পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথের পত্র ক্ষ ( , ) শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু তোমার জন্মদিনের জন্যে তিনটে ধাধা চেয়ে পাঠিছে। কিন্তু তুমি নিজেই এমন একটি ধাধা তৈরি করেছ যে, আমি তার কিনার করতে পারছিনে । তোমার চিঠি যখন এল তখন তোমার জন্মদিন পেরিয়ে গেছে—তোমার সেই গেল-জন্মদিনে আমার ម៉ីរុស្ស៊ី។ পৌছবে কি ক’রে ? তা ছাড়া আর-একটা মুস্থিল আছে —আমি অনেক রকম লেখা লিখেছি, কিন্তু জেনে শুনে ইচ্ছে ক’রে ধাধা লিখিনি। আমার অনেক লেখা অনেক লোকে ধাধা বলে মনে করে, কিন্তু সেরকম কারো ভালো লাগে না। কিন্তু রোসে–মনে পড়ছে অনেক দিন আগে যখন তুমি জন্মাণ্ডনি, হয়ত তোমার মাও জন্মাননি, তখন ছেলেদের জন্তে কথমে ক ধলে৷ হেঁয়ালি তৈরি করেছি। তারি থেকে তিনটে তোমাকে পাঠাই—আসছে বছরের জন্মদিনের আগে হয় তুমি পাবে । ( ১ ) তিন অক্ষরের কথা। প্রথম ও শেষ অক্ষর ছেড়ে দিলে কাণ থাকে না। শেষ দুটে। অক্ষর ছেড়ে দিলে মান থাকে না । সমস্তট ছেড়ে দিলে প্রাণ থাকে না | (২) চার অক্ষরের কথা । প্রথম দুটো অক্ষর একটি প্রাণী, শেষ দুটো অক্ষর তার বদ্ধন । সমস্ত কথাটার মানে হচ্ছে বাধা পড়লে সেই প্রাণীর অবস্থা । (৩) তিন অক্ষরের কথা। তার প্রথম অংশটাকে ৫ *প্রবাসী’ এবং অন্যান্ত মাসিকপত্রে বিজ্ঞাপনের উত্তরে ছোট একটি মেয়েকে লেখা কবির এই কল্পখানি চিঠি আমরা পাইয়াছি । শেষ কবিতাটি রচনা করিয়া কবি উহার পুর্বপ্রতিজ্ঞার ঋণশোধ করিলেন। —সম্পাদক, “প্রবাসী” ইংরেজি শব্দ ব’লে ধ’রে নেওয়া যেতে পারে । তারো যt মানে বাকি অংশটার ও সেই মানে, সমস্ত কথাটারই সেই একই মানে } ইতি ১২ বৈশাখ ১৩৩২ শুভাকাঙ্ক্ষী “রবি-বাবু” শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু তুমি আর ফুলদিদি দুই বোনে আমার দুই ধাধার উত্তর ঠিক বের ক’বে দিয়েছ । কিন্তু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তোমার বাবা ধাধার উত্তর বের করুবার বয়স পেরিয়ে গেছেন। আমার তৃতীয় ধাধায় উত্তর হচ্ছে সংগী । Song গ্য ও প্রথম অংশটাকে ইংরিজি শব্দ ব’লে ধ’রে নিলে তারও ধ: মানে, তার পরের অংশেরও সেই মানে, সমস্ত কথাটার ও সেই মনে ; আমি কেমন আছি জানতে চেয়েছ। খুব ভালো আছি । ছেলে-বেলায় অমৃথ করলে খুসি হতুম, ইস্কুলে যাও বন্ধ হ’ত । কিন্তু তথন শরীর এত সুস্থ ছিল যে, শরীরের উপর ভারি রাগ হ’ত 1 এখন শরীরটাকে অভ্যস্ত মুস্থ ব'লে কেউ দোষ দিতে পারবে ন—ংেশ অনেক দিম ধ’রে অমুখ ক'রে আছে । ছুটি পেয়েছি। প্রায় সমস্ত দিম, রাত্র দুপুর পয্যন্ত বাইরে বসে থাকৃতে পাই—কেউ বক্তৃতা করতে ডাকে না, তুমি ছাড়া কেউ ধাধা চেয়ে পাঠায় না, চিঠি লিখলেও জবাব দিইনে । ছেলেবেলায় ছুটির ধিনে খেলা ছিল মাটির উপর ধুলো নিয়ে, আজ ৬৫ বছর বয়সে আমার খেলা নীল আকাশের উপর ভীবন নিয়ে । কিসেং ভাবনা ? সেই বয়সে মন ফিরে গেছে ব’লেই তোমার বয়সের মেয়ের চিঠির জবাব দিতে