পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ৷ মেবার দর্শন 》e) পদ্মিনী মহল, চিতোর দেখা দিল । উদয়পুর আসবার সময় রাত্রিবেলায় কিছুই দেথা যায়নি। এবার বেশ দিনের বেলায় পৌছান গেল । দেবারীর যুদ্ধক্ষেত্র ষ্টেশন থেকেই দেখা যায় । চারিধারে প্রস্তরসস্কুল পাহাড়ে ঘেরা শুকুনে মরু জমী। এই থানেই রাণ। রাজসিংহের হাতে আওরংজেবের বিপুল সেনাবাহিনী ধ্বংস হয়। চিতোর গড় পৌছাতে রাত হ’য়ে গেল । ষ্টেশন থেকে কুলীর মাথায় জিনিষ-পত্র চাপিয়ে মাইল থানেক দূরে ডাক-বাংলায় গেলাম। গিয়ে শুনলাম, যে, এক সপ্তাহের মত সেখানে জায়গা পাবার উপায় নাই ; তার পর ফি:র মাইল দেড়েক হেঁটে রাজসরকারের সরাইয়ে এসে শুনলাম সেখানেও জায়গা নাই। এদিকে অন্ধকার রাত এবং বিবম শীত । শেবে সরাইয়ের অধ্যক্ষ অবস্থা বুঝে অনুগ্রহ ক’রে জেনানা মহলের এক ংশ সাফ করিয়ে দিলে পরে মনের অবস্থা কিছু ভাল হ’ল । সরাইয়ের ঘর দেয়াল ছাত মেজে সবই পাথরের তৈরী । সেই ঠাণ্ডা পাথয়ের মেজের উপর বিছানা পেতে রাত কাটানো গেল । রাজেই কুক্তিদের মারফত টাঙ্গার বম্বোবস্ত করে রাখা হয়েছিল। ভোর হ’তে না হ’তেই এক টাঙ্গাওয়াল। এসে উপস্থিত । তার সঙ্গে ভাড়া ঠিক ক’রে, তাকে জয়মল্ল ও পুত্তের বাড়ি, চিতোর (লেখক কর্তৃক গৃহীত ফটো ) দিয়ে জল আনিয়ে, মুখ হাত ধুয়ে ঘরে জিনিষ পত্র রেখে ভাল লাগিয়ে টাঙ্গাত্রজে চিতোরের দিকে রওয়ান হ’লাম । তখনো বেশ শীত । কাজেই ক্ষিদে ও পেয়েছিল বেশ । টাঙ্গাওয়ালাকে যললাম, চা ও কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা কয়ার জঙ্ক । সে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় শ্রেষ্ঠ হালুম্বাইয়ের দোকানে নিয়ে গেল। পাশে এক চায়ের দোকান। হালুম্বাইকে “পুরী’র অর্ডার এবং চাওয়ালাকে চায়ের ফরমাদ ক’রে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হ’ল। আমরা তিন জন বাঙালী ছিলাম। এই তিনটি ক্ষীণজীবী প্রাণীতে মিলে আমরা দেড় সের (৯• সিন্ধা সের ) পুরী, তিন