পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ झिन्वश्च প্রসঙ্গ জ্ঞ ইংরেজরা ভারতবর্ষে কেন আছে মিঃ এডুইন বেভান ভারতবন্ধু বলিয়া আত্মপরিচয় দিয়া থাকেন। লগুনে গাওয়ার স্ত্রীটে ভারতীয় ছাত্রদের জন্য খ্ৰীষ্টীয় সম্প্রদায়ের যে ছাত্রনিবাস ও ভোজনালয় আছে, ইনি তাহার কমিটির এক জন সদস্য। ইনি গত এপ্রিল মাসে লণ্ডনের টাইমূল কাগজে ইংরেজদের ভারতবর্ষ দখল করিয়া বসিয়া থাকিবার কারণ সম্বন্ধে যাহা লেখেন, রয়টার তাহা ১৭ই এপ্রিল ভারতবর্ষের দৈনিক কাগজসমূহে টেলিগ্রাফ করেন। তাহার তাৎপৰ্য্য এই – “যে-কেহ ব্রিটিশ জাতির বর্তমান মেজাজ জানেন এবং আমাদের দেশের সম্প্রতি কয়েক বৎসরের কোন কোন কাজ বিবেচনা করিয়া দেখেন, তিনিই জানেন, যে, ইহা অম্বুমান করা অসঙ্গত ( যেরূপ অনুমান মিঃ গান্ধী এখনও করেন বলিয়া বোধ হয় ) যে, আমাদের জাতি অন্ত দেশের উপর প্রভুত্ব করিবার মুখ ব৷ সুবিধার জন্তই তাহার প্রভুত্ব তদেশবাসী জনগণকে ছাড়িয়া দিতে অনিচ্ছুক। আমরা মিশর হইতে সরিয়া পড়িয়াছি। আমরা ইরাক হইতে সরিয়া পড়ি ; সেখান হইতে খুব তাড়াতাড়ি সরিয়াছিলাম বলিয় প্রমাণ হইয়াছে, কারণ আমাদের সরিয়া পড়ার পরই তথাকার আগীরীয়ের, যাহাদিগকে রক্ষা করিতে আমরা বাধ্য ছিলাম, দলে দলে নিহত হয় । "ইহা সম্পূর্ণ সত্য যে, আমাদের জাতি এখনই ভারতবর্ষ হইতে চলিয়া আসিতে অনিচ্ছুক। কিন্তু তাহ একারণে নহে, যে, ভারতীয়ের চরিত্রে, বুদ্ধিতে বা সংস্কৃতিতে মিশরী বা ইরাকীদের চেয়ে নিকুষ্ট ; মোটেই তাহা সত্য নহে । কারণ এই যে যে-সব দেশ একদেশত্ব ( ঐক্য ) লাভ করিবার উচ্চ আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে তাহাদের মধ্যে কোন দেশই ভারতবর্ষের মত এত বেশী পরিমাণে জাতি ( রেস্ ), ধৰ্ম্মমত এবং বর্ণভেদ জনিত পরস্পরবিরোধিতা দ্বারা বহুধা বিভক্ত নহে ।” ইংরেজদের ভারতবর্ষ দখল করিয়া বসিয়া থাকিবার কারণ সম্বন্ধে মিঃ বেভান যাহা লিখিয়াছেন, তাহ নূতন কথা নহে। এরূপ কারণ বিভিন্ন শব্দ প্রয়োগ সহকারে অন্যেরাও আগে বহুবার জগতের সমক্ষে উপস্থিত করিয়াছেন। কংগ্রেসের মন্ত্রিত্ব অস্বীকার সম্বন্ধে ভারত 8°-为红 সচিব লর্ড জেটল্যাণ্ড পালেমেণ্টে প্রথম যে বক্তৃতা করেন, তাহাতে ঐ রকম একটা অজুহাতের আভাস থাকায়, আমরা মিঃ বেভানের মন্তব্য ভারতবর্ষে পৌছিবার পাচ দিন আগে প্রকাশিত বৈশাখের প্রবাসীতে লিখিয়াছিলাম — “ব্রিটেনে অতি দীর্ঘকাল ইহুদী, রোমান কাথলিক এবং নকৰু ফমিষ্ট খ্ৰীষ্টিয়ানদের উপর অবিচার ও অত্যাচাৰু হইয়াছে । অক্স অনেক দেশেও এরূপ পক্ষপাতিত্ব আছে। কিন্তু তথাপি অঙ্গ কোন তথাকথিত নিরপেক্ষ জাতি তাহাদিগকে পদানত করুক, ইহা কোন প্রকৃত স্বাধীনতাপ্রিয় ব্যক্তি চাহিতে পারে না । প্রত্যেক জাতি নিজেদের দোষ নিজেরাই সারিয়া লউক, ইহাই আদশ। ইংরেজরা কি নিজেদের দেশের পূৰ্ব্বোল্লিখিত সম্প্রদায়গুলির প্রতি আচরণের উন্নতি করে নাই ? ইংরেজরা যদি ভারতবর্ষে বাস্তবিকই নিরপেক্ষ হইতেন, তাহ হইলেণ্ড তাহাৱা চিরকাল এখানে প্রভূত্ব করবেন ইহা বাঞ্ছনীয় হইতে পাৱে না। আমরা নিজেদের দোষ নিজের সন্ধিয়া লইব, লুইতেছি, এবং . ইতিমধো কতকটা লইয়াছিও।” মি: বেভান মনে করেন, বা মনে করিবার ভান করিয়াছেন, যে, ইংরেজ জাতির বর্তমান প্রকৃতি ও ব্রিটেনের খুব আধুনিক কোন কোন কাজ বিবেচনা করিলে এ ধারণা জন্মিবে না, যে, ইংরেজরা কেবল প্রভুত্বের স্বথ ও মুনফার জন্যই ভারতবর্ষ দখল করিয়া বসিয়া আছে। আমরা কিন্তু ইংরেজ জাতির স্বভাবচরিত্রে ইংরেজাধীন জাতিদিগকে স্বাধীনতা দিবার দিকে ঝোকের কোন নব আবির্ভাব দেখিভে পাইতেছি না। খুব আধুনিক ষে দুটা কাজের উল্লেখ তিনি করিয়াছেন, তাহার দ্বারাও র্তাহার মন্তব্য সমর্থিত হয় না। ভারতবর্ষের উপর যেরূপ প্রভুত্ব ইংরেজরা যে ভাবে স্থাপন করিয়াছে, মিশরের উপর সেরূপ প্রভুত্ব সে ভাবে তাহারা কোন কালে স্থাপন করে নাই। ভারতবর্ষের উপর প্রভুত্ব যত দীর্ঘ কালের, মিশরের উপর প্রভূত্ব তত দীর্ঘ কালের নয়। ভারতবর্ষের উপর প্রভূত্ব ষত লাভজনক, মিশরেব উপর প্রভুত্ব তত লাভজনক কোন কালেই ছিল না। মিশরের আধুনিক ইতিহাস এই, যে, ইহা আদৌ