পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 “সে সয়্যালী মানুষের চলে। দুষ্টভিন তরকারী না হ’লে বাবা দেখি মুখ শিটুকতে লাগেন ।” নলিনীর এই ঘনিষ্ঠ অস্তরঙ্গ ভাব সন্ধানে-সন্ধানে ধেন কানাইলালের কোন জমাট-বাধী স্থতির দুয়ার অল্পে-আল্পে খুলিয়া দিতে লাগিল। একটা রুদ্ধ ক্ৰন্দনের উচ্ছ্বাস চাপিয়া লইয়া কানাইলাল চক্ষু-ছুটি একবার মুছিয়া লইল । ইতিমধ্যে গণপতি আসিয়া উপস্থিত হইলেন । তিনি এইসমস্ত দেখিয় কিছুকাল বিস্ময়ে অবাকৃ হইয়া চাহিয়া রহিলেন। পরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কানাই-বাবু, এসব হয়েছে কি ?” । কানাই হাসিয়া কহিল, “স্বপাকে খেলাম—এই-ই ভালো ।” গণপতি মেয়েকে লক্ষ্য করিয়া কহিলেন “ভাত ছিল না বুঝি ?” তা তোরা সকাল-সকাল দুটে। রোধে দিতে পারিসনি ?” _ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩২ [ २१* छांशं, »भ थ७ নলিনী মুখ কঁচুমাচু করিয়া কহিল, "উনি শুনলেন না যে ! যতদিন থাকৃবেন নিজেই নাকি রোধে-বেড়ে খাবেন ।” গণপতি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তাই নাকি কানাই-বাৰু? কেন এমন স্থির করেছেন ?”

  • কেন—সে-কথা বুঝিয়ে বল বার অধিকার আমি এখনও পাইান । এ বেশ হবে, আপনারী কিছু মনে

করবেন না।” “আপনি এ-বড় লজ্জার মধ্যে কে’লে দিলেন। সত্যিসত্যি আপনি কারুর হাতে খান না নাকি ? “তা খাই । কিন্তু এখন থেকে কেন থাবো না সেকথা বুঝিয়ে বলবার মতে আমার কিছু জানা নে আপনি কাপড়-চোপড় ছাড়ন গিয়ে। এইত রান্না-বান্না ক’রে খেলাম, কোনো কষ্টই হয়নি ।” গণপতি চলিয়া গেলেন । ( ক্রমশ: ) বিহারে বাঙ্গালী উপনিবেশ শ্রী জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস পাটনার সহরের পশ্চিম ভাগের নাম বাকীপুর। বৌদ্ধ যুগে এখানে দুইটি গ্রাম ছিল । সম্রাটু অশোকের দ্বিতীয়া মহিষী “কারুবাকী’র নাম হইতে একটির নাম ছিল “কারুবাকীপুর” এবং তাহার গর্ভজ পুত্র জয়বরের নামে দক্ষিণ পার্শ্ববর্তী গ্রামের নাম ছিল "জয়বরপুর” । মুসলমান যুগে উভয় নাম একত্র করিয়া গ্রাম দুটি “বাৰীপুর-জয়বর” এই নামে প্রসিদ্ধহয় । * পরে যুরোপীয় অধিকারে আলিয়া ইহা “বাকীপুর” নামে অভিহিত হয় এবং আয়তনে বুদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। পাটনার প্রধান-প্রধান এবং আধুনিক অধিকাংশ বাঙ্গালী এই স্থানেই বাস করেন।

  • "Pataliputra” by Manoranjan (ihosh, M. A., Curator. Patna Museum, p. 29, Appendix D.

পূৰ্ব্বে সোরার কারবার-সূত্রে এখানে ওলন্দাজ ও ইংরেজের আবির্ভাব হয়। ১৬৫১-৫৭ খৃষ্টাব্দের মধ্যে গঙ্গার অপর পারস্থ সিংন। গ্রামে সর্বপ্রথম ইংরেজ বণিকের কুঠী স্থাপিত হয় । আফিং, গালা ও সোরা তাহাদের বাণিজ্যের প্রধান পণ্য ছিল । ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর লবণ ও সোরার ব্যবসায় স্বত্ত্বে বহু বাঙ্গালী এখানে স্থায়ী বাস স্থাপন করেন । তথন আফিমের ফুঠীতেও অনেক বাঙ্গালী কৰ্ম্ম করিতেন। কিন্তু কোম্পানীর আমলের বহু পূৰ্ব্ব হইতেই অর্থাৎ ত্রয়োদশ শতাব্দী হইতে বঙ্গের সম্বাস্ত ঘরের সস্তানগণ তখনকার রাজভাষা ফারসী শিক্ষার জন্ত প্রায়ই পাটন-প্রবাসী হইতেন। সার্ধ শতাব্দী পূৰ্ব্বে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় র্তাঙ্গর জনৈক উচ্চপদস্থ কর্মচারী নদীয়া মাঝের গ্রাম'