পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ [ ২৭শ স্থাগ, ઝ નજી ـ حيد ভেদিয়া ছুঃসাধ্য বিস্তুবাধা। তব প্রাণে প্রাণবান, তব স্নেহচ্ছায়ায় শীতল, তব তেজে তেজীয়ান, সজ্জিত তোমার মাল্যে যে-মানব, তাfর দূত হ’য়ে, ওগো মানবের বন্ধু, আজি এই কাব্য-অৰ্ঘ্য ল'য়ে শ্যামের বাশির তানে মুগ্ধ কবি আমি অপিলাম তোমায় প্রণামী ॥ ৯ই চৈত্র, ১৩২৩ গোতমের ধৰ্ম্মে আত্মার স্থান - মহেশচন্দ্র ঘোব । বুদ্ধেব ধৰ্ম্মে আত্মার স্থান কি ? এবিষয়ে নানাপ্রকার বাকৃতিও চলিয়া আসিতেছে। এক শ্রেণীর লোক বলিভেছেন, তিনি আত্মা স্বীকার করিতেন না। আর-এক শ্রেণীর লোক বলিতেছেন—যাংরি ধর্মের অদ্বিতে কল্যাণ, মধ্যে কল্যাণ ও অস্তে কল্যাণ, যিনি ধৰ্ম্ম-সাধনার জঙ্ক এত উপায় উদ্ভাবন করিয়াছেন, আত্মসংযম ও তৃষ্ণ • ক্ষয় যাহার ধৰ্ম্মেয় একটি প্রধান অঙ্গ-তিনি আত্মী মানেল না ইহাও কি কথণ হয় ? স্বতরাং এ বিষয় আলোচ্য। আলোচনায় প্রবৃত্ত হুইবায় পূৰ্ব্বে আত্মা শস্কের অর্থ নির্ণয় করা আবশ্বক। . আত্মা নাই?—বলিলে এক শ্রেণীর লোক এই প্রকার दूरक ः–८मश्ड़े भामद । ८मश्। झोप्ला मानव কিছু নয়ণ স্বর্থ-দুঃখদি দেহু হইতে উৎপন্ন। লোকে যে বলে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কৰ্ত্ত্যাকৰ্ত্তব্য—এ সমূদ্রায়ই স্বথঙ্কথমূলক। দেহTfবনাশের সঙ্গে সঙ্গে সবই বিনষ্ট হইয়া যায়। পরকাল বলিয়া কিছু নাই। "আত্মা নাই ইহার উচ্চতর ব্যাখ্যা প্রাচীন কালে দে ৪য়া হইয়াছে কি না সন্দেহ । আছে বলিলে অনেকে এই প্রকার বুঝে :মানৰ কেবল দেহপিগু নহে ; দেহ ছাড়াও এমন কিছু vআছে যাহার জন্য মানবের মানবত্ব ৷ দেহ বিনষ্ট হয়, কিন্তু - * . . সব বিনষ্ট হয় না। দেহ বিনষ্ট হটবার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যাহা বিনষ্ট হয় না, দেহ বিনষ্ট হইবার পরও পুরুষের যাহ। বর্তমান থাকে তাহাই আত্মা। এই মতে পুরুষের এক দেহাতীত সত্তা আছে, এই সত্তাই স্থখ-দুঃখ ভোগ করে, এই সত্তারই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম । মৃত্যুর পরে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম লইয় পুরুষ পরলোকে গদন করে। আত্মবাদের ইহাই প্রচলিত ব্যাখ্যা। যাহারা আত্মার বিষয়ে এই প্রকার ব্যাখ্যা দেন তাহারাও আত্মবাণী । এখন আলোচনা করিয়া দেখা যাইতে পারে, গোডম আত্মা মানিতেন কি না । “আত্মবাদ’ ও অনাত্মবাঞ্জেতে যে-ব্যাখ্যা দেওয়া হইয়াছে তাহ। যদি একটি প্রকৃত ব| প্রচলিত ব্যাখ্যা হয়, আমরা দ্বিধাশুদ্ধ হইয়া বলিব, গোতম আত্মবাদী ছিলেন। এস্থলে একটি কথা বলা আবশ্যক । গোতমের সমসাময়িক ধৰ্ম্মাচার্ষ্যগণ যে যে বস্তকে আত্মা ফলিয়। নির্দেশ করিতেন, গোতম সে-সমুদাকে আত্ম বলিয়া মনে করিতেন না। এইজন্তু সেই সময়ের লোকে গে'মকে ‘আত্ম-বাদ' বলিত না এবং গৌতমও আপনাকে “আত্মবাদী বলিয়া গোষণা করেন নাই ; প্রত্যুত তিনি প্রচলিত আত্মবাদের যথেষ্ট সমালোচনা করিয়াছেন।