পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩২ t [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড &धंi८भ षट्त्रिंष्ट्रं; * করিবার জন্ত সচেষ্ট হইবে, তখন হিন্দুধৰ্ম্ম বা হিন্দুজাতিরও কোন আবশুকতা থাকিবে না, এবং তখন "হিন্দু’, ‘মুসলমান’, ‘বৌদ্ধ', "ধৃষ্টান' প্রভৃতি ধৰ্ম্মস্বাতন্ত্র্য“বোধক নামগুলিও লুপ্ত হইয়া যাইবে । কিন্তু যতদিন সেই মহামানবের উদার মৈত্রীর যুগ না আসিতেছে, ততদিন পৃথিবীর অন্যান্ত ধর্মের ন্যায় হিন্দুধর্থেরও প্রয়োজন আছে, এবং সেই হিন্দুধর্মের গোপ্ত ও ব্যাখ্যাতাস্বরূপ হিন্দুজাতিরও আবশ্বকতা আছে। ধর্শ্বজগতে বৈচিত্র্য ও বৈষম্য কৌতুহল উদ্রিজ করিয়া ধৰ্ম্মোন্নতির সহায়তা করে, যদি তাহ অত্যন্ত তীব্র হইয়া বিদ্বেষ জন্মাইয়া সহানুভূতির বীজ অঙ্কুরেই বিনষ্ট করিয়া না দেয়। যেহেতু আমি মনে করি যে,ভারতের এই প্রাচীন আৰ্য্যঞ্জাতি, যাহার বংশধরগণ এখন হিন্দুনামে পরিচিত, আদিযুগে জগৎকে জ্ঞানলোকে উদ্ভাসিত করিয়াছে, তাহাকে শ্রেয় ও প্রেয়ে প্রভেদ শিক্ষা দিয়াছে, পরা ও অপরাবিদ্যায় দীক্ষিত করিয়াছে, সংযম ও ত্যাগের মহিমা প্রচার করিয়াছে ; তাহার সেই শিক্ষাদীক্ষা সাধনা এখনও পূর্ণ হয় নাই, এখনও জগৎকে তাহার অনেক দেয় আছে, যেমন অনেক বিষয়ে বর্তমানে অধিকতর উন্নত শিষ্যস্থানীয় জাতিসমূহের নিকট তাহার অনেক শিক্ষণীয়ও আছে ; আবার পাশ্চাত্য জাতিসমূহের মহাসমর প্রস্থত নৈতিক অবনতির এই ছদ্বিনে হিন্দুঞ্জাতির বিশিষ্ট দান তাহাদের পক্ষে যেমন আবশ্যক, পূর্ণমানবত-বিকাশের জন্ত ভারতীয় অন্যান্ত ধৰ্ম্মসমুদ্ৰায়ের পক্ষে ৪ সেইরূপ আবগুক ; পক্ষাস্তরে তঁাহাদের সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য, মানবছিভৱত প্রভৃতি অনেক সদগুণ হিন্দুজাতির মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট হইলে তবেই হিন্দু ভারতে পূর্ণমানবতা-বিকাশে সহায়তা করিতে পরিবে ;–এইসকল কারণবশতই আমার দৃঢ় বিশ্বাস হিন্দুধৰ্ম্ম ও হিন্দুজাতির বিলোপের এখনও সময় হয় নাই, বিশ্বোয়তির জন্য এবং নিজের আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য হিন্দু ধৰ্ম্মগত বিশিষ্টভ রক্ষার আবশুকতা আছে । জেনেভা নগরের *toktosco (League of Nations) ভারতীয় প্রতিনিধি সার মহম্মদ রফিকু সেদিন বিশ্বসভ্যতাক্ষেত্রে ভারতের দানপ্রসঙ্গে হিন্দুধর্শ্বের এই বিশেষত্বের উল্লেখ করিয়াছিলেন। হিন্দুর স্বধৰ্ম্মকে সৰ্ব্ববিধ উপায়ে উন্নত ও সময়োপযোগী ও আত্মরক্ষার অমুকুল করিয়া লইয়া তাহার শ্ৰেষ্ঠ আধ্যাত্মিক আদর্শগুলিকে জগতে স্থপ্রতিষ্ঠিত করিয়া বিশ্বসভ্যতার এক নূতন অধ্যায় উদঘাটিত করিতে হইবে । ইহাই হিন্দুর মিশন', ইহাই তাহার কৰ্ত্তব্য । এই কৰ্ত্তব্যসাধনের জন্ত ক্ষুদ্রহৃদয়দৌৰ্ব্বল্য ত্যাগ করিয়া একদিকে তাহার লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান ও সামাজিক ব্যবস্থাগুলিকে সংস্কৃত ও সাৰ্ব্বভৌমিক আদর্শে গঠিত করিয়া জাতিধৰ্ম্মনিৰ্ব্বিশেষে সকলকে সমভাবে ক্রোড়ে স্থান দিতে হুইবে, অন্যদিকে তাহার বিশেষ-বিশেষ উচ্চভাবগুলিকে জগৎসমক্ষে প্রচার ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত করিয়া সাফল্যের মহিমায়ু মণ্ডিত করিতে হইবে । তাহার পর যখন সৰ্ব্বজাতিসমন্বয়ের, Parliament of Man Federation of the World."; fox offio, Son হিন্দু তাহার কৰ্ত্তব্য সমাপন করিয়া বিশ্বহিত-যজ্ঞে অন্যান্য জাতির সহিত মিলিত হইয়া তাহার ধৰ্ম্মম্বাতন্ত্র্যকে আহুতি দিতে কিছুমাত্র দ্বিধা করিবে না। এবং —জনৈক হিন্দু