পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভণন্দ্র গড়গড়াটি ঠিক মাথার শিয়রে রাখিয়া যায় ; হাত-মুখ ধুইয়া হরিচরণ বাবু প্রজ্জ্বলিত কলিকার দিকে চাহিয়া অপরিসীম আনন্দ বোধ করেন। সকালে আপিসের তাড়ায় তামাক খাওয়া হয় না ; সুতরাং তামাকের সুগন্ধে নিদ্রার পূর্বমুহূৰ্ত্তগুলিকে স্বরভিত করিবার কল্পনায় হরিচরণ বাৰু রোমাঞ্চিত হইয়া উঠেন বলিলেও খুব বেশী বলা হয় না। তার পর এক সময়ে গড়গড়ার নল কেমন করিয়া জানি না, তাহার মুখ হইতে খসিয়া বালিশের উপর পড়িয়া যায়, তন্দ্রার ঘোরে হরিচরণ বা পাশবালিশটা আরও একটু কাছে টানিয়া আনেন, চাকরটা আসিয়া সেই অবসরে নলটা সরাইয় নীচে মামাইয়া রাখে, সন্তপণে মশঃরিট টানিয়া দিয়া ঘর হইতে বাকির ইষ্টয়া স্বায়ু • • রঞ্জাস কোম্পানীর সেক্সন-ইন-চাঙ্গ হরিচরণ বাবর দিনযাত্র ঠিক এমনি করিয়াই নিৰ্ব্বাহ হইতেছিল। কিন্তু এক দিন আপিসের খোদকৰ্ত্তা তাহাকে স্মরণ করাষ্টয়া দিলেন :য বয়সের প্রতি বিবেচনা করিয়া এইবার তাহার অবসর গ্রহণের সময় হইয়াছে। অবশু, কোম্পানী তাহার প্রতি অবিচার কারবে না, থোক-থাক কিছু টাকা তাঙ্গকে দেওয়৷ হুইবে-— হরিচরণ বাবু আপত্তি করিলেন ; বয়স যে র্তাহার সভাই রিটায়ার করিবার মত হয় নাই সে-কথা প্রমাণ করিবার জন্ত সাহেবের সম্মথে এমন ভাবে হাত-পা নাড়িতে লাগিলেন যে মনে হইল, সত্যই বুঝিব। তাহার যৌবন ফিরিয়া আসিল ! কিন্তু সাহেব ভীষণ কড়া লোক, মাত্র দুই মাস আগে ম্যানেঞ্জি' ডিরেক্টর হইয়া খাস স্কটল্যাগু হইতে কলিকাতায় আসিয়াছেন-কোন প্রমাণই তাহার নিকট গ্রাহ হইল না। চাকরির মেম্বাদ নির্দিষ্ট হইয় গেল। আর তিন মাস পরে উহাকে অবসর লইতে হুইবে । হরিচরণ বাবু সাহেবের ঘর হইতে বাহির হইয়া নিজের টেবিলে আসিয়া বসিলেন। মাথার উপর পাখাটা সমানভাবে ঘুরিতেছে, কিন্তু হরিচরণ বাবুর পক্ষে পাখার হাওয়া যেন এখন যথেষ্ট নয় । বেয়ারাকে ডাকিয়া হরিচরণ বাবু এক Hাস জল দিতে বলিলেন। গ্লাসের জলে চোখ মুখ একবার ভাল করিয়া ধুইয়া ফেলিতে হইল। তার পর ফাইলগুলি লইয়া হরিচরণ বাৰু নাড়াচাড়া করিতে লাগিলেন। সান্নাহন্ত g:Gمع ভাবিলেন, আজ হইতে ঠিক তিন মাস পরে এইখানে বসিয়া ফাইলগুলি নাড়িয়া-চাড়িয়া দেখিবার কোন অধিকারই র্তাহার থাকিবে না। তখন এই চেয়ারে বসিয়া কাঞ্জ করিবে তাহারই সহকারী রাধাকান্ত চাটুজ্জ্যে । তা হোক, দুঃখ করিবার কোন কারণ নাই—হরিচরণ বাবু নিজেকে বুঝাইবার চেষ্টা করিলেন। বিশ্রামের বয়স না হোক, প্রয়োজন ত হইয়াছে। চিরকাল তাহাকে টাকার জন্ত এই ঘানি টানিয়া যাইতে হইবে এমনও ত কোন কথা নাই ! হঠাৎ মোটর চাপ পড়িয়া মারা গেলেও চাকরি এমনি ভাবে শেষ হইয়া যাইত । তিন মাস দেখিতে দেখিতে কাটিয়া গেল। তার পর হরিবাৰু যেদিন পাওনা-গও চুকাইয়া লইবার জন্ত আপিসে গেলেন, সেদিন রজাস কোম্পানীর ফ্ল্যাটের চেহারাই যেন বদলাইয়া গিয়াছে। কেরানীদের হরিবাবু টেবিলে খুজিয়া পাইলেন না ; দেখিলেন বেয়ারার আপিসের চেয়ারগুলি লইয়া ইতস্ততঃ চুটাছুটি করিতেছে। এত দিনের কারবার সতাই উঠিয়া গেল কি না ভাবিতে ভাবিতে হরিবাৰু সাহেবের কামরার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন । যাক, তাহাকে তবু যথাস্থানে পাওয়া গিয়াছে। হরিচরণ বাবু সাহেবের সামনে গিয়া দাড়াইতেই সাহেব র্তাহাকে হাত বাড়াইয়া চেয়াবে বসিতে বলিলেন। ত্রিশ বছর চাকরি করিলেও এমন একটা গতি কাজ করিবার দুঃসাহস তাহার কোন দিন হয় নাই। তবু আজ সাহলে ভর করিয়া তিনি সাহেবের কথা রাখিয়া ফেলিলেন এবং সেই মুহুর্ভে তাহার মনে হইল, তিনি আর ম্যাকরজাস জুনিয়ারের চাকর নহেন ! সাহেব কুশল প্রশ্নাদির পর মোট টাকার একটা চেক লিখিয়া হরিচরণ বাবুর হাতে দিলেন এবং কথায় কথায় ইহাও জানাইয়া দিলেন ধে তাহার ছেলেপুলেদের মধ্যে যদি কাহারও যথেষ্ট বয়স হুইয়া থাকে তাহাকে এই আপিসে পাঠাইয়া দিলে তাহার জন্ত তিনি চেষ্টার ক্রটি করিবেন না । হরিচরণ বাবুর চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হইয়া উঠিল, চেকের চার ‘डिजिहै"ब्र जकीe cरुन यन्ञहे झझेश अििनग : पञ्चयनि