পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ) বিবিধ প্রসঙ্গ-বার্কেন হেডের বিরক্তিকর পুনরুক্তি Y86. বিবেচনা করিতে হইবে। ব্যাপারটি ত শুধু ভারতববীয় নয়, ইহা ব্রিটিশসাম্রাজ্যের ব্যাপার } অতএব কমিটির রিপোর্ট সাম্রাজ্যিক রক্ষা-কমিটি (Imperial Defence Committee) *** বিবেচিত হুইবে । ইত্যাদি, ইত্যাদি। মাম্রাজের স্যার শিবস্বামী আইয়ার একজন খুব বড় মডারেট বা উদারনৈতিক। তিনি যথাসাধ্য গবন্মেণ্টের স্বমংলব ও স্বকার্যের প্রশংসা করেন। তিনি ভারতীয় সৈন্যদলবিষয়ক সব প্রশ্ন ও সমসণ উত্তম রূপে অধ্যয়ন করিয়াছেন । তাহার মত লোকও বলিতেছেন, গবন্মেন্টের গৌরচঞ্জিকাটা হইতে মনে হয়, কাজে কিছু হইবে না । যদি কমিটির সব স্বপারিস কার্ধ্যে পরিণত হইত, তাহা হইলেও তাহা ভারতবর্ষের স্বাধী দাবীর অকুরুপ হইত না । অতএব, কোন স্বপারিস যদি কাৰ্য্যে পরিণত না হয়, তাই ভাল । একটা মত আছে বটে, যে, যা পাওয়া যায় তা খুব কম হইলেও লওয়া ভাগ, এবং পরে আরও বেশী চাওয়া ভাল। কিন্তু যাহা যথেষ্ট নয়, স্থায্য পাওনার অনুরূপ নয়, তাহা লইলে স্তায্য যাহা তাহা যাইবার পথে বাধা ঘটে । কৰ্ত্তারা যেমন বর্তমান ব্যবস্থাপক সভাদি সম্পর্কে বলিতেছেন, “এইগুলা ভাল ছেলের মত সন্তুষ্টচিত্তে চালাইয় দেখাও, যে, তোমরা লায়েক হইয়াছ, তারপর আরও কিছু দেওয়া যায় কি না, দেথা যাবে",তেমনি সামরিক কমিটির প্রস্তাবগুলা সম্বন্ধেও বলিতে পারেন, *১৯৫২ সাল পৰ্য্যস্ত কি হয় দেখা যাক, তোমরা কেমন রাজভক্ত থাক ও লায়েক হও দেথা যাক, তারপর বিবেচনা করা যাবে।" অতএব ভারতীয় কোন রাজনৈতিক দল যদি কমিটির স্বপারিশগুলি অহুসারে কাজ হওয়ার জন্ত দাবী করেন, তাহা হক্টলে মহাভ্রম করিবেন। কাশীতে একশ্রেণীর সন্ন্যাসী আছেন, যাহাদিগকে পূর্ণভাও বলে। র্তাহার। মুষ্টিভিক্ষ গ্রহণ করেন না। তাহাদের ভিক্ষাপাত্রটি পূর্ণ করিয়া দেওয়া চাই । এইজন্য তাহারা গৃঃন্থের দ্বারে গিয়া বলেন, “বই লেজে, “উহাই লষ্টব”, এবং কেহ পাঞ্জটি ভরিয়া দিলে “বহী লিয়া”, “উহাই লইয়াছি* বলিয়া চলিয়া যান। আমাদিগকেও পূর্ণভাও হইতে হইবে। আমাদিগকে বরাবরই অল্প কিছু দিয়া লক্ষ্যভ্রষ্ট করিবার চেষ্ট হইতেছে। ইংরেজ রাজনৈতিকদের আর-একটা চাতুর আছে, ষে, তাহারা অল্প কিছু দিলেই তাহাদের মধ্যে একদল চীৎকার জুড়িয়া দেয়, “সৰ্ব্বনাশ ! মহাবিপদ উপস্থিত । ভারতকর্ষকে এমন কিছু দেওয়া হইতেছে যাহাতে মহা বিপ্লব ঘটবে, এবং সাম্রাজ্য ও ভারতবর্ষ উচ্ছন্ন ৰাইবে।” ইত্যাদি। ইহাকে বলে রাজনৈতিক tनांकानशाब्रौ । हेशग्न ऐं★क्छ झहे८ङtछ्, चांभब्र। ५३ y? কোলাহল শুনিয়া যেন মনে করি, যে, অতি অপূৰ্ব্ব রত্ব আমাদিগকে দেওয়া হইতেছে, এবং তাহার জন্য কাড়াকড়ি করি। কিন্তু প্রকৃত কথা এই, যে, ইংরেজরা কাৰ্য্যতঃ আমাদিগকে যখন যtহা দিয়াছে, তাহার কিছুই আমাদের স্থায্য পাওনার তুলনায় গ্রহণযোগ্য নহে, তাহা অতি সামান্ত, এবং তাহাতে বিস্তর অনিষ্টকর খাদ মিশান আছে। বার্কেন হেডের বিরক্তিকর পুনরুক্তি ভারতসচিব লণ্ড বার্কেনহেড, আবার তাহার পুরাতন বুলি ঝাড়িয়াছেন—“পুরামাত্রায় আমাদের সহিত সহযোগিতা কর, ভারতশাসন-সংস্কার আইন অনুসারে যতটা কাজ হইতে পারে করিয়া দেখাও, তাহার পর তাহাতে আমাদের সস্তোব হইলে আমরা আরও কি করা যাইবে বিবেচনা করিব,” এইরূপ মৰ্ম্মের কখা । কিন্তু সহধোগিতা করিলে কৰ্ত্তারা কি আকাশের চাদ আমাদের হাতে তুলিয়া দিতেন, এবং কখন দিবেন, তাহ বলিবার নাম-গন্ধ নাই। কথন দিবেন, তাহাত তিনি বগিতেই পারেন না ; কারণ তিনি কোন তারিখের দাস নহেন (“not a slave to dates”) I fou &Ifatwa Hsaw হইতে স্বাধীনতা সত্ত্বেও, ১৯২৯ এর আগে যে ভারতশাসনপ্রণালী সম্বন্ধে বিবেচনা হইতে পারে, ভুলিয়াও তাহা বলিতেছেন না। বার বার ভারতবর্ষের বহুসংখ্যক খবরের কাগজে বলা হইয়াছে, যে, নূতন ব্যবস্থাপক সভার প্রথম তিন বৎসর ত পূর্ণ সহবোগিত হইয়াছিল। তথন কৰ্ত্তার কেন কিছু করেন নাই ? স্বরাজ্য দলের ঘোষিত বাধাদান নীতি সত্বেও তাহারা দ্বিতীয়বার গঠিত অধিকাংশ প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে এবং ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভাতে যে কাৰ্য্যতঃ সহযোগিতা করিয়াছিলেন এবং বর্তমান সভাগুলিতেও করিতেছেন, তাহাতে ভারতসচিবের মত বদলায় নাই। ভারতবর্ষে যত রাজনৈতিক দল আছে, প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভাগুলির যত নিৰ্ব্বাচিত সভ্য আছেন, বিন্দুমাত্র বাধাদানের চিন্তাও যদি সকলের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়, তাহা হইলেও কি আকাশের চাদ পাইবার কোন সম্ভাবনা আছে ? কখনই না । সেন্ধপ অবস্থা ঘটিলে ইংরেজ রাজনৈতিকর বলিতে আরম্ভ করিবেন, “বাঃ, আমরা কেমন খালা শাসনপ্রণালী প্রষত্তিত করিয়াছি । কেহু আর বাধাদানের নামমাত্র করে না, সমালোচনার কথাটি মাত্র নাই, প্রজাকুল সন্তোবের গভীর নিয়ায় নিমগ্ন । অতএব ১৯১৯ ঈশান্ধে প্রবর্জিত ভারতশাসনসংস্কার আইন জনম্ভ কাল ধরিয়া চলিতে থাকুক।”