পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণবণ বিবিধ প্রসঙ্গ—ভারতীয় ললিতকলার অধ্যাপকের পদ جهده يااا বঙ্গীয় মৎস্যজীবীদের বিদ্যালয় গত ২৬শে আষাঢ় চাদপুরের অন্তর্গত মেহেরনে বঙ্গীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অধিবেশন হইয়া গিয়াছে । প্রাতে প্রধান মন্ত্রী মৌলবী আবুল কাশেম ফজলল হক মৎস্যজীবীদের বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাহার পর কৃষি ও শিল্প বিভাগের মন্ত্রী নবাব খাজা হবিবুল্লা মৎস্যশিল্পপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন । শেষে ১১টার সময় রাজস্বসচিব ঐযুক্ত মলিনীরঞ্জন সরকার মৎস্যজীবীদের সভার অধিবেশনে সভাপতির কাজ করেন । মৎস্যজীবীদের বিদ্যালয়টির জন্য ভূমি ও অন্যান্য যাহ কিছু অবিখ্যক হইবে, তাহা মেহরনের দাস দালাল জমিদারেরা দান করিয়াছেন । তজ্জন্য র্তাহারা ধন্যবাদভাজন । এই বিদ্যালয়ের উদ্দেশু এইরূপ বণিত হইয়াছে :– এই বিদ্যালয়ে ৩০ • শিক্ষার্থী যাচাতে শিক্ষা লাভ করিতে পারে তাহার ব্যবস্থা করা হইবে । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিকুলেশম্ পর্যন্ত সাধারণ-শিক্ষাদানের ব্যবস্থা থাকিবে । এই বিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রকেই বিভিন্ন স্তরে মৎস্তসংরক্ষণ, পরিবদ্ধন ও বিভিন্ন প্রকারের মৎস্তশিল্প এবং আধুনিকতম অর্থনীতিশাস্ত্রের ভিত্তিতে ম স্ত্যব্যবসাসংক্রাস্ত যাবতীয়ু বিবয়ে শিক্ষালাভ করিতে বাধ করা হইবে । এবহুপ্রকাবের শিক্ষণীয় বিষয়ে শিক্ষাদান করাই এই বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশা । ইহার সর্বাঙ্গীন উন্নতি প্রার্থনীয়। আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবসর গ্রহণ আচার্ষ্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় অৰ্দ্ধ শতাব্দী দেশের যুবকদিগকে শিক্ষা দিবার কার্ষ্যে ব্ৰতী থাকিয়া সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করিয়াছেন। প্রথমে তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজে কাজ করিতেন, পেন্সjন সইবার পর তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কলেজে রসায়নীবিদ্যার অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হন । তিনি কি প্রকারে অধ্যাপনা করিয়াছেন, কেমন করিয়া নিজের গবেষণা ও নিজ ছাত্রদের গবেষণা দ্বারা ঐ বিদ্যাকে পুষ্ট করিয়াছেন, কেমন করিয়া তাহার শিক্ষা, দৃষ্টান্ত ও অনুপ্রেরণায়ু দেশে কতকগুলি রাসায়নিক ও অন্য বৈজ্ঞানিকের উদ্ভব হইয়াছে, অধ্যাপনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কেমন করিয়া দেশে পণ্যশিল্পের প্রবর্তন, কারখানা স্থাপন, নানা স্থানে চরখা ও হাতের তাতের প্রবর্তন করিয়াছেন, বন্যান্ধভিক্ষাদিতে বিপন্ন লোকদের সাহায্যাৰ্থ কিরূপে তিনি আত্মনিয়োগ করিয়াছেন, বাঙালীদিগকে কেমন করিয়া তিনি শিল্পবাণিজ্যকৃষিকাধ্যে ব্যাপৃত হইতে অবিরত বলিয়া আসিতেছেন, কেমন করিয়া তাহার তাপসোচিত জীবন অনুকরণীয় হইয়া রহিয়াছে—এই সকল এবং তাহার সম্বন্ধে আরও অনেক কথা এখন সুবিদিত। তিনি গত পনর বংসর তাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকতার মাসিক বেতন ১০০০ টাকা গ্রহণ করেন নাই । তাহার সমস্তই নানা প্রকারে বিজ্ঞানের অতুশীলনার্থ নিয়োজিত হইয়াছে । তাহার সরকারী চাকরির বেতন ও পেন্সানও বহু পরিমাণে বিদ্যার্থীদিগকে ও অন্য অভাবগ্ৰস্ত লোকদিগকে সাহাধ্য দিবার নিমিত্ত ব্যয়িত হইয়া আসিতেছে । বেঙ্গল কেমিক্যাল ওয়ার্কস্ হইতেওঁ তিনি অর্থ গ্রহণ করেন নাই । তিনি অতঃপর গ্রামসমূহের পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করিবেন। এই কাজ তিনি আগে হইতেই করিয়া আসিতেছেন । র্তাহার জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় কাহাকে অধ্যাপক নিযুক্ত করিয়াছেন বা করিবেন, জানি না । যোগ্য লোককেই করা হইয়া থাকিবে বা হইবে । সর তারকনাথ পালিতের ষে প্রভূত দান হইতে রসায়নাদির অধ্যাপকদিগের বেতন দেওয়া হয়, তাহার ট্রষ্ট-ডক্টডে স্পষ্ট করিয়া লেখা আছে, যে, তাহার স্বদেশবাসীদের মধ্যে বিশুদ্ধ ও ফলিত বিজ্ঞানের জ্ঞানবিস্তার wrof. Soo ("the object of the Founder is the promotion and diffusion of scientific and technical education and the cultivation and advancement of Science, pure and applied, among his countrymen by and through indigenous agency) &Toforo for cosora দ্বারা এই কাজ হয় বটে। অধিকন্তু সৰ্ব্বসাধারণের বোধগম্যভাবে অল্পদের জ্ঞানলাভার্থ যদি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদিগের দ্বার বক্তৃতা দেওয়াইবার ব্যবস্থা করেন, তাহা হইলে আরও ভাল হয় । ভারতীয় ললিতকলার অধ্যাপকের পদ ডাক্তার অবনীন্ত্রনাথ ঠাকুর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম “রাণী বাগেশ্বরী ভারতীয়-ললিতকলা-অধ্যাপক” নিযুক্ত হন। তিনি ১৯২১ সালে নিয়ম অনুসারে পাচ বৎসরের জন্য নিযুক্ত হন । তাহার পর আবার ১৯২৬ সালে নিযুক্ত হইয়া ১৯২৯ পর্যন্ত তিন বৎসর কাজ করেন। অবনীন্দ্র বাবুর পর ১৯৩২ পৰ্য্যন্ত আর কোন ললিতকল:অধ্যাপকের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেণ্ডারে নাই । ১৯৩২ সালে মিঃ শহীদ স্বহাৰী পাচ বৎসরের জন্ম নিযুক্ত হন। তাহার নিয়োগের পূৰ্ব্বে আমরা দেখাইয়াছিলাম, যে, তাহার অন্তরূপ যোগ্যতা থাকিলেও, “ভারতীয় ললিতকলা”র অধ্যাপনা ও ভবিষয়ক গবেষণা করিবার মত জ্ঞান ও যোগ্যতা তাহার নাই, এবং যোগ্য ও যোগ্যতর অঙ্ক লোক আছেন। তথাপি, সুপারিশের জোরে তিনিই পদটি পান ।