শিক্ষা করিতেছে ততক্ষণ তাহার চিত্ত নাচিয়া-জুলিয়া যে তাহাকে অস্থির করিয়া তুলিবে তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? তাই সকল স্থচিন্তা ও স্বযুক্তি দূরে ঠেলিয়া ফেলিয়া মহেশ্বরীর উপর অভিমানটাকেই সে সকলের অপেক্ষা বড় করিয়া তুলিল । কানাইলাল ভাবিল, “বড়-মা যখন আমাকে এই বিপুল বিশ্বের মাঝখানে অসহায় করিয়া ফুেলিয়া যাইতে পারিলেন, স্নেহময়ী জননীর চিত্তের সেই অবারিত দ্বারটিতে যদি কবাটই পড়িল, তবে আমি বলপূৰ্ব্বক সে দ্বার ঠেলিয়া সেখানে ঢুকিয়া আর আমার স্নেহের शूछि यांफ़ाई८ङ शाझेर ना ” उांशग्न cनऊ इड्रेटङ আবিরল-ধারে অশ্র গড়াইয়া পড়িতে লাগিল । অভিমানের বস্তু সম্মুখে থাকিলে উভয়ের মন কষ|কষির মধ্যে ৪ আনুগত্য বা ত্যাগস্বীকারের একটা দমূকা হাওয়ায় আবার দুটিকে মিলাইয়া-মিশাইয়া দিতে পারিবে এইরূপ একটা সন্ধির কল্পনায় মনকে যেন একটু আশ্বস্ত রাখে, কিন্তু অভিমান নগ্নমূৰ্ত্তি ধরিলেই প্রাণটা शशंकारग्न शूर्प इहेब शङ्ग । भरश्वद्रौब्र अविकृशाहन তাছারই সম্বন্ধে কুটিল কল্পনায় কানাইলাল আপনার মনের মধ্যে যে আবর্ভ রচনা করিয়া তুলিতেছিল, সেই প্রবাসী—আষাঢ়, తిరి [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড আবৰ্ত্তে পড়িয়া সে নিজেই হাবুডুবু খাইতে লাগিল। এবং যে তাহার অস্তরের দুর্দশ ঘটাইয়াছে, তাহার সেই নিষ্ঠুরতাকে চক্ষের সম্মুখে প্রতিফলিত করিয়া দিয়া সমস্ত গুণ-গরিমাকে হালকা করিয়া দিতে না পারায় তাহার অস্তরের অস্বস্তিষ্ট। দ্বিগুণ করিয়৷ তুলিল । যখন সন্ধ্যা হইল তখন সে বুঝিল, এ-ভাবে বসিয়া কাটাইলে আর চলিবে না । তাহাকে আহায্যের চেষ্টা করিতে হইবে-অশ্ৰয়ও দেখিতে হইবে । কিন্তু এত লোক যাইতেছে আসিতেছে, কেহ ডাকিয়াও ত জিজ্ঞাসা করে না ! সে কাহার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিবে ? এই ংসার-পথের নূতন পথিকের মনে আতঙ্কের সঞ্চার করিয়া দিয়া যখন রাত্রির অন্ধকার ঘনাইয়া আসিল, তখন সে ধীরে-ধীরে ষ্টেশন-অভিমুখে চলিল ; এবং গণপতির নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল। দেখিল, পীড়িত স্ত্রীকে লইয়া তখনও পর্যন্ত তিনি সেইখানে অবস্থিতি করিতেছেন। সে জিজ্ঞাসা করিল, “এখন কেমন আছেন ?” গণপতি কহিলেন, “একটু ভালো দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এখানে ত আর এভাবে রাখতে পারা যাচ্ছে না । রেলষ্টীমারে নিয়ে গেলেও কষ্ট পাবে। নৌকো হ’লে ভালো হ’ত। আমি নড়তে পারছিনে। কে-বা এসব ক’রে দেয়—” কানাই জিজ্ঞাসা করিল, “ঘাটাল পর্য্যন্ত যেতে কত ভাড়া নেবে ?” আমি দেখে আসি যদি ভাড় করতে পারি ৯ গণপতি কৃছিলেন, "ভগবান আপনাকে স্বখে রাখুন। ভাড়া বোধ হয পাচ-সাত টাকা নিতে পারে । ঘাটাল পৰ্য্যস্ত যদি না যেতে চায়, রাণীচক পৰ্য্যস্ত গেলেও সেখানে নৌকো পাবো।” কানাইলাল চলিয়া গেল ; এবং অনতিবিলম্বে আট টাকা ভাড়া সাব্যস্ত করিয়া একজন মাঝিকে সঙ্গে লইয়া উপস্থিত হইল । কানাই জিজ্ঞাসা করিল, “ঘাটাল পর্য্যস্ত আপনাদের সঙ্গে আমাকে কি আবশ্যক হবে ব’লে মনে করেন ?” গণপতি পরম আপ্যায়িত হুইয়। কহিলেন, “তা ছ’লে AAAAA AAAA AAAA CT MA CTAAS SAAA AAAA AAAA CMCAAASAAAA