পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ? बब्रबिग्नां tులీ हेष्ष्ब्रण भब्रधिब्बा कवि cवथन झुम्न विवाहनग्न गएक বলেছিলেন যে, বিশ্বের মর্শ্বাধিষ্ঠাত্রী দেবী আনন্দলক্ষ্মীই মাছুষকে সকল বন্ধন থেকে মুক্তি দেবেন, তেমনি তার নিশ্চয় জানতেন ধার জানলে তারা আপনাকে অহমিকার বেষ্টন থেকে ভাসিয়ে দিতে পেরেছিলেন, তারই আনন্দে মান্বযের ভেদবুদ্ধি দূর হতে পারবে ; বাইরের কোনো রফারফি থেকে নয়। র্তারা এখনো কাজ করচেন। আজও যেখানে কোথাও হিন্দু মুসলমানের আন্তরিক প্রেমের যোগ দেখি সেখানে দেখতে পাই র্তারাই পথ ক’রে দিয়েছেন। তাদের জীবন দিয়ে গান দিয়ে সেই মিলনদেবতার পূজাপ্রতিষ্ঠা হয়েছে যিনি “সেতুর্বিধরণরেষাং লোকানামসম্ভেদায় ।” তাদেরই উত্তরসাধকেরা আজও বাংলা দেশের গ্রামে গ্রামে একতার। বাজিয়ে গান গায় ; তাদের সেই একতারার তার ঐক্যেরই তার। ভেদবুদ্ধিব পাও শাস্ত্রঙ্গের দল তাদের উপর দও উদ্যত করেচে। কিন্তু এতদিন যারা সামাজিক অবজ্ঞাস মরেনি, তারা-ষে সামাজিক শাসনের কাছে আজ হার মানবে একথা বিশ্বাস করিনে । যেহেতু ভারতীয় সমাজ ভেদবছল, যেহেতু এখানে নানা ভাষা, নানা ধৰ্ম্ম, নানা জাতি, সেই জন্তেই ভারতের মর্শের বাণী হচ্চে ঐক্যের বাণী । সেই জন্তেই ধারা যথার্থ ভারতের শ্রেষ্ঠপুরুষ তারা মানুষের আত্মায় আত্মায় সেতু নিৰ্মাণ করতে চেয়েছেন। যেহেতু বাহিরের আচার ভারতে নানা আকারে ভেদকেই পাকা ক’রে রেখেছে এইজন্তেই ভারতের শ্রেষ্ঠ সাধন হচ্চে বাহ আচারকে অতিক্রম ক’রে অস্তরের সত্যকে স্বীকার করা। পরম্পরাক্রমে ভারতবর্ষের মহাপুরুষদের আশ্রয় ক’রে এই সাধনার ধারা চিরদিনই চলেছে। অথচ ভারতসমাজের বাহিরের অবস্থার সঙ্গে তার অস্তরের সাধনার চিরদিনই বিরোধ, যেমন বিরোধ ঝরনার সঙ্গে তার স্রোতঃপথের পাথরগুলোর । কিন্তু অচল বাধাকেই কি সত্য বলব, না সচল প্রবাহকে ? সংখ্যাগণনায় বাধারই জিভ, তার ভারও কম নয়, কিন্তু তাই ব’লেই তা’কে প্রাধান্ত দিতে পারিনে। বির ঝির ক’রে একটুখানি ষে-জল শৈলরাজের বক্ষ-গুহা থেকে বেরিয়ে चांन्छ, बह जांघांउदाॉषांtउद्ध छिडब्र निरञ्च विभूल বিস্তীর্ণ বালুকারাশির একপ্রান্ডে কোনোমতে পথ ক’রে নিয়ে সমুদ্রসদ্ধানে চলেছে, পৰ্ব্বতের বরফ-গলা ৰাণী তারই जश्ब्रौ८ङ ।। ७हे तौ4 चक्र थव्हब थाब्रांछैिहे भशबडन বহুবিচ্ছিন্নতার ভিতরকার ঐক্যসূত্র । ভারতের বাণী বহন ক’রে যে-সকল একের দূত এদেশে জন্মেছেন তারা যে প্রথম হ’তেই এখানে আদর পেয়েছেন তা নয়। দেশের লোক নিতান্তই যখন তাদের অস্বীকার করতে পারেনি তখন নানা কাল্পনিক কাহিনী দ্বারা তারা তাদের স্থতিকে চেয়েছে শোধন ক’রে নিতে, যতটা পেরেছে তাদের চরিতের উপর সনাতনী রঙের তুলি বুলিয়েছে । তবু ভারতের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের অনাদর পেতে বাধা পেয়েছিলেন একথা মনে রাখা চাই ; সে অাদর না পাওয়াই স্বাভাবিক, কেননা তারা ভেদপ্রবর্তক সনাতন বিধির বাহিরের লোক, যেমন খৃষ্ট ছিলেন য়িহদী ফ্যারিসি-গণ্ডীর বাহিরে। কিন্তু বহুদিন তারা অনাদরের অসাম্প্রদায়িক ছায়ায় প্রচ্ছন্ন ছিলেন ব’লে তারাই যে অভারতীয় ছিলেন তা নয়। তারাই ছিলেন যথার্থ ভারতীয়, কেননা তারাই বাহিরের কোনো স্থবিধা থেকে নয় অস্তরের আত্মীয়তা থেকে হিন্দুকে মুসলমানকে এক ক’রে জেনেছিলেন–র্তারাই ঋষিদের সেই বাক্যকে সাধনার মধ্যে প্রমাণ করেছিলেন যে বাক্য বলে, সত্যকে তিনিই জানেন যিনি আপনাকেই জানেন সকলের মধ্যে । ভারতীয় এই সাধকদেরই সাধনাধারা বর্তমান ৰালে প্রকাশিত হয়েছে রামমোহন রায়ের জীবনে । এই যুগে তিনিই উপনিষদের ঐক্যতত্বের আলোকে হিন্দুমুসলমান খৃষ্টানকে সত্যদৃষ্টিতে দেখতে পেয়েছিলেন, তিনি কাউকেই বর্জন করেননি। বুদ্ধির মহিমায় ও হৃদয়ের বিপুলতায় তিনি এই বাহ্যভেদের ভারতে আধ্যাত্মিক অভেদকে উজ্জল ক’রে উপলব্ধি করেছিলেন এবং সেই অভেদকে প্রচার করতে গিয়ে দেশের লোকের কাছে আজও তিনি তিরস্থত। ধার নির্খল দৃষ্টির কাছে হিন্দুমুসলমান খৃষ্টানের শাস্ত্র আপন দুরূহ বাধা সরিয়ে দিয়েছিল উাকে আজ তারাই অভারতীয় বলতে স্পৰ্দ্ধ করছে পাশ্চাত্য