পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eয় সংখ্যা ? হওয়ার উপক্রম করিবে, এবং আক্রমণকারী উত্তানভাবে (চিৎ হইয়া) পড়িয়াই, উত্তানামোটনে ঘুরিয়া আসিয়া { ডিগ বাজি খাইয়া ) ক্রমে প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হওয়ার উপক্রম করিবে । ( যথা, উনপঞ্চাশং ও পঞ্চাশৎ চিত্রে ) অথবী ৪— যুযুৎস্থ-প্রয়োগকারী উত্তানভাবে পতিত হইয়াই তুরস্তে মস্তক ও পৃষ্ঠ তুলিয়া উঠিয়া বসিয়া ক্রমে স্থিরভাবে প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হওয়ার উপক্রম করিবে, এবং আক্রমণকারী উত্তানামোটনে ঘুরিয়া আসিয়া ক্রমে প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হওয়ার উপক্রম করিবে (যথা,এক পঞ্চাশং, দ্বিপঞ্চাশং, ত্রিপঞ্চাশং ও চতুস্পঞ্চাশং চিত্রে ) । পূজার তত্ত্ব ©ዓ® যুযুৎস্থ প্রয়োগকারীর ভূমি হইতে উঠিতে উঠিতে যে সময়ের প্রয়োজন হুইবে,তন্মধ্যেই আক্রমণকারীকে উত্তানামোটন সম্পন্ন করিয়া যুযুৎস্থ-প্রয়োগকারীর সম্মুখীন হইতে হইবে। ইহাই বুঝাইবার নিমিত্ত পূর্বের চিত্রগুলি প্রদর্শিত হইল। স্থকৌশলে ও সফলতাসহ অঙ্গামোটনগুলি সম্পন্ন করিতে হুইলে, শিক্ষার প্রারম্ভকাল হইতেই বারম্বার অভ্যাস দ্বারা উহাতে স্বাক্ষ ও ক্ষিপ্রকারী ঃ ওয়া নিতান্তই আবশ্বক। ' উত্তানামোটন ও অধঃশিরামোটন পদ্ধতি পরে বর্ণিত হইবে। ( ক্রমশঃ ) পূজার তত্ত্ব ঐ সীতা দেবী সমস্ত দিন হাড়ভাঙা খাটুনীর পর বৃন্দাবন সবে আসিয়া আপনার সর্বদু:খহারী হুকাটিকে হাতে লইয়া বসিয়াছে, এমন সময় তাহার ভাইঝি কাত্যায়নী আসিয়া ঝড়ের মতন তাহার পিঠের উপর আছাড় খাইয়া পড়িল । কোনোমতে নিজেকে এবং হকা-কলিকা সামলাইয়াবৃন্দাবন জিজ্ঞাসা করিল “কি হয়েছে কাতু, কাদছিস কেন ? কাতু ফোপাইভে-ফোপাইতে বলিল, “জেঠাইমা মেরেছে।” বৃন্দাবন কিছু বলিবার আগেই তাহার স্ত্রী ঘর হইতে গর্জন করিয়া বলিয়া উঠিল, “না মারবে না, ওঁকে মাথায় ক’রে রাখবে। একটা জিনিষ ত কোনোদিন হাতে তুলে দিতে পারেনি এপৰ্য্যন্ত, আদরের ভাইঝি পাঠিয়েছেন আমার বাপের বাড়ীর দেওয়া জিনিষপত্র ভাঙতে ” বৃক্ষাবন একটু ঝাবিয়া বলিয়া উঠিল, “কি আবার ভাঙল তোমার ? এসে অবধি মেয়েকে কি যে বিধ নজরে দেখেছ ! খিচিমিচির জালায় আর বাড়ী ফিরতে ইচ্ছা হয় না । নিজের পেটে ত একটাও হয়নি, এটাকেই না হয় একটু আদর্যত্ব করে, তা তোমার কুষ্ঠতে লেখেনি।” "স্থ্য, আদর করবে, ঝাটা মারতে হয় অমন মেয়ের মুখে। শ্বশুরবাড়ী যাবার বয়স হ’ল, এখনও মেয়ে যেন বাদরের মতন নেচে বেড়াচ্ছেন । এই দেখনা আমার আরশীখানা কেমন কুচি-কুচি ক’রে ভেঙেছে।" বৃন্দাবনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী লবঙ্গলতী একখানা ভাঙা আরশী হাতে করিয়া বাহির হইয়া আসিল । কাতু ততক্ষণ জ্যাঠার পিঠের আশ্রয় ত্যাগ করিয়া দাড়াইয়া চোখ মুছিতেছিল। তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনিয়া বলিল, “ও বুঝি আমি ভেঙেছি, ও ত পুষি ভেঙেছে । লবঙ্গ চটিয়া গিয়া চড়-গলায় বলিল, “পুষিকে শিকল খুলে আমার ঘরে ঢুকিয়েছিল কে ?” কাতু আমানবদনে বলিল, “আমি তোমার ঘরে মা-দুর্গার ছবি-দেখতে গিয়েছিলাম, পুষি আমার কোল