পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SMMMMAAASAASAASAASSAAAAAAS AAAAAS S AAAAA AAAA AAAAS AAASASASS টলস্টয় নিজেই জানিতেন না। তিনি যখন বালক, তখন ঠাছাদের এক কলেজপাঠী বন্ধু আসিয়া বলিল, “সে সম্প্রতি একটি নূতন তথ্য আবিষ্কার করিয়াছে যে ঈশ্বর বলিয়া কিছু নাই।” টলস্টয় ভাবিয়াছিলেন, খুব সম্ভব একথা সত্যই হইবে। ইহা ছাড়া বোলো বৎসর বয়সেই তিনি দর্শনশাস্ত্র পড়িতে আরম্ভ করেন এবং উহার স্বল্প ( abstract ) আলোচনায় যথেষ্ট আসক্ত হইয়া পড়েন। দর্শন-শাস্ত্রপাঠে ঈশ্বর-বিশ্বাস দৃঢ় হয় না, বরং পূৰ্ব্বে সে-বিশ্বাস দৃঢ় থাকিলেও পরে তাহাই টিকিয়া থাকা অনেক সময় ছুক্ষহ হয়। কারণ যদিও কিছু একটা প্রতিপাদন করাই দৰ্শন-শাস্ত্রসমূহের কাজ, তথাপি ইহার আলোচনার ফলে সে-বিষয় অনেক সময়ই অপ্রতিপাদ্য হুইয়ু৷ উঠে । যাহা হউক টলস্টয় ক্রমে যৌবন সীমায় অগ্রসর হইতে লাগিলেন। যে-সমাজে তিনি বাড়িতে লাগিলেন, সেখানে রাজসিক অহঙ্কার, কাম, ক্রোধ, লোভ প্রভৃতি ছয়টা রিপুই প্রবল ছিল এবং সেগুলি আপন হইতেই তাহারও মন অধিকার করিয়া বলি। টলস্টয়ের কোনো নিকট আত্মীয়া প্রায়ই র্তাহাকে বলিতেন যে, পুরুষত্ত্বের পরিচয় দুইটি বিষয়ে পাওয়া যায় এবং টলস্টয় পুরুষত্বের ঐ দ্বিবিধ পরিচয় দিলেই তিনি যারপরনাই স্বর্থী হইবেন । পুরুষজের একটি পরিচয় কোনো সম্লান্তবংশীয় স্বন্দরী রমণীর সঙ্গে অবৈধ প্রণয় থাকা এবং আরেকটি নাকি মহামান্ত জারের শরীররক্ষী হওয়া বা সৈন্তাধ্যক্ষ হওয়া। টলস্টয় সেনাদলে যোগ দিয়াছিলেন এবং সেই সময়ে লিখিতে আরম্ভ করেন। সেনাদল ছাড়িয়া যখন তিনি রাজধানীতে আসিলেন— দেখিলেন যে গ্রন্থকার-হিসাবে বেশ একটু সম্মান তাহার ভাগ্যে জুটয়া গিয়াছে। সেন্ট পিটাসবার্গের লেখকসমাজের সহিত র্তাহার পরিচয় হইল, তিনি তাহাদেরই একজন হইয়া উঠিলেন । সাময়িক পত্রের অভাব ছিল না, লেখকেরও অভাব ছিল না, লেখারও অভাব ছিল না। অভাব ছিল লেখার বিষয় ও লেখার সার্থকতার, किरू cन-कथा ८कश् चौकांद्र कब्रिङ न । cण१८कब्र गकरणहे विप्लष थङिङ जहेब्रा अवउँौन श्हेब्रांtरू, তাহাজের পক্ষে লেখাই যথেষ্ট, ভাবিয়া বুধিয়া বা শিখিয়া লেখার কোনো জাৰপ্তকতা নাই, কারণ অপরকে ভাবাইয়া টলস্টয়ের আত্মকথা శ్రీ&సి তোলা, অপরকে বুঝানো এবং অপরকে শিক্ষা দেওয়াই - cणषकएमब्र काब-अश्ब्रख्य श्नि उषनकाब भङ। ७शन মতবাদের কল্যাণে আপনার অহঙ্কার পোষণ করিতে পাইলে ও কিছু শিক্ষা না-কবার জন্য মনকে প্রবোধ দিতে পাইলে কে না দে-অহঙ্কার পোষণ করে, কেই বা মনকে প্ৰবোধ না দেয় ? টলস্টয়ও তাই অহঙ্কার পুষিয়া মনকে প্রবোধ দিয়াছিলেন । - জন-সমাজে শিক্ষা প্রচারই যখন লেখকের কাজ তখন টলস্টয় আপনার জমিদারিতে বর্ণজ্ঞানহীন প্ৰজাগণের মধ্যে শিক্ষাপ্রচার করিতে গেলেন এবং তাহার ফলে র্তাহাকে ঠেকিয়া মনে-মনে স্বীকার করিতে হইল, শিক্ষকেরও হয়ত কিছু শেখার প্রয়োজন আছে। সেইজন্ত তিনি ইউরোপ মহাদেশে ভ্রমণ করিতে যান ; এবং কিছু যে শিথিয়াছিলেন তাহাও নিশ্চয় সেখানকাব সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রের সকল প্রতিভাবান বড় লোকদের সঙ্গে র্তাহার পরিচয়ে । সকল স্থানেই এই একটি কথা শিখিলেন যে, জগতে মানব-জীবনে সভ্যতায়, শিক্ষায়, দীক্ষায়, জ্ঞানে ক্রমশই উন্নতি হইতেছে । ইউরোপ হইতে ফিরিয়া আসিয়া তিনি বিবাহ করেন এবং বিবাহের পর কিছুদিন প্রণয়-মুখে কাল কাটান। এই সময়টি তাহার স্বখের সময়। এই সময়ই র্তাহার প্রতিভাবিকাশের সময়। তিনি অনায়াসেই বিশ্রাম না করিয়৷ অনবরত আট ঘণ্ট। শ্রমসাধ্য বিষয়ে মস্তিষ্ক চালনা করিতেন। তাহার শরীরও এমন স্বস্থ-সবল ছিল যে, ইহ। ছাড়া মাঠে কৃষকদের সঙ্গে ওসমানভাবে তিনি কাজ করিতে পারিতেন। একে-একে র্তাহার বইগুলি লেখা হইতে . লাগিল, নামও হইতে লাগিল। তিনি ভাবিলেন কালে তিনি পুশকিন, গোগল, মোলিয়ের, সেক্সপিয়র প্রভৃতি জগতের সকল বড় লেখকদের সমকক্ষ হইয়। উঠিবেন ; এমন-কি, হয়ত যশে ও প্রতিভায় তাহ -র ছাড়াইয়াও যাইতে পারেন। কিন্তু মানুষের স্বথের আলোয় কোথা হইতে কখন কেমন করিয়া কি ছায় যে পড়ে, তাহ কে জানে ? টলস্টমের পরিপূর্ণ স্বখের আলোয় সেই ছায়৷ মাঝে-মাঝে জাসিয়া পড়িল। সে শুধু ৰয়েকটি প্রশ্ন, জার